দিল্লির লাল কেল্লা এলাকার আকাশটা সোমবার সন্ধ্যায় ছিল একেবারে সাধারণ—অফিস ফেরত যানজটে ভরা রাস্তা, শীত আসার আগের সেই হালকা গরম, লাল কেল্লা মেট্রো স্টেশনের গেট নম্বর–১ এর সামনে সিগন্যালের লাল বাতিতে থেমে থাকা গাড়ির লাইন। ঠিক সেই দৈনন্দিনতার মাঝখানেই হুন্ডাই আই–টুয়েন্টি গাড়িটির ভিতর থেকে আচমকা যে বিস্ফোরণটি হলো, তা শুধু ওই রাস্তার দৃশ্যই নয়, ভারতজুড়ে মানুষের নিরাপত্তাবোধকেও ছিন্নভিন্ন করে দিল। মুহূর্তের মধ্যে অন্তত আট জনের মৃত্যু, প্রায় দুই–তিন ডজন মানুষ গুরুতর জখম, আগুনে পুড়ে গেল আরও কয়েকটি গাড়ি আর অটোরিকশা, আর লাল কেল্লার গা ঘেঁষে ছুটে চলা শহরটা যেন একঝটকায় থমকে দাঁড়াল।
সন্ধ্যা সাতটার একটু আগে, অফিস টাইমের ভিড় তখনও পুরোপুরি কমেনি। সাবহাশ মার্গের সেই সিগন্যালে গাড়িগুলো একে একে দাঁড়িয়ে আছে, লাল কেল্লা মেট্রো স্টেশনের গেট নম্বর–১ ঠিক সামনেই, আর কয়েকশো মিটার দূরে ঐতিহাসিক লাল বেলেপাথরের প্রাসাদ। প্রত্যক্ষদর্শীদের ভাষায়—সবকিছু একেবারে স্বাভাবিক, হঠাৎ যেন আকাশ ফেটে পড়ল। প্রবল শব্দের সঙ্গে সঙ্গে একটি গাড়ি থেকে আগুনের গোলা উঠতে দেখা যায়, চোখের পলকে পাশের গাড়িগুলোও আগুনে জড়িয়ে যায়, কাঁচ ভেঙে চূর্ণবিচূর্ণ হয়ে ছুটে যায় চারদিকে। বিস্ফোরণের অভিঘাতে কাছাকাছি বাড়ির জানালার কাচ ফেটে যায়, দোকানের সাইনবোর্ড কেঁপে ওঠে; অনেকে প্রথম কয়েক সেকেন্ড বুঝতেই পারেননি, ভূমিকম্প হলো, গ্যাসের লাইন ফাটল, নাকি বোমা ফাটল।
সেই প্রথম ধাক্কা কাটিয়ে যে কয়েকজন মানুষ নিজেকে সামলে দাঁড়াতে পেরেছিলেন, তাদের কণ্ঠেই আজ উঠে এসেছে সেই আতঙ্ক আর বিভ্রান্তির গল্প। কেউ বলছেন, সিগন্যালের লাল বাতি জ্বলতেই লাইন ধরে দাঁড়িয়েছে সব গাড়ি; পরের মুহূর্তেই সামনের গাড়িটা যেন ধোঁয়া আর আগুনের মেঘে বিলীন হয়ে যায়। কেউ নিজের ঘরের ভেতরে বসে টিভি দেখছিলেন, আচমকা এমন এক শব্দ কানে ঢোকে যে মনে হয় পুরো বাড়িটা কেঁপে উঠল; জানলার কাচ কাঁপতে কাঁপতে যেন ভেঙে পড়ার উপক্রম। আরেকজন দোকানদার পরে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, বিস্ফোরণের জোরে তিনি তিনবার মাটিতে পড়ে গিয়েছিলেন, দিশাহারা হয়ে পালাতে গিয়ে বুঝতেই পারেননি চারদিকে কী ভয়াবহ দৃশ্য ফুটে উঠেছে। ওই ভয়াবহ মুহূর্তগুলোতে কেউ কাউকে চিনতে পারেননি, কেউ ভাবেননি কে হিন্দু, কে মুসলমান, কে স্থানীয় আর কে পর্যটক—সবাই শুধু প্রাণ বাঁচাতে দৌড়েছেন, আবার কিছু মানুষ প্রায় স্বতঃস্ফূর্তভাবেই ছুটে গেছেন আগুন ধাওয়া করে, আহতদের টেনে–হিঁচড়ে নিরাপদ জায়গায় নিয়ে আসতে।
