স্টেটওয়াচ রিসার্চ নেটওয়ার্ক কাজ করছে বাংলাদেশে আইনপ্রয়োগের সার্বিক চিত্র তুলে ধরার পাশাপাশি মতপ্রকাশের স্বাধীনতা সংক্রান্ত বাস্তবতা নিয়ে। এর অংশ হিসেবে স্টেটওয়াচ নিউজে আমরা প্রতিদিনকার আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতা ও গণমাধ্যম সংক্রান্ত খবরাখবরগুলো সংক্ষেপে তুলে ধরার উদ্যোগ নিয়েছি। প্রতিদিন নিম্নোক্ত মাধ্যমসমূহ থেকে সংবাদগুলো সংগ্রহ ও তা নথিবদ্ধ করছে আমাদের কর্মীরা: প্রথম আলো, কালের কণ্ঠ, যুগান্তর, সমকাল, নয়া দিগন্ত, ইত্তেফাক, দেশ রূপান্তর, ডেইলি স্টার, নিউ এজ, দ্য ফিনান্সিয়াল এক্সপ্রেস, বাংলা ট্রিবিউন, বিডিনিউজ২৪ ডটকম, আমাদের সময়, মানবজমিন। আমরা আশা করি, এই প্রতিবেদন নিয়মিত প্রকাশের মাধ্যমে জনগণের তথ্যপ্রাপ্তির অধিকার আরো শক্তিশালী হবে।
৩ মার্চ, ২০২১ বুধবার, ১৮ ফাল্গুন ১৪২৭ পত্র-পত্রিকায় প্রকাশিত
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও গণমাধ্যম সংক্রান্ত নির্বাচিত খবরের সার-সংক্ষেপ।
কক্সবাজারে টাকা ছিনতাইয়ে গ্রেপ্তার তিন পুলিশ রিমান্ডে
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
বিভাগ: রাষ্ট্রীয় বাহিনী
কক্সবাজার শহরে টাকা ছিনতাই ঘটনায় গ্রেপ্তার তিন পুলিশ সদস্যকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দুই দিনের হেফাজতে নেওয়ার আদেশ দিয়েছে আদালত। দ্রুত বিচার ট্র্যাইবুন্যালের বিচারক দেলোয়ার হোসেন শামীম মঙ্গলবার এই আদেশ দেন। জেলা পুলিশের মুখপাত্র অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. রফিকুল ইসলাম জানিয়েছেন, সোমবার রাতে কক্সবাজার শহরের মধ্যম কুতুবদিয়া পাড়ায় এই ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে। এতে ঘটনাস্থল থেকে একজনকে ধরে পুলিশে দেয় এলাকাবাসী। পরে পুলিশ আরও দুইজনকে গ্রেপ্তার কর।
গ্রেপ্তাররা হলেন এসআই নুর হুদা সিদ্দিক, কনস্টেবল আমিনুল মমিন ও মামুন মোল্লা। এরা সবাই কক্সবাজার শহর পুলিশ ফাঁড়িতে কর্মরত। রফিকুল জানান, সোমবার রাতেই ঘটনায় ভুক্তভোগী নারী রোজিনা খাতুন বাদী হয়ে দ্রুত বিচার আইনে গ্রেপ্তার পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। মঙ্গলবার বিকালে আসামিদের আদালতে পাঠানো হয় বলে জানান তিনি। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও কক্সবাজার সদর থানার এসআই আব্দুল মাজেদ জানিয়েছেন, এই ঘটনায় গ্রেপ্তারদের আদালতে পাঠিয়ে পাঁচ দিনের হেফাজতের (রিমান্ড) আবেদন করা হয়। দ্রুত বিচার ট্র্যাইবুন্যালের বিচারক দেলোয়ার হোসেন শামীম দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। মঙ্গলবার রাতেই গ্রেপ্তার তিন আসামিকে পুলিশ রিমান্ডে নিয়েছে বলে জানান এই কর্মকর্তা।
১৬৭৫ টুরিস্ট স্পটের জন্য ১৩০০ টুরিস্ট পুলিশ
বাংলা ট্রিবিউন
বিভাগ: রাষ্ট্রীয় বাহিনী
দেশের ৬৪টি জেলায় ছোট-বড় টুরিস্ট স্পট রয়েছে এক হাজার ৬৭৫টি। আকর্ষণীয় স্পট প্রায় অর্ধশত। এসব স্পটে পর্যটকের নিরাপত্তায় কাজ করছেন প্রায় এক হাজার ৩০০ টুরিস্ট পুলিশ। বর্তমানে ৩২টি জেলায় ১০৪টি টুরিস্ট স্পটে ৭৩টি অফিসের মাধ্যমে সেবা দিচ্ছে সংস্থাটি। সে সব স্পটে ২৪ ঘণ্টায় পেট্রোলিং এর মাধ্যমে নিরাপত্তা দিচ্ছেন তারা।
