তালিবান ক্ষমতায় এসে পূর্বের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করে নিজেদের শুধরে নেবার দাবি করলেও একের পর এক নিষেধাজ্ঞা জারি করে পূর্বের মত আচরণ শুরু করেছে তালিবানরা।
প্রথমে নারীদের একা বাইরে বের হবার প্রতি নিষেধাজ্ঞা এনে তাদের কর্মস্থল থেকেও বিচ্যুত করা হয়। এরপর আফগানিস্তানের স্কুলগুলো খুললেও সেখানে মেয়েদের নিয়ে তালিবানরা ছিলো নিশ্চুপ। ১২ বছরের বেশি বয়সী মেয়েরা গান গাইতে পারবে না এমন নিষেধাজ্ঞাও জারি করেছে তালিবান। আইপিএল সম্প্রচারের প্রতি নিষেধাজ্ঞা এনে এবার দাড়ি কামানোর প্রতিও নিষেধাজ্ঞা জারি করলো তারা।
দাড়ি কামানোর প্রতি নিষেধাজ্ঞা
আফগানিস্তানের হেলমান্দ প্রদেশের সব সেলুনে দাড়ি কামানো ও ছাঁটার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে তালিবান। বিবিসির একটি প্রতিবেদনে বলা হয়, শরিয়া আইন চালুর অংশ হিসেবে এ নিয়ম জারি করে তালিবান বলেছে, এই আদেশ কেউ না মানলে তাকে শাস্তি পেতে হবে। রাজধানী কাবুলের কয়েকজন নাপিত জানিয়েছেন, তারাও একই ধরনের নির্দেশ পেয়েছেন।
বিবিসি লিখেছে, দুই দশক পর ক্ষমতায় ফিরে তালিবান ‘নমনীয়’ ভাবমূর্তি গড়ার চেষ্টা করলেও এমন নির্দেশনা তাদের আগের মতই কঠোর আইনে ফিরে যাওয়ার ইংগিত।
গত মাসে ক্ষমতায় ফেরার পর থেকেই তালিবান তাদের বিরোধীদের কঠোর শাস্তি দিতে শুরু করে। হেরাত প্রদেশে গত শনিবার অপহরণের অভিযোগে চার ব্যক্তিকে গুলি করে হত্যার পর মৃতদেহ রাস্তায় ক্রেইন থেকে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়।
এখন দক্ষিণাঞ্চলীয় হেলমান্দ প্রদেশের সেলুনগুলোতে চুল এবং দাড়ির ছাঁটে শরিয়া আইন মেনে চলতে ক্ষৌরকারদের হুঁশিয়ার করে দিয়েছেন তালিবান কর্মকর্তারা। এ বিষয়ে একটি বিজ্ঞপ্তিও জারি করা হয়েছে। সেখানে লেখা হয়েছে, এ নিয়ম নিয়ে ‘কারো অভিযোগ করার অধিকার নেই’।
কাবুলের একজন নাপিত বলেন, ‘তালিবান যোদ্ধারা এসে দাড়ি ছাঁটা বন্ধ করার নির্দেশ দিচ্ছেন। তাদের একজন আমাকে বলেছেন, আমাদের ধরতে তারা গোপনে লোক পাঠাতে পারে।’
রাজধানীর অন্যতম বড় একটি সেলুনের ক্ষৌরকার জানিয়েছেন, সরকারি কর্মকর্তা পরিচয় দেওয়া এক ব্যক্তির কাছ থেকে তিনি ফোন কল পেয়েছেন। তারা ‘আমেরিকান স্টাইল’ বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছে। কারো দাড়ি ছাঁটা কিংবা কামাতে নিষেধ করেছে।
এর আগে ১৯৯৬ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত তালিবান নিয়ন্ত্রিত শাসনে কট্টর ইসলামী এই গোষ্ঠী কেতাদুরস্ত চুলের ছাঁট নিষিদ্ধ করে এবং পুরুষদের দাড়ি রাখার ওপর জোর দেয়।
মার্কিন অভিযানে ২০০১ সালে তালিবানের পতনের পর আফগানিস্তানে পরিষ্কার করে দাড়ি-গোঁফ কামানোর বিষয়টি জনপ্রিয় হয়ে উঠে। অনেক আফগান পুরুষই চলতি ফ্যাশন অনুযায়ী দাড়ি ছাঁটতে শুরু করেন। বেশ কয়েকজন নাপিতের বক্তব্য তুলে ধরে বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, তালিবানের নতুন নির্দেশে তাদের জীবিকার পথ কঠিন হয়ে উঠছে।
দুই দশক পর ক্ষমতায় ফিরে তালিবান ‘নমনীয়’ ভাবমূর্তি গড়ার চেষ্টা করলেও এমন নির্দেশনা তাদের আগের মতই কঠোর আইনে ফিরে যাওয়ার ইংগিত।
তাদের একজন বলেন, “অনেক বছর ধরেই নিজেদের পছন্দ এবং হাল ফ্যাশন অনুযায়ী দাড়ি কামাতে তার সেলুনে যেতেন তরুণরা। কিন্তু এখন আর কোনোভাবেই সে ব্যবসা চালানো যাবে না।”
আরেকজন বলেন, “ফ্যাশন সেলুন এবং ক্ষৌরকর্মের ব্যবসা নিষিদ্ধ হয়ে যাচ্ছে। আমি ১৫ বছর ধরে এই পেশায় আছি, আমার মনে হয় না আমি এটা চালিয়ে যেতে পারব।”
পশ্চিমাঞ্চলীয় হেরাত শহরের একজন ক্ষৌরকার জানালেন, তিনি আদেশ জারি করে দেওয়া কোনো বিজ্ঞপ্তি না পেলেও দাড়ি ছাঁটা বন্ধ করে দিয়েছেন।
