বুধবার (২৩ এপ্রিল) বেলা সোয়া ১১টার দিকে উপজেলার নরোত্তমপুর ইউনিয়ন উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের অফিস কক্ষে এ হামলার ঘটনা ঘটে। পরে স্থানীয় কিছু লোকজন আহত শিক্ষককে উদ্ধার করে পাশের একটি বাড়িতে আশ্রয় দেন।
প্রধান শিক্ষক ইউনুস নবী মানিক অভিযোগ করে বলেন, ‘গত বছরের ২৪ অক্টোবর তৎকালীন উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোতাসিম বিল্লার সামনে স্কুল পরিচালনা কমিটির সাবেক সভাপতি মুক্তার হোসেন জোর করে আমার কাছ থেকে পদত্যাগপত্রে স্বাক্ষর নেয়। আমি তাৎক্ষণিকভাবে বিষয়টি লিখিতভাবে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে (ইউএনও) জানাই। পরদিন স্কুলে গেলে মুক্তার ও তার লোকজন আমাকে বাধা দেয় এবং স্কুলে প্রবেশ করতে দেয় না।’
তিনি আরও বলেন, ‘ঘটনার পর আমি বেগমগঞ্জ সহকারী জজ আদালতে মামলা করি এবং আদালত চলতি বছরের ২০ মে পর্যন্ত পদত্যাগপত্রের কার্যকারিতা স্থগিত করে। বুধবার সকাল ১০টার দিকে অফিসে ঢোকার পরপরই মুক্তার হোসেনের ছোট ভাই একরাম হোসেন, ডাক্তার পারভেজ ও পাক ছমিরমুন্সি বাজার পরিচালনা কমিটির সাবেক সাধারণ সম্পাদক লুৎফুর রহমানের নেতৃত্বে একদল লোক অফিসে ঢুকে আমাকে বেধড়ক মারধর করে, আমার শার্ট-প্যান্ট ছিঁড়ে ফেলে এবং অফিস থেকে জোরপূর্বক বের করে দেয়।’
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে সাবেক সভাপতি মুক্তার হোসেন বলেন, ‘আমার ভাই বা লোকজন এই ঘটনায় জড়িত না। ওই শিক্ষক দুর্নীতিবাজ, এজন্য স্থানীয় জনগণ ক্ষুব্ধ হয়ে এমনটি করেছে। তার বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে, তিনি কোনো প্রশাসনিক অনুমতি ছাড়াই সন্ত্রাসী নিয়ে স্কুলে প্রবেশের চেষ্টা করেন।’
এ বিষয়ে বেগমগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও নরোত্তমপুর ইউনিয়ন উচ্চ বিদ্যালয়ের সভাপতি মো. আরিফুর রহমান বলেন, ‘যারা প্রধান শিক্ষককে মারধর করেছে, তারাই তাকে স্কুলে ঢুকতে দিচ্ছে না। তিনি আদালতে মামলা করেছেন, আদালত যদি কোনো নির্দেশ দেয়, সেটি আমরা ফোর্স করে কার্যকর করব। তবে তার বিরুদ্ধে আগের প্রতিষ্ঠানে থাকা অবস্থায়ও অভিযোগ রয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘বর্তমানে বিদ্যালয়ে স্বাভাবিক পাঠদান নিশ্চিত করতে জেলা শিক্ষা কর্মকর্তার মতামতের ভিত্তিতে একজনকে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।’
আপনার মতামত জানানঃ