বর্তমানে দেশের ২১ খাতে ৪৪ দেশের ২ লাখ ৫০ হাজার বিদেশি নাগরিক কাজ করছেন। এর মধ্যে কর দিচ্ছেন ৯ হাজার ৫০০ জন। বাকি ২ লাখ ৪১ হাজার অবৈধ। (যুগান্তর, ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২০)
প্রসঙ্গত, দেশের শিল্পখাতে অনেক বিদেশিরা কাজ করছেন। তারা প্রতিবছর ৮ থেকে ১০ বিলিয়ন ডলার বেতন হিসেবে নিয়ে যাচ্ছে। এজন্য দেশেই দক্ষ জনশক্তি গড়ে তোলা উচিত। শনিবার ডিসিসিআই আয়োজিত শিল্প-শিক্ষা খাতের সমন্বয়: পরিবর্তশীল বৈশ্বিক পরিস্থিতিতে শিক্ষার্থীদের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি শীর্ষক সেমিনারে এ কথা বলেন ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (ডিসিসিআই) প্রেসিডেন্ট সামীর সাত্তার।
তিনি বলেন, দেশের মধ্যেই দক্ষ জনশক্তি তৈরি করতে হবে। কারণ শিল্প খাতে বিদেশিরা কাজ করে প্রতি বছর ৮ থেকে ১০ বিলিয়ন ডলার নিয়ে যাচ্ছে। তাই আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ইন্ডাস্ট্রিয়াল শিক্ষা দিতে হবে। দেশের শিল্পপ্রতিষ্ঠান ও একাডেমিয়াগুলোকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। দক্ষ জনশক্তি তৈরি করতেই আজকের এই সেমিনারের আয়োজন করা হয়েছে।
সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দিপু মনি। স্বাগত বক্তব্য দেন ঢাকা ডিসিসিআই প্রেসিডেন্ট সামির সাত্তার। এছাড়া বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন জাতীয় দক্ষতা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (এনএসডিএ) এক্সিকিউটিভ চেয়ারম্যান নাসরিন আফরোজ।
এনএসডিএ চেয়ারম্যান নাসরিন আফরোজ বলেন, শিল্প-একাডেমি লিঙ্কেজ অনেক গুরুত্বপূর্ণ। বাংলাদেশের শ্রম বাজারে বেশ কিছু চ্যালেঞ্জ রয়েছে। এর মধ্যে সরবরাহ ও চাহিদা অনুসারে একাডেমিয়া ও শিল্পের মধ্যে শক্তিশালী সংযোগের অনুপস্থিতি রয়েছে। এর ফলে জ্ঞান অর্জন বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। এ ছাড়া উৎপাদন প্রক্রিয়ার দক্ষতা ও জিডিপিকে প্রভাবিত করতে পারে। এতে দক্ষতার অপচয় ও বেকারত্ব তৈরি করে।
এতে প্যানেল আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইনস্টিটিউট অব বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের (আইবিএ) পরিচালক প্রফেসর মোহাম্মদ আবদুল মোমেন, অ্যাপেক্স ফুটওয়্যার লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ নাসিম মঞ্জুর, আইএলও বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর টুমো পোটিআইনেন, জাতীয় দক্ষতা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (এনএসডিএ) গভর্নিং বোর্ডের সদস্য শফকাত হায়দার, বুয়েটের ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড.সত্য প্রসাদ মজুমদার এবং ইউজিসির সদস্য প্রফেসর ড. মো. সাজ্জাদ হোসেন। এনএসডিএ চেয়ারম্যান নাসরিন আফরোজ বলেন, শিল্প-একাডেমী লিঙ্কেজ অনেক গুরুত্বপূর্ণ। বাংলাদেশের শ্রম বাজারে বেশ কিছু চ্যালেঞ্জ রয়েছে।
এর মধ্যে সরবরাহ ও চাহিদা অনুসারে একাডেমিয়া ও শিল্পের মধ্যে শক্তিশালী সংযোগের অনুপস্থিতি রয়েছে। এরফলে জ্ঞান অর্জন বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। এছাড়া উৎপাদন প্রক্রিয়ার দক্ষতা ও জিডিপিকে প্রভাবিত করতে পারে। এতে দক্ষতার অপচয় ও বেকারত্ব তৈরি করে।
ড. এবি মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম এ প্রসঙ্গে বলেন, সব খাতে বিদেশি শ্রমিকের প্রয়োজন নেই। বৈধভাবে যাদের অনুমোদন দেয়া হচ্ছে, তাদের ব্যাপারে আরেকটু যাচাই-বাছাই করতে হবে। তবে প্রশ্ন হল অবৈধদের নিয়ে। তিনি বলেন, এর আগেও অবৈধ বিদেশিদের নিয়ে বিভিন্ন প্রশ্ন উঠেছিল। বিষয়টি উদ্বেগের। কারণ অবৈধভাবে কাজ করবে, এটি কোনো দেশই এখন আর মেনে নেয় না। তার মতে, প্রথমত এতে দেশের অর্থনীতির বড় ধরনের ক্ষতি হচ্ছে।
কারণ অনুমতি ছাড়া কাজ করার মানে হল, তারা যে পরিমাণ অর্থ নিজ দেশে নিয়ে যাচ্ছে, তার পুরোটাই অবৈধ। দ্বিতীয়ত, বিষয়টি হল দেশের নিরাপত্তা। মির্জ্জা আজিজ বলেন, এসব অবৈধ বিদেশি জঙ্গি হামলাসহ রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য বিদেশে পাচার করছে কি না, তা খতিয়ে দেখতে হবে।
এসডব্লিউ/এসএস/১৫১০
আপনার মতামত জানানঃ