“খদ্দেররা তাদের দাড়ি কামাতে চায় না, কারণ রাস্তায় তারা তালিবান যোদ্ধাদের নজরে পড়তে চায় না। তারা সাধারণের সঙ্গে মিশে নিজেদেরজকে আর সবার মতেই দেখাতে চায়।”
চুল-দাড়ি ছাঁটার মজুরি কমিয়ে দেওয়ার পরও ব্যবসায় খরা যাচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, “কেউ আর এখন স্টাইল কিংবা চুলের ফ্যাশন নিয়ে মাথা ঘামায় না।”
পুরুষ সঙ্গী ছাড়া বাইরে যেতে পারবেন না নারীরা
নারীরা বাড়ি থেকে পুরুষ অভিভাবক ছাড়া একা বের হতে পারবেন না। এমনকি নারীদের বিয়ের জন্য পণ প্রথাও ফিরিয়ে আনার ঘোষণা দিয়েছে সংগঠনটি। এক বিজ্ঞপ্তিতে তালিবান এসব নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে বলে গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে জানা গেছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে তাকহার প্রদেশের সমাজকর্মী মেরাজউদ্দিন জানিয়েছেন, এই চর্চা এরই মধ্যে শুরু হয়ে গেছে। অবশ্য তালিবান এ ধরনের অভিযোগকে ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছে।
আফগানিস্তানে ৯০ দশকের তালিবান শাসন ব্যবস্থার কথা মনে করিয়ে দিচ্ছে। সে সময় চুরির জন্য হাত কেটে দেওয়া হতো, পাথর নিক্ষেপ করে মানুষ হত্যা করা হতো, এমনকি নারীদের ওপর ছিল নানা রকম বিধিনিষেধ ।
আফগানিস্তানে মার্কিন সেনা মোতায়েন হওয়ার আগে এসব আইন জারি করেছিল তালিবান। তখন দেশটিতে নারীদের চাকরি তো দূরের কথা, কোনো পুরুষ আত্মীয় ছাড়া বাইরে বের হওয়াও নিষেধ ছিল। এমনকি এই নিয়ম না মানলে কঠোর শাস্তিও ভোগ করতে হতো।
মেয়েদের বয়স ১২ বছরের বেশি হলে তারা আর গান গাইতে পারবে না
তালিবান আমলের আইন ফিরে এলো সংঘাতকবলিত আফগানিস্তানে। দেশটির সরকার ঘোষণা দিয়েছে, মেয়েদের বয়স ১২ বছরের বেশি হলে তারা আর প্রকাশ্যে গান গাইতে পারবে না। আর গান গাইলে হবে শাস্তি।
বিবৃতি দিয়ে এ নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন আফগানিস্তানের শিক্ষামন্ত্রী। এছাড়া শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ভিডিওবার্তায় একই নির্দেশ জানিয়েছেন। প্রশ্ন উঠছে, তাহলে কি তালিবান শাসন ফিরে আসছে আফগানিস্তানে? দীর্ঘদিন ধরে আফগান সরকার-তালিবান শান্তি বৈঠক চলছে। তারই পরিপ্রেক্ষিতে এই ধরনের কড়া পদক্ষেপ।
শুধু শতভাগ নারীর উপস্থিতিতে গান গাওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়েছে মেয়েদের। পুরুষের সামনে কোনোভাবেই গান গাওয়া যাবে না। গানের শিক্ষকরাও স্কুলে বা অন্য কোথাও মেয়েদের গান শেখাতে পারবেন না পুরুষরা।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দীর্ঘদিন ধরে আফগান সরকার-তালিবান শান্তি বৈঠক চলছে। তারই পরিপ্রেক্ষিতে এই ধরনের কড়া পদক্ষেপ নিতে শুরু করেছে দেশটির সরকার। তালিবানের প্রভাব ক্রমশ বাড়তে শুরু করেছে।
তালিবান আমলে মেয়েদের স্কুলে যাওয়া, গান গাওয়া, শিল্পচর্চায় বহু নিষেধাজ্ঞা ছিল। পরবর্তী সময়ে ধীরে ধীরে অবস্থার পরিবর্তন হচ্ছিল। কিন্তু শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সাম্প্রতিক নির্দেশ নতুন করে চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
সরকারের পক্ষ থেকে এই নির্দেশ জারি হওয়ার পরে আফগানিস্তানের নারীরা প্রতিবাদ করতে শুরু করেছেন।
সামাজিক মাধ্যমে অনেকে মেয়েদের গান গাওয়ার ছবি পোস্ট করে জানিয়েছেন, এটাই দেশের সংস্কৃতি। তালিবান নিয়ম চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে। সাংবাদিক রুচি কুমার তেমনই একটি ভিডিও পোস্ট করেছেন।
অনেকে শিক্ষামন্ত্রী রঙ্গিনা হামিদিকে আক্রমণ করে বলছেন, হামিদি পরিচিত ছিলেন নারী আন্দোলনের কর্মী হিসেবে। নারীদের কথা সবার সামনে তুলে ধরার কথা ছিল তার। তিনি কীভাবে এই নির্দেশ জারি করলেন?
