স্টেটওয়াচ রিসার্চ নেটওয়ার্ক কাজ করছে বাংলাদেশে আইনপ্রয়োগের সার্বিক চিত্র তুলে ধরার পাশাপাশি মতপ্রকাশের স্বাধীনতা সংক্রান্ত বাস্তবতা নিয়ে। এর অংশ হিসেবে স্টেটওয়াচ নিউজে আমরা প্রতিদিনকার আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতা ও গণমাধ্যম সংক্রান্ত খবরাখবরগুলো সংক্ষেপে তুলে ধরার উদ্যোগ নিয়েছি। প্রতিদিন নিম্নোক্ত মাধ্যমসমূহ থেকে সংবাদগুলো সংগ্রহ ও তা নথিবদ্ধ করছে আমাদের কর্মীরা: প্রথম আলো, কালের কণ্ঠ, যুগান্তর, সমকাল, নয়া দিগন্ত, ইত্তেফাক, দেশ রূপান্তর, ডেইলি স্টার, নিউ এজ, দ্য ফিনান্সিয়াল এক্সপ্রেস, বাংলা ট্রিবিউন, বিডিনিউজ২৪ ডটকম, আমাদের সময়, মানবজমিন। আমরা আশা করি, এই প্রতিবেদন নিয়মিত প্রকাশের মাধ্যমে জনগণের তথ্যপ্রাপ্তির অধিকার আরো শক্তিশালী হবে।
১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২১ সোমবার, ২ফাল্গুন ১৪২৭, পত্র-পত্রিকায় প্রকাশিত
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও গণমাধ্যম সংক্রান্ত নির্বাচিত খবরের সার-সংক্ষেপ
থানায় পুলিশের দুই মামলা ২৯ নেতাকর্মী রিমান্ডে
রমনা ও শাহবাগ থানায় করা মামলায় ৭২ আসামির মধ্যে ২৯ জনকে ঘটনাস্থল থেকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে
কালের কন্ঠ
বিভাগ: রাষ্ট্রীয় বাহিনী
বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ‘বীর-উত্তম’ খেতাব বাতিলের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে গত শনিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে আয়োজিত সমাবেশ ঘিরে পুলিশের লাঠিপেটা এবং ধাওয়াধাওয়ি ও সংঘর্ষের ঘটনায় মামলা হয়েছে। বিএনপির অর্ধশত নেতাকর্মীর নাম উল্লেখ করে ঢাকা মহানগরের দুই থানায় দুটি মামলা করেছে পুলিশ।
গত শনিবার রাতে দায়ের হওয়া এই দুই মামলায় বিনা উসকানিতে সরকারি কাজে বাধাদান, অবৈধভাবে সমবেত হয়ে হামলা ও হত্যার উদ্দেশ্যে হামলার অভিযোগ আনা হয়েছে। রমনা থানায় করা মামলায় ৩২ আসামির মধ্যে ১৩ জন এবং শাহবাগ থানায় করা মামলায় ৪২ আসামির মধ্যে ১৬ জনকে ঘটনাস্থল থেকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। ঢাকা মহানগর হাকিম আদালত গতকাল রবিবার দুই মামলায় ২৯ আসামিকে দুই দিন করে রিমান্ডে পাঠিয়েছেন।
সাংবাদিকের ওপর হামলা, এবার ট্রাক পুড়িয়েছে সন্ত্রাসীরা
বাংলা টিব্রিউন
বিভাগ: গণমাধ্যম
ফেনীর সোনাগাজীতে দৈনিক ইত্তেফাকের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি সাংবাদিক শরিয়ত উল্যাহর ওপর হামলার পর এবার তাদের একটি ট্রাক পুড়িয়ে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। রবিবার দিবাগত রাত (১৫ ফ্রেবুয়ারি) সাড়ে তিনটার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এরআগে, হামলার ঘটনায় স্থানীয় যুবলীগ নেতা ফরহাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছিল।
সাংবাদিকের ভাই মোহাম্মদ উল্যাহ জানান, দিনের বেলা কাজ শেষে সোনাপুর বাজারের পাশে বাড়ির সামনে গাড়িটি রেখে তারা ঘুমাতে যান। রাত সাড়ে তিনটার দিকে আগুনে পোড়ার শব্দ শুনে ঘরের বাইরে আসলে দেখতে পান তাদের গাড়িটি কে বা কারা আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দিয়েছে। তবে তার ভাইয়ের ওপর হামলার ঘটনায় মামলা তুলে নিতে চাপ দেওয়া হচ্ছিলো বলে জানান তিনি। তার ধারণা এ কারণে ট্রাকটি পুড়িয়ে দেওয়া হতে পারে।
পুলিশ সুপার খোন্দকার নুরন্নবী বলেন, বিষয়টি অধিকতর গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে ও মামলার প্রধান আসামিকে গ্রেফতারে অভিযান চলছে বলে জানান তিনি।
রাঙামাটিতে বাংলানিউজের সাংবাদিক বাপ্পীর ওপর হামলা
বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
বিভাগ: গণমাধ্যম
রাঙামাটিতে বাংলানিউজের সাংবাদিক বাপ্পীর ওপর হামলাকাউন্সিলর প্রার্থীর বিক্ষুব্ধ সমর্থকরা সাংবাদিক বাপ্পীর মোটরসাইকেল ভাঙচুর করেন রাঙামাটি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কমের সাংবাদিক ও রাঙামাটি প্রেসক্লাবের সদস্য মঈন উদ্দীন বাপ্পীর ওপর হামলা করেছেন ২ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী আব্দুল মালেকের বিক্ষুব্ধ সমর্থকরা। রোববার (১৪ ফেব্রুয়ারি) রাত ৮টার দিকে জেলা প্রশাসনের কার্যালয়ের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
ঘটনার শিকার সাংবাদিক মঈন উদ্দীন বাপ্পী জানান, রাত ৮টার দিকে তিনি এবং তার সহকর্মী নিউজটোয়েন্টিফোরের স্টাফ রিপোর্টার ও বাংলাদেশ প্রতিদিনের জেলা প্রতিনিধি ফাতেমা জান্নাত মুমুকে নিয়ে মোটরসাইকেলযোগে জেলা নির্বাচন কার্যালয়ে যাচ্ছিলেন। এ সময় জেলা প্রশাসনের কার্যালয়ের সামনে অবস্থানরত কাউন্সিলর প্রার্থী আব্দুল মালেকের বিক্ষুদ্ধ সমর্থকরা সাংবাদিক মঈন উদ্দীন বাপ্পীর মোটরসাইকেলে হামলা চালান এবং তাকে লাঞ্ছিত করেন।
