ফেনীর ফুলগাজী উপজেলায় ফেনসিডিলের দুটি বোতলসহ যুবলীগের দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)। শুক্রবার (৯ এপ্রিল) রাত আটটার দিকে উপজেলার আনন্দপুর ইউনিয়নের বন্দুয়া সেতু এলাকা থেকে দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার দুজন হলেন ফেনী পৌর যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম নাদিম (২৮) ও যুবলীগ কর্মী রাইসুল ইসলাম (২৫)। দুজনের বাড়ি ফেনী পৌরসভার ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের রামপুর এলাকায়।
গোয়েন্দা পুলিশ সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার রাতে বন্দুয়া ব্রিজ সংলগ্ন স্থানে গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল চেকপোস্ট বসিয়ে তল্লাশি করে। এ সময় ফেনীগামী সাদা রংয়ের একটি মাইক্রোবাস থেকে দুই বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার করা হয়। পরে রেজাউল করিম নাদিম ও তার সহযোগী রাইসুল ইসলামকে আটক করা হয়।
ফেনী পৌর যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন বাবলু বলেন, রেজাউল করিম নাদিমসহ দুজন ফেনসিডিলসহ গ্রেপ্তারের বিষয়টি তিনি শুনেছেন। বিষয়টি সত্য হলে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
জেলা ডিবি পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ এন এম নুরুজ্জামান বলেন, আজ শনিবার গ্রেপ্তার দুজনকে ফেনীর জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
এদিকে, ফেনীর গোডাউন কোয়ার্টারে এক ছাত্রলীগ নেতার অব্যাহত অগ্নিসন্ত্রাসে এবার পুড়ল যুবলীগ নেতার ৫টি মোটরসাইকেল। এ ঘটনায় ছাত্রলীগের যুগ্ম সম্পাদক পদ থেকে অব্যহতি নেয়া রেজাউল হক রানাকে আসামী করে থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। শনিবার (১০ এপ্রিল) ফেনী মডেল থানার ওসি (তদন্ত) ওমর হায়দার বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, মামলার আসামীকে গ্রেপ্তারে পুলিশ চেষ্টা চালাচ্ছে।
পুলিশ ও সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, ওই এলাকার রেল লাইন সংলগ্ন হাসান আলী ভূঞা বাড়ীর পাশে ২০টি মোটরসাইকেল রাখা হয়। এসব মোটরসাইকেল জেলা যুবলীগের সহ-সম্পাদক ঠিকাদার হুমায়ুন কবির ভূঞা জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস থেকে নিলামে কিনেছেন।
ঠিকাদার হুমায়ুনের অভিযোগ রানা মাদক সেবন করে গত ক’দিন ধরে এলাকার দোকানপাট-খড়ের গাদা, কবরস্থানসহ বিভিন্ন স্থানে অগ্নিসংযোগ অব্যাহত রেখেছে। একের পর এক এসব ঘটনায় এলাকাবাসীর মাঝে আতংক বিরাজ করছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কোনো কিছুতেই থামছে না ছাত্রলীগ-যুবলীগ। ছিনতাই, মাদক ব্যবসা, ক্যাসিনো, জুয়া, চাঁদাবাজি, জমি দখল, নারী নির্যাতন, টেন্ডারবাজি আর নির্মাণকাজ থেকে কমিশন দাবিসহ নানা অনিয়মে জড়িত থাকার অভিযোগ এ দুই সংগঠনের একশ্রেণির নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে। সারাদেশে জেলা-উপজেলা পর্যায়ে রয়েছেন অসংখ্য বিতর্কিত নেতাকর্মী।
তাদের বিতর্কিত কর্মকাণ্ডে সরকারের ব্যাপক অর্জনের মধ্যেও সমালোচনা হচ্ছে। বিতর্কিত এসব নেতার পৃষ্ঠপোষকতা করছেন একশ্রেণির সংসদ সদস্য। এ কারণে তাদের দাপট অনেক বেশি। স্থানীয় থানা ও প্রশাসন যুবলীগ-ছাত্রলীগের এ ধরনের অপকর্মের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে সাহস পাচ্ছে না। কোনো কোনো কর্মকর্তা ব্যবস্থা নিতে গেলে ঐ কর্মকর্তাকে বিএনপি-জামায়াত সমর্থিত কর্মকর্তা বলে বদলিসহ নানা হয়রানির শিকার হতে হয়। সরকারের সমালোচনা ঠেকাতে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন তারা।
এসডব্লিউ/এমএন/ এফএ/১৯৩৭
State watch সকল পাঠকদের জন্য উন্মুক্ত সংবাদ মাধ্যম, যেটি পাঠকদের অর্থায়নে পরিচালিত হয়। যে কোন পরিমাণের সহযোগীতা, সেটি ছোট বা বড় হোক, আপনাদের প্রতিটি সহযোগীতা আমাদের নিরপেক্ষ সাংবাদিকতার ক্ষেত্রে ভবিষ্যতে বড় অবদান রাখতে পারে। তাই State watch-কে সহযোগীতার অনুরোধ জানাচ্ছি। [wpedon id=”374″ align=”center”]
আপনার মতামত জানানঃ