সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকের ২০ বছর পূর্ণ হলো আজ। শুরুতে প্ল্যাটফর্মটি যে প্রত্যাশা দেখিয়েছিল, সময়ের পরিক্রমায় তা কেবলই বিবর্ণ হয়েছে। বিতর্ক ছড়ানো ও অর্থ উপার্জনের চুম্বকে পরিণত হয়েছে এটি। কেবল তাই নয়, ব্যবহারকারীর ওপর প্ল্যাটফর্মটির সামাজিক, রাজনৈতিক প্রভাব নিয়েও প্রশ্ন উঠছে।
সর্বশেষ, গত ৩১ জানুয়ারি ক্ষতিকর কনটেন্ট বা বিষয়বস্তু প্রচারের অভিযোগে ফেসবুকের প্রতিষ্ঠাতা মার্ক জাকারবার্গকে তলব করে মার্কিন কংগ্রেস। সেখানে তাঁর প্ল্যাটফর্মে যৌন হয়রানির শিকার হয়ে শিশু-কিশোরদের মৃত্যুর জন্য তাঁদের পরিবারের কাছে ক্ষমা চান তিনি। তবে কোনো কিছুই তাঁর প্রতিষ্ঠান মেটার আর্থিকভাবে ফুলে ফেঁপে ওঠা ঠেকাতে পারেনি। কংগ্রেসের শুনানির পরদিনই মেটার ব্যাপক মুনাফার তথ্য প্রকাশ পায় এবং তার প্রভাবে শেয়ারবাজারে কোম্পানির পুঁজি বেড়ে ১ লাখ ২০ হাজার কোটি ডলারে দাঁড়ায়।
সম্পত্তি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মেটা বিরুদ্ধে বিতর্কও বেড়েছে। প্রতিষ্ঠানটির মালিকানায় থাকা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলোর (ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ ও ইনস্টাগ্রাম) মধ্যে ফেসবুকের আসক্ত ও সমালোচকদের মধ্যে অসন্তোষ দানা বাঁধছে বিগত কয়েক বছর ধরেই। তাদের দাবি, এই প্ল্যাটফর্মের কারণে তাঁরা ব্যাপক পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে যাচ্ছেন। তবে এই পরিবর্তন খুব একটা চোখে পড়ছে না।
বলা চলে, গণযোগাযোগের ক্ষেত্রে বিপ্লব সাধন করেছিল ফেসবুক। ব্যক্তিকে গণযোগাযোগের ধারায় আরও বেশি, সহজভাবে একীভূত করেছিল প্ল্যাটফর্মটি। কিন্তু বর্তমানে ব্যক্তি ও গণের মধ্যকার বিভাজন ক্রমেই স্পষ্ট হয়ে উঠছে। আগে যেখানে প্ল্যাটফর্মটিতে বন্ধুদের বিষয়বস্তুই ব্যক্তির ওয়ালে প্রদর্শিত হতো, সেখানে বর্তমানে তার জায়গা করে নিয়েছে অপরিচিত ব্যবহারকারীর ভিডিও, রিলস। যেন ফেসবুক এক হাইপার অ্যাকটিভ টিভি।
আগে যেখানে ব্যক্তির ‘পাবলিক’ পোস্টগুলো সবার কাছেই পৌঁছাত, ইদানীং সেই জায়গা অনেকটাই সংকুচিত হয়েছে। বিশ্লেষকেরা বলছেন, এই সুবিধা এতটাই সংকুচিত হয়েছে যে, এখনকার পাবলিক পোস্টগুলো ইমেইলের মতো। স্রেফ হাতে গোনা মানুষের কাছে পৌঁছাচ্ছে। মার্ক জাকারবার্গ একসময় তাঁর প্ল্যাটফর্মকে ডিজিটাল স্কয়ার বা ‘ডিজিটাল নগরচত্বর’ বলে আখ্যা দিয়েছিলেন। বলেছিলেন, মানুষের হারিয়ে যাওয়া ‘নগরচত্বর’ পুনর্নির্মাণ করছেন তিনি। ২০ বছর পর এসে দেখা যাচ্ছে, তাঁর ‘নগরচত্বর’ প্রতিশ্রুত দাবি থেকে অনেক দূরে এবং কেবল একের পর এক সমস্যা সৃষ্টি করছে।
বিষয়টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, ব্যক্তি কীভাবে ইন্টারনেট ব্যবহার করে, তাঁর অভিজ্ঞতা কেমন তা ফুটে উঠে তাঁর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারের মাধ্যমে। ফেসবুকের ব্যবহারকারী অন্তত ৩০০ কোটি। ব্যক্তির মোবাইলে কাটানো সময়ের অর্ধেকরও বেশি খেয়ে নিচ্ছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলো। হিসাব অনুসারে, মানুষের কর্মঘণ্টার প্রায় এক-চতুর্থাংশই ব্যয় হয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে।
