দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে চলছে নানা তর্ক-বিতর্ক। সময়নির্ভর একটি আয়োজন নিয়ে এসেছে চ্যানেল আই। তর্কে-বিতর্কে নির্বাচন ‘শিরোনামের একটি অনুষ্ঠানের মাধ্যমে জনতার কাঠগড়ায় তাদের এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে হাজির করেছে তেমনই তিন জন প্রতিনিধিকে। তারা হলেন, গাইবান্ধা-১ আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী, বিরোধী দল বিএনপি’র মনোনীত প্রতিনিধি জাহাঙ্গীর আলম জিন্নাহ এবং ন্যাশনাল পিপলস পার্টির একজন প্রতিনিধি মর্জিনা খান (মিসেস খালেকুজ্জামান খান দুদু)।
অনুষ্ঠানে তারা কথা বলেন, বাংলাদেশের গণতন্ত্র, নির্বাচনী সংস্কৃতি, রাজনৈতিক সংঘাত, দ্রব্যমূল্য এবং তাদের প্রতি মানুষের আকাক্সক্ষা নিয়ে। দেশের যে তরুণ প্রজন্ম রয়েছে, তাঁরাও ভোটার। তাঁদের নিয়ে কী ভাবছে প্রতিনিধিরা। সে সব তথ্য উঠে এসেছে আলোচনায়। তুলে ধরেন নারীদের নিয়ে তাদের চিন্তা-ভাবনা। ঐ এলাকায় প্রচণ্ডভাবে বেকারত্ব রয়েছে তা নিয়ে কী ভাবছে জনপ্রতিনিধিরা। প্রথমেই কথা বলেন জাহাঙ্গীর আলম জিন্নাহ।
তিনি বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যে আকাক্সক্ষা নিয়ে এই দেশ স্বাধীনতার নেতৃত্ব দিয়েছিলেন, তার প্রথম কথা ছিল গণতন্ত্র। আমার ভোটের অধিকার নিশ্চিত করা। যেটা সেদিনের পশ্চিম পাকিস্তানিরা আমাদের বাংলাদেশের জাতির পিতার নেতৃত্বে সংখ্যাগরিষ্ঠতায় আসন পেলেও, সেদিন ক্ষমতা না দেয়ায় ’৭১ সৃষ্টি হয়েছিল। আমরা স্বাধীনতা লাভ করেছি।
তিনি বলেন, কিন্তু আমি কী দেখছি, আমাদের দল বিএনপি কী চাচ্ছে? এখন একটা অপবাদ দেয়া হয় যে, বিএনপি ভোটে বিশ্বাস করে না। বিএনপি চায়, শান্তিপূর্ণ নির্বাচন, যার ভোট সেই দেবে। মানে অংশগ্রহণমূলক, শান্তিপূর্ণ এবং সহ- অবস্থানমূলক নির্বাচন। কিন্তু আজকে ’১৪ এবং ’১৮-এর যে নির্বাচন আমরা দেখেছি। সেই নির্বাচন আমার দল চায় না। আমি মনে করি যে, জাতির পিতার কন্যা তিনি ইচ্ছা করলেই আজকে যে নির্বাচন নিয়ে হরতাল, অবরোধ-সংঘাত, তা মিটিয়ে ফেলতে পারেন। আমরা শুনেছি, আমরা দেখেছি যে, বঙ্গবন্ধুকে বলা হতো হিমালয়সম উনার হৃদয়। তারই কন্যা, আমি ব্যক্তিগতভাবে তার কাছে আশা করবো, এই নির্বাচনের আগে সংবিধানে যাই থাক নির্বাচনকালীন সময়ে সব দেশেই একটা অন্তর্বর্তী সরকার হয়।
