রক্ষণশীল সৌদি আরবে এবার ঘটলো ভিন্ন এক ঘটনা। যা বেশ চর্চিত হচ্ছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ বিশ্ব মিডিয়ায়। যেখানে নারীদের পোশাক নিয়ে ছিলো বাধ্যবাধকতা, সেই সৌদিতে হয়ে গেলো সাঁতারের পোশাক বা স্নানপোশাক পরিহিত নারীদের ফ্যাশন শো!
প্রথমবার সৌদির মাটিতে আয়োজন করা হলো এমন ফ্যাশন শোয়ের। খালিজ টাইমের এক প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, সৌদিতে উদযাপিত হচ্ছে রেড সি ফ্যাশন উইক। শুক্রবার ছিল তার দ্বিতীয় দিন। আর সেদিন আয়োজন করা হয়েছিল এই বিশেষ ফ্যাশন শোয়ের।
সেন্ট রেজিস রেড সি রিসর্টের সুইমিং পুলের ধারে বসে ছিল এর আসর। এদিন মডেলদের পরনে ছিল স্নানপোশাক বা সুইমস্যুট। মডেলদের পোশাকে রঙের পাশাপাশি ঢঙেরও বৈচিত্র ছিল ঢের। মরক্কোর ডিজাইনার ইয়াসমিনা কাঞ্জলের তৈরি স্নানপোশাকে সেজে উঠেছিলেন মডেলরা।
এই উৎসবের অংশ হতে পেরে উচ্ছ্বসিত ইয়াসমিনাও। এক সাক্ষাৎকারে পোশাকের বিষয়ে বলতে গিয়ে তিনি বলেন, রক্ষণশীল সংস্কৃতির কথা মাথায় রেখেই রুচিশীল স্নানপোশাক তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। এই ফ্যাশন শোয়ে অংশ হতে পেরে আমি খুব খুশি।
সৌদি আরবকে আরও আধুনিক, উদার এবং ব্যবসা ও পর্যটনবান্ধব করতে ২০১৬ সালে ‘ভিশন ২০৩০’ ঘোষণা করেছিলেন ক্রাউন প্রিন্স মোহামেদ বিন সালমান৷ এরপর বেশ কিছু আইনে পরিবর্তন করা হয়৷ ফলে সেদেশের নারীরা এখন গাড়ি চালানো, একা সিনেমা হলে যাওয়া, ঘুরতে যাওয়াসহ নানান কাজ করতে পারছেন৷
সাম্প্রতিক পরিবর্তনগুলোও ভিশন ২০৩০ এর অংশ বলে বিবেচনা করা যেতে পারে৷ এমনও কথা শোনা যাচ্ছে, সেখানে অ্যালকোহল পান বিষয়ে সীমিত পরিসরে হলেও অনুমোদন দেয়া হতে পারে৷
বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, কট্টর রক্ষণশীল দেশ হিসেবে পরিচিত সৌদি আরব দেরি হলেও নিজেদের বুঝতে পারার চেষ্টা করছে। উবার চালানো, সাইকেল চালানো, ট্রেন চালানো সৌদি নারীদের জন্য যুগান্তকারী এক ব্যাপার বটে। বিশ্বের অন্যান্য স্বাধীন নারীদের মতো সৌদি আরবের নারীরাও নিজেদের স্বাধীনতা ফিরে পাবেন এমন প্রত্যাশা লক্ষণীয় বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।
আপনার মতামত জানানঃ