…
এডিটর পিক
দেশের বর্তমান আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নির্বাচনের উপর কী ধরনের প্রভাব ফেলবে, তা আজ জাতীয় আলোচনার অন্যতম…
Trending Posts
-
নিরাপত্তাহীনতার তলে নির্বাচন: ভোটারদের আস্থাই কি সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ?
নভেম্বর ২৭, ২০২৫By ডেস্ক রিপোর্ট | 0 Comments -
আ’লীগের ‘ভোটব্যাংক’ দখলে ব্যস্ত বিএনপি, জামায়াত ও এনসিপি
নভেম্বর ২৩, ২০২৫By ডেস্ক রিপোর্ট | 0 Comments
Trending Posts
-
নিরাপত্তাহীনতার তলে নির্বাচন: ভোটারদের আস্থাই কি সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ?
নভেম্বর ২৭, ২০২৫By ডেস্ক রিপোর্ট | 0 Comments -
আ’লীগের ‘ভোটব্যাংক’ দখলে ব্যস্ত বিএনপি, জামায়াত ও এনসিপি
নভেম্বর ২৩, ২০২৫By ডেস্ক রিপোর্ট | 0 Comments
- নিরাপত্তাহীনতার তলে নির্বাচন: ভোটারদের আস্থাই কি সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ?
- যুদ্ধবিরতির আড়ালে চলছে গণহ’ত্যা
- অরুণাচল প্রদেশ নিয়ে আবার কেন চীন–ভারত দ্বন্দ্ব?
- ভূমিকম্পের কথা আগে কি জানা সম্ভব?
- যেভাবে মানুষের বন্ধু হল কুকুর
- খেলাপি ঋণ ছাড়ালো ৬ লাখ ৪৪ হাজার কোটি টাকা
- মুসলিম ইতিহাসকে যেভাবে ধ্বংস করছে মোদি
- শেখ হাসিনার লকারে মিলল ৮৩২ ভরি স্বর্ণ
Author: ডেস্ক রিপোর্ট
মানবজাতির হাজার বছরের সবচেয়ে রহস্যময় প্রশ্ন—“আমরা কি মহাবিশ্বে একা?”—এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে বিজ্ঞানীরা যুগের পর যুগ ধরে মহাকাশে চোখ রেখে চলেছেন। আর সেই দীর্ঘ অভিযাত্রায় সম্প্রতি যুক্ত হয়েছে এক রোমাঞ্চকর আবিষ্কার, যা শুধু মহাকাশ বিজ্ঞানেই নয়, মানুষের কল্পনাকে নাড়া দিচ্ছে গভীরভাবে। কানাডার মনট্রিয়াল বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকদের একদল মহাকাশের এক কোণায় খুঁজে পেয়েছেন এমন এক গ্রহ, যার বৈশিষ্ট্য পৃথিবীর সঙ্গে মিল রাখে। এর নাম এল ৯৮-৫৯এফ—যা ইতোমধ্যেই বিজ্ঞানীদের কাছে পরিচিত হয়ে উঠেছে ‘সুপার আর্থ’ নামে। এই ‘সুপার আর্থ’ অবস্থিত এক লাল বামন তারার চারপাশে, যার নাম এল ৯৮-৫৯। পৃথিবী থেকে এর দূরত্ব মাত্র ৩৫ আলোকবর্ষ। শব্দটা শুনতে ছোট মনে হলেও, বাস্তবে এই…
