আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) জানিয়েছে, করোনা মহামারিতে ক্ষতিগ্রস্ত এশিয়ার অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ধরে রাখতে এবং ক্রমবর্ধমান ঋণ নিয়ন্ত্রণে এখনি উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
যদিও পরিস্থিতি সাপেক্ষে এই উত্তরণ খুব একটা সহজ মনে হবে না। এটা অনেকাংশেই নির্ভর করছে টিকা কার্যক্রমের সফলতার উপর। এছাড়া করোনায় এশিয়ার দেশগুলো অন্যতম ক্ষতিগ্রস্ত সেক্টর যেমন ট্যুরিজম এবং রাজস্ব নিয়ে পরিকল্পনার সঠিক বাস্তবায়নের উপর এটা বহুলাংশে নির্ভর করছে।
আইএমএফ-এর পরিচালক জিহাদ আজাউর বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেন, অর্থনৈতিক অবস্থা পুনরায় ফিরে পেতে কাজ ইতিমধ্যে শুরু করেছে দেশগুলো। তবে তা অসম এবং অনিশ্চিত।
ঋণ জর্জরিত এশিয়াসহ গোটা বিশ্ব
ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল ফিন্যান্স বলছে, গত বছর করোনা মহামারির কারণে বৈদেশিক ঋণ অস্বাভাবিকহারে বেড়েছে। গত বছর বিশ্বের ঋণের ঝুলিতে যোগ করেছে আরও ২৪ ট্রিলিয়ন ডলার। বর্তমানে সারাবিশ্বে মোট ঋণের পরিমাণ ২শ’ ৮১ ট্রিলিয়ন ডলার।
করোনার কারণে ঋণের ভারে জর্জরিত সারাবিশ্ব। এ ভাইরাসের সংক্রমণে স্বাস্থ্যখাতে সুরক্ষা দিতে, আর্থিক ব্যবস্থা সচল রাখতে আর ভ্যাকসিন তৈরিতে অনেক অর্থ ব্যয় করেছে প্রায় সব দেশের সরকার। এতেই সারাবিশ্বের মোট ঋণ ২শ’ ৮১ ট্রিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে। ২০২০ সালেই সারাবিশ্বে মোট ঋণ বেড়েছে ২৪ ট্রিলিয়ন ডলার।
এরমধ্যে করপোরেট প্রতিষ্ঠানগুলোর ঋণ বেড়েছে সাড়ে ৫ ট্রিলিয়ন ডলার, ব্যাংক আর বাসাবাড়িতে ঋণ বেড়েছে ৪ ট্রিলিয়ন আর আড়াই ট্রিলিয়ন ডলার। সারাবিশ্বের মোট জিডিপি প্রবৃদ্ধির তুলনায় অনেক বেশি হয়েছে মোট ঋণ। এই ঋণ ২০০৮-২০০৯ সালের মহামন্দার চেয়ে অনেক বেশি।
সংস্থাটি বলছে, চলতি বছর আরও ১০ ট্রিলিয়ন বাড়বে পুরো বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সরকারের মোট ঋণ, এ পরিমাণ ছাড়াবে ৯২ ট্রিলিয়ন ডলার।
ইউরোপের বিভিন্ন দেশ আর যুক্তরাষ্ট্রে তো আকাশ ছুঁয়েছে মাথাপিছু ঋণ। এদিকে, ঋণ অস্বাভাবিকহারে বেড়েছে চীন, তুরস্ক, দক্ষিণ কোরিয়া, এবং ভারতের। দেউলিয়া হওয়ার পথে অনেক ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান।
উন্নয়নশীল দেশগুলোর মধ্যে এশিয়ায় ভারত ঋণের বোঝায় সবচেয়ে বিপর্যস্ত অবস্থায়। ২০২০ সালে উন্নয়নশীল দেশগুলোতে বৈদেশিক ঋণ বেড়ে পৌঁছেছে সাড়ে ৮ ট্রিলিয়ন ডলারে।
বাংলাদেশে মাথাপিছু ঋণ ২৩৪২৫ টাকা
বেড়েই চলছে বৈদেশিক ঋণের বোঝা। দেশের প্রতিটি মানুষের ঘাড়ে এই মুহূর্তে (গত জুন পর্যন্ত) ২৩ হাজার ৪২৫ টাকা ৫২ পয়সা করে বৈদশিক ঋণ রয়েছে।
অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) ‘ফ্লো অব এক্সটার্নাল রিসোর্স ইন টু বাংলাদেশ’ শীর্ষক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে দেখা যায়, ২০১৯-২০ অর্থবছরে (গত জুন পর্যন্ত) বাংলাদেশে বৈদেশিক ঋণের স্থিতি রয়েছে ৪ হাজার ৪০৯ কোটি ৫১ লাখ মার্কিন ডলার, যা স্থানীয় মুদ্রায় (প্রতি ডলার ৮৫ টাকা ধরে) দাঁড়ায় ৩ লাখ ৭৪ হাজার ৮৯৮ কোটি ৩৫ লাখ টাকা। এ হিসাবে দেশের জনসংখ্যা ১৬ কোটি ধরে হিসাব করলে প্রত্যেকের মাথায় বৈদেশিক ঋণের পরিমাণ দাঁড়ায় ২৩ হাজার ৪২৫ কোটি টাকা।
এর আগে ২০১৮-১৯ অর্থবছরের জুন পর্যন্ত বৈদেশিক ঋণের স্থিতি ছিল ৩ হাজার ৮৪৭ কোটি ৫৪ লাখ ডলার এবং ২০১৭-১৮ অর্থবছরে বৈদেশিক ঋণের স্থিতি ছিল ৩ হাজার ৩৫১ কোটি ১৮ লাখ ডলার।
এছাড়া বিশ্বব্যাংক, এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি), ইসলামিক উন্নয়ন ব্যাংক (আইডিবি), ইফাদ, ওপেক, এশিয়ান ইনফ্রাসট্রাকচার ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংক (এআইআইবি) এবং ইউরোপিয়ান ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংক (ইআইবি) মিলে মোট ঋণের স্থিতি ২ হাজার ৯১০ কোটি ৪৮ লাখ ডলার।
এসবের বাইরে চীন, ভারত, স্পেন, যুগোস্লাভিয়া, রাশিয়া এবং বেলারুশ মিলে মোট ঋণের স্থিতি ৫১৩ কোটি ৫৯ লাখ ডলার এবং সাপ্লায়ার্স ক্রেডিড (সরবরাহ ঋণ) হিসাবে চীনের কাছ থেকে নেওয়া আছে আরও ১২৮ কোটি ৯৪ লাখ ডলার। তবে বেশি সুদে ঋণ নিলেও তা এখনও ঝুঁকিপূর্ণ নয় বলে মনে করছে ইআরডি।
১০ লাখ মানুষ দারিদ্র্যসীমার নিচে
এশিয়াসহ বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে গভীর অর্থনৈতিক সংকটের পূর্বাভাষ দিচ্ছে বিশ্বব্যাংক৷ চরম বেকারত্ব, দারিদ্র্য, মন্দার মতো নেতিবাচক প্রভাব দেখা দিতে পারে৷
করোনা সংকটের ফলে অর্থনৈতিক সংকটের নানা দৃষ্টান্ত ধীরে ধীরে স্পষ্ট হয়ে উঠছে৷ এবার বিশ্বব্যাংক বিশেষ করে পূর্ব এশিয়ার পরিস্থিতি নিয়ে বিশেষ দুশ্চিন্তা প্রকাশ করলো৷
চীন ও দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার দেশগুলিতে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ব্যাপক মাত্রায় কমে যাবে বলে বিশ্বব্যাংক আশঙ্কা করছে৷ সেই মন্দার জের ধরে প্রায় এক কোটি ১০ লাখ মানুষ দারিদ্র্যসীমার নীচে চলে যেতে পারে৷
২০১৯ সালে গড় প্রবৃদ্ধির মাত্রা যেখানে পাঁচ দশমিক আট শতাংশ ছিল, ২০২০ সালে তা কমে দুই দশমিক এক শতাংশ ছুঁতে পারে।
এশিয়ার করুণ পরিস্থিতি যে বিশ্ব অর্থনীতির উপর মারাত্মক প্রভাব ফেলবে, সে বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই৷ আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল এরই মধ্যে জানিয়ে দিয়েছে, যে মন্দা শুরু হয়ে গেছে৷
ভারতের অর্থনৈতিক মন্দা
