টেলিফোনে আড়ি পাতা, কারো ফোনালাপ পর্যবেক্ষণ ও রেকর্ড করে তা প্রকাশ করার ঘটনা বাংলাদেশে নতুন কিছু নয়। শুধু ফোনালাপ নয়, টেলিযোগাযোগ প্রযুক্তির উন্নতির সঙ্গে পাল্লা দিয়ে অনেকের একান্ত ব্যক্তিগত অডিও-ভিডিওসহ নানা তথ্য প্রকাশের ঘটনা বাড়ছে। সংবিধান একজন নাগরিকের ব্যক্তিগত গোপনীয়তা রক্ষা করার নিশ্চয়তা দিলেও সেটি উপেক্ষিতই থাকছে।
‘লফুল ইন্টারসেপশন’ বা আইনসংগত আড়ি পাতার বিষয়টি অপরাধ নিয়ন্ত্রণে সহায়ক হলেও রাজনৈতিকভাবে অনেক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিই এর শিকার। অন্য পেশাজীবীরাও নিরাপদ নন। দেশের টেলিযোগাযোগ আইনে এটি শাস্তিযোগ্য অপরাধ। এ অপরাধের জন্য দুই বছর কারাদণ্ড এবং পাঁচ কোটি টাকা অর্থদণ্ডের বিধান রয়েছে। কিন্তু এ অপরাধে কারো শাস্তি পাওয়ার ঘটনা বিরল।
দেশে ফোনকলে আড়ি পাতা এবং তা প্রকাশ ২০০৬ সালের আগ পর্যন্ত সবার জন্যই নিষিদ্ধ ছিল। ২০০৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে টেলিযোগাযোগ আইন সংশোধন করে এর ৭১ ও ৯৭ ক ধারায় রাষ্ট্রের নিরাপত্তা ও জনশৃঙ্খলা রক্ষার স্বার্থে গোয়েন্দা সংস্থা, জাতীয় নিরাপত্তা সংস্থা, তদন্তকারী সংস্থা বা আইন-শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থার জন্য এ কাজের বৈধতা দেওয়া হয়। আইন অনুসারে এসব কাজের জন্য সংস্থাগুলোক কর্তৃপক্ষ হিসেবে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী অথবা প্রতিমন্ত্রীর অনুমতি নিতে হবে; যদিও এ আইনে কাদের ফোনে আড়ি পাতা যাবে, কত দিন যাবে, তা বলা নেই। ১৪ বছর আগে বিষয়টি নিয়ে ব্যাপক বিতর্ক হয় এবং মানবাধিকার সংগঠনগুলো এভাবে আইন সংশোধনের প্রতিবাদ জানায়। সে সময় এ বিধানের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে নিউ এজ পত্রিকার সম্পাদক নূরুল কবীরের দায়ের করা একটি রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্ট রুল জারি করেছিলেন। কিন্তু রাষ্ট্রপক্ষ সেই রুলের জবাব দেওয়া থেকে বিরত থাকে। সংশোধিত ওই আইন কার্যকরের ব্যবস্থা নিতে ২০০৮ সালে প্রতিষ্ঠা করা হয় ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশনস মনিটরিং সেন্টার বা এনটিএমসি। ২০১০ সালে এ আইন আবার সংশোধন করে অবৈধ আড়ি পাতার শাস্তির পরিমাণ বাড়ানো হয়। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে অনুমতি নেওয়ার পর তালিকাভুক্ত গ্রাহকদের ফোনালাপের সংযোগ দেওয়ার জন্য এনটিএমসি থেকে সংশ্লিষ্ট ফোন অপারেটর বরাবর ওয়ারেন্ট বা চাহিদাপত্র ইস্যু করা হয়। এতে অসহযোগিতা করলে অপারেটরদের তিন মাস থেকে তিন বছর কারাদণ্ড ও পাঁচ লাখ থেকে ৫০ লাখ টাকা পর্যন্ত জরিমানার বিধান রয়েছে।
গোয়েন্দা সংস্থার সাবেক এক কর্মকর্তা জানান, এনটিএমসি প্রতিষ্ঠার পর জিএসএম প্রযুক্তির গ্রামীণফোন, রবি, বাংলালিংক, টেলিটক—এসব মোবাইল অপারেটরের ফোনকলে ‘লফুল ইন্টারসেপশন’ সম্ভব হলেও সিডিএমএ প্রযুক্তির সিটিসেলে দীর্ঘ সময় তা সম্ভব হয়নি। পরে সিটিসেল বন্ধ হয়ে গেলে সমস্যার পুরোপুরি সমাধান হয়ে যায়। ২০১৪ সালে ফেসবুক ম্যাসেঞ্জারের কল নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টাও সফল হয়নি।
ফেসবুকসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম নিয়ন্ত্রণে কাজ করছেন—সরকারের এমন একজন বিশেষজ্ঞ কর্মকর্তা কালের কণ্ঠকে বলেন, বর্তমানে হোয়াটসঅ্যাপ ছাড়া অন্যান্য অ্যাপসের কল পর্যবেক্ষণে আনা সম্ভব হয়েছে। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা আরো জানান, কোনো বিধান ও ব্যবস্থার অপপ্রয়োগ কাঙ্ক্ষিত নয়। তবে অপরাধ নিয়ন্ত্রণে এনটিএমসিকে আরো সক্ষম করে তোলার বিকল্প নেই। প্রযুক্তির দ্রুত উন্নয়ন এনটিএমসির জন্য বড় ধরনের চ্যালেঞ্জ। দেশে থ্রিজি মোবাইল সেবা চালুর সময় সমস্যায় পড়ে এনটিএমসি। এ সেবা চালু হওয়ার পর দেড় বছর এর ব্যবহারকারীদের কলে আড়ি পাতার সুবিধা পাওয়া যায়নি। ২০১৬ সালের জানুয়ারিতে এনটিএমসি বিটিআরসিকে চিঠি দিয়ে এই তথ্য জানায় এবং দেশে ফোরজি সেবা চালু করার আগে এ সেবা নিয়ন্ত্রণের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ জানায়।
ভারতের সুপ্রিম কোর্ট আড়ি পাতা বিষয়ে এক রায়ে ‘আড়ি পাতা ব্যক্তির গোপনীয়তায় একটি মারাত্মক আগ্রাসন’ উল্লেখ করে বলেছেন, ‘স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় খেয়াল-খুশিমাফিক আড়ি পাতার অনুমতি দিতে পারবে না। তাকে তার প্রতিটি আদেশে উপযুক্ত ও শক্তিশালী কারণ দেখাতে হবে। কোনো আদেশের মেয়াদ অনির্দিষ্টকাল হবে না। দুই মাস মেয়াদ থাকবে। এরপর আবার কারণ দেখিয়ে উপযুক্ত কমিটি দিয়ে বাড়ানো যাবে; কিন্তু তা ছয় মাসের বেশি হবে না। আবার এভাবে আড়ি পেতে যে রেকর্ড করা হবে, তা রেকর্ড করা থেকে দুই মাসের মধ্যে ব্যবহার ও তা ধ্বংস করে দিতে হবে। যেকোনো মূল্যে অবৈধ আড়ি পাতা এড়াতে হবে। কারো গোপনীয়তায় অনুপ্রবেশ হতে হবে ন্যূনতম।’
১৯৯৬ সালে পিইউসিএল বনাম ভারত মামলায় বিচারপতি কুলদীপ সিং ও এস সগির আহমেদের মাইলফলক ওই রায়ে বলা আছে, কোনো রেকর্ডের কতটি অনুলিপি হবে, কতটুকুর ট্রান্সক্রিপশন হবে, কে কে দেখতে পাবেন, সেসব প্রাথমিক অনুমতির আদেশেই নির্দিষ্ট করতে হবে।
টেলিফোনে আড়ি পাতার বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রে নিয়ন্ত্রণমূলক কাঠামো রয়েছে। একটি বিশেষ আদালতের অনুমতি ছাড়া সেখানে আড়ি পাতা আইনত নিষিদ্ধ। এ ছাড়া রয়েছে সিনেটরদের নিয়ে গঠিত সিনেট ইন্টেলিজেন্স কমিটি। ওয়াটারগেট কেলেঙ্কারি নামে পরিচিত টেলিফোনে আড়ি পাতার ঘটনায় ১৯৭৪ সালে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট রিচার্ড নিক্সনকে বিদায় নিতে হয়েছিল। প্রেসিডেন্ট ডোনাল ট্রাম্প অভিযোগ তুলেছিলেন, নির্বাচনের সময় তৎকালীন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা তাঁর ফোনে আড়ি পাতার ব্যবস্থা নিয়েছিলেন। জাতিসংঘের নাগরিক ও রাজনৈতিক অধিকার সংক্রান্ত আন্তর্জাতিক ঘোষণার ১৭ নম্বর ধারায় বলা হয়েছে, কোনো ব্যক্তির নিজস্ব গোপনীয়, পরিবার, বাড়ি ও অনুরূপ বিষয়কে অযৌক্তিক বা বেআইনি হস্তক্ষেপের লক্ষ্যবস্তু বানানো যাবে না, তেমনি তার সুনাম ও সম্মানের ওপর বেআইনি আঘাত করা যাবে না। এ বিষয়ে আইনজীবী ও মানবাধিকারকর্মী