২০১৩ সালের ৬ নভেম্বর যাত্রা শুরু হয় টুরিস্ট পুলিশের। টুরিস্টদের নিরাপত্তার পাশাপাশি হোটেল-মোটেলের নিরাপত্তা এবং জনগণকে সচেতন করতে নানা ধরনের কর্মকাণ্ড চালিয়ে আসছে সংস্থাটি। কিন্তু আগে কোনও অপরাধ সংঘটিত হলে তদন্ত করার ক্ষমতা ছিল না তাদের। ২০২০ সালের ৩ জুন ২২ ধরনের তদন্তের ক্ষমতার কথা উল্লেখ করে টুরিস্ট পুলিশ বিধিমালা ২০২০ গেজেট আকারে প্রকাশ করা হয়। এতে দেওয়া হয় তদন্ত ক্ষমতা।
বিধিমালা অনুযায়ী, কেবল পর্যটকদের ফৌজদারি অপরাধের তদন্ত করছে তারা। পর্যটকদের আনাগোনা বিষয়গুলো বিচার-বিশ্লেষণ করে দর্শনীয় স্থানগুলোর গুরুত্ব বিবেচনায় বিশেষ কর্মকাণ্ড পরিচালনা করছে টুরিস্ট পুলিশ। যেকোনও অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড, পর্যটকরা যেনও হয়রানির শিকার না হয়, বিশেষ করে বিদেশি পর্যটকরা যেনও শঙ্কাহীন ভ্রমণ করতে পারে, সে বিষয়টিও বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে দেখে।
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন নিয়ে উদ্বেগ আজ বাস্তব’
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
বিভাগ: ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন সংশোধনে কমিটি গঠন, আইনটির অপপ্রয়োগ তদন্তে বিচার বিভাগীয় কমিশন গঠনের পাশাপাশি নোয়াখালির সাংবাদিক বোরহান উদ্দিন মোজাক্কির হত্যায় জড়িতদের গ্রেপ্তারের দাবিতে মানববন্ধন করেছেন সাংবাদিকরা। মঙ্গলবার বিকালে কারওয়ান বাজারের সার্ক ফোয়ারায় সাধারণ সাংবাদিকদের ব্যানারে এই মানববন্ধনে ঢাকায় কর্মরত পেশাদার সাংবাদিক নেতাসহ প্রায় অর্ধশত সাংবাদিক অংশ নেন। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের বিপক্ষে অবস্থান জানিয়ে সাংবাদিকরা ‘না’ লেখা প্ল্যাকার্ড নিয়ে মানববন্ধনে অংশ নেন।
মানববন্ধনে ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক আকতার হোসেন বলেন, “ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন প্রভাবশালীরা অপপ্রয়োগ করতে পারেন, এটি নিয়ে আমরা শুরুতেই সংশয় প্রকাশ করেছিলাম। তার প্রতিবাদে সম্পাদক পরিষদের দাবি ছিল আইনটি সংশোধন করতে, কিন্তু তা না করে আইনটি সরাসরি পাস করা হয়। সম্পাদক পরিষদের সেই উদ্বেগ আজ বাস্তবে পরিণত হয়েছে।
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন নিয়ে বিবিসিকে যা বলেছেন আইনমন্ত্রী
দ্যা ডেইলি ষ্টার
বিভাগ: ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন
তদন্ত ছাড়া ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে কাউকে যেন গ্রেপ্তার না করা হয় সেই ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। আইনমন্ত্রী বলেন, ‘এই আইনে কোনো অপরাধের অভিযোগ এলে পুলিশের তদন্তের আগে কাউকে গ্রেপ্তার করা যাবে না বা তার বিরুদ্ধে মামলা নেওয়া যাবে না— এমন ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।
আমরা বলেছি যে, সরাসরি মামলা নেওয়া হবে না। কোনো অভিযোগ এলে পুলিশ প্রথমে তদন্ত করে দেখবে এবং তদন্ত সাপেক্ষে তারপরে মামলা নেওয়া হবে।’
আইনটি প্রণয়নের পর থেকে কোনো অভিযোগ এলেই পুলিশ মামলা নিয়ে সঙ্গে সঙ্গেই অভিযুক্তকে আটক করছে— এ ব্যাপারে বিবিসি জানতে চাইলে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘আগে যাতে আটক না করে এবং তদন্তের জন্য যেন অপেক্ষা করে— সেই জায়গায় আসার জন্য আমরা চেষ্টা করছি।’