সবচেয়ে বেশি চাপ সামলাতে হয় কাছের লোক নায়েক জয়প্রকাশ (এলএনজেপি) হাসপাতালে। বিস্ফোরণের পরপরই একের পর এক অ্যাম্বুলেন্স এসে দাঁড়াতে থাকে, রক্তাক্ত শরীর নিয়ে ছুটে আসেন লোকজন। জরুরি বিভাগের ভেতরটা পরিণত হয় যুদ্ধক্ষেত্রের জরুরি ফিল্ড হাসপাতালের মতো—ডাক্তার আর নার্সরা একসঙ্গে একাধিক রোগীর শ্বাস–প্রশ্বাস ঠিক আছে কি না, রক্তপাত কীভাবে থামানো যায়, কার আগে অপারেশন থিয়েটারে পাঠাতে হবে—এই সব সিদ্ধান্ত নিতে নিতে এক মুহূর্তের ফাঁকও পাচ্ছিলেন না। হাসপাতালের এক চিকিৎসক জানিয়েছেন, বেশ কয়েকজনের চোট এতটাই গুরুতর যে তাদের রক্ষা করতে রাতভর অস্ত্রোপচার চালাতে হয়েছে। বাইরে অপেক্ষারত স্বজনদের মুখে থমথমে নিরবতা; যার যার হাতে ধরা মোবাইল স্ক্রিনে ভেসে উঠছে টেলিভিশন চ্যানেলের খবর, আর নিজের প্রিয়জনের নামটা সেই অনলাইন স্ক্রলিং–এর মধ্যে খুঁজছেন সবাই।
বিস্ফোরণের মূল কেন্দ্রবিন্দুতে থাকা গাড়িটা হুন্ডাই আই–টুয়েন্টি—ভারতীয় শহুরে মধ্যবিত্তের কাছে খুবই পরিচিত একটি মডেল, যার বিজ্ঞাপনে নিরাপত্তা আর আরামদায়ক ড্রাইভিংয়ের কথা তুলে ধরা হয়। কিন্তু সোমবার সন্ধ্যায় সেই গাড়িটিই যেন এক মৃত্যুফাঁদে মনুষ্যজীবনকে টেনে নিয়েছে। দিল্লি পুলিশের বক্তব্য অনুযায়ী, গাড়িটি ধীরে চলছিল এবং সিগনালে থেমে থাকা অবস্থাতেই বিস্ফোরণ ঘটে। গাড়ির ভিতরে তিনজন ছিলেন বলে ধারণা, আর বিস্ফোরণটি শুরু হয় গাড়ির পেছনের দিক থেকে। ঘটনাস্থলের সিসিটিভি ফুটেজ ইতিমধ্যেই হাতিয়ে নিয়েছে তদন্তকারী দল; দেখা যাচ্ছে, বিকেল থেকে সন্ধ্যার মাঝামাঝি পর্যন্ত গাড়িটি লাল কেল্লার পার্কিং এলাকায় ঢুকেছে, কিছু ঘণ্টা সেখানে ছিল, পরে বেরিয়ে এসে এই সিগন্যালে এসে দাঁড়ায়—ঠিক ওই মুহূর্তেই সবকিছু ওলটপালট হয়ে যায়।