জ্যোতির্ময় বড়ুয়া কালের কণ্ঠকে বলেন, বাংলাদেশের সংবিধানের ৪৩ অনুচ্ছেদ অনুসারে প্রত্যেক নাগরিকেরই চিঠিপত্রের ও যোগাযোগের অন্যান্য উপায়ের গোপনীয়তা রক্ষার অধিকার রয়েছে। যোগাযোগের অন্যান্য উপায়ের মধ্যে প্রধান হচ্ছে টেলিফোন। এখন মোবাইল ফোনই হচ্ছে যোগাযোগের অন্যতম উপায়। আইন সংশোধনের মাধ্যমে কাউকে ফোনে আড়ি পাতার ক্ষমতা দেওয়া হলেও সে আইনের মাধ্যমে সংবিধানের বিধান লঙ্ঘন করা যায় না। দেশে ভুক্তভোগী অনেকে বলছে, মোবাইল ফোন এখন যোগাযোগের প্রধান মাধ্যম হলেও এতে গোপনীয়তা রক্ষা হচ্ছে না। কেউ আড়ি পাতছে—এই আতঙ্কে অনেকে মোবাইল ফোনে গুরুত্বপূর্ণ কথা বলতে চায় না। অনেকেই মোবাইল ফোনের সাধারণ কলের বদলে হোয়াটসঅ্যাপ, ভাইবার—এসব অ্যাপসকেই নিরাপদ ভাবছে। ফলে মোবাইল ফোন অপারেটরদের ভয়েস কল থেকে আয় কমাও শুরু হয়েছে। কিন্তু তাতেও নাগরিকদের ব্যক্তিগত গোপনীয়তার ওই সাংবিধানিক রক্ষাকবচ কোনো কাজে আসছে না।
২০১৫ সালে বিএনপি নেতা সাদেক হোসেন খোকা ও নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্নার ভাইবারে ফোনালাপও ফাঁস হওয়ার ঘটনা ঘটে। গত ডিসেম্বরে ঠিকাদারি বিষয়ে তখনকার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সহসভাপতি (ভিপি) নুরুল হকের ফোনে কথোপকথন রেকর্ড ও তা প্রচারিত হয়। নুরুল হক এ জন্য গোয়েন্দা সংস্থাকে দায়ী করেন।
এর আগে ২০১৮ সালে নিরাপদ সড়কের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের সময় বিএনপি নেতা আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীর ফোনালাপ ফাঁসের ঘটনা ঘটে। কিছুদিন আগে অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা হত্যার আসামি কক্সবাজার টেকনাফ থানার সাবেক ওসি প্রদীপের সঙ্গে জেলার পুলিশ সুপার (এসপি) মাসুদ ও সাবেক এসপি আল্লাহ বকশ চৌধুরীর ফোনালাপ ফাঁস হয়।
গত বছর সেপ্টেম্বরে ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক গোলাম রব্বানীর সঙ্গে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেনের ফোনালাপ ফাঁস হয়। এ ধরনের ঘটনা অনেক। কিন্তু এর জন্য দায়ীদের চিহ্নিত করার কোনো চেষ্টা হয় না।
টেলিযোগাযোগের ক্ষেত্রে গোপনীয়তা ফাঁসের এ রকম একটি নিয়ন্ত্রণহীন পরিস্থিতিতে হাইকোর্টের একটি রায়ের অভিমত বিষয়টিকে আবারও আলোচনায় এনেছে। আদালত বলেছেন, ‘আমরা ইদানীং লক্ষ করছি যে কিছু স্বার্থান্বেষী মহল অডিও-ভিডিও কথোপকথন সংগ্রহ করে তা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশ করছে। ওই কথোপকথনের অডিও-ভিডিও রেকর্ড সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ফাঁস করার অভ্যাস বন্ধ হওয়া উচিত।’
আদালত আরো বলেন, ‘আমরা এটা ভুলে যেতে পারি না যে সংবিধানের ৪৩ নম্বর অনুচ্ছেদে একজন নাগরিকের ব্যক্তিগত গোপনীয়তা রক্ষা করার নিশ্চয়তা দেওয়া হয়েছে। তাই এটা রক্ষা করা ফোন কম্পানি ও বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) দায়িত্ব। তাই এটা বন্ধে বিটিআরসিকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে হবে।’
