এ বিষয়ে ব্যাপক গবেষণা করে বই প্রকাশ করতে গিয়ে ভয়ানক বিপদে পড়েছিলেন দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসের অধ্যাপক দ্বিজেন্দ্র নারায়ণ ঝা। অসহিষ্ণু ধর্মান্ধ রক্ষণশীল ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) সমর্থকরা ‘অধ্যাপক নারায়ণ ঝা’কে বারবার মৃত্যুর হুমকি দিয়েছেন, ঈশ্বর নিন্দার কারণ দর্শিয়ে তাকে গ্রেফতারের চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়ে কোর্টের মাধ্যমে তার গবেষণার প্রকাশ বন্ধ করিয়েছে। পরবর্তীতে অধ্যাপক দ্বিজেন্দ্র নারায়ণ ঝা The Myth of the Holy Cow নামে তার গবেষণার সারবস্তু লন্ডন থেকে প্রকাশ করেন।
সম্প্রতি ভারতে গো-রক্ষার নামে যেভাবে মুসলমান হত্যা চলছে তা আধুনিক জগতে চরম নিন্দনীয় ও অকল্পনীয়। গোধুলিলগ্নে চারণভূমি থেকে গরু নিয়ে ফেরার সময় গো-হত্যার অভিপ্রায়ের অজুহাতে মুসলিম রাখাল বালক হত্যা, বাড়িতে গো-মাংস রাখার অভিযোগে পুরো মুসলমান পরিবারকে পুড়িয়ে মারার কর্মকাণ্ডে সারা পৃথিবী বিস্মিত, স্তম্ভিত ও চিন্তিত।
প্রাচীনকাল থেকে ভারতে গো-হত্যা ও গো-মাংস আহারের ব্যাপক প্রচলন ছিল উচ্চ ও নিম্নবর্ণের হিন্দু বাড়িতে, সব ধর্মীয় অনুষ্ঠানে, ব্রাহ্মণ্য তুষ্টিতে এবং বিভিন্ন রাজকীয় ও ধর্মীয় গো-মেধযজ্ঞে। খ্রিষ্টপূর্ব ১৫০০ থেকে ৬০০ শতাব্দীর সব ভারতীয় ধর্মগ্রন্থ ও লোকসাহিত্যে উৎসব করে ভারতে গো-মাংস আহারের প্রমাণ পাওয়া যায় জন্মানুষ্ঠান, মহাব্রত, শ্রাদ্ধ ও ব্রাহ্মণ সেবায়।
কাম সংহিতায় উল্লেখ আছে, তান্ত্রিক ব্রাহ্মণদের শারদীয় সেবা করতে হতো ১৭টি অনূর্ধ্ব পাঁচ বছর বয়সী খর্বকায় ষাঁড় এবং তিন বছরের কম বয়সী গো-শাবক হত্যা দিয়ে। অবশ্য ন্নিবর্ণের দরিদ্র হিন্দুদের কালভদ্রে গো-মাংস আহারের সৌভাগ্য হতো। চণ্ডাল ও অচ্ছুতদের গো-হত্যা করে গো-মাংস আহারের অধিকার ছিল না। তারা মৃত গরুর মাংস খেত এবং গরুর চামড়া দিয়ে জুতা ও অন্যান্য দ্রব্য তৈরি করত, তারা গরুর হাড়ের ব্যবহারও করত। এ প্রথা ভারতের নিম্নবর্ণের অচ্ছুত হিন্দুদের মধ্যে আজও বহাল আছে। পুষাণ দেবতার পছন্দ কালো গাই, রুদ্রের প্রিয় লাল গরুতে। বৈদিক দেব-দেবীরা বিভিন্ন গৃহপালিত প্রাণীতে অনুরক্ত ছিলেন। কেউ বা মহিষ, কেউ বা ছাগল, কেউ ভেড়ায়। ইন্দ্রের পছন্দ গোলাকার শিংযুক্ত ষাঁড় ও সাদা হাতিতে, অগ্নিদেবতার আকর্ষণ ছিল অশ্ব ও গো-মাংসে।