বর্তমান অর্থবর্ষে ভারতের অর্থনীতি নামবে ৩.২ শতাংশ, এমনটাই জানাল বিশ্বব্যাঙ্ক। যে সমস্ত আন্তর্জাতিক সংস্থা করোনা ভাইরাস লকডাউনের কারণে থেমে থাকা অর্থনীতির বৃদ্ধির হার নিয়ে পূর্বাভাস দিয়েছে, তাদের সঙ্গে সুর মেলাল বিশ্বব্যাঙ্ক। ওয়াশিংটনের এই বহুপাক্ষিক ব্যাঙ্কটি জানায়, করোনা ভাইরাসের ছড়িয়ে পড়া রুখতে জারি করা লকডাউন ভারতীয় অর্থনীতিতে ব্যপক প্রভাব পেলেছে। সম্প্রতি আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক সম্ভাবনা নিয়ে ঋণাত্মক ৯ শতাংশ হিসেবে ভারতের অর্থনীতির পূর্বাভাস দিয়েছে বিশ্বব্যঙ্ক।
আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক সম্ভাবনা রিপোর্টে বিশ্বব্যাঙ্ক জানিয়েছে, ভারতে, ২০১৯-২০ অর্থবর্ষে বৃদ্ধির ৩.২ শতাংশ, হার কমে হতে পারে ৪.২ শতাংশ, ২০২০-২১ অর্থবর্ষে আউপুট প্রজেক্ট কমে হতে পারে ৩.২ শতাংশ।
মুডিজ ইনভেস্টরস সার্ভিস, ফিচ রেটিং, এস অ্যান্ড পি এর মতো আন্তর্জাতি রেটিং সংস্থাগুলি জানিয়েছে, ২০২০ এপ্রিল থেকে ২০২১ এর মার্চের সময়ে ভারতীয় অর্থনীতির বৃদ্ধির হার কমেছে ৪-৫ শতাংশ।
ক্রিসিল জানিয়েছে, স্বাধীনতার পর থেকে এটি দেশের চতুর্থ মন্দা হতে চলেছে, উদারীকরণের পর থেকে প্রথম এবং এখনও পর্যন্ত সবচেয়ে খারাপ।
চীনে রপ্তানি বেড়েছে ২১ শতাংশ
করোনার ফলে চীনের অর্থনীতিও বেহাল হয়েছিল। আবার সেই করোনার কারণেই চীনের রপ্তানি রেকর্ড বেড়েছে। দ্রুত ধাক্কা সামলে নিতে পেরেছে চীন। করোনার ফলে লকডাউন ও বিদেশে রপ্তানি কার্যত বন্ধ হওয়ার ফলে চীনের অর্থনীতিতেও প্রবল ধাক্কা লাগে। কিন্তু সেই করোনার কল্যাণেই আবার সামলে উঠেছে চীন।
বিদেশে ঢালাও পিপিই সহ স্বাস্থ্য সরঞ্জাম এবং ইলেকট্রনিক্সের জিনিস সরবরাহ করছে তারা। কারণ, করোনার ফলে সব দেশেই এই সব জিনিসের চাহিদা বহুগুণে বেড়েছে।
নভেম্বরে চীনের রপ্তানি ২১ শতাংশেরও বেশি বেড়েছে। গত তিন বছরের মধ্যে সর্বাধিক। ফলে চীনের অর্থনীতির কাছে করোনা এখন নতুন সুযোগ এনে দিয়েছে। সব মিলিয়ে আমদানি বেড়েছে সাড়ে চার শতাংশ, বৈদেশিক বাণিজ্য বেড়েছে ১৩ দশমিক ছয় শতাংশ। ট্রেড সারপ্লাস সাত হাজার ৫৪০ কোটি ডলার। ১৯৮১ সালের পর থেকে এতটা লাভ কখনও হয়নি।
বাংলাদেশে আয় কমেছে ৭৪ ভাগ পরিবারের
করোনায় বাংলাদেশের ১০ কোটি ২২ লাখ মানুষের আয় কমে গেছে৷ আর পরিবার হিসেবে আয় কমেছে শতকরা ৭৪ ভাগ পরিবারের৷ ‘কোভিড-১৯ এবং জাতীয় বাজেট ২০২০-২০২১: নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য কৌশল পুনর্বিবেচনা’ শিরোনামে এই সমীক্ষায় বলা হয়েছে ১৪ লাখেরও বেশি প্রবাসী এই করোনার সময় চাকরি হারিয়েছেন৷ তাদের একটি অংশ এরইমধ্যে দেশে ফিরেছেন৷ বাকিরা ফেরার অপেক্ষায়৷
সমীক্ষায় বলা হয়েছে, করোনায় অর্থনৈতিক ও স্বাস্থ্যগত ঝুঁকিতে থাকা ১০ কোটিরও বেশি মানুষের মধ্যে পাঁচ কোটি ৩৬ লাখ মানুষ চরম দরিদ্র অবস্থার মধ্যে আছেন৷ যাদের এখন দৈনিক আয় দুই ডলারের কম৷ তাদের মধ্যে চার কোটি ৭৩ লাখ উচ্চ অর্থনৈতিক ঝুঁকি এবং তিন কোটি ৬৩ লাখ মানুষ উচ্চ স্বাস্থ্যঝুঁকিতে রয়েছেন৷