বাংলাদেশের রাজনীতিতে সাম্প্রতিক পালাবদলের পরিণতিতে যে অভূতপূর্ব চিত্র তৈরি হয়েছে, তাতে দক্ষিণ এশিয়ার কূটনৈতিক সম্পর্ক ও রাজনৈতিক ভারসাম্যের একটি নতুন অধ্যায় স্পষ্ট হয়ে উঠছে। শেখ হাসিনা ও তার ঘনিষ্ঠজনদের ভারতের মাটিতে রাজনৈতিক আশ্রয় নেওয়া যেমন একটি মানবিক, তেমনি কূটনৈতিক বিষয়—তবে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরব অবস্থান গোটা ঘটনাকেই নতুন মাত্রা দিয়েছে। ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক ঐতিহাসিকভাবে জটিল। একদিকে দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা, আরেকদিকে রাজনৈতিক হস্তক্ষেপের অভিযোগ লেগেই আছে। শেখ হাসিনার সরকার দীর্ঘদিন ধরে ভারত-বান্ধব হিসেবে পরিচিত ছিল। বিশেষ করে দিল্লির কেন্দ্রীয় শাসকদল বিজেপির সঙ্গে তার সরকারের সম্পর্ক ছিল দৃঢ়। এই সম্পর্কের ধারাবাহিকতায়ই কি ভারতের মাটিতে হাসিনা ও তার অনুগত নেতাদের ঠাঁই মিলেছে? নাকি এর…
টেলিগ্রামের পর্দার আড়ালে একটি ক্ষমতাহীন রাজনীতির ট্র্যাজিক কমেডি চলছে। শেখ হাসিনার ভারতে আত্মগমনের এক বছর পর, তাঁর নেতৃত্বহীন দলে এখন টেলিগ্রামই মূল কণ্ঠস্বর। একসময় যাঁরা রাস্তায় থেকে রাজনীতি করতেন, তাঁরা এখন ভার্চুয়াল গ্রুপে রাতের বেলা দমবন্ধ আলোচনায় নিজেদের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার চেষ্টা করছেন। কিন্তু সেই আলোচনাও নিরাপদ নয়—এখন সেখানে অনুপ্রবেশ করেছে গোয়েন্দা, ভেতর থেকে ধরা পড়ছেন কর্মীরা। টেলিগ্রাম, ভিপিএন, অডিও ক্লিপ, ভার্চুয়াল মিটিং—এগুলো আজকের আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক বাস্তবতা। যেখানে ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ গড়ার ঢাক বাজিয়ে যারা বছর পার করেছে, তারাই এখন নিজেদের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার জন্য ভিপিএনে ভরসা করছেন। দুঃখজনকভাবে এই বাস্তবতা শুধু প্রযুক্তিনির্ভর নয়, বরং রাজনৈতিক এক নিঃসঙ্গতা, যেখানে নিজেদের…
বাংলাদেশে যখন সরকার পরিবর্তনের হাওয়ায় ‘সংস্কার’ নামক রঙিন ফানুস উড়ছে, তখন সেই ফানুসের নিচেই চাপা পড়ে যাচ্ছে একের পর এক সংখ্যালঘুদের আর্তনাদ। অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের পর থেকে যে আশার আলো দেখা গিয়েছিল, তা এখন ধীরে ধীরে কালো ধোঁয়ায় পরিণত হচ্ছে—আর সেই ধোঁয়ার ঘনত্ব সবচেয়ে বেশি যাদের শ্বাসনালীতে জমেছে, তারা এই দেশেরই নাগরিক—ধর্মীয় সংখ্যালঘু, যাদের নাকি নীতিগতভাবে “সবচেয়ে সমান অধিকার” থাকার কথা। হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান নেতারা স্পষ্ট ভাষায় বলছেন, গণমাধ্যম সংস্কার কমিশন ছাড়া অন্তর্বর্তী সরকারের গঠিত কোনো কমিশনেই তাদের অংশগ্রহণ নেই। সংবিধান সংশোধন, প্রশাসনিক পুনর্বিন্যাস, বা এমনকি ন্যূনতম মতামতের জায়গাগুলোতেও তাদের ডাকা হয়নি। অর্থাৎ ‘সংলাপের বাংলাদেশে’ সংখ্যালঘুদের জন্য কোনো চেয়ারের ব্যবস্থা…