ঋগবেদে কি করে তলোয়ার বা কুড়াল দিয়ে গরু হত্যা করতে হবে এবং পরে রন্ধন করে ভোগ করতে হবে তার বর্ণনা আছে। বৈদিক ও বৈদিক পরবর্তী যুগে ভারতীয়রা গো-মাংস কেবল আহার করত তাই নয়, তাদের বিশ্বাস ছিলÑ পিতা-মাতার শবদেহ দাহনের সময় একই সাথে রিষ্টপুষ্ট ষাঁড় পোড়ালে মৃত ব্যক্তি ষাঁড়ে আরোহণ করে স্বর্গে প্রবেশ করতে পারবেন। এরূপ ঘটনার উল্লেখ আছে অর্থ বেদের বর্ণনায়।
ভারতে আগত আর্যরা ছিল যাযাবর এবং কৃষিতে অনভ্যস্ত। খ্রিষ্টপূর্ব ১৮০০ থেকে কাজাকিস্তান, কিরগিজস্তান, তাজাকিস্তান, উজবেকিস্তান, তুর্কমেনিস্তান, তুরস্ক ও পূর্ব ইউরোপের পোলান্ড, রুমানিয়া, শ্লোভাকিয়া, হাঙ্গেরি, নরওয়ে প্রভৃতি দেশ থেকে আর্যরা ভাগ্যের অন্বেষণে স্থলপথে কয়েক হাজার মাইল পাড়ি দিয়ে ভারতে পৌঁছে। অবশ্য দ্রাবিড়রা ভারতে বসতি গড়েছিল আর্যদের আগমনের কয়েক হাজার বছর আগে ৮০০০ খ্রিষ্টপূর্বাব্দে।
যাযাবর জীবনের পরিসমাপ্তিতে আর্যরা পরিচিত হয় সহজলভ্য খাদ্য হিসেবে গো-মাংসের সাথে। বৃহৎ জনবসতির কারণে ভারতে বনজ প্রাণীর সংখ্যা দ্রুত হ্রাস পেয়েছিল, তবে গৃহপালিত ষাঁড়, মহিষ, গরু ও ছাগলের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছিল দ্রুত গতিতে।
ব্রিটিশ প্রশাসক উইলিয়াম ক্রুক ১৮৯৪ সনে প্রকাশিত তার ব্যাপক গবেষণা গ্রন্থ The Veneration of the cow in India তে দেখিয়েছেন, আর্যরা কেবল গো-মাংসভোগী ছিল তাই নয়, তাদের গো-মাংসে বিশেষ আকর্ষণ ছিল।
মহাভারত ও রামায়ণ চরিত্রদের গো-মাংসপ্রীতি বিশেষভাবে প্রাণিধানযোগ্য। ধ্রুপদি দেবতাদের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন যে, পঞ্চপাণ্ডবের বনবাসের অবসান হলে যুধিষ্ঠির সহস্র ষাঁড় ও গরু বলিদান করে দেবতাদের তুষ্ট করবেন। পঞ্চপাণ্ডবরা তাদের বনবাসকালে সহজলভ্য গৃহপালিত গরুর মাংস সংগ্রহ করত এবং গো-মাংস আহারে তাদের শক্তি সঞ্চিত হতো, গোবর ও গোমূত্রের ব্যবহারও ছিল তাদের জীবনযাত্রায়। মহাভারতে আরো উল্লেখ আছে, রাজা রতিরতœদেব প্রতিদিন সহস্র গরু জবাই করে ব্রাহ্মণদের মধ্যে বিলি করে পুণ্য অর্জন করত।
