স্টেটওয়াচ রিসার্চ নেটওয়ার্ক কাজ করছে বাংলাদেশে আইনপ্রয়োগের সার্বিক চিত্র তুলে ধরার পাশাপাশি মতপ্রকাশের স্বাধীনতা সংক্রান্ত বাস্তবতা নিয়ে। এর অংশ হিসেবে স্টেটওয়াচ নিউজে আমরা প্রতিদিনকার আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতা ও গণমাধ্যম সংক্রান্ত খবরাখবরগুলো সংক্ষেপে তুলে ধরার উদ্যোগ নিয়েছি। প্রতিদিন নিম্নোক্ত মাধ্যমসমূহ থেকে সংবাদগুলো সংগ্রহ ও তা নথিবদ্ধ করছে আমাদের কর্মীরা: প্রথম আলো, কালের কণ্ঠ, যুগান্তর, সমকাল, নয়া দিগন্ত, ইত্তেফাক, দেশ রূপান্তর, ডেইলি স্টার, নিউ এজ, দ্য ফিনান্সিয়াল এক্সপ্রেস, বাংলা ট্রিবিউন, বিডিনিউজ২৪ ডটকম, আমাদের সময়, মানবজমিন। আমরা আশা করি, এই প্রতিবেদন নিয়মিত প্রকাশের মাধ্যমে জনগণের তথ্যপ্রাপ্তির অধিকার আরো শক্তিশালী হবে।
১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২১, ৬ ফাল্গুন ১৪২৭, পত্র-পত্রিকায় প্রকাশিত
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও গণমাধ্যম সংক্রান্ত নির্বাচিত খবরের সার-সংক্ষেপ।
বন্দুকযুদ্ধের ভয় দেখিয়ে চাঁদা আদায় দুই পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে মামলা
যুগান্তর
বিভাগ: রাষ্ট্রীয় বাহিনী
মাদারীপুরের শিবচরে বন্দুকযুদ্ধে হত্যার ভয় দেখিয়ে এক বিকাশ এজেন্টের কাছ থেকে চাঁদা নেওয়ার অভিযোগে মামলা করেছেন ভুক্তভোগী। সুজন শেখ নামে ওই ব্যবসায়ী বৃহস্পতিবার দুপুরে মাদারীপুর জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম মো. সাঈদুর রহমানের আদালতে মামলাটি করেন। এতে তিনজনকে আসামি করা হয়েছে। এরা হলেন : দত্তপাড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের এএসআই মাহাবুব ও কনস্টেবল সোহাগ এবং শিবচরের সূর্যনগর এলাকার টুম্পা টেলিকম অ্যান্ড মোবাইল কর্নারের স্বত্বাধিকারী টোকান বেপারি।
সুজন শেখ ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার ভাড়ইভাংগা গ্রামের আব্দুল হকের ছেলে। এজাহারে বলা হয়েছে, ১৬ ফেব্রুয়ারি বেলা ৩টার দিকে পদ্মা সেতু ভ্রমণ করে মোটরসাইকেলে বাড়িতে ফিরছিলেন তিনি। পথে শিবচরের সূর্যনগর এলাকায় মোটরসাইকেল থামিয়ে রাস্তার পাশের এক দোকানে চা পান করছিলেন। এ সময় সাদা পোশাকে থাকা দত্তপাড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের এএসআই মাহাবুব ও কনস্টেবল সোহাগ মোটরসাইকেলের কাগজপত্র দেখতে চান। সুজন কাগজপত্র দেখালে তা সঠিক নয় জানিয়ে ওই দুই পুলিশ সদস্য এটি চোরাই মোটরসাইকেল দাবি করেন। পরে পাঁচ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন তারা।
ধর্ষণ মামলা: মীমাংসার বুদ্ধি দিয়ে সাময়িক বরখাস্ত পুলিশের এসআই
কালের কন্ঠ
বিভাগ: রাষ্ট্রীয় বাহিনী
ধর্ষণ মামলা নিয়ে এক কিশোরীর পরিবারকে সালিশে মীমাংসা করার পরামর্শ দেওয়ার কারণে মামলাটির তদন্ত কর্মকর্তাকে সাময়িক বরাখাস্ত করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাতে এ সংক্রান্ত একটি অফিস আদেশ আসে থানায়। ঘটনাটি ঘটেছে ময়মনসিংহের নান্দাইল থানায়। এসআই’র নাম মো. মনিরুল ইসলাম।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার গাঙাইল ইউনিয়নের সুরাশ্রম গ্রামের দিনমজুরের কিশোরী কন্যা স্থানীয় একটি মাদরাসায় নবম শ্রেণিতে পড়ে। মাদরাসায় ও প্রাইভেটে যাওয়া আসার পথে প্রায়ই কিশোরীকে উত্যক্ত করতো এলাকার এক ইজিবাইক চালক। আবু ছাঈদের ছেলে মনির মিয়া (১৯) এই কাজ করতো। ঘটনাটি নিয়ে বিচার চাইলেও কোনো ধরনের বিচার পায়নি কিশোরীর পরিবার। এ অবস্থায় গত ১০ ফেব্রুয়ারি রাত সাড়ে নয়টার দিকে কিশোরী তার বাবাকে পাশের বাড়ি থেকে ডেকে আনতে গেলে মনির তার পথরোধ করে।
সেই সামিকে ডিজিটাল মামলা থেকে অব্যাহতি!