এই ভয়াবহ ঘটনার পরই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ রাতেই যান লাল কেল্লার কাছে বিস্ফোরণস্থলে এবং আহতদের দেখতে হাসপাতালে। তাঁর সঙ্গে ছিলেন দিল্লি পুলিশের শীর্ষ কর্তারা, ন্যাশনাল সিকিউরিটি গার্ড (এনএসজি), ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি (এনআইএ) ও বিভিন্ন কেন্দ্রীয় বাহিনীর সদস্যরা। কেন্দ্রীয় সরকার ঘোষণা করেছে, এই তদন্তে কোনো দিকই উপেক্ষা করা হবে না; ঘটনাটি স্রেফ দুর্ঘটনা, গাফিলতি নাকি পরিকল্পিত নাশকতা—সবকিছুই খুঁটিয়ে দেখা হচ্ছে। এদিকে দিল্লি, উত্তরপ্রদেশ ও মুম্বাইসহ বিভিন্ন রাজ্যে হাই অ্যালার্ট জারি হয়েছে; মেট্রো স্টেশন, বিমানবন্দর, সরকারি ভবন ও বড় শহরের ব্যস্ত বাজার এলাকায় বেড়েছে চেকিং ও টহল।
কিন্তু তদন্ত আর নিরাপত্তা ব্যবস্থার এই আনুষ্ঠানিক আলোচনার বাইরে, বিস্ফোরণের মুহূর্তের সেই মানসিক অভিঘাতটাই হয়তো দীর্ঘদিন ধরে নিয়ে বেড়াবেন প্রত্যক্ষদর্শীরা। যিনি অটোরিকশা চালিয়ে প্রতিদিন এই রুটে যাতায়াত করেন, তিনি হয়তো আজও চোখ বন্ধ করলে দেখতে পাচ্ছেন, ঠিক তাঁর সামনে থাকা একটা ছোট গাড়ি হঠাৎ অগ্নিগোলকে পরিণত হলো; বড়জোর কয়েকফুট দূরত্ব—সেকেন্ডের ব্যবধানে তিনি বেঁচে গেছেন, আর অন্য কেউ চিরতরে হারিয়ে গেলেন। যে দোকানদারটি তিনবার পড়ে গিয়ে আবার উঠে দাঁড়িয়েছিলেন, তাঁর কান এখনও সেই বিস্ফোরণের শব্দে বাজছে; রাতে ঘুম ভেঙে গেলে তিনি হয়তো নিজের অজান্তেই বেরিয়ে যাওয়ার পথটার দিকে তাকিয়ে যাচ্ছেন। আর এক বাসিন্দা, ছাদে দাঁড়িয়ে যিনি দূর থেকে দেখতে পেয়েছিলেন আগুনের দাউদাউ ছবি, তাঁর জন্য লাল কেল্লার আলোকোজ্জ্বল প্রাচীরেও এখন মিশে গেছে আগুনের শিখা আর ধোঁয়ার কুণ্ডলী।
অথচ এই লাল কেল্লাই আবার ভারতের রাষ্ট্রীয় পরিচয়ের একটি জ্বলজ্বলে প্রতীক—যেখানে প্রতি ১৫ আগস্ট স্বাধীনতা দিবসে প্রধানমন্ত্রী জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন, ট্যুরিস্টরা সারাদিন ঘুরে বেড়ান, সেলফি তোলেন, ইতিহাসের গর্বের সঙ্গে নিজেদের বর্তমানের ছবি মিলিয়ে দেখেন। মুঘল সম্রাট শাহজাহানের তৈরি এই দুর্গ, ইউনেসকো ঘোষিত বিশ্ব ঐতিহ্য, একসময় সাম্রাজ্যের রাজধানীর প্রতীক ছিল; আজ তা আধুনিক ভারতের সার্বভৌমত্বের প্রতীক। সেই স্থানটির গা–ঘেঁষে, মেট্রো গেট আর বাজার–পথের মোড়ে এমন একটি রক্তাক্ত বিস্ফোরণ আরও একবার মনে করিয়ে দিল, ইতিহাস যতই শক্ত আর গর্বের হোক, বর্তমানের নিরাপত্তা কখনোই স্বতঃসিদ্ধ নয়, প্রতিটি দিনই নতুন করে রক্ষা করতে হয়।