বাল্মিকীর রামায়ণে এ জাতীয় আরো ঘটনার বিবরণ আছে। জনশ্রুতি যে, ব্যাপক সংখ্যক গরু বলিদানের ফলে রাজা দশরথের সন্তান রামের জন্ম হয়। রাম পত্নী সীতা যমুনা নদী অতিক্রমকালে প্রতিজ্ঞা করেছিলেন, রাম তার পিতৃ আদেশ সফলভাবে পালন করতে পারলে তারা যমুনা নদীতে দেবীকে সহস্র গাই-গরু ও সহস্র ভাড় মদ উৎসর্গ করবে। অবশ্য সীতা নিজে গো-মাংসের চেয়ে হরিণের মাংস বেশি পছন্দ করত।
চরক সংহিতা ও সুশ্রুত সংহিতায় ওষুধ হিসেবে গো-মাংস আহার এবং গোমূত্র সেবনের উপকারিতার বিবরণ আছে। গরুর লেজ ও হাড়ের ঝোলের বিধান আছে বিভিন্ন প্রদাহের চিকিৎসা হিসেবে। চরম সর্দি, সাধারণ জ্বর, পেটের গণ্ডগোল নিরাময়ে গো-মাংস পথ্য হিসেবে বিধান দিয়েছে। সুশ্রুতের মতে, শ্বাসকষ্ট, শ্লেষ্মাজনিত সমস্যা ও দীর্ঘস্থায়ী জ্বরে গো-মাংস ওষুধের কাজ করে। সুশ্রুত গরুর মাংসকে ভগবানের পবিত্র দান রূপে চিহ্নিত করেছে। গর্ভবতীকে গো-মাংস খাওয়ালে গর্ভস্থ শিশু বলবান হয়।
সপ্তম শতাব্দীতে, চিকিৎসক ভগবত গোমূত্র ও গো-কন্যা (ইরষব) বিবিধ রোগ নিরাময়ের জন্য বিধিপত্র (প্রেসক্রিপশন) দিত। গরুর পঞ্চ উপাদানে প্রস্তুত পঞ্চ গর্ভের আধুনিক সংস্করণ পঞ্চমর্ত্য যা পূজা-পার্বণে ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়। পাসর, বৈষ্য ও শঙ্করের মতে, গরুর মুখ ছাড়া সব অংশ আহারযোগ্য ও পাপ মোচনে ব্যবহারযোগ্য। শল্যবিদ সুশ্রুত এক হাজার ২০টি রোগের বিবরণ লিপিবদ্ধ করেছে সুশ্রুত সংহিতায়। সুশ্রুতকে প্লাস্টিক সার্জারির জনক বলা হয়। তিনি শতাধিক মেডিক্যাল যন্ত্রপাতি উদ্ভাবন করেছিলেন। প্রাচীন ভারতে গো-মাংস ভক্ষণের বিস্তারিত তথ্য উপস্থাপিত হয়েছে পিভি কেইন সম্পাদিত বৈদিক যুগের ৫ (পাঁচ) খণ্ড ধর্মশাস্ত্রের ইতিহাসে।
ভারতের জৈন ও বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীরাও গো-মাংসে তৃপ্তি পেতেন, গৌতম বুদ্ধও একসময়ে গো-মাংস আহার করতেন। জৈনধর্মের প্রবর্তক মহাবীরও গো-মাংস ভক্ষণ করতেন। পরবর্তীকালে তারা উভয়ে গো-হত্যা নিষিদ্ধ করেছেন ধর্মীয় কারণের জন্য নয়, বৌদ্ধ ও জৈন ধর্মাবলম্বীদের সাথে ব্রাহ্মণদের সাথে পার্থক্য সৃষ্টির জন্য ও রাষ্ট্রীয় শাসন সুবিধার জন্য।
