পাবনায় শাহজাহান আলী (৩৫) নামে এক যুবদল নেতার নিখোঁজের চারদিন পর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। সোমবার (৫ এপ্রিল) বিকেলে আটঘরিয়া উপজেলার দেবোত্তর ইউনিয়নের গঙ্গারামপুর গ্রাম থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে বলে থানা সুত্রে জানা গেছে।
সোমবার (৫ এপ্রিল) বিকেলে উপজেলার দেবোত্তর ইউনিয়নের গঙ্গারামপুর গ্রামের টয়লেটের হাউজ থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়। নিহত শাজাহান পাবনা শহরের শালগাড়ীয়া এলাকার তোফাজ্জল হোসেনের ছেলে এবং নয়ন ফটোস্ট্যাটের মালিক। তিনি জেলা যুবদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছিলেন।
স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, গঙ্গারামপুর গ্রামের আবুল কাশেমের বাড়ির পেছনে টয়লেটের হাউজ থেকে দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়লে স্থানীয়রা পুলিশকে জানায়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে। আটঘরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাফিজুর রহমান গণমাধ্যমকে জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে গলিত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। নিহতের স্বজনেরা গিয়ে লাশ শনাক্ত করেছেন। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য পাবনা জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস আহমেদ হিমেল রানা জানান, নিহত শাহজাহান জেলা যুবদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। কেউ তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছে। আমরা ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও জড়িতদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবি জানাচ্ছি।
নিহতের বড় ভাই ফরিদুল ইসলাম জানান, ৩১ মার্চ সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে নিজের দোকান থেকে কাউকে কিছু না বলে বের হয়ে যান শাজাহান আলী। তারপর থেকে বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজি করেও তাকে পাওয়া যায়নি। পরদিন ১ এপ্রিল এ ঘটনায় সদর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করা হয়।
স্থানীয় বিভিন্ন সুত্র নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেছেন, এটি একটি রাজনৈতিক হত্যাকান্ড। বিরোধী রাজনৈতিক কর্মী ও নেতাদের দমন করার ধারাবাহিক প্রচেষ্টায় এবার বলী হল যুবদল নেতা শাহজাহান আলী। স্থানীয়রা যুবদল নেতা শাহজাহান হত্যার বিচার দাবী করেছেন।
State watch সকল পাঠকদের জন্য উন্মুক্ত সংবাদ মাধ্যম, যেটি পাঠকদের অর্থায়নে পরিচালিত হয়। যে কোন পরিমাণের সহযোগীতা, সেটি ছোট বা বড় হোক, আপনাদের প্রতিটি সহযোগীতা আমাদের নিরপেক্ষ সাংবাদিকতার ক্ষেত্রে ভবিষ্যতে বড় অবদান রাখতে পারে। তাই State watch-কে সহযোগীতার অনুরোধ জানাচ্ছি।
[wpedon id=”374″ align=”center”]
আপনার মতামত জানানঃ