ইন্টারনেটের ব্যবহার এতটাই বেড়েছে যে, ২০২৩ সালে মানুষ যে পরিমাণ সময় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যয় করেছে তা ২০২০ সালের তুলনায় ৪০ শতাংশ বেশি। অর্থাৎ, কোভিড মহামারির সময়ে মানুষ অলস বসে থেকেও স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে কম সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার করেছে।
ওপেন নেটওয়ার্ক সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলো ‘আচরণভিত্তিক অ্যালগরিদমের’ কারণে সাম্প্রতিক সময়ে আরও বেশি প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠেছে। চলতি বছরে বিশ্বের প্রায় অর্ধেক মানুষই কোনো না কোনোভাবে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবেন। এ কারণে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি থেকে শুরু করে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মতো রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বরাও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আরও সক্রিয় হয়ে উঠবেন।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের বর্তমান যে প্রবণতা, তা কোনোভাবেই প্রকৃত সামাজিক স্তরে নেই। টিকটকের মতো প্ল্যাটফর্ম থেকে উদ্বুদ্ধ হয়ে ফেসবুকের মতো বড় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলোও ব্যবহারকারীর পছন্দ অনুসারে ভিডিও ক্লিপ হাজির করছে তাঁর সামনে। এ ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় ভূমিকা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার। এটি স্পষ্ট যে, ব্যক্তির ‘আচরণগত পছন্দকে’ প্রাধান্য দিচ্ছে ফেসবুক, ‘সামাজিক সংযোগকে’ নয়। ব্যবহারকারীরাও আগের মতো সামাজিক সংযোগমূলক কনটেন্ট শেয়ার করছেন না।
ফেসবুকে ব্যবহারকারীরা আগের মতো তাদের জীবনের ঘটনা, চিন্তা নিয়মিত শেয়ার করছেন না। এক হিসাব অনুসারে, ২০২০ সালে ৪০ শতাংশ মার্কিন নাগরিক তাদের ব্যক্তিগত গল্প, মতামত, চিন্তা ফেসবুকে শেয়ার করতেন। ২০২৩ সালে এসে তা কমে দাঁড়িয়েছে ২৮ শতাংশে। ফেসবুকের পরিবর্তে মানুষ এখন বিভিন্ন বিষয়ে বিতর্কের জন্য হোয়াটসঅ্যাপ ও টেলিগ্রামের মতো ক্লোজড গ্রুপভিত্তিক ম্যাসেজিং প্ল্যাটফর্মকে বেছে নিচ্ছেন।
সব মিলিয়ে জাকারবার্গ প্রতিশ্রুত ‘ডিজিটাল নগরচত্বরের’ আশার বাতি নিভে গেছে। বিষয়বস্তুর বৈচিত্র্য বিবেচনায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম সব সময়ই একটি অস্পষ্ট প্ল্যাটফর্ম। তবে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের চরিত্র বোঝার জন্য টিকটক গবেষকদের কাছে ‘ব্ল্যাক বক্স’ হিসেবে হাজির হয়েছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সও (সাবেক টুইটার) তার কিছু কোড উন্মুক্ত করেছে। কিন্তু কোন টুইট দেখা যাবে, আর কোনটা দেখা যাবে না—তার নিয়ন্ত্রণ রেখেছে নিজের হাতেই। বিভিন্ন প্রাইভেট ম্যাসেজিং অ্যাপগুলোও এনক্রিপশন ব্যবস্থা রেখেছে।
