State Watch
    Facebook Twitter Instagram
    সর্বশেষ প্রকাশিত
    • বিদ্যুৎ নিয়ে সরকারের পরিকল্পনা: ৫ বিলিয়ন ডলারই কষ্টসাধ্য ২০ বিলিয়নের সংস্থান হবে কি?
    • সৌদি থেকে ফিরল ১২ নির্যাতিতা নারী কর্মী: আইন কোথায়?
    • কেমন হতে পারে বাংলাদেশের সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ নির্বাচনকালীন সরকার?
    • লোডশেডিংয়ের প্রভাবে কমছে শিল্পে উৎপাদন, বাড়ছে ব্যয়
    • আফগানিস্তানে মেয়েদের স্কুলে বিষ প্রয়োগ, হাসপাতালে ৮০ ছাত্রী
    • গুম, খুন, মিথ্যা মামলায় জড়িত ওসি এসপিদের তথ্য সংগ্রহ করছে বিএনপি
    • ডিভোর্স ডুয়েল: মধ্যযুগে বিচ্ছেদের জন্য পরস্পরকে হত্যার চেষ্টা করতেন স্বামী-স্ত্রী
    • রুশ কারাগারের যে বর্বরতা হার মানায় দোজখকেও
    State Watch
    • প্রধান পাতা
    • আইনপ্রয়োগ
      1. গুম-অপহরণ
      2. গ্রেপ্তার-নিপীড়ন
      3. নিপীড়নমূলক আইন
      4. প্রাতিষ্ঠানিক দুর্নীতি
      5. বিচার বহির্ভূত হত্যা
      6. রাষ্ট্রীয় বাহিনী
      Featured
      মার্চ ১২, ২০২৩

      সরকারি অর্থায়নের হাসপাতালে বেসরকারি ফি, বিপাকে রোগীরা

      Recent
      জুন ১, ২০২৩

      উধাও হাসপাতাল: কয়েক কোটি টাকার দুর্নীতিতে যুক্ত পাউবি

      মে ২৮, ২০২৩

      নিখোঁজ বাবাকে ১০ বছর ধরে খুঁজছে শিশু হৃদি

      মে ১৪, ২০২৩

      বাংলাদেশের এতিমখানায় করা অনুদান তদন্ত করবে চ্যারিটি কমিশন

    • আক্রান্ত জনগোষ্ঠী
      1. আদিবাসী
      2. গণমাধ্যম
      3. ধর্মীয় সংখ্যালঘু
      4. নারী ও শিশু
      5. প্রাণ-প্রকৃতি-কৃষি
      6. ভিন্ন মতাবলম্বী
      7. রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ
      8. শ্রমজীবী
      Featured
      ফেব্রুয়ারি ১০, ২০২৩

      বাংলাদেশে গণমাধ্যম কতটা স্বাধীন মনিটর করবে যুক্তরাষ্ট্রসহ ৯ রাষ্ট্র

      Recent
      মে ২, ২০২৩

      প্রধানমন্ত্রীর কারণে বাংলাদেশে আতঙ্কে সাংবাদিকরা: দ্য গার্ডিয়ান

      এপ্রিল ২৯, ২০২৩

      ভারতে রাস্তায় ঈদের নামাজ পড়ায় ২০০০ মুসল্লির বিরুদ্ধে মামলা

      এপ্রিল ১২, ২০২৩

      কেন বান্দরবানে নিজের গ্রাম থেকে পালাচ্ছে বম জনগোষ্ঠির মানুষ?

    • বিশেষায়িত
      1. করোনাভাইরাস
      2. ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট
      3. নির্বাচন
      4. বিশ্ব
      5. মানবাধিকার
      6. রোহিঙ্গা জাতি
      7. সীমান্ত ইস্যু
      Featured
      মার্চ ২৬, ২০২৩

      রাহুল গান্ধীর জেল যাওয়া কি মোদিকে সিংহাসন থেকে নামাতে পারবে?

      Recent
      জুন ৬, ২০২৩

      কেমন হতে পারে বাংলাদেশের সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ নির্বাচনকালীন সরকার?

      জুন ৫, ২০২৩

      আফগানিস্তানে মেয়েদের স্কুলে বিষ প্রয়োগ, হাসপাতালে ৮০ ছাত্রী

      জুন ৪, ২০২৩

      আট দশক ধরে স্প্যানিশ ক্যাথলিক চার্চে প্রায় হাজার শিশুকে নির্যাতন

    • রাজনীতি-প্রশাসন
      1. অর্থনীতি ও বাণিজ্য
      2. আইন-আদালত
      3. ক্ষমতাসীন দল
      4. জাতীয় সংসদ
      5. রাজনীতি
      6. রাষ্ট্র-সরকার
      Featured
      মার্চ ২৫, ২০২৩

      রমজানেও ব্যবসায়ীদের লোভ-লালসায় দ্রব্যমূল্যের চাপে নিম্নমধ্যবিত্তরা

      Recent
      জুন ৬, ২০২৩

      বিদ্যুৎ নিয়ে সরকারের পরিকল্পনা: ৫ বিলিয়ন ডলারই কষ্টসাধ্য ২০ বিলিয়নের সংস্থান হবে কি?

      জুন ৬, ২০২৩

      লোডশেডিংয়ের প্রভাবে কমছে শিল্পে উৎপাদন, বাড়ছে ব্যয়

      জুন ৫, ২০২৩

      গুম, খুন, মিথ্যা মামলায় জড়িত ওসি এসপিদের তথ্য সংগ্রহ করছে বিএনপি

    • মতামত
      • বিশ্লেষণ
      • সম্পাদকীয়
      • সাক্ষাৎকার
    • গবেষণা ও প্রতিবেদন
      1. বিভিন্ন সংস্থার প্রতিবেদন
      2. চলতি প্রবণতা
      3. নীতি নির্দেশনা
      Featured
      জানুয়ারি ৩১, ২০২৩

      আবারো অবনমন: সবচেয়ে দুর্নীতিগ্রস্ত দেশের তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান ১২

      Recent
      মে ৩০, ২০২৩

      চিন্তা করার ক্ষমতা হারাচ্ছে মানুষ: গবেষণা

      মে ২০, ২০২৩

      মহামারিতে নতুন করে দরিদ্র হয়েছে দেড় কোটি মানুষ: বিআইডিএস

      মে ১৬, ২০২৩

      গত পাঁচ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ ৮৮৩ জনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর

    • আর্কাইভ
    State Watch
    ইতিহাস

    রহস্যময় জঙ্গলে উধাও একের পর এক পর্যটক, কারণ আজও অজানা

    ডেস্ক রিপোর্টBy ডেস্ক রিপোর্টমে ৬, ২০২৩No Comments8 Mins Read

    ১৯৪৫ সালের ২রা নভেম্বর। শিকারের উদ্দেশ্যে ৭৫ বছর বয়সি মেরি রিভার্স নামে একজন গাইড চারজন কিশোরীকে নিয়ে পাহাড়ে যান। শিকার শেষে রিভার্স ও তাঁর সহযাত্রীদের ফিরতে একটু দেরিই হয়ে গেছিল সেদিন।

    সন্ধ্যা হয় হয়। এমনিতেও দিনের আলো নিভতেই ঝুপ করে অন্ধকার নেমে আসে পাহাড়ে। নিঝুম হয়ে আসে পথঘাট। আর দেরি করা ঠিক নয় বুঝে পা চালিয়ে দ্রুত নামতে শুরু করেন তাঁরা। লং ট্রেইল রোড ও ৯ নম্বর রোডের কাছাকাছি আসতেই মনে হল জায়গাটা কেমন অদ্ভুত রকম থমথমে। দুপাশের জঙ্গলে দু একটা অজানা শব্দ ছাড়া একেবারে শুনশান চারপাশ। ঘন কুয়াশায় বাতাসও যেন ভারী হয়ে আছে।

    সামনেই একটা হেয়ারপিন বাঁক। এই জায়গাটায় এসে হঠাৎ পা চালিয়ে সহযাত্রীদের থেকে কিছুটা এগিয়ে যান রিভার্স।তাড়াহুড়ো করে ওইভাবে বাঁক নেওয়ায় সঙ্গের লোকজন ভেবে নিয়েছিল হয়তো প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতেই ওভাবে দলছুট হয়ে এগিয়ে গেছেন তিনি। অগত্যা পথের বাঁকেই রিভার্সের ফেরার অপেক্ষা করতে থাকেন তাঁরা।

    এইভাবে বেশ কিছু সময় পেরিয়ে গেলেও রিভার্সের দেখা মেলে না। এবার ভয় পেয়ে যান সহযাত্রীরা। শুরু হয় খোঁজ। কিন্তু তন্নতন্ন করে আশেপাশে খুঁজেও রিভার্সের দেখা মেলে না। খবর দেওয়া হয় থানায়। মিসিং ডায়েরি হওয়া মাত্রই রিভার্সের খোঁজে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় স্থানীয় পুলিশ আর স্বেচ্ছাসেবকের দল। চিরুনি তল্লাশি চলে পাহাড়ের আশেপাশে। কিন্তু কোথায় রিভার্স? জীবিত, বা মৃত- কোনও অবস্থাতেই তাঁকে খুঁজে পাওয়া যায় না।

    কিন্তু কোথায় হারিয়ে গেল একটা জলজ্যান্ত মানুষ? গভীর অরণ্যের বুকে হাওয়ায় মিলিয়ে গেল না কি! এ প্রশ্নের উত্তর দিতে পারেননি গোয়েন্দা সংস্থার বড় বড় অফিসারেরাও। তবে সেদিনের তদন্তে উঠে এসেছিল কিছু অলৌকিক আশ্চর্য তথ্য।

    প্রত্যক্ষদর্শীদের কথা অনুযায়ী, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রহস্যঘেরা এই জায়গাটায় পা রাখলে প্রথমেই কানে আসে অদ্ভুত কিছু আওয়াজ। আমাদের চেনাজানা শব্দের থেকে ঢের আলাদা সেসব শব্দ! সেসব কি পাহাড়ি জন্তুর ডাক? না, কারও আর্তনাদ? এই জায়গাটা নিয়ে নানান গল্প চালু আছে।

    স্থানীয়রা বিশ্বাস করেন কিছু অশুভ শক্তির প্রভাব রয়েছে এই এলাকায়। বনের মধ্যে পথ হারিয়ে কেউ এই জায়গায় পৌঁছে গেলে সে আর ফিরে আসে না, ভাগ্যক্রমে ফিরে এলেও হয়ে যায় বদ্ধ উন্মাদ। জঙ্গলের মধ্যেকার একটা বিশেষ ত্রিভূজাকৃতি এলাকাকে কেন্দ্র করেই ঘটে গেছে একের পর এক ভূতুড়ে ঘটনা, যার কোনও ব্যাখ্যাই দিতে পারেনি আধুনিক অপরাধ বিজ্ঞান।

    হ্যাঁ, আজ কথা বলব, আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ পশ্চিমে অবস্থিত ভূতুড়ে জঙ্গল বেনিংটন ট্রায়াঙ্গল সম্বন্ধে।

    হতভাগ্য রিজার্ভের অন্তর্ধানের এক বছর পরেই ঘটে যায় পরের ঘটনাটি। বেনিংটন কলেজের ছাত্রী পলা জেন ওয়াল্ডেন। মাত্র ১৮ বছর বয়সের উচ্ছল সুন্দরী এক যুবতী, পাহাড়ে জঙ্গলে ভ্রমণের নেশা খুব তার। ১৯৪৬ সালের ১ ডিসেম্বর শীতের সকালে লং ট্রেইলের উদ্দেশে বেরিয়ে কীভাবে যেন ‘বেনিংটন ট্রায়াঙ্গল’-এর মধ্যে ঢুকে পড়ে সে। তার পরিচিত অনেকেই সেদিন বনের মধ্যে যেতে দেখেছিল তাকে। কিন্তু বেরোতে দেখেনি। সেই রহস্যময় জঙ্গল থেকে কখনো আর ফিরে আসেনি পলা। পাওয়া যায়নি তার মৃতদেহ বা দেহাবশেষও।

    পাগলের মতো অনুসন্ধান চালায় স্থানীয় পুলিশ আর পলার পরিবার। তার সন্ধান দেওয়ার জন্য ৫ হাজার ডলারের পুরস্কারও ঘোষণা করা হয়। এমনকি অনুসন্ধানের কাজে সহযোগিতা নেওয়া হয় যুক্তরাষ্ট্রের তদন্ত সংস্থা এফবিআইয়ের। কিন্তু কোনোভাবেই আর খুঁজে পাওয়া যায়নি পলা ওয়াল্ডেনকে। পরে অবশ্য গুজব ছড়