এ ঘটনায় মঈন উদ্দীন বাপ্পী রাঙামাটি কোতয়ালী থানায় কাউন্সিলর প্রার্থী মালেকের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করবেন বলে জানিয়েছেন।
সাংবাদিকের ক্যামেরা ও মোবাইল ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ
দ্যা ডেইলি ষ্টার
বিভাগ: গণমাধ্যম
মুন্সিগঞ্জের মিরকাদিম পৌরসভা নির্বাচনে মোবাইল ও ক্যামেরা ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ তুলেছেন স্থানীয় একটি অনলাইন পোর্টালের সাংবাদিক শিহাব আহমেদ।
গতকাল রোববার দুপুর ১২টার দিকে পৌরসভার ৮নং ওয়ার্ডের এনায়েতনগর উচ্চ বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রে এ ঘটনা বলে জানান অভিযোগকারী। সাংবাদিক শিহাব আহমেদ বলেন, তাৎক্ষণিকভাবে বিষয়টি পুলিশকে জানানে হলেও বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত এসব উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।তিনি আরও বলেন, নির্বাচন অফিস থেকে প্রেসকার্ড নিয়ে একটি কেন্দ্রে সংবাদ সংগ্রহ করছিলাম। ওই কেন্দ্রের প্রবেশপথে বহিরাগত একদল যুবক ভোটারদের ওপর চাপ প্রয়োগ করছিল। একপর্যায়ে তাদের এ ঘটনা ভিডিও করতে চাইলে তারা হাত থেকে মোবাইল ও ক্যামেরা ছিনিয়ে নিয়ে দৌড়ে পালিয়ে যায়। অন্য একটি ক্যামেরায় এ ঘটনার ধারণকৃত ভিডিও দেখে জেনেছি, তারা কাউন্সিলর প্রার্থী মোখলেসুর রহমানের পক্ষের বহিরাগত সমর্থক। তবে, এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন কাউন্সিলর প্রার্থী মোখলেসুর রহমান।
গণমাধ্যমের অগ্রযাত্রায় স্বাধীনতা ও দায়িত্বশীলতা গুরুত্বপূর্ণ: তথ্যমন্ত্রী
বাংলা ট্রিবিউন
বিভাগ: গণমাধ্যম
গণমাধ্যমের অগ্রযাত্রায় স্বাধীনতা ও দায়িত্বশীলতা উভয়ই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মন্তব্য করেছেন তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ। ‘প্রেস কাউন্সিল দিবস’ উপলক্ষে রবিবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর তোপখানা রোডে প্রেস কাউন্সিল মিলনায়তনে আয়োজিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন।
প্রেস কাউন্সিলের প্যানেল চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট সৈয়দ রেজাউর রহমানের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান ও তথ্য সচিব খাজা মিয়া এবং কাউন্সিলের সদস্য সিনিয়র সাংবাদিক ইকবাল সোবহান চৌধুরী ও আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য মোজাফফর হোসেন পল্টু বক্তব্য রাখেন।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিশ্চিত করা এবং গণমাধ্যম যাতে সমাজের দর্পণ হিসেবে সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করতে পারে, ভুল এবং অসত্য সংবাদ পরিবেশন থেকে বিরত থাকে এবং সেটি হলে যাতে প্রতিকার হয়, সেই লক্ষ্য নিয়েই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার পরপরই প্রেস কাউন্সিল গঠন করেছিলেন। প্রেস কাউন্সিল তখন থেকেই অত্যন্ত দায়িত্বশীলতার সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছে।’
EDITORIAL
Why use force on peaceful political programme?
Police should refine its method of crowd management
The Daily Star
Category : State Force
We wonder if the clash between the police and BNP supporters in front of the Jatiya Press Club on Saturday could have been avoided; or was is inevitable. As it is, holding of opposition programmes has become increasingly difficult by the day. It is disturbing to see almost every time that whenever a meeting is organised by an opposition political party, the BNP in particular, or a rally held by a private organisation ventilating its grievances or demanding some action from the administration, it meets the predictable inevitability. Either that event is not allowed to be held or disrupted by the police on some flimsy ground. The government’s much vaunted claim of the onward march of democracy flies in the face of such hard, and sometimes ham handed, action by the police. BNP’s meeting to protest government’s mulling revocation of late President Zia’s gallantry award, regrettably, met the same fate as its previous meetings.
Reportedly, the assembly, which was held opposite the Press Club, a common venue for such meets, was peaceful. According to the police, the melee started when the organisers were asked to vacate one side of the road to allow traffic to pass through which, according to the police, was not complied with and thus the police baton charged on the assembly.
আপনার মতামত জানানঃ