এ ধরনের ব্যবস্থাগুলো অবশ্য স্বাগত জানাতে হবে। কারণ, রাজনৈতিক নেতাদের জন্য একটি নির্দিষ্ট কমিউনিটিকে লক্ষ্য করে নির্দিষ্ট বার্তা পাঠানোর সুবিধা এটি দিচ্ছে। উদাহরণ হিসেবে ধরা যেতে পারে, এক্সে পোস্ট করা কোনো একটি উসকানিপূর্ণ টুইটকে। কোনো একটি স্কুলের শিক্ষার্থীদের অভিভাবকদের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ একটিমাত্র বিতর্কিত ‘টুইটের’ কারণে ভেঙে যেতে পারে।
বিপরীতে, এনক্রিপটেড ম্যাসেজিং অ্যাপগুলোতে ট্র্যাডিশনাল সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের মতো ব্যাপক প্রতিক্রিয়া দেওয়ার সুযোগ নেই। সেখানে প্রত্যেক ব্যবহারকারীর বার্তা সময় অনুসারে সাজানো থাকে, এনগেজমেন্ট-ম্যাক্সিমাইজিং অ্যালগরিদমে নয়। এসব ম্যাসেজিং অ্যাপে কোনো একটি বিষয়ে বাড়তি মনোযোগ দেওয়ার প্রয়োজন পড়ে না, এখন পর্যন্ত সেরকম চেষ্টাও করা হয়নি। ফলে এ ধরনের ম্যাসেজিং অ্যাপগুলো ব্যবহারকারী মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য ইতিবাচক হিসেবে দেখা দিতে পারে।
হাইপার অ্যাকটিভ সোশ্যাল মিডিয়াগুলোর অর্ধেকই আচরণভিত্তিক অ্যালগরিদম দিয়ে পরিচালিত হয়। এ ধরনের প্ল্যাটফর্মে ব্যক্তির পোস্ট নিজস্ব ‘কমিউনিটির’ বাইরে ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা আছে, তেমনি গণ্ডির বাইরে থেকেও কোনো ইস্যু ব্যক্তির কাছে পৌঁছাতে পারে। বিশ্লেষকেরা বলছেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম বেশির ভাগ ক্ষেত্রে ‘নিজ শক্তিতে পরিচালিত ইকো চেম্বার’ হিসেবে কাজ করে। অর্থাৎ, একই ধরনের কনটেন্ট ব্যক্তির কাছে আনতে পারে। তবে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলো যেহেতু কমিউনিটির বাইরের কনটেন্ট ব্যক্তির সামনে আনতে পারে, তাহলে এর পক্ষে ব্যক্তির চিন্তা, ধারণা তাঁর সম্প্রদায়ের বাইরেও পৌঁছানোর ক্ষমতা রাখে।
যাই হোক, নতুন দুনিয়ায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলো নিজস্ব কিছু সমস্যা নিয়ে হাজির হয়েছে। যেমন, অধিকাংশ ম্যাসেজিং অ্যাপেই কোনো মডারেশন বা নিয়ন্ত্রণ নেই। ছোট গ্রুপের ক্ষেত্রে এটি খুবই ভালো। কিন্তু যখনই একটি গ্রুপ বড় হয়ে যায় তখনই বাড়ে বিপত্তি। ধরা যাক, ২০ হাজার সদস্যের কোনো একটি গ্রুপ আছে। সেখানে বার্তা আদান-প্রদানের চরিত্র ব্যক্তি থেকে ব্যক্তি নয় বরং টিভি সম্প্রচারের মতোই। যে কেউ চাইলে এর বিষয়বস্তু ফাঁস করে দিতে পারে। ফায়দা নিতে পারে অন্যভাবেও। যেমন, ভারতের রাজনীতিকেরা মিথ্যা তথ্য ছড়ানোর জন্য হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার করেন। কিন্তু ফেসবুকের মতো ওপেন নেটওয়ার্ক প্ল্যাটফর্মে এমনটা সম্ভব না। কারণ যে কেউ চাইলে এর সত্যতা যাচাই করতে পারে।
ওপেন নেটওয়ার্ক প্ল্যাটফর্মের বর্তমান আচরণভিত্তিক অ্যালগরিদমের কারণে সামাজিক যোগাযোগের জন্য মানুষ ক্লোজড গ্রুপ ম্যাসেজিং অ্যাপে ঢুকে যাচ্ছে। ব্যক্তির কম পোস্ট শেয়ারের কারণে ওপেন নেটওয়ার্ক প্ল্যাটফর্মগুলো ক্রমেই কম উপকারী হিসেবে প্রমাণিত হচ্ছে। কোভিড মহামারির সময় ডাক্তার, বিশেষজ্ঞদের নামে ব্যাপক ভুল তথ্য ছড়ানো হয়েছে। রাশিয়ার ইউক্রেন আক্রমণের শুরুর দিকেও ব্যাপক হারে ভুয়া গোয়েন্দা তথ্য ছড়ানো হয়েছে। এর ফলে, ওপেন নেটওয়ার্কে আর বিভিন্ন বিষয়ে বিতর্ক হচ্ছে না, নতুন আইডিয়াও সামনে আসছে না। তারপরও এখনো কিছু মানুষ ওপেন নেটওয়ার্ক সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কথা বলে যাচ্ছেন। বিশ্লেষকেরা বলছেন, এরা মূলত কট্টর ডান বা কট্টর বাম কিংবা খুবই নীরস লোকজন।
