স্টেটওয়াচ রিসার্চ নেটওয়ার্ক কাজ করছে বাংলাদেশে আইনপ্রয়োগের সার্বিক চিত্র তুলে ধরার পাশাপাশি মতপ্রকাশের স্বাধীনতা সংক্রান্ত বাস্তবতা নিয়ে। এর অংশ হিসেবে স্টেটওয়াচ নিউজে আমরা প্রতিদিনকার আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতা ও গণমাধ্যম সংক্রান্ত খবরাখবরগুলো সংক্ষেপে তুলে ধরার উদ্যোগ নিয়েছি। প্রতিদিন নিম্নোক্ত মাধ্যমসমূহ থেকে সংবাদগুলো সংগ্রহ ও তা নথিবদ্ধ করছে আমাদের কর্মীরা: প্রথম আলো, কালের কণ্ঠ, যুগান্তর, সমকাল, নয়া দিগন্ত, ইত্তেফাক, দেশ রূপান্তর, ডেইলি স্টার, নিউ এজ, দ্য ফিনান্সিয়াল এক্সপ্রেস, বাংলা ট্রিবিউন, বিডিনিউজ২৪ ডটকম, আমাদের সময়, মানবজমিন। আমরা আশা করি, এই প্রতিবেদন নিয়মিত প্রকাশের মাধ্যমে জনগণের তথ্যপ্রাপ্তির অধিকার আরো শক্তিশালী হবে।
১১ জানুয়ারি ২০২১, সোমবার, ২৭ পৌষ ১৪২৭, পত্র-পত্রিকায় প্রকাশিত
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও গণমাধ্যম সংক্রান্ত নির্বাচিত খবরের সার-সংক্ষেপ
পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে স্বামীহারা অসহায় নারীর মামলা
যুগান্তর
বিভাগ: রাষ্ট্রীয় বাহিনী
কুমিল্লার চান্দিনায় স্বামীহারা অসহায় নারীর পরিবারের ওপর অত্যাচার করে ভয়ভীতি দেখানোর অভিযোগে কুমিল্লার চান্দিনায় এক পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। ওই পুলিশ কর্মকর্তার আপন চাচি আদালতে মামলাটি দায়ের করেন।
পুলিশে চাকরির সুবাদে পরিবার ও এলাকায় প্রভাব বিস্তার করে নিরীহ মানুষের ওপর অত্যাচার ও হুমকি-ধমকি দেওয়ার অভিযোগ এনে গত ৬ জানুয়ারি কুমিল্লা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলাটি দায়ের করেন পুলিশ কর্মকর্তা মনিরুল ইসলামের চাচি মর্জিনা বেগম।
পুলিশের এসআই মনিরুল ইসলাম কুমিল্লার চান্দিনা উপজেলার মাধাইয়া ইউনিয়নের বড়কলাগাঁও গ্রামের বাচ্চু মিয়ার ছেলে। তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সদর থানায় কর্মরত আছেন।
মর্জিনা বেগম জানান, ৬ মেয়ে ও নাবালক ২ ছেলে রেখে আমার স্বামী প্রায় ১৬ বছর আগে মৃত্যুবরণ করেন। আমার স্বামীর মৃত্যুর পরপরই আমার স্বামীর সৎভাই বাচ্চু মিয়ার ছেলে মনির হোসেন আমার ও আমার পরিবারের ওপর অন্যায় অত্যাচার করে চলছে। আমার জমিজমা দখল করতে আমাকে বাড়ি ছাড়ার হুমকি দিয়ে চলছে। আমার উপার্জনক্ষম কোনো সন্তান নেই। কখনো অর্ধাহারে আবার কখনো অনাহারে দিনাতিপাত করছি। তার কবল থেকে রক্ষা পেতে আমি বুধবার আদালতে ১০৭ ও ১১৭ ধারায় মামলা দায়ের করেছি।
এ ব্যাপারে এসআই মনিরুল ইসলাম জানান, তারা আমার মামলার আসামি। তারা আমার বিরুদ্ধে মামলা করে কীভাবে? তারা মামলা করলে সেগুলো মিথ্যা ও বানোয়াট।
করোনায় কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালের প্রচেষ্টা মহাকাব্যিক: আইজিপি
দেশ রুপান্তর
বিভাগ: রাষ্ট্রীয় বাহিনী
‘করোনা সংকট মোকাবেলায় কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালের ওয়ার্ড বয় থেকে শুরু করে চিকিৎসক, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মী, প্রশাসকসহ সবার এক মহাকাব্যিক প্রচেষ্টা ছিল। এ মহাকাব্যিক প্রচেষ্টায় সবাই যে দুর্দমনীয় সাহস দেখিয়েছেন, ঝুঁকি নিয়েছেন, পেশাগত মমত্ববোধ দেখিয়েছেন তা এক অনন্য নজির সৃষ্টি করেছে, যা সত্যিই বিরল। করোনা মহামারিকালে কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালের পেশাগত দক্ষতার স্বীকৃতি সমগ্র দেশ দিয়েছে, দেশে-বিদেশে প্রশংসিত হয়েছে’।
রবিবার দুপুরে রাজারবাগ পুলিশ অডিটরিয়ামে কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালের কোভিড-১৯ সম্মুখযোদ্ধাদের স্বীকৃতি ও পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. বেনজীর আহমেদ এসব বলেন।
করোনা আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নেয়া র্যাবের মহাপরিচালক চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন, নৌ পুলিশের ডিআইজি মো. আতিকুল ইসলাম চিকিৎসাকালীন তাদের অভিজ্ঞতা ও অনুভূতি ব্যক্ত করেন।