গো-হত্যা প্রাচীন যুগে মহাপাপ বলে স্বীকৃত হয়নি। বৈদিক যুগে মনু-সংহিতায় গো-হত্যা সাধারণ পাপ হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। তবে ব্রাহ্মণের গরু অব্রাহ্মণ বধ করলে কঠিন শাস্তির বিধান হয়; গো-শালায় রাত্রি যাপন করে কেবল গরুর পাঁচ উপাদান (পঞ্চগর্ভ) ভক্ষণ করে। গো-হত্যাকারীকে ২৫ দিবা-রাত্রি অনাহারে থাকতে হতো।
আরবরা ভারতে পৌঁছে গো-মাংস আহারে পরিচিত হয়। ভাগ্যের অন্বেষণে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ থেকে ইসলাম ধর্মাবলম্বী রাজা ও দলপতিরা ভারত বিজয় করেছেন বিভিন্ন শতাব্দীতে। এদের কেউ এসেছেন ইরান থেকে, কেউ বা আফগানিস্তান থেকে, কেউ বা তুরস্ক থেকে, কেউ মধ্যপ্রাচ্য, কেউ বা রাশিয়ার বিভিন্ন অঞ্চল থেকে। তাদের দীর্ঘ পথযাত্রায় খাদ্যের জোগান এসেছে বনজ প্রাণী, হরিণ, অর্শ্ব, উট, দুম্বা, গণ্ডার ও মহিষ থেকে। রোদ্রে শুকিয়ে এসব প্রাণীর মাংস দীর্ঘ দিন রেখে খাওয়া যায়। গো-মাংস কখনো এদের যাত্রাপথের সামগ্রী হিসেবে বিবেচিত হতো না। ধাই মাতার সাথে আরবদের দীর্ঘ বন্ধন ছিল। তাই দুধদানকারী প্রাণী হত্যায় তাদের মানসিক অস্বস্থিবোধ ছিল। চারণভূমির স্বল্পতার কারণে গৃহপালিত গরুর সাথে তাদের পরিচয় ছিল সীমিত। মরুভূমি দেশ আরবে চারণভূমির অভাব সর্বজনজ্ঞাত। মঙ্গোলিয়াবাসীরা ছিল ব্যতিক্রম। মঙ্গোলিয়ায় ব্যাপক চারণভূমি রয়েছে। গৃহপালিত প্রাণীর রক্ষণাবেক্ষণ মঙ্গোলিয়াবাসীর মূল পেশা।
আরবরা ভারতে প্রথম পর্দাপণ করে ৬৪৪ খ্রিষ্টাব্দে, স্থলপথে নয়, সমুদ্রপথে। আরব সেনাপতি সোহেল বিন আবদি ও হাকাম আল তাকবি ভারত সমুদ্রে রাজিলের যুদ্ধে ভারতীয়দের পর্যুদস্ত করে সিন্ধুতে পৌঁছেন। ভারতের পথে সেনা অভিযানে পূর্বানুমতি না নেয়ার কারণে ভারতের অভ্যন্তরে প্রবেশ না করে তাদের আরবে ফিরে যেতে হয় খলিফা ওমরের নির্দেশে। সমুদ্রাভিযানে আরব সেনানিদের খাদ্য ছিল খেজুর এবং অর্শ্ব, উট ও দুম্বার শুকনো মাংস। আরবরা দুগ্ধবতী প্রাণীর মাংস ভক্ষণে কখনো উৎসাহ বোধ করেনি।
খলিফা ওসমানের আমলে ৬৫২ খ্রিষ্টাব্দে আরবরা মাকরান এবং ওমাইদ খলিফা মাবিয়ার আমলে ৬৬৪ খ্রিষ্টাব্দে পাঞ্জাব বিজয় করে। মুহাম্মদ বিন কাশিম আরবদের সিন্ধুতে বসতি স্থাপন করায় ৭১০ খ্রিষ্টাব্দে। ঐতিহাসিক আলবেরুনি ভারত সফর করেছিলেন ১০৩০ খ্রিষ্টাব্দে। পরবর্তীকালে উজবেকিস্তান থেকে আগত তৈমুর লং, গজনীর সুলতান মাহমুদ, সাহাবুদ্দীন মহাম্মদ গৌরী, বখতিয়ার খিলজি প্রমুখ ভারত বিজয় করে শাসন করেছেন প্রায় চার শ’ বছর।