জামিন হওয়া না হওয়ার প্রশ্নে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘সাজা যতটা হলে জামিন হবে এবং যতটা হলে জামিন হবে না— ঠিক সেই প্রিন্সিপালটা ফলো করে আমরা বিধান করেছি। সারা পৃথিবীতেই এটা করা হয়। এমনকি, এই উপমহাদেশেও। বিষয়টা নিয়ে আমরা আলাপ আলোচনা করছি।’
দিনাজপুরে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে যুবক আটক
বাংলাদেশ প্রতিদিন
বিভাগ: রাষ্ট্রীয় বাহিনী
দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলায়, কালিদাস দত্ত (৩০) নামে এক যুবককে আটক করেছে পুলিশ।সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মিথ্যা, বানোয়াট ও মানহানিকর তথ্য প্রকাশ এবং বিদ্বেষ সৃষ্টি ও আইনশৃঙ্খলা অবনতি করার আপরাধে সোমবার রাতে ফুলবাড়ী পৌর এলাকার উত্তর সুজাপুর প্রফেসরপাড়া গ্রাম থেকে তাকে আটক করা হয়। তার বিরুদ্ধে ডিজিটাল সিকিউরিটি আইনে পৃথক দুইটি মামলা রয়েছে। মঙ্গলবার আটক কালিদাস দত্তকে কোর্টের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করেছে পুলিশ। আটক কালিদাস ফুলবাড়ী পৌর এলাকার উত্তর সুজাপুর প্রফেসর পাড়া গ্রামের শ্রী সুবল দত্তের ছেলে।
Digital Security Act: Govt to ensure no arrest before probe
Says law minister
The Daily Star
Category: Digital Security Act
The government is taking measures to ensure that no one is arrested or sued under the Digital Security Act (DSA) before investigation, Law Minister Anisul Huq has said.
“We are thinking about incorporating a provision in the Digital Security Act so that no case is filed and none can be arrested under this law before an inquiry into the allegations is conducted,” he told The Daily Star last night. “I have been engaged with the office of the Human Rights Commission in Geneva for the last few months for sharing information regarding the best practices of the Digital Security Act all over the world. I will engage in a dialogue on the same issue next week. I have a plan to form a monitoring team so that there can be no scope to abuse the law.”
Journalists say concerns over Digital Security Act have ‘come true’
bdnews24.com
Category: Digital Security Act
Journalists have demonstrated in Dhaka demanding the formation of a committee to amend the Digital Security Act and a judicial commission to investigate its abuse. They also called for the arrest of those responsible for the murder of their colleague Burhan Uddin Mojakker in Noakhali.
The leaders of journalists working in the capital were among 50 who joined the human-chain programme at SAARC Fountain in Karwan Bazar on Tuesday. They carried placards that read “No to Digital Security Act”.
Aktar Hossain, former joint secretary of the Dhaka Union of journalists, said when the law was being formulated they expressed concerns that powerful people can abuse it.
“The Editors’ Council demanded amendment of the law, but it was passed unchanged. The concerns of the Editors’ Council have come true,” the journalist leader said.
আপনার মতামত জানানঃ