ঘটনার আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ প্রেক্ষাপট হলো, একই দিনে জম্মু–কাশ্মীর পুলিশ উত্তরপ্রদেশ ও হরিয়ানার কিছু জায়গায় অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরক, রাসায়নিক, আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করেছে; গ্রেপ্তার হয়েছে কয়েকজন, যাদের জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে সম্পর্ক থাকার অভিযোগ উঠেছে। প্রাথমিকভাবে দিল্লি পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, লাল কেল্লার বিস্ফোরণের সঙ্গে ওই গ্রেপ্তার বা জব্দ অভিযানের সরাসরি কোনো যোগসূত্র এখনও পাওয়া যায়নি। তবু দুটিই একই দিনে হওয়ায় জনমনে স্বাভাবিকভাবেই সন্দেহ ও আতঙ্কের জন্ম দিয়েছে—দেশজুড়ে কি তবে নতুন করে নাশকতার নীলনকশা আঁকা হচ্ছে? না কি কোথাও কোনো দুর্বল নিরাপত্তা বলয়কে কাজে লাগিয়ে একের পর এক ঘটনায় দেশকে অস্থির করে তোলার চেষ্টা চলছে?
রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু থেকে শুরু করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, বিরোধী নেতা রাহুল গান্ধী, বিভিন্ন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী—সবাই টুইট ও বিবৃতিতে নিহতদের প্রতি শোকপ্রকাশ করেছেন, আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করেছেন, কড়া ভাষায় নিন্দা করেছেন এই অমানবিক ঘটনার। আন্তর্জাতিক মহলেও এই বিস্ফোরণ নিয়ে উদ্বেগের প্রকাশ দেখা যাচ্ছে; দিল্লিতে অবস্থিত মার্কিন দূতাবাস নাগরিকদেরকে লাল কেল্লা ও চাঁদনি চক এলাকার আশেপাশে যেতে নিষেধ করেছে, সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছে। শহরের বাসিন্দারা বুঝতে পারছেন, স্রেফ ঘটনাস্থলের ক’টি রাস্তার কথা নয়, পুরো পুরোনো দিল্লি আর আশপাশের এলাকা এখনই এক অনিশ্চয়তার ভেতরে ঢুকে গেছে।
লাল কেল্লার বিস্ফোরণ আরও একবার আমাদের সামনে খুলে দিল বড় শহরের দুর্বলতাগুলোর আয়না। নাগরিক হিসেবে আমরা ভাবি, যখনই পুলিশ চেকপোস্ট দেখি, মেট্রো স্টেশনের গেটে ব্যাগ স্ক্যান হয়, বিমানবন্দরে লম্বা লাইনে দাঁড়িয়ে শরীর তল্লাশি দিতে হয়—এসব ঝামেলা আর বিরক্তিকর নিরাপত্তা–নিয়ম যেন আমাদের সময়ই খাচ্ছে। কিন্তু একই সঙ্গে সত্যি হলো, এই শহুরে জীবনের প্রতিটি নিরাপদ সেকেন্ডই আসলে অসংখ্য অদৃশ্য নিরাপত্তা বেষ্টনীর ফল। কোথাও সামান্য গাফিলতি, কোথাও নজরদারির ফাঁক, কোথাও বা অজানা প্রযুক্তি–ব্যবহারে অপরাধীরা এগিয়ে গেলেই সেই ‘সময়ে–খাওয়া’ নিরাপত্তা–প্রটোকল না থাকাটা কী ভয়াবহভাবে সামনে চলে আসে, লাল কেল্লার এই বিস্ফোরণ তার নির্মম প্রমাণ।
