যুক্তরাজ্যের রয়্যাল ভেটেরিনারি কলেজের (আরভিসি) এক বিবৃতি অনুসারে, যে প্রাণীগুলোর ওজন দুই হাজার কেজিরও (২.২ টন) বেশি হয়ে থাকে এবং যারা বেশিরভাগ সময় পানিতে থাকতেই স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে, সেই প্রাণীগুলোকেই দ্রুত গতিতে চলাফেরা বা দৌড়ানোর সময় তাদের চারটি পা-ই মাটি থেকে শূন্যে ভাসাতে দেখা গেছে।
নতুন একটি গবেষণা বলছে, ভূমিতে দ্রুতগতিতে ছোটার সময় জলহস্তীরা শূন্যে ভাসতে পারে। যুক্তরাজ্যের রয়্যাল ভেটেরিনারি কলেজের (আরভিসি) এক বিবৃতি অনুসারে, যে প্রাণীগুলোর ওজন দুই হাজার কেজিরও (২.২ টন) বেশি হয়ে থাকে এবং যারা বেশিরভাগ সময় পানিতে থাকতেই স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে, সেই প্রাণীগুলোকেই দ্রুত গতিতে ছোটার সময় তাদের চারটি পা-ই মাটি থেকে শূন্যে ভাসাতে দেখা গেছে।
৩২টি গন্ডারের ছোটাছুটির ভিডিও বিশ্লেষণ করে গবেষকরা এ তথ্য তুলে ধরেছেন। তারা বলছেন, দ্রুতগতিতে চলার সময় জলহস্তীরা প্রতিটি পদক্ষেপের প্রায় ১৫ শতাংশ মাটি স্পর্শ না করে এগিয়ে যায়।
প্রধান গবেষক ও আরভিসির এভোল্যুশনারি বায়োমেকানিক্সের অধ্যাপক জন হাচিনসন সিএনএনকে বলেন, জলহস্তীরা কীভাবে মাটিতে চলাফেরা করে, সে বিষয়ে খুবই কম তথ্যই জানা ছিল।
তিনি বলেন, ‘প্রাণীগুলো নিয়ে গবেষণা সত্যিই কঠিন ছিল। এরা যে বেশিরভাগ সময় শুধু পানিতেই থাকে তা নয়, এরা খুবই আক্রমণাত্মক ও বিপজ্জনক। প্রাণীগুলো রাতের বেলায়ও সক্রিয়ভাবে চলাচল করে থাকে।’
ভিডিওগুলো বিশ্লেষণ করে গবেষকরা দেখেছেন, যখন কোনো কিছু প্রাণীগুলোকে প্ররোচিত করে যেমন, যখন গন্ডার, সিংহ কিংবা এক জলহস্তী অন্য আরেক জলহস্তীকে তাড়া করে, তখন তাদের মধ্যে দ্রুত ছোটার প্রবণতা দেখা যায়।
ভিডিওটি বিশ্লেষণ করে গবেষকরা জলহস্তীদের হাঁটার স্বতন্ত্র ধরনের বিষয়টিও ব্যাখ্যা করেছেন। তারা বলেছেন, প্রাণীগুলো যে গতিতেই চলাফেরা করুক না কেন, এরা প্রতিটি পদক্ষেপে সামনের একটি পা ও পেছনের একটি পা একসঙ্গে একই দিকে ব্যবহার করে। খুব কম সংখ্যক চার পা বিশিষ্ট প্রাণীকে এভাবে হাঁটতে-চলতে দেখা যায়।
হাচিনসন জানান, তাদের গবেষণার ফলাফল বন্দি অবস্থায় থাকা জলহস্তীর যত্ন নেওয়া ও প্রাণীগুলো কোনো ধরনের শারীরিক সমস্যায় ভুগছে কি না, সেটি শনাক্তকরণ ও পর্যবেক্ষণে সহায়ক হবে। গবেষণাটি গত বুধবার (৩ জুলাই) পিয়ারজে জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে।
আপনার মতামত জানানঃ