সিলেটে ইয়াবা বিক্রি করতে গিয়ে চার সহযোগীসহ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের বরখাস্তকৃত মো. রোকনউদ্দিন ভূঁইয়া উপপরিদর্শককে (এসআই) আটক করেছে কোতোয়ালী থানা পুলিশ। আটককৃত ব্যক্তিরা হলেন- রুকন উদ্দিনের সহযোগী রিমা বেগম, জসিম উদ্দিন, ফাহিম শাহরিয়ার ও ফরিদ আহমেদ। ১৭ জানুয়ারি ২০২১, সোমবার বিকেলে নগরীর সুবিদবাজার এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়।
এর আগে ২০১৯ সালের ২৬ জানুয়ারি শিশুদের আটকে রেখে জোরপূর্বক পতিতাবৃত্তিতে বাধ্য করা এবং ইয়াবা বিক্রির অভিযোগে সিলেট নগরের দাড়িয়াপাড়া এলাকার একটি বাসা থেকে এসআই রোকন উদ্দিন ও তার কথিত স্ত্রী রীমা বেগমকে আটক করেছিল র্যাব-৯। ২৬ জানুয়ারি দিবাগত রাতে অভিযানের সময় ওই বাসা থেকে ১২ ও ১৩ বছর বয়সের দুই কিশোরীকে উদ্ধার করা হয়েছে। পরে তাদের বিরুদ্ধে মাদক ও শিশুকে দিয়ে পতিতাবৃতির অভিযোগে আদালতে চার্জশিটও দেয়া হয়। ওই ঘটনায় রোকনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। এরপর তারা বেশ কয়েকমাস কারাগারে আটক থাকার পর উচ্চ আদালত থেকে জামিনে বের হন।
সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার বিএম আশরাফ উল্ল্যাহ তাহের গণমাধ্যম বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, ‘ইয়াবা বিক্রির সময় সিলেটের কোতোয়ালী থানা পুলিশের একটি দল তাদের হাতেনাতে আটক করে। এ সময় তাদের কাছ থেকে ১৮২ পিস ইয়াবা ও নগদ ৮২ হাজার টাকা জব্দ করা হয়।’তাদের বিরুদ্ধে পুলিশ মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে বলেও জানান তিনি। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সুবিদবাজারের চন্দ্রিমা আবাসিক এলাকার এ ব্লকের ৩নং খান মঞ্জিল বাসায় কোতোয়ালি থানার সহকারী কমিশনার মো. সামসুদ্দিন সালেহ আহমেদ ও অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এসএম আবু ফরহাদের নেতৃত্বে অভিযান চালানো হয়।
সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, মাদক চোরাচালান ও ব্যবসায়ের সঙ্গে পুলিশের জড়িয়ে পড়াতে সমাজে অস্থির পরিস্থিতি বিরাজ করছে। লোকজনের নিকট পুলিশ ভরসা হারিয়ে এখন মাদক সিন্ডিকেট ও সন্ত্রাসী সংগঠন ভিন্ন অন্যকিছু নয়। মাদকের সঙ্গে একেরপর এক পুলিশের জড়িয়ে পড়াতে একরকম আতঙ্ক বিরাজ করছে সমাজে। পুলিশের আইজিপি নিয়মিতই বলে যাচ্ছেন মাদকের সঙ্গে পুলিশের সংশ্লিষ্টতা থাকলে কোনো ছাড় নেই, যথাযথ ব্যবস্থা নিয়েই শুদ্ধি অভিযান চালাতে চান তিনি। অথচ মাদক ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের সঙ্গে পুলিশ জড়িয়ে পড়ায় হতাশ হয়ে পড়েছেন লোকজন। নিজেদের শুদ্ধ করতে পারছেন না যে বাহিনী, অন্যান্য অপরাধ পুলিশ নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসতে পারে, লোকজন এমন ভরসা হারিয়ে ফেলেছেন বলে মনে করেন তারা।
এসডব্লিউ/ফাআ/২২৩৭
আপনার মতামত জানানঃ