এই মুহূর্তে অন্তত আমাদের মাননীয় রাষ্ট্রপতির নেতৃত্বে এই দেশ এবং জাতিকে এই ক্রান্তিকাল থেকে রক্ষার জন্য অন্তত একটা সকল দলের সঙ্গে আলোচনা করে গ্রহণযোগী অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন করে নির্বাচন করলে এই জাতির ক্রান্তিকাল মোচন করা সম্ভব। এখন যে অবস্থা আছে এই অবস্থায় কোনো ক্রমেই সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়। তার কারণ সরকার নির্বাচনের আগেই সকল জেলার ডিসি/এসপিদের নতুন ভাবে সাজিয়েছেন। তাই তাদের দিয়ে সুষ্ঠু নির্বাচন কোনোভাবেই সম্ভব নয়।
তিনি আরও বলেন, বর্তমান সরকারের আমলে ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। এটা অস্বীকার করার কোনো উপায় নেই। শুধুমাত্র মেট্রোরেল আর ১২ লেন রাস্তায় উন্নয়ন নয়। মানুষের জীবনমান উন্নয়নটাও জরুরি। সেদিক দিয়ে সাধারণ মানুষের জীবনমানের কোনো উন্নয়ন হয়নি। বাজারে গেলে মানুষের যে নাভিশ্বাস। এই দ্রব্যমূল্য উন্নয়নকে গিলে খেয়েছে। দ্রব্যমূল্যের কষাঘাতে মানুষ আজ জর্জরিত-অতিষ্ঠ। তারা এখন উন্নয়ন দেখছে না, নিজে টিকে থাকার চেষ্টা করছে। দ্রব্যমূল্য যদি সরকার সহনীয় পর্যায়ে আনতে পারতো, তাহলে এই উন্নয়ন মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্য বা দৃশ্যমান হতো। দেশে সবধরনের দ্রব্য বা পণ্য রয়েছে। শুধুমাত্র ম্যানেজমেন্টের অভাবে এই সমস্যা হচ্ছে। বিএনপি সরকার এলে এটা অবশ্যই নিয়ন্ত্রণে আনবে।
মর্জিনা খান বলেন, আমার দল এবং দলের চেয়ারম্যান শেখ সালাউদ্দিন সালু ভাই বলেছেন যে, এনপিপি ৩০০টি আসনে প্রার্থী দিয়েছেন। বেকার সমস্যা সমাধান আমরা সংসদে গেলে করতে পারবো। এতে দেশের অনেক উন্নতিও হবে। খাদ্যদ্রব্য আশ্বিন-কার্তিকের এই সময় কোথাও কোনো জমিতে উৎপাদন হয় না। এখন এই মৌসুমে এসে অনেক খাদ্যদ্রব্য উৎপন্ন হয়েছে। পর্যায়ক্রমে এর দামও কমে গিয়েছে। এটা কোনো রাজনৈতিক দল বা কেউ আসলে আশ্বিন-কার্তিক মাসে খাদ্যদ্রব্যের দাম কেউ কমাতে পারবে না। তবে সিন্ডিকেট ভেঙে দিতে আমার দল কার্যকরী ভূমিকা রাখবে।
ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী বলেন, জাতীয় পার্টির একটা নির্দিষ্ট ভিশন আছে। আমরা সেই ভিশনেই কাজ করে যাচ্ছি। অবশ্যই অস্বীকার করা যাবে না, বিগত টানা তিনটি ট্রাম আওয়ামী লীগ সরকার থাকার কারণে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে কিছু সুপার উন্নয়ন হয়েছে। যেমন মেট্রো- রেল হয়েছে, এক্সপ্রেসওয়ে হয়েছে, থার্ড টার্মিনাল হয়েছে, কক্সবাজারে বড় একটি স্টেশন হয়েছে, পদ্মা ব্রিজ হয়েছে, কর্ণফুলী টানেল হয়েছে। এগুলো অবশ্যই ভালো দিক। পাশাপাশি শতভাগ বিদ্যুৎ হয়েছে, যদিও শতভাগ সময় বিদ্যুৎ হচ্ছে না। এর পাশাপাশি ব্যাংক লুট হয়েছে, মানি লন্ডারিং হয়েছে।