২০২৪ সালের সেপ্টেম্বরে, গণঅভ্যুত্থানের মাত্র এক মাস পর ড. মো. মাহবুবুল আলম একটি নিবন্ধে বলেছিলেন, “অন্তর্বর্তী সরকারকে ব্যর্থ হতে দেয়া যাবে না।” তখন প্রায় সবাই আশাবাদী ছিলেন যে, দেশের রাজনৈতিক সংস্কার ও পুনর্গঠনের জন্য একটি সুবর্ণ সুযোগ তৈরি হয়েছে। কিন্তু ২০২৫ সালের জুলাইতে এসে সেই আশাবাদ এখন প্রশ্নবিদ্ধ—বাংলাদেশ কি সত্যিই আবারো একটি বড় সুযোগ হারালো? কোটা সংস্কার থেকে শুরু হওয়া আন্দোলন এক সময় একদলীয় শাসনের বিরুদ্ধে সার্বজনীন গণআন্দোলনে রূপ নেয়। সব মত-পথ, ধর্ম-বর্ণ, শ্রেণি-পেশার মানুষ রাজপথে এক হয়েছিলেন। দেশের মানুষ আশা করেছিল, অন্তর্বর্তী সরকার স্বচ্ছতা ও দক্ষতার সঙ্গে পথ দেখাবে। কিন্তু সেই আশা অনেক ক্ষেত্রেই পূরণ হয়নি। একটি বড় বিভ্রান্তির…
রংপুরের গংগাচড়ার সাম্প্রতিক ঘটনাটি বাংলাদেশের বর্তমান ধর্মীয় সহনশীলতা, প্রশাসনিক প্রস্তুতি এবং সংখ্যালঘু নিরাপত্তা নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন তুলেছে। একটি সন্দেহভাজন ফেসবুক পোস্টকে কেন্দ্র করে কীভাবে একটি সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা হঠাৎ বিস্ফোরণ ঘটাতে পারে, এই ঘটনাই তার নির্মম উদাহরণ। বেতগাড়ী ইউনিয়নের এক কিশোরের বিরুদ্ধে ইসলাম ধর্মের নবী সম্পর্কে আপত্তিকর মন্তব্যের অভিযোগ ওঠার পরপরই প্রশাসন তাকে গ্রেপ্তার করে এবং সাইবার সুরক্ষা আইনে মামলা দায়ের করে কারাগারে পাঠায়। অথচ প্রশাসনিক এই পদক্ষেপের পরও সহিংসতা ঠেকানো যায়নি। অভিযোগ ওঠে, মাইক ব্যবহার করে উত্তেজনা সৃষ্টি করে হাজারো মানুষকে উসকে দিয়ে হামলা চালানো হয় সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বাড়িঘরে। স্থানীয়দের ভাষ্যমতে, কিশোরটি নিজের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার করেছে এবং…
টাকা ছাপানো নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে অনেক সময়েই একটি সহজ ধারণা থাকে—সরকার চাইলে তো কাগজে ছাপ দিয়ে যত খুশি টাকা তৈরি করতে পারে, তাহলে অর্থনৈতিক সংকট কেন? নিত্যপণ্যের দাম বাড়লে কেন তা নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না? অথবা ব্যাংকে টাকা না থাকলে সরকার চাইলেই তো নতুন টাকা ছাপাতে পারে! অথচ অর্থনীতির বাস্তবতা বলছে, টাকা ছাপা যতটা সহজ মনে হয়, এর ফলাফল ততটাই ভয়াবহ হতে পারে। একটি দেশের অর্থনীতির অন্যতম বড় ভিত্তি হচ্ছে তার মুদ্রা, অর্থাৎ টাকার ওপর মানুষের আস্থা। এই আস্থা তৈরি হয় অর্থনীতির বাস্তব শক্তির ওপর দাঁড়িয়ে—দেশে কত পণ্য উৎপাদিত হচ্ছে, কতটা সেবা দেওয়া হচ্ছে, দেশের রপ্তানি আয়ের পরিমাণ কত,…