সরকারি কর্তৃপক্ষের বরাতে জার্মান সংবাদমাধ্যম ডয়েচে ভেলে অবশ্য এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, অভিভাবকদের অনুরোধেই মেয়েদের গান না গাওয়ার এই নিয়ম জারি করা হয়েছে।
অনেক দিন ধরেই দেশের বড় অংশের অভিভাবকরা বলছিলেন, মেয়েদের গান গাওয়ায় সমস্যা হচ্ছে। সব প্রদেশের সব স্কুলের জন্য এই নিয়ম জারি করা হয়েছে। স্কুলের প্রধানরা এ বিষয়ে সরকারকে রিপোর্ট দেবেন।
মেয়েদের স্কুলে যাবার উপর নিষেধাজ্ঞা
রাজধানী কাবুল দখলের এক মাসের মাথায় আফগানিস্তানের মাধ্যমিক স্কুলগুলো খুলে দিয়েছে তালিবান। তবে শ্রেণিকক্ষে মেয়ে শিক্ষার্থীদের আসার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে কর্তৃপক্ষ। বিবিসি এ তথ্য জানিয়েছে।
তালিবানের মুখপাত্র জানিয়েছেন, স্কুলে ছেলে শিক্ষার্থী ও পুরুষ শিক্ষকদের যোগ দিতে বলা হয়েছে। তবে মেয়ে শিক্ষার্থীদের জন্য তারা শিগগিরই পৃথক স্কুল চালু করবে। এক বিবৃতিতে তালিবান বলেছে, ‘সব পুরুষ শিক্ষক ও ছাত্রদের উচিত তাদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যোগ দেওয়া।’
পরে তালিবানের মুখপাত্র জাবিহউল্লাহ মুজাহিদ স্থানীয় সংবাদমাধ্যম বাখতার নিউজ এজেন্সিকে বলেছেন,‘শিগগিরই মেয়েদের স্কুল খুলবে। কর্মকর্তারা এর প্রক্রিয়া নিয়ে কাজ করছেন।’
১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় আসার পর মেয়েদের স্কুলে যাওয়া বন্ধ করে দিয়েছিল তালিবান। তবে এবার ক্ষমতায় আসার পর গোষ্ঠীটি জানিয়েছে, তারা নারী শিক্ষা বন্ধ করবে না, তবে নারীদের জন্য পৃথক শিক্ষার ব্যবস্থা করবে।
কর্মজীবী নারীদের বাসায় থাকার নির্দেশ
আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলে নগর প্রশাসনের নারী কর্মীদের বাড়িতে থাকার নির্দেশ দিয়েছেন সেখানকার নতুন অন্তর্বর্তী তালিবান মেয়র হামদুল্লাহ নোমান।
নারীদের পদগুলোতে পুরুষ কর্মী না পাওয়া পর্যন্ত তাদেরকে বাড়িতে থাকার নির্দেশ দিয়ে নোমান বলেন, নারীদের কাজ কিছু সময়ের জন্য বন্ধ রাখা প্রয়োজন মনে করছে তালিবান।
কাবুলের মেয়র নোমান জানান, নারীদের বদলে পুরুষদের কাজ করার বিকল্প নেই। রাজধানীর নগর প্রশাসনের সব বিভাগ মিলে প্রায় তিন হাজার কর্মী আছে, যার এক-তৃতীয়াংশই নারী। এদের মধ্যে কিছু নারী কাজ করতে পারবেন।
এটি আফগানিস্তানের নারীদের ওপর তালিবানের আরোপিত সবশেষ নিষেধাজ্ঞা। নব্বইর দশকে তালিবান ক্ষমতায় থাকাকালে নারীদের ঘরের বাইরে গিয়ে কাজ করা ও পড়াশোনার ওপর নিষেধাজ্ঞা ছিল।
কেউই নিরাপদবোধ করছে না
তালিবান শাসনে জীবন কেমন জানতে চাইলে এক আফগান নারী বলেন, কেউই নিরাপদবোধ করছে না, তালিবানের মুখ থেকে বের হওয়া কিছু কেউ বিশ্বাস করে না। তালিবানের বদলে যাওয়া নিয়ে আমার দৃঢ় সন্দেহ রয়েছে। আফগান জনগণের মূল্যবোধ তাদের নেই।
