ভিনগ্রহের প্রাণী বা এলিয়েন নিয়ে মানুষের আগ্রহের শেষ নেই! এ নিয়ে গবেষণাও হয়েছে বিস্তর। কিন্তু এত গবেষণার পরেও এলিয়েনরা বিজ্ঞানীদের কাছে অধরা কেন? জানা গেল আসল কারণ।
একটি গবেষণায় নতুন ব্যাখ্যা পাওয়া গেল, কেন এতদিনেও এলিয়েনদের শনাক্ত করা যায়নি তা নিয়ে। সুইজারল্যান্ডের একটি গবেষণা প্রতিষ্ঠানের বায়োফিজিক্সের ল্যাবরেটরির গবেষণা থেকে সেই ব্যাখ্যা উঠে এসেছে। গবেষণাপত্রটি প্রকাশিত হয়েছে দ্য অ্যাসট্রোনমিক্যাল জার্নালে। গবেষণাটি করেছে ইকোলি পলিটেকনিক ফেডারেল ডে লেউসানি (ইপিএফএল)।
সায়েন্স অ্যালার্টের কাছে বায়োফিজিসিস্ট ক্লউডিও গ্রিমালদি বলেন, আমরা মাত্র ৬০ বছর ধরে খুঁজছি। তিনি বলেন, পৃথিবী একটি বুদবুদের মধ্যে রয়েছে, যা বহির্জাগতিক জীবনের দ্বারা নির্গত রেডিও তরঙ্গ থেকে মুক্ত।
ওই বিজ্ঞানী ব্যাখ্যা করে জানালেন, স্ক্যান করার জন্য খুব বেশি জায়গা আছে এবং সম্ভবত, পর্যাপ্ত পরিমাণ এলিয়েন সংক্রমণ সেই পথ অতিক্রম করতে পারে না। তবে তা নিয়ে যে আমাদের শান্ত থাকতে হবে, সে কথাও মনে করিয়ে দিয়েছেন বিজ্ঞানী।
গ্রিমালদি বলেন, আমাদের ধৈর্য ধরে থাকতে হবে। মহাবিশ্বে কমিউনিকেশনের চিহ্ন খুঁজে বের করতে স্ক্যানিংয়ের জন্য সময়, প্রচেষ্টা এবং অনেক অর্থের প্রয়োজন। তার থেকেও বড় কথা, বহির্জাগতিক বুদ্ধিমত্তা বা এক্সট্রাটেরেস্টিয়াল ইনটেলিজেন্স অনুসন্ধান আমাদের সময়ের জন্য মূল্যবান কি না, তা নিয়ে কিছু বিতর্ক রয়েছে।
নাসার যান এখন একাধিক গ্রহে নজর রাখছে। নানা তথ্য সংগ্রহ করছে। আর তা করতে গিয়েই এক গ্রহে বিদ্যুতের ঝলকানি দেখে ফেলল নাসার যান।
মঙ্গলগ্রহে নাসার যান ঘুরে বেড়াচ্ছে। অন্য কোনও গ্রহে সেটা এখনও সম্ভব হয়নি। তবে গ্রহের কাছে পৌঁছে তাকে খুব কাছ থেকে প্রদক্ষিণ করছে নাসার যান।
যেমন বৃহস্পতি গ্রহের চারপাশে চক্কর দিচ্ছে নাসার যান জুনো। শুধু প্রদক্ষিণই করছে না, বহু তথ্য প্রতিটি প্রদক্ষিণ থেকে তুলে দিচ্ছে বিজ্ঞানীদের ঝুলিতে। যা থেকে বৃহস্পতিকে খুব কাছ থেকে অনেক ভাল করে চিনতে পারছেন বিজ্ঞানীরা।
তবে এর মধ্যেই ঘটে গেল নতুন ঘটনা। নাসা এবার এমন চমকে দেওয়ার মত ছবি ও তথ্য সামনে আনল। যদিও ছবিটি ২০২০ সালে তুলেছিল জুনো। বৃহস্পতি গ্রহকে ৩১ বার প্রদক্ষিণ শেষে এই ছবি সে পাঠিয়েছিল নাসার কাছে। সেই ছবি ২০২২ সালে খতিয়ে দেখেন বিজ্ঞানী কেভিন গিল। তারপরই যাবতীয় তথ্য সামনে এসেছে।
ছবিতে দেখা গেছে পৃথিবীর মতই বৃহস্পতিতেও বজ্র বিদ্যুতের ঝলক। অতি উজ্জ্বল সেই আলোর ঝলকানি ৩২ হাজার কিলোমিটার দূর দিয়ে প্রদক্ষিণ করা জুনোর ক্যামেরায় স্পষ্ট ধরা পড়েছিল।
এসডব্লিউএসএস/১৬৩০
আপনার মতামত জানানঃ