ইতিহাস আমাদের শেখায়, অস্ত্র নয়, অস্ত্রের কৌশলই শেষ পর্যন্ত যুদ্ধের ভাগ্য নির্ধারণ করে। প্রাগৈতিহাসিক যুগে হাতে ধরা পাথর বা তির–ধনুক যেমন যুদ্ধের প্রাথমিক রূপ দিয়েছিল, ঠিক তেমনি আজকের দিনে শব্দের চেয়েও গতি সম্পন্ন হাইপারসনিক মিসাইল, রাডার-অদৃশ্য বিমান ও ড্রোন প্রযুক্তি বিশ্ব রাজনীতির ভারসাম্য পাল্টে দিচ্ছে। কিন্তু প্রশ্ন হলো—এই আধুনিক যুদ্ধ বাস্তবতায় বাংলাদেশ কতটুকু প্রস্তুত? আমাদের কি নিজস্ব প্রতিরক্ষা সক্ষমতা গড়ে তোলার চেষ্টা আছে, নাকি আমরা এখনো ‘কেউ আক্রমণ করবে না’ এমন আশ্বাসেই নিশ্চিন্ত? ইতিহাসে ফিরে তাকালে দেখা যায়, যুদ্ধ সবসময় প্রত্যক্ষ অস্ত্র দিয়ে শুরু হলেও, শেষ পর্যন্ত বিজয় নির্ধারিত হয় কৌশলগত ক্ষমতা ও প্রযুক্তির আধিপত্যের ওপর। প্রাচীন ভারতে ঘোড়সওয়ারের জন্য…
বাংলাদেশের সাম্প্রতিক ছাত্র আন্দোলনগুলোর ইতিহাসে উমামা ফাতেমার নামটি একসময় ছিল একটি পরিচিত প্রতীক—আন্দোলনের মুখপাত্র, সাহসী কণ্ঠ, এক স্বপ্নবিলাসী ছাত্রনেত্রী। কিন্তু আজ, নিজ মুখে সেই উমামাই বলছেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত হওয়া ছিল তাঁর জীবনের এক ‘ট্র্যাজিক’ অভিজ্ঞতা। দুই ঘণ্টা ২৪ মিনিটের দীর্ঘ এক ফেসবুক লাইভে তিনি শুধু নিজের হতাশার কথা জানাননি, বরং তুলে ধরেছেন এমন সব অভিযোগ ও অভিজ্ঞতা, যা শুধুই ব্যক্তি-কেন্দ্রিক নয়, বরং গোটা আন্দোলনের শুদ্ধতা, নৈতিকতা এবং ভবিষ্যৎকে নিয়েই প্রশ্ন তোলে। উমামা ফাতেমার ভাষ্যমতে, জুলাইয়ের গণ-অভ্যুত্থান ছিল এক অনন্য অভিজ্ঞতা। মানুষের রাস্তায় নেমে আসা, গণদাবির ঝড়, এবং রাষ্ট্রীয় অবিচারের বিরুদ্ধে সাধারণ ছাত্রছাত্রীদের জাগরণ—সবকিছু মিলিয়ে তা ছিল যেন…
ঢাকার গুলশানে সাবেক এক এমপির বাড়িতে গিয়ে ‘সমন্বয়ক’ পরিচয়ে ৫০ লাখ টাকা চাঁদা দাবির ঘটনা নিয়ে দেশজুড়ে বিতর্ক শুরু হয়েছে। এই ঘটনাটি শুধু একটি বিচ্ছিন্ন অপরাধ নয়, বরং সাম্প্রতিক সময়ে শেখ হাসিনা বিরোধী গণআন্দোলনের ব্যানারে গড়ে ওঠা সংগঠনগুলোর ভেতরে ক্রমবর্ধমান দুর্বৃত্তায়নের একটি পরিষ্কার প্রতিফলন। যেসব প্লাটফর্ম একসময় ছাত্র নেতৃত্ব ও আদর্শিক সংগ্রামের প্রতীক ছিলো, এখন সেই একই নামধারী নেতারাই ধরা পড়ছেন চাঁদাবাজির মতো অপরাধে। প্রথম আলোচনায় আসে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ এবং এনসিপির মতো সংগঠনগুলোর কয়েকজন নেতার বিরুদ্ধে অভিযোগ। এই তিনটি সংগঠনই শেখ হাসিনার সরকার পতনের আন্দোলনে সরব ছিলো। কিন্তু আন্দোলনের সাফল্য ও জনপ্রিয়তাকে পুঁজি করে একশ্রেণির লোক…