- ৩টি বাস টার্মিনাল সম্প্রসারণ, স্থানান্তর ও নির্মাণে ব্যয় ১৫২ কোটি টাকা।
- ৯টি গভীর নলকূপ স্থাপনে মোট ১২০ কোটি টাকা ব্যয়।
- ৬ কিলোমিটার সড়ক নির্মাণে ব্যয় ১৯৫ কোটি টাকা।
- প্রকল্পের পরামর্শক ব্যয় ৩৭৩ কোটি টাকা।
- কেকটি সফটওয়্যারে ব্যয় ২৭ লাখ টাকা।
- একটি গভীর নলকূপ বসাতে ব্যয় ১৩ কোটি টাকা।
একটি সরকারি প্রকল্পের আওতায় দেশের ৩টি পৌরসভায় মাত্র ৯টি গভীর নলকূপ বসানো ও সেগুলো থেকে পানি সরবরাহে ব্যয় ধরা হয়েছে ১২০ কোটি টাকা। এতে একেকটি গভীর নলকূপের পেছনে ব্যয় পড়ছে ১৩ কোটি ১৩ লাখ টাকা। এলজিইডির অনুমাননির্ভর এই ব্যয় প্রস্তাব দেখে পরিকল্পনা কমিশন বিস্মিত।
আবার দুটি বাস টার্মিনালের পরিসর বৃদ্ধি ও আরেকটি নতুন করে নির্মাণে খরচ প্রাক্কলন করা হয়েছে ১৫২ কোটি টাকা। একইভাবে ৬ কিলোমিটার সড়ক নির্মাণে প্রস্তাব করা হয় ১৯৫ কোটি টাকার তোঘলকি ব্যয়।
এ ছাড়া প্রকল্পটির আওতায় তিন সিটি করপোরেশন ও পৌরসভাটির জন্য মোট ৭৫টি সফটওয়্যার তৈরির প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। এ জন্য খরচ দেখানো হয়েছে ২ কোটি টাকা। সেই হিসাবে প্রতিটি সফটওয়্যার তৈরিতে গড়ে খরচ পড়বে ২৭ লাখ টাকা।
শুধু তাই নয়, এই প্রকল্পের পরামর্শকের পেছনে ব্যয় দেখানো হয়েছে ৩৭৩ কোটি টাকা। এমন একটি দেশীয় প্রকল্পে কেন পরামর্শক খাতে এত টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে, তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।
এই প্রকল্পের অন্যান্য কর্মকাণ্ডের ব্যয় ভূমি অধিগ্রহণ ৫৪৬ কোটি, প্রকৌশল ও যন্ত্রপাতি ৫২২ কোটি, পানিনিষ্কাশন ড্রেন নির্মাণ ৩৬০ কোটি, জমি ভরাটসহ কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ৩১৬ কোটি, স্ট্রিট লাইট বা সড়কবাতি ৭১ কোটি, শেড ও খেলার মাঠ ৫০ কোটি এবং আউটসোর্সিং ৬০ কোটি টাকা।
প্রসঙ্গত, ‘আরবান ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড সিটি গভর্ন্যান্স’ নামের একটি প্রকল্পের আওতায় এভাবেই বিভিন্ন উন্নয়ন কার্যক্রমের বিপরীতে ‘অনুমাননির্ভর’ খরচ দেখিয়েছে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি)।
সূত্র মতে, এলজিইডির প্রকল্প প্রস্তাব ফেরত পাঠিয়ে পরিকল্পনা কমিশন সবকিছুর নকশা তৈরি ও বিস্তারিত সমীক্ষা করে তবেই ব্যয় নির্ধারণ করতে বলেছে। এলজিইডির কর্মকর্তারাও অবশ্য স্বীকার করছেন, তারা যে ব্যয় ধরেছেন, তা অনুমাননির্ভর ও সাময়িক। বলছেন, দরপত্র আহ্বানের সময় খরচ কমতে পারে।
জানা যায়, এলজিইডি নারায়ণগঞ্জ, গাজীপুর ও কুমিল্লা সিটি করপোরেশন এবং কক্সবাজার পৌরসভায় অবকাঠামো উন্নয়নে অনেক কর্মকাণ্ডের এই প্রকল্প হাতে নেয়।
প্রকল্পটির মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৩ হাজার ৪৪৭ কোটি টাকা। এর মধ্যে জাপান আন্তর্জাতিক সহযোগিতা সংস্থা (জাইকা) ঋণ দেবে ২ হাজার ২১৫ কোটি টাকা। বাকি ১ হাজার ২৩২ কোটি টাকা সরকার বহন করবে।
এসডব্লিউ/এমএন/এসএস/১৮১৯
State watch সকল পাঠকদের জন্য উন্মুক্ত সংবাদ মাধ্যম, যেটি পাঠকদের অর্থায়নে পরিচালিত হয়। যে কোন পরিমাণের সহযোগিতা, সেটি ছোট বা বড় হোক, আপনাদের প্রতিটি সহযোগিতা আমাদের নিরপেক্ষ সাংবাদিকতার ক্ষেত্রে ভবিষ্যতে বড় অবদান রাখতে পারে। তাই State watch-কে সহযোগিতার অনুরোধ জানাচ্ছি। [wpedon id=”374″ align=”center”]
আপনার মতামত জানানঃ