আরেক দিকে আবার একেবারে ব্যক্তিগত স্তরে, এই ঘটনা আমাদের মনে প্রশ্ন তোলে—এমন এক অনিশ্চয়তার ভেতরে আমরা প্রতিদিন বাস করি কীভাবে? যে শহরটি আমাদের কাজের জায়গা, ভালোবাসার স্মৃতি, বন্ধুত্ব আর স্বপ্নের ঠিকানা, সেই শহরেই যে কোনো সন্ধ্যায় বাড়ি ফেরার পথে হঠাৎ একটা সিগন্যালে থেমে থাকতেই এমন বিস্ফোরণ আমাদের জীবনের সব হিসেব মুছে দিতে পারে। যেমনভাবে সোমবারের সেই আই–টুয়েন্টি গাড়ির ভেতরে থাকা তিনজন হয়তো ভাবছিলেন, সোজা বাড়ি পৌঁছে যাব, কিংবা কোনো প্রিয়জনের সঙ্গে দেখা হবে; পরের মুহূর্তেই সব শেষ।
ফিচার লেখার এই পর্যায়ে এসে তাই প্রশ্নটা শুধু “কারা করল” বা “কেন করল”–এই সীমিত পরিধিতে আটকে থাকে না। হ্যাঁ, তদন্তের স্বচ্ছতা, অপরাধীদের বিচারের মুখে আনা—সবই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ; কিন্তু পাশাপাশি জরুরি হচ্ছে শহুরে নাগরিক জীবনের প্রতি আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি পাল্টানো। পাবলিক স্পেসে সন্দেহজনক কিছু নজরে এলে চোখ ফিরিয়ে নেওয়া নয়, বরং গুরুত্ব দিয়ে কর্তৃপক্ষকে জানানো; সোশ্যাল মিডিয়ায় অযাচিত গুজব ছড়ানো নয়, বরং সরকারি তথ্যের ওপর ভরসা রাখা; নিরাপত্তা–তল্লাশিকে ঝামেলা না ভেবে, নিজের এবং অন্যের জীবনরক্ষার অংশ হিসেবে দেখা—এই মানসিক পরিবর্তনই হয়তো এমন বহু বিপর্যয়ের ঝুঁকি অনেকটা কমিয়ে দিতে পারে।
দিল্লির লাল কেল্লার এই রক্তাক্ত সন্ধ্যা তাই কেবল ভারতের রাজধানীর এক দিনের খবর নয়, আমাদের সমগ্র উপমহাদেশীয় বাস্তবতারও প্রতিচ্ছবি। ঢাকার বাসিন্দা হোক বা কলকাতার, করাচি হোক বা কাঠমান্ডু—সবাই একইভাবে বড় শহরের ভিড়ে বাসে চড়ে, মেট্রো ধরতে ছুটে চলে, অফিস–ফেরত ট্রাফিকের গরমে হাঁপিয়ে ওঠে, আবার একইভাবে অজানা আতঙ্কের সঙ্গে লড়াইও করে। লাল কেল্লার বিস্ফোরণ আমাদের মনে করিয়ে দিক, নিরাপত্তা শুধু পুলিশের দায়িত্ব নয়, কোনো রাজনৈতিক দলের স্লোগানও নয়—এটা আমাদের সবার সম্মিলিত সামাজিক চুক্তি। সেই চুক্তিকে আরও দৃঢ় করে, প্রতিদিন একটু একটু করে সচেতনতার অভ্যাস গড়ে তুলতে পারলেই, হয়তো একদিন আমরা এমন সন্ধ্যার খবর কাগজের প্রথম পাতায় নয়, শুধু ইতিহাসের পাতাতেই দেখতে পাব।
আপনার মতামত জানানঃ