তিনি বলেন, আমরা দক্ষতা বাড়ানোর চেষ্টা করবো। যেগুলো ইন্টারন্যাশনাল ও গ্লোবাল ক্রাইসিস সেগুলোকে প্রশমন করতে হবে। আর যেগুলো আমাদের অভ্যন্তরীণ সমস্যা সেগুলোকে সমাধান করতে হবে। দুর্নীতি এবং উন্নয়ন দুটি এক সঙ্গে যেতে পারে না। সিন্ডিকেট আছে। আমি মনে করি সামনের সরকারকে প্রথম দিন থেকেই দুর্নীতিবিরোধী অভিযান করতে হবে। প্রথম দিন থেকেই সুশাসন প্রতিষ্ঠা করতে হবে। প্রথম দিন থেকেই সিন্ডিকেট ভেঙে ফেলতে হবে। দেশটা জনগণের।
জনগণের ক্ষমতায়ন করতে হবে। ফিদেল ক্যাস্ত্রো বলেছিলেন, উনি হিমালয় দেখেননি, কিন্তু বঙ্গবন্ধুকে দেখেছেন। সেই বঙ্গবন্ধুর দেশে গুটিকয়েক সিন্ডিকেট আলু-পিয়াজ-পোটল, এগুলোর বাজার নিয়ন্ত্রণ করবে! এটা তো হতে পারে না। আজকে যেটা আমার দেশে উৎপাদন হচ্ছে সেটার দাম কিছু বাড়তে পারে, কিন্তু তার দাম তিনগুণ হতে পারে না। সবজির বাজারে মানুষ যেতে পারছে না। এই জিনিসগুলো অবশ্যই সরকারের বড় বড় ব্রিজ- টার্মিনালের থেকেও গুরুত্ব দিতে হবে।
তিনি জানান, কোটি কোটি গরিব লোক বা কোটি কোটি হতদরিদ্র লোক, যেটা আমার এলাকায় অনেক বেশি, তাদের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে জিনিসকে রাখতে হবে। যদি জিনিসের দাম ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে যায়, তাদের নগদ অর্থ সহায়তা দেয়া উচিত। একটা মেগা প্রজেক্টের টাকা গরিবদের পুরোপুরি দেয়া উচিত। উত্তরবঙ্গের দরিদ্র মানুষকে প্রতি মাসে সাবসিডি দিতে হবে। যদি তার চাকরি না থাকে, যদি সে বেতন না পায়, তাহলে সেই টাকাগুলো দিয়ে ছয় মাস-এক বছর চলবে। পশ্চিমবঙ্গের কোনো মেয়ের যদি চাকরি না থাকে, তাকে বেকার ভাতা দেয়া হয়। তাদের অর্থনীতি তো আমাদের থেকে দুর্বল। কিন্তু তাঁরা এটা দিতে পারছে। কারণ তাঁরা তাঁদের জনগণকে স্বস্তি দিতে পারছে। আমাদের সামনের সরকারের প্রধান লক্ষ্য হবে, জনগণের স্বস্তি প্রদান করা।