নেত্রকোনার শিশু সৈকত হত্যা মামলায় নিম্ন আদালতে সাজাপ্রাপ্ত দুই আসামির আবেদনের ওপর হাইকোর্টের দেওয়া পূর্ণাঙ্গ রায়ে এসব কথা বলা হয়েছে। বিচারপতি মো. শওকত হোসেন, বিচারপতি মো. রুহুল কুদ্দুস ও বিচারপতি এ এস এম আব্দুল মোবিনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকের্টের বৃহত্তর বেঞ্চের পূর্ণাঙ্গ এই রায় গত ২৬ সেপ্টেম্বর সুপ্রিম কোর্টের নিজস্ব ওয়েবসাইটে প্রকাশিত হয়েছে। রায়ে আরো বলা হয়েছে, ‘কোনো গ্রাহকের ফোনকল লিস্ট ও কথোপকথনের রেকর্ড নিতে হলে আইন অনুযায়ী মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তাকে অবশ্যই সংশ্লিষ্ট সংস্থা/অফিসের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে আনুষ্ঠানিক আবেদন করতে হবে। কিন্তু কোনো শিকারির মতো তা সংগ্রহ করা যাবে না। আইনগত অনুমতি ছাড়া ফোন কম্পানি ফোন গ্রাহককে অবহিত না করে গ্রাহকদের যোগাযোগ সম্পর্কিত কোনো তথ্য কাউকে সরবরাহ করতে পারে না।’
আদালতের এই অভিমত সম্পর্কে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার গত বুধবার কালের কণ্ঠকে বলেন, বর্তমান ডিজিটাল যুগে ব্যক্তিগত তথ্যের গোপনীয়তা রক্ষা একটি বড় ধরনের চ্যালেঞ্জ। প্রযুক্তি যত উন্নত হচ্ছে, ব্যক্তিগত তথ্যের গোপনীয়তা বা ডাটা প্রাইভেসি নিশ্চিত করা ততই দুরূহ হয়ে পড়ছে। শুধু বাংলাদেশ নয়, অন্যান্য দেশের ক্ষেত্রেও এটি বড় ধরনের একটি সংকট। মোবাইল ফোনে অডিও-ভিডিও রেকর্ড করে তা ফাঁস করার মতো অপরাধ বিদ্যমান বিধি-বিধানের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ পুরোপুরি সম্ভব নয়। এর জন্য নতুন আইন করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। মন্ত্রী বলেন, মোবাইল ফোন অপারেটররা তাদের গ্রাহকদের কল রেকর্ড একটি নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত সংরক্ষণ করে রাখে। গোয়েন্দা সংস্থা ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী রাষ্ট্রের স্বার্থে তাদের তদন্তের প্রয়োজনে অপারেটরদের কাছ থেকে তথ্য নিতে পারে। কিন্তু এর বাইরেও নানাভাবে গ্রাহকদের ডাটা প্রাইভেসি ফাঁসের ঘটনা ঘটছে। এখন সবার হাতে হাতে মোবাইল ক্যামেরা। কারো সঙ্গে মোবাইল ফোনে কথা বলতে গেলেই রেকর্ড হয়ে যায়। ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ—এসবের মাধ্যমে গ্রাহকদের তথ্য দেশের বাইরে চলে যাচ্ছে। ফেসবুক থেকে যে কারো ছবি ও ব্যক্তিগত তথ্য নিয়ে ফেইক আইডি করে অপরাধমূলক কাজে তা ব্যবহার করা হচ্ছে। বিষয়টি রাষ্ট্রের নিরাপত্তার জন্যও হুমকি।
টেলিযোগাযোগমন্ত্রী বলছেন, ‘সিঙ্গাপুর সরকার গুগলকে বাধ্য করেছে তাদের দেশে ডাটা সেন্টার স্থাপনে। কিন্তু আমাদের দেশের গ্রাহকদের জন্য গুগলের ডাটা সেন্টার এখনো বাইরে। ডাটা বিক্রির অভিযোগও রয়েছে। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন হয়েছে, এর বিধিমালা হয়েছে। কিন্তু ডাটা প্রাইভেসি রক্ষার বিষয়টি পুরোপুরিভাবে আসেনি। এ বিষয়ে সুনির্দিষ্ট আইন থাকা দরকার। প্রধানমন্ত্রী আমাদের আইনের খসড়া প্রস্তুত করতে বলেছেন। আমরা কাজ শুরু করেছি। আইসিটি ডিভিশনও বিষয়টি নিয়ে কাজ করছে।
আপনার মতামত জানানঃ