২০ বছর বয়সের এই নারী আরও বলেন, গণতন্ত্র তালিবানে মানসিকতায় নেই। আমরা মনে করছি, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় ও জাতিসংঘ তাদের নিবিড় পর্যবেক্ষণে রেখেছে তাই তারা এসব প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
‘বদলায়নি তালিবান’
এক সংবাদ সম্মেলনে তালিবান দাবি করেছিল, তারা বছর আগের সংগঠন নেই। কিন্তু দেশটির একজন বিখ্যাত নারী ব্যক্তিত্ব ফক্স নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে দাবি করেছেন, তালিবান বদলায়নি এবং কেউ এক মুহূর্তের জন্য নিরাপদবোধ করছে না।
আফগান নারীরা পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে জানিয়ে তিনি বলেন, তারা খারাপ। বাস্তবতা হলো, আগের চেয়ে তারা এখন বেশি শক্তিশালী। তারা বর্বর।
তিনি আরও বলেন, তারা প্রতিশোধ নিচ্ছে। তারা বাড়ি বাড়ি গিয়ে তল্লাশি চালাচ্ছে এবং অনেকে মোবাইল ফোনও দেখছে।
তালিবান ক্ষমতা দখল করার পর নিজের পরিচয় গোপন রেখেছেন বলেও জানান এই নারী। কাবুল বিমানবন্দরে পৌঁছার চেষ্টা করলেও তাকে তালিবান যোদ্ধারা ফিরিয়ে দিয়েছে এবং তার স্বামীকে রাইফেলের বাট দিয়ে আঘাত করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
‘হয়ত আত্মহত্যা করতে হবে’
কাবুল ইউনিভার্সিটির এক শিক্ষার্থী ও নিপীড়িত হাজরা সম্প্রদায়ের সদস্য আশঙ্কা করছেন তিনি যেসব স্বপ্ন দেখছিলেন সবকিছু এখন বিপদের মধ্যে রয়েছে।
তার কথায়, আমার সম্মান, আমার গর্ব, এমনকি মেয়ে হিসেবে আমার অস্তিত্ব, আমার জীবন- সবকিছু বিপদের মধ্যে রয়েছে।
এই শিক্ষার্থী জানান, ধর্ষণ করতে বাড়ি বাড়ি গিয়ে মেয়েদের খোঁজার কথা তিনি শুনেছেন। তারা যদি আমার বাড়িতে আসে হয়ত আত্মহত্যা করতে হবে। আমি বন্ধুদের সঙ্গেও কথা বলেছি। তারাও একই কথা ভাবছে। তালিবানদের হাতে পড়ার চেয়ে মৃত্যুই ভালো।
তিনি আরও বলেন, আমি বিশ্ববিদ্যালয়ের সব কাগজ ও নথি পুড়িয়ে ফেলেছি। আমার সব অর্জন ও সনদও বাকি রাখিনি। বারান্দায় এগুলো পুড়িয়েছি আমি। আমার অনেক বই রয়েছে, আমি সেগুলো পছন্দ করি। আমাকে এসব বই লুকিয়ে রাখতে হয়েছে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের অ্যাকাউন্ট বন্ধ করার কথা উল্লেখ করে তিনি আরও জানান, দেশটিতে এখন ১৩ ও ১৪ বছরের মেয়েরা বোরকা পরছে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, তালিবানদের উপর বিশ্ব সংশ্লিষ্টদের নজরদারির পাশাপাশি পদক্ষেপ গ্রহণ জরুরি হয়ে পড়েছে। তালিবানদের এসব নিষেধাজ্ঞাকে বিশ্ব সংশ্লিষ্টদের তরফ থেকে নাকচ করে এর প্রতিবাদ না করলে আফগানিস্তান পুনরায় পূর্বের অবস্থানে পৌছে যাবে দ্রুতই।
এসডব্লিউ/এমএন/ডব্লিউজেএ/১৭৩৬
আপনার মতামত জানানঃ