অনুষ্ঠানে ঢাকাস্থ পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটের প্রধান, ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তা এবং হাসপাতালের সব পর্যায়ের করোনাযোদ্ধারা উপস্থিত ছিলেন।
আইজিপি বলেন, সারা বিশ্বের মতো আমাদের জন্যও করোনা ছিল একটি সম্পূর্ন নতুন অভিজ্ঞতা। সঙ্গত কারণেই করোনার জন্য আমাদের কোনো পূর্বপ্রস্তুতি ছিল না। কিন্তু আমাদের বুক ভরা সাহস ছিল, পরাভব না মানার প্রবল প্রত্যয় ছিল। আমরা হতবিহ্বল না হয়ে দুর্দমনীয় প্রত্যয় নিয়ে করোনা মোকাবেলা করেছি। আমরা জানি, বাংলাদেশের মানুষ, বাঙালি জাতি কখনো পরাভব মানে না।
আইজিপি বলেন, ‘করোনা মোকাবিলায় আমাদের কোনো অভিজ্ঞতা ছিল না। কোন সুরক্ষা সামগ্রীও ছিল না। তবু সুরক্ষা সামগ্রীর জন্য অপেক্ষা না করে, নিশ্চিত মৃত্যুর ঝুঁকি কাঁধে নিয়ে জনগণের সুরক্ষায় মাঠে থেকেছে পুলিশের প্রত্যক সদস্য। দায়িত্ব পালনকালে অনেক পুলিশ সদস্য আক্রান্ত হয়েছে। পরবর্তীতে, বাংলাদেশ পুলিশের প্রত্যেক সদস্যকে পর্যাপ্ত সুরক্ষা সামগ্রী মাস্ক, স্যানিটাইজার, পিপিই ইত্যাদি সংগ্রহ করা হয়েছে’।
দুদকের মামলা
বরখাস্ত ওসি প্রদীপের জামিন ফের নামঞ্জুর
দেশ রুপান্তর
বিভাগ: রাষ্ট্রীয় বাহিনী
অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান হত্যা মামলার আসামি কক্সবাজারের টেকনাফ থানার বরখাস্ত হওয়া ওসি প্রদীপ কুমার দাশের বিরুদ্ধে দুদকের করা অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলায় জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেছে আদালত। গতকাল রবিবার চট্টগ্রামের সিনিয়র স্পেশাল জজ ও মহানগর দায়রা জজ শেখ আশফাকুর রহমান জামিন আবেদনের শুনানি শেষে এ আদেশ দেন। এর আগে গত বুধবার আসামির পক্ষে জামিনের আবেদন করা হয়।
দুদকের আইনজীবী মাহমুদুল হক বলেন, ‘জামিন আবেদনের শুনানিতে আমরা এর বিরোধিতা করি। শুনানি শেষে আদালত জামিন নামঞ্জুর করেছে। পাশাপাশি তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে ৮ মার্চ পর্যন্ত সময় দিয়েছে।’
দুদকের এই মামলায় দ্বিতীয়বারের মতো প্রদীপের জামিন আবেদন নামঞ্জুর হলো। এর আগে গত বছরের ২০ সেপ্টেম্বর প্রথম দফায় তার জামিনের আবেদন খারিজ করে আদালত। এদিকে অবৈধ সম্পদ অর্জনের এ মামলাটিতে তদন্ত প্রতিবেদন জমা এ নিয়ে চতুর্থবারের মতো পেছাল। গতকাল শুনানির সময় বরখাস্ত ওসি প্রদীপকে আদালতে হাজির করা হয়।
টেকনাফ থানার বরখাস্ত ওসি প্রদীপ ও তার স্ত্রী চুমকি কারণের বিরুদ্ধে গত ২৩ আগস্ট দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১-এ মামলাটি করেন দুদকের সহকারী পরিচালক মো. রিয়াজ উদ্দীন। এতে তাদের বিরুদ্ধে প্রায় ৪ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ করা হয়। এর মধ্যে ৩ কোটি ৯৫ লাখ ৫ হাজার ৬৩৫ টাকা ওসি প্রদীপ ঘুষ-দুর্নীতির মাধ্যমে অর্জন করেছেন বলে অভিযোগ এনেছে দুদক। এ ছাড়া ১৩ লাখ ১৩ হাজার ১৭৫ টাকা সম্পদের তথ্য বিবরণীতে গোপন করার অভিযোগ আনা হয়েছে চুমকির বিরুদ্ধে। প্রদীপ ঘুষ-দুর্নীতির মাধ্যমে সম্পদ অর্জন করে স্ত্রীর নামে হস্তান্তর ও স্থানান্তর করেছেন বলেও দুদকের অনুসন্ধান প্রতিবেদন এবং এজাহারে বলা হয়।
যুব ও স্বেচ্ছাসেবক দলের কর্মসূচিতে পুলিশের বাধা
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের গ্রেফতারি পরোয়ানার প্রতিবাদ
যুগান্তর
বিভাগ: রাষ্ট্রীয় বাহিনী
বরিশাল দক্ষিণ জেলা যুবদলের সভাপতি পারভেজ আকন বিপ্লবের মৃত্যুতে পটুয়াখালীর দশমিনায় শোকসভা এবং জয়পুরহাটে কালোব্যাজ ধারণ কর্মসূচি পালন করেছে যুবদলের নেতাকর্মীরা। এদিকে, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে মামলা ও গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির প্রতিবাদে গাইবান্ধা, সিলেট ও বরিশালে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেছে স্বেচ্ছাসেবক দল। এর মধ্যে জয়পুরহাট ও বরিশালে কর্মসূচিতে পুলিশ বাধা দেয়।