১৫২৬ খ্রিষ্টাব্দে জহির উদ্দিন বাবর ভারত বিজয় করে মোঘল সাম্রাজ্যের পত্তন করেন। ভারতে পৌঁছে ভাগ্য অন্বেষণকারী বিজয়ী মুসলমানেরা কৃষিকাজে ব্যাপক সংখ্যক গরুর ব্যবহার এবং একই সাথে ভারতীয়দের গরু বধ করে গো-মাংস আহার ও ধর্মীয় কাজে ব্যাপক গো-মাংস বিতরণ দেখে বিস্মিত হন। তারা লক্ষ করেন, গরুর দুধের বিবিধ ব্যবহার সরাসরি দুগ্ধপান, দই, মাখন, ছানা ও ঘি উৎপাদনে। ভারতীয়দের গোবর ভক্তিতে মুসলমানরা আশ্চর্যান্বিত হয়েছেন। গোবর ব্যবহৃত হতো মন্দিরের বেদী পরিষ্কার করার নিমিত্তে এবং গোবর খাইয়ে ভক্তের পাপ মোচনে। নিম্ন বর্ণের হিন্দুরা গোবর শুকিয়ে ব্যবহার করত জ্বালানি হিসেবে। গরুর লেজের ঝোল ও গোমূত্রের ওষুধ হিসেবে ব্যবহারে মুসলমানেরা হতবাক হয়ে পড়েন।
ভারতে বনজ প্রাণীর স্বল্পতার কারণে অন্যদেশ থেকে আগত মুসলমানেরা ক্রমে ক্রমে গো-মাংস আহারে অনুরক্ত হয়ে পড়েন এবং একেক দেশের মুসলমানরা একেক রকমের মসলা, চর্বি ও তৈল সংযোগ গো-মাংস রন্ধনে বৈচিত্র্য আনেন। তুর্কি, মোগল, পারসিদের গো-মাংস রন্ধন প্রক্রিয়ায় ভিন্ন ভিন্ন ধরনের রসনা তৃপ্তির স্বাদ বিস্তার লাভ করেছে ভারতের এক প্রান্ত থেকে অপর প্রান্তে।
অল্পবয়সী গো-শাবক মাংসে ব্রাহ্মণদের আসক্তির কারণে গাই গরুর সংখ্যা কমতে থাকলে কৃষিতে সমস্যা দেখা দেয় এবং দুধেরও অভাব সৃষ্টি হয়। গরুর দুধের স্বল্পতায় শিশু ও বয়োবৃদ্ধরা স্বাস্থ্য সঙ্কটে পড়ে। চাষাবাদের ক্ষতিরোধ করার লক্ষ্যে মোগল সম্রাট জাহাঙ্গীর ও আওরঙ্গজেব গো-হত্যা সীমিত করেন, গো বধের আগে কাজীর অনুমতি নেয়ার বিধানও চালু করেন। এতে বৌদ্ধ ও জৈন ধর্মাবলম্বীরা খুশি হলেও ব্রাহ্মণরা অত্যন্ত অসন্তুষ্ট হন। তাদের ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠান পালনে বিঘœ সৃষ্টি ও হস্তক্ষেপ বলে প্রচারণায় চেষ্টা করে ব্রাহ্মণরা ক্ষোভ প্রকাশ করেন। স্মরণযোগ্য যে, সম্রাট আকবরই প্রথম সতীদাহ প্রথা বন্ধ করার চেষ্টা করেছিলেন।
মুসলমানরা ভারতে গো-হত্যা আরম্ভ করেননি, গো-মাংস আহারের প্রচলনও করেনি। বরঞ্চ মুসলমান শাসকরা গো-হত্যা সীমিত করার উদ্যোগ নিয়েছেন কৃষিকাজের উন্নয়ন এবং শিশুদের স্বাস্থ্য রক্ষার নিমিত্তে।
এসডব্লিউএসএস১৮৪০
আপনার মতামত জানানঃ