নারী এবং তরুণ-যুবকদের নিয়ে তাঁদের ভাবনার কথা বলতে গিয়ে জাহাঙ্গীর আলম জিন্নাহ বলেন, নারী এবং তরুণরা ভাবছে, ’১৪-তে আমরা ভোট দিতে পারিনি, ’১৮-তে আমরা ভোট দিতে পারিনি। সামনের নির্বাচনে আমরা ভোট দিতে পারবো তো। এটাই তাদের জিজ্ঞাসা। দেশের মানুষ সকলে চাচ্ছে, আমার ভোট আমি দিবো, যাকে খুশি তাকে দেবো। এই দাবিটাই বিরোধী দল বিএনপি’র।
কিন্তু আজকে প্রথম তাদের দাবি, আমরা স্বাধীন দেশে ভোট দিতে পারছি না। তরুণ-যুবকদের ব্যাপারে আমি বলবো, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান কিন্তু যুব উন্নয়ন মন্ত্রণালয় করে যুবকদের কর্মসংস্থানের জন্য জেলা, থানা এবং ইউনিয়ন পর্যায়ে কমিটি করেছিল। যেখানে যুবকদের অংশগ্রহণের মাধ্যমে উন্নয়নের ব্যবস্থা করেছিল। আজকে ৯৯ শতাংশ তরুণ বেকার। এই বেকারত্বের অভিশাপ থেকে তারা মুক্তি চায়। এবং নারীর প্রতি যে সহিংসতা, যে বৈষম্য, সেটা অতীতে ছিল, এখনো আছে। নারীরা তাদের এই বৈষম্য থেকে মুক্তি চায়। আমার দল এই সরকারের অধীনে নির্বাচনে যাবে না। তাই এই সম্পর্কে আমার কিছু বলার নেই।
মর্জিনা খান বলেন, আমার দল যদি সামনে জয়যুক্ত হয়, বা আমরা যদি সরকার গঠন করি। তবে আমার দল বেকার তরুণদের জন্য কাজ করবে। আমরা সময় উপযোগী ফ্যাক্টরি-কলকারখানা তৈরি করবো। শুধু দেশেই নয়, বিদেশেও বিনা খরচে শ্রমিক হিসেবে পাঠানোর পরিকল্পনা আমার দলের রয়েছে।
ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী বলেন, যুবক এবং নারীদের পলিটিক্যালি ক্ষমতায়ন করতে হবে। আমাদের দেশে অর্ধেক নারী ভোটার। কিন্তু নির্বাচনের মাঠে অর্ধেক নারী নেই। আবার ৭০-৮০ শতাংশ ভোটার তরুণ। কিন্তু তাদেরও রাজনীতির মাঠে দেখা যায় না। আমাদের পার্টি থেকে আমি একমাত্র তরুণ প্রেসিডিয়াম মেম্বার। আবার আমাদের সংসদে এই বয়সী সংসদ সদস্য হাতেগুনে ৫ জন রয়েছে। যেখানে ৫০-১০০ জন এমপি থাকা উচিত। যদি আপনি তারুণ্যের ভাবনাকে প্রতিফলিত করতে চান। এই মুহূর্তে আমাদের দরকার দক্ষতা, দক্ষতা এবং দক্ষতা।
দক্ষতা বাড়াতে হবে, কর্মমুখী শিক্ষা দিতে হবে। মেয়েরা যারা গৃহিণী তাদের ঘরে বসে আয়ের সুযোগ করে দিতে হবে। নারীদের শিক্ষাক্ষেত্রে কোটা দিতে হবে। কারণ তারা অনেক সুবিধা থেকে এখনো বঞ্চিত। এই বিষয়গুলো যদি রাষ্ট্র তার ভাবনায় রাখে, তাহলে ভবিষ্যতে আমরা নারীদের এগিয়ে নিতে পারবো। আমাদের নারীদের ক্ষমতায়নে গার্মেন্টস একাই একটা বিশাল ভূমিকা পালন করছে। এখন সময় এসেছে পরবর্তী ধাপে যাওয়ার।