Ekattor TV asked to defend contempt of court claim by Jan 17
New Age
Category : Media
The High Court on Sunday asked the Ekattor Television authority to explain on January 17 its position over broadcasting the interview of wanted accused Prashanta Kumar Halder in a live talk-show on December 28, 2020. The online bench of Justice Md Nazrul Islam Talukder and Justice Mohi Uddin Shamim asked Ekattor TV to appear before it on January 17 and ‘deliver statements personally or submit written statements by appointing lawyers through affidavits or verbal statements’. The court said, ‘We are of the view that justice would be met if, before issuing the contempt rule, the authority of Ekattor TV should be heard at length by this court. In view of the above we are not inclined to pass any order over the matter before hearing the TV channel authority.’
The Anti-Corruption Commission petitioned the High Court that Ekattor TV allegedly committed contempt of the court by airing the interview of former NRB Global Bank managing director PK Halder, wanted in a series of loan scams and embezzlement cases.
On behalf of the ACC, lawyer Khurshid Alam Khan told the court that the contempt charges should be brought against Ekattor TV managing director Mozammel Haque, ATN Bangla chief executive editor JE Mamun, Ekattor’s talk-show anchors Mithila Farzana and Mahbub Hasan and its reporters Milton Anwar and Kaberi Maitraya — for ‘willfully maligning the court and the ACC’ by presenting absconder PK Halder before the television.
Khurshid Alam also told the court that the contempt ruling should be issued against the six persons since the authority of Ekattor TV showed ‘highhandedness by willfully undermining the prestige of the judiciary by making an arrangement for the interview of an absconding accused’.
The ACC dubbed it ‘yellow journalism’ referring to the way the presenters, reporters and the authority of Ekattor TV presented PK Halder, saying that a contempt ruling should be issued against the channel’s authority to stop such journalism.
Ex-OC Pradeep refused bail in graft case
New Age
Category : State force
A Chattogram court on Sunday denied bail to former Teknaf police officer-in-charge Pradeep Kumar Das in a graft case filed in connection with amassing wealth from unknown sources. Chattogram Metropolitan Senior Special Sessions Judge Sheikh Ashfaqur Rahman passed the order after a bail hearing at around 1:00pm, said Kazi Sanwar Hossain Lablu, a lawyer of Anti-Corruption Commission. Earlier, the court ordered showing OC Pradeep arrested in the graft case on September 14.
ACC filed the case against Pradeep and his wife on August 23 for amassing wealth of about Tk 4 crore from unknown sources. Mohammad Riaz Uddin, deputy director of ACC, filed the case with the integrated court of Chattogram Divisional ACC office.
ACC sources said the anti-graft watchdog’s investigation against OC Pradeep started in 2018.
Pradeep and his wife were asked to submit their wealth statement on April 20 in 2020. They filed their statements in June in the year.
আপনার মতামত জানানঃ