যেসব পরিবার থেকে সরাসরি তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে তাদের মধ্যে কমপক্ষে ৩৪.৮ শতাংশ পরিবার থেকে কমপক্ষে একজন সদস্য চাকরি হারিয়েছেন৷ গত মার্চ থেকে মে মাসে তাদের পারিবারিক উপার্জন ৭৪ ভাগ কমে গেছে৷
এদিকে করোনার প্রথম ঢেউ কাটিয়ে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক খাত ঘুরে দাঁড়িয়েছিল৷ বিভিন্ন দেশে নতুন লকডাউনে আবারও নেতিবাচক প্রভাব পড়তে শুরু করেছে বলে জানিয়েছেন রপ্তানিকারকরা৷
২০২০ সালের জানুয়ারি থেকে জুলাই পর্যন্ত বাংলাদেশ থেকে বৈশ্বিক পোশাক আমদানি ২৩ শতাংশ কমে যায়৷ অনেক ব্র্যান্ড কারখানাগুলোর আগের কার্যাদেশ বাতিল করে, অনেকে দামও কমিয়ে দেয়৷
সিপিডির সম্মানিত ফেলো অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক ড. মোস্তাফিজুর রহমান তার এক গবেষণা প্রবন্ধে দেখিয়েছেন, এই সময়ে পোশাক শ্রমিকদের আয় কমেছে আট শতাংশ৷ তবে পোশাক খাতে গত এপ্রিলে অনিশ্চয়তা ৩৬ শতাংশ থাকলেও সেপ্টেম্বরে তা কমে চার শতাংশ হয়েছে৷
কিন্তু বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিসংখ্যানে নতুন করে পোশাক খাতে রপ্তানি আদেশ কমার চিত্র মিলছে৷ অক্টোবর মাসে রপ্তানি আদেশ ছিলো ৪৩ কোটি ডলারের৷ নভেম্বর মাসে তা কমে হয়েছে ৪২ কোটি ডলার৷ এক মাসের ব্যবধানে শতকরা তিন ভাগ রপ্তানি আদেশ কমেছে৷ রপ্তানির জন্য তৈরি পোশাক খাতের এলসি বা ঋণপত্র খোলার পরিমানও কমেছে৷
তবে করোনার প্রথম ধাক্কার মতো এই প্রভাব ততোটা প্রকট হবে না বলে মনে করেন সিপিডির অর্থনীতিবিদ ড. খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম৷ তিনি জানান, গত এপ্রিলে পোশাক খাতের প্রবৃদ্ধি ৮২ শতাংশ কমেছিল৷ জুন মাসে কমেছে প্রায় ৬২ শতাংশ৷ সেখান থেকে আবার সাম্প্রতিক সময়ে প্রবৃদ্ধি ইতিবাচক ধারায় ফিরে এসেছিলো৷ কিন্তু এখন আবার নেতিবাচক প্রবৃদ্ধি দেখা যাচ্ছে দ্বিতীয় ঢেউয়ের কারণে৷ তবে এর মাত্রা অনেক কম৷
কারণ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘‘ইউরোপে লকডাউন প্রথম ঢেউয়ের মত নয়, কিছু কিছু এলাকায় করা হচ্ছে সীমিত আকারে৷ ফলে কেনাকাটা বন্ধ হয়ে যায়নি৷ পোশাকের মূল বাজার ইউরোপ এবং অ্যামেরিকায় টিকা কার্যক্রম চলছে পুরোদমে। আমরা ধারণা এটা সফল হলে মানুষ সহজে চলাচল করবে, কাজ করবে, কেনাকাটা করবে৷ ফলে আমাদের দেশের পোশাকের চাহিদা সেরকম কমবে না৷’’
এসডব্লিউ/এমএন/এসএস/১৪২৬
State watch সকল পাঠকদের জন্য উন্মুক্ত সংবাদ মাধ্যম, যেটি পাঠকদের অর্থায়নে পরিচালিত হয়। যে কোন পরিমাণের সহযোগিতা, সেটি ছোট বা বড় হোক, আপনাদের প্রতিটি সহযোগিতা আমাদের নিরপেক্ষ সাংবাদিকতার ক্ষেত্রে ভবিষ্যতে বড় অবদান রাখতে পারে। তাই State watch-কে সহযোগিতার অনুরোধ জানাচ্ছি। [wpedon id=”374″ align=”center”]
আপনার মতামত জানানঃ