ওপেন নেটওয়ার্কে আচরণভিত্তিক অ্যালগরিদম নির্দিষ্ট ধরনের ভিডিও ছড়িয়ে দিতে মুখ্য ভূমিকা পালন করে। আগে যেটা হতো, কোনো একটি বিষয় ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য ব্যবহারকারীদের তা শেয়ার করতে হতো। কিন্তু এখন আর তার প্রয়োজন নেই। এখন স্রেফ কোনো একজন ব্যবহারকারী নির্দিষ্ট কোনো একটি ভিডিও দেখলেই এর পর থেকে সে ধরনের ভিডিওগুলো তাঁর টাইমলাইনে আসতে থাকবে। এ ধরনের অ্যালগরিদমের কারণে মিথ্যা ছড়ানোর বিষয়টি আরও দ্রুত গতির হয়ে উঠেছে এবং রাজনৈতিক নেতাদের জন্য ফায়দা হাসিলের সুযোগ করে দিচ্ছে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভুয়া সংবাদের উত্থানের চেয়েও বেশি জরুরি প্রকৃত বিষয় চিহ্নিত করা। মার্ক জাকারবার্গ একবার বলেছিলেন, তিনি ফেসবুককে ‘পারসোনালাইজড’ সংবাদপত্র হিসেবে গড়ে তুলতে চান। কিন্তু তাঁর সেই কথা কথাই রয়ে গেছে। বর্তমানে ফেসবুকের কনটেন্টের মধ্যে মাত্র ৩ শতাংশ হলো সংবাদ, বাকি সবই বিনোদনের কনটেন্ট। ২০১৮ সালে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলোতে ২৬ শতাংশ ব্যবহারকারী সংবাদ শেয়ার করতেন। ২০২৩ সালে সেই হার কমে দাঁড়িয়েছে মাত্র ১৯ শতাংশে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমভিত্তিক সংবাদ শেয়ার করা প্রতিষ্ঠান ‘বাজফিড নিউজ’ করতে গিয়ে টিকতে না পেরে ২০২৩ সালে কার্যক্রম গুটিয়ে নিয়েছে। এবং এটিই হলো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেই আসল চিত্র (এবং হয়তো আমাদেরও)—যেখানে সংবাদের সেই অর্থে কোনো মূল্যই নেই। কিন্তু এখানে একটা বৈপরীত্য আছে। যেমন অধিকাংশ তরুণই সংবাদের জন্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের ওপর নির্ভর করেন। কিন্তু প্ল্যাটফর্মগুলো ঠিক তার উল্টো পথে হাঁটছে। তারা মনে করছে, সংবাদ আর মজাদার কোনো কনটেন্ট নয় ব্যবহারকারীদের কাছে।
অনেকেই যুক্ত দেখান, বর্তমান সময়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম যেসব ত্রুটি রয়েছে তা ‘সুশাসন’ বা ভালোভাবে পরিচালনার মাধ্যমে দূর করা সম্ভব। এ ক্ষেত্রে সহায়ক ভূমিকায় অবতীর্ণ হতে পারে বুদ্ধিদীপ্ত কোডিং ও ভিন্নধর্মী ব্যবসায় মডেল। কিন্তু নতুন যুগের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম অ্যাপগুলো যে সমস্যা তৈরি করেছে তা মানবীয় যোগাযোগের ক্ষেত্রে ভারসাম্য নষ্ট করার ক্ষমতা রাখে।
মানুষ যখন কোনো প্রাইভেট গ্রুপে নিজেদের আবদ্ধ করে যোগাযোগ করছে তখন তাদের ক্ষেত্রে তদারকি থাকছে না। আবার ওপেন নেটওয়ার্ক প্ল্যাটফর্মে বিশাল ডোমেইনে নিজস্ব ইকো চেম্বারের বাইরে গিয়ে মানুষ কট্টর কোনো কনটেন্টের মুখোমুখি হতে পারে। যা তার বা তাদের অস্বস্তির কারণ হয়ে উঠতে পারে। আবার যখন বিনোদনের দিকে ঝুঁকে পড়ছে তখন সংবাদের খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। সব মিলিয়ে মনে হচ্ছে, মানুষের কাছে এক সময়ের সতেজ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলো ক্রমেই যেন শুকিয়ে যাচ্ছে।
আপনার মতামত জানানঃ