ইত্তেফাক
বিভাগ: রাষ্ট্রীয় বাহিনী
জুলকারনাইন সায়ের খান ওরফে সামিউল আহমেদ খান ওরফে সামি। দেশে বর্তমানে আলোচিত এই নাম। কাতারভিত্তিক আন্তর্জাতিক টেলিভিশন চ্যানেল আলজাজিরায় বাংলাদেশ বিষয়ে সংবাদ প্রকাশের পর আলোচনায় আসেন এই সামি। বাংলাদেশবিরোধী চক্রান্তের সঙ্গে সামির নাম অনেক দিন ধরেই আলোচিত হচ্ছে। অথচ এই সামিকেই কিনা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলা থেকে অব্যাহতি দিয়েছেন রমনা থানার ওসি মনিরুল ইসলাম! থানাপুলিশ নাকি এই সামির ঠিকানা খুঁজে পায়নি। অথচ অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তার ছেলে সামির বিরুদ্ধে দেশের বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। এমনকি পুলিশের হাতে আগে তিনি গ্রেফতারও হয়েছেন। কাউকে না জানিয়ে ওসি কীভাবে এই মামলায় ফাইনাল রিপোর্ট দিলেন, তা নিয়েই পুলিশে তোলপাড় চলছে। কেন তাকে অব্যাহতি দেওয়া হলো—অনুসন্ধান করতে পুলিশ সদর দপ্তর থেকে উচ্চপর্যায়ের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। পাশাপাশি ঐ মামলা অধিকতর তদন্তের জন্য পুলিশের কাউন্টার টেররিজম ইউনিটকে নির্দেশ দিয়েছে আদালত। বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলছে।
ফেসবুকে কটুক্তি, যুবকের গলায় জুতার মালা : আটক ৩ফরিদপুর
টাইমটাচ নিউজ
বিভাগ: ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন
ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব আল্লামা মামুনুল হকের বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে কটুক্তি করায় এক যুবককে পিটিয়ে গলায় জুতার মালা পরিয়ে ঘোরানো হয়। ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে বোয়ালমারী থানা পুলিশ বুধবার রাতে ৩ জনকে আটক করেছে। এ ঘটনায় ১০ জনকে আসামি করে বোয়ালমারী থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে ওই যুবকের বাবা বৃহস্পতিবার দুপুরে মামলা করেছে।
জানা যায়, উপজেলার পরমেশ্বরদী ইউনিয়নের ময়েনদিয়া গ্রামের পাট ব্যবসায়ী খালেক বিশ্বাসের ছেলে রিয়াজুল বিশ্বাস হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব আল্লামা মামুনুল হকের বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে বিকেল সাড়ে চারটায় কটুক্তিসহ মন্তব্য করে। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে মামুনুলের অনুসারীরা রিয়াজুলকে পিটিয়ে আহত করে জুতার মালা গলায় পরিয়ে তাকে রাস্তায় ঘোরায়। এরপর তাকে আটকে রাখে। খবর পেয়ে বোয়ালমারী থানা পুলিশ বুধবার সন্ধ্যায় রিয়াজুলকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে উপজেলার পরমেশ্বরদী ইউনিয়নের ময়েনদিয়া গ্রামের ফোরকান হাওলাদারের ছেলে নিজাম হাওলাদার (২০), হবিবর রহমানের ছেলে সজীব মিয়া (২৫) এবং নুরু শেখের ছেলে আজিজুল শেখ (২২) কে রাতে আটক করে থানায় নিয়ে আসে। এ ঘটনায় ১০ জনকে আসামি করে বোয়ালমারী থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে রিয়াজুল বিশ্বাসের বাবা খালেক বিশ্বাস বৃহস্পতিবার দুপুরে মামলা করেছে
আপনার মতামত জানানঃ