আন্তর্জাতিক ডেস্ক : চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং জানিয়েছেন, তার দেশ আর আগের অর্থনৈতিক মডেল অনুসরণ করবে না। আগের মডেলে চীনকে উন্নয়নের জন্য বৈদেশিক রপ্তানির ওপর নির্ভর করতে হতো। এখন স্থানীয় উন্নয়নের মডেল অনুসরণ করবে দেশটি। আগামী পাঁচ বছর, অর্থাৎ ২০২৫ সাল পর্যন্ত টেকসই অর্থনৈতিক উন্নতির লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে চীন।
সার্বিক অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে চীন তাদের মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) বাড়িয়ে ২০৩৫ সালের মধ্যে মধ্যম উন্নত দেশের কাতারে নিতে চায়। চীন বিভিন্ন ক্ষেত্রে আরও সংস্কার চালিয়ে বাজার শক্তিকে জোরদার করতে চায়। এ ক্ষেত্রে দেশটি ‘ডুয়েল সার্কুলেশন’ মডেল গ্রহণ করবে। এর মাধ্যমে প্রযুক্তি খাতে স্বয়ংসম্পূর্ণ হবে দেশটি এবং তা উন্নয়নের সিঁড়ি হিসেবে ব্যবহার করা হবে। এতে স্থানীয় চাহিদা ও জোগান প্রচেষ্টা বাড়িয়ে সরবরাহ খাতেও পরিবর্তন আনবে।
গত ৩১ অক্টোবর চীনের কমিউনিস্ট পার্টির অফিশিয়াল জার্নাল কিউসিসে প্রকাশিত এক নিবন্ধে শি জিনপিং নতুন এই অর্থনৈতিক নীতি সম্পর্কে দিকনির্দেশনা জারি করেছেন। দেশটির রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা সিনহুয়ার এক প্রতিবেদনে বলা হয়, গত অক্টোবরে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং ও সেন্ট্রাল কমিটির সদস্যরা রুদ্ধদ্বার বৈঠক করেছেন। দেশটির ক্ষমতাসীন দলের সিদ্ধান্ত গ্রহণের সঙ্গে যুক্ত নেতাদের ওই বৈঠকে দেশটির ১৪তম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা করা হয়। পরিকল্পনাটি দেশটির অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়নের নীলনকশা হিসেবে বিবেচিত হয়। পরবর্তীতে কিউসিসে প্রকাশিত নিবন্ধে প্রেসিডেন্ট বিশ্বের উদ্দেশে তা প্রকাশ করেন।
নয়া উদারনৈতিক অর্থনীতিকে ভিত্তি করে প্রাযুক্তিক বিকাশ ও রাজনৈতিক প্রভাব বৃদ্ধির মাধ্যমে নিজস্ব পুঁজি ও বিনিয়োগের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে দেশকে এগিয়ে নেয়াই এই নীতির মূলকথা। তবে যুক্তরাষ্ট্রের বিরোধকে মোকাবিলা এবং দেশটিকে অভয় দিয়ে পাশে টানা, উভয় ধরণের কৌশলই এই নীতিতে রয়েছে। তবে শি জিনপিং জানাচ্ছেন যে, তিনি সবাইকে কাছে টানতে চান। কিন্তু চীনকে দূরে ঠেলা বিশ্বের পক্ষে সম্ভবপর নয় বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি।
সম্প্রতি রাজ্যপ্রধানদের সঙ্গে এক ভিডিও সম্মেলনে চীনের প্রেসিডেন্ট বলেন, চীন একটি নতুন উন্নয়নের দৃষ্টান্ত গড়ে তোলার প্রচেষ্টা ত্বরান্বিত করছে। এতে স্থানীয় সঞ্চালনকে প্রধান ভিত্তি ধরা হচ্ছে। তবে দেশীয় এবং আন্তর্জাতিক প্রচলন একে অপরকে চাঙা করে তুলবে। এ উন্নতি অর্জনে চীনকে বিশ্ব থেকে আলাদা করে ফেলা যাবে না। বিশ্বের উন্নতির জন্যও চীনকে দরকার।
নয়া অর্থনৈতিক মডেল সম্বন্ধে জিনপিং বলেন উচ্চতর মানের একটি উন্মুক্ত অর্থনীতি গড়ে তুলতে নতুন পদ্ধতি স্থাপন করা হচ্ছে। উন্মুক্ত অর্থনীতির জন্য উভয় পক্ষের লাভ হয় এমন কৌশলে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ থাকবে চীন। তাছাড়া সব পক্ষকে চীনের উন্নয়নের সুযোগকে পুঁজি করার জন্য এবং চীনের সঙ্গে সহযোগিতা আরও সক্রিয় প্রচেষ্টায় স্বাগত জানাচ্ছি, বলেন চীনা প্রেসিডেন্ট।
Available for everyone, funded by readers. Every contribution, however big or small, makes a real difference for our future. Support to State Watch a little amount. Thank you.
[wpedon id=”374″ align=”center”]
আপনার মতামত জানানঃ