নারী শিক্ষায় সরকারের আরও অনেক ভূমিকা রাখতে হবে। ১৮ বছর পর্যন্ত নারী শিক্ষা অবৈতনিক, বাধ্যতামূলক এবং বিনামূল্যে হওয়া উচিত। উল্টো স্কুলে যাওয়ার বিনিময়ে বৃত্তির ব্যবস্থা রাখতে হবে। এখনো কিছু কিছু বৃত্তির ব্যবস্থা রয়েছে, তবে সেটি ১৮ বা ২০ বছর পর্যন্ত নয়। এটা চালু করা গেলে কমে আসবে বাল্যবিবাহ। বাল্যবিবাহের কারণেই নারীর ক্ষমতায়ন কমে যাচ্ছে। এই বিষয়ে আগামীর সরকারকে সুনির্দিষ্ট একটা রূপরেখা দিতে হবে।
গাইবান্ধা-১ নির্বাচনী এলাকার আঞ্চলিক বিষয়ের সবচেয়ে বড় সমস্যা বেকারত্ব সেটি নিয়ে জাহাঙ্গীর আলম জিন্নাহ বলেন, গাইবান্ধা-১ নির্বাচনী এলাকার সবচেয়ে বড় সমস্যা হলো নদী ভাঙন। প্রায় ৬০টির মতো ইউনিয়ন এই নদী ভাঙনের শিকার। ব্যক্তিগতভাবে অনেকে ভাঙন রোধ করতে কাজ করলেও, সরকারি কোনো নজর এখানে একেবারেই নেই। এখন অনেকে কর্মের খোঁজে বিভিন্ন জেলায় পাড়ি জমাতে শুরু করেছে। তাই যে সরকার আসুক না কেন, নদীভাঙন রোধে উদ্যোগ নেবেন এবং কর্মসংস্থানের জন্য মেগা প্রজেক্ট হাতে নেবেন।
ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী বলেন, আমার কিছু কিছু ব্যর্থতা আছে। এর প্রধান কারণ করোনার সময় প্রথম দু’ বছর দেশে স্তব্ধতা ছিল। এই মুহূর্তে সুন্দরগঞ্জে ১২শ’ কোটি টাকার একটি ব্রিজ হচ্ছে। এটা এলজিডির ইতিহাসে সবচেয়ে বড় ব্রিজ। শুধু তাই না, এই ব্রিজের সঙ্গে সংলগ্ন নদীর স্থায়ী বাঁধের কাজ চলছে। এটা সত্যি যে, যদি ৫০ কিলোমিটার নদীর বাঁধ করতে হয়, আমরা সেখানে মাত্র ১০ কিলোমিটার নদীর বাঁধ দিতে পেরেছি। কারণ রাষ্ট্রের সম্পদের অপ্রতুলতা আছে। পাঁচ বছরে সরকারি উদ্যোগে প্রায় ২ লাখ জিও বস্তা ফেলেছি।
১৯৭২-২০১৭ সাল পর্যন্ত যত কাজ হয়েছে, গত পাঁচ বছরে তার দশগুণ বেশি কাজ হয়েছে। তবে এখানে একটা মেগা প্রজেক্ট দরকার। কর্মসংস্থানের সঙ্গে নদীভাঙন তীব্রভাবে জড়িত। এখানে গ্যাস নেই, আর একটি না থাকলে বড় শিল্প প্রতিষ্ঠান সম্ভব নয়। সেক্ষেত্রে হস্তশিল্প করতে হবে। বিসিক এরিয়া করতে হবে। সরাসরি লোন দিতে হবে। হোয়াইট এবং মিট রেভ্যুলেশন অর্থাৎ খামার করতে হবে।
তাহলে একদিকে দুধের চাহিদা মিটবে। অন্যদিকে মাংসের যোগান হবে। তখন দুধ উৎপাদনের অন্যতম অঞ্চল হয়ে উঠবে এই গাইবান্ধা। এখানে দুটি বিশ্ববিদ্যালয় জরুরি। যার মধ্যে একটি হবে কারিগরি বিশ্ববিদ্যালয়। এটা ঠিক যে, রাষ্ট্র সবাইকে কাজ দিতে পারবে না। কিন্তু দক্ষতা দিতে পারবে। আমাদের সবার উচিত সেই দক্ষতা দেয়া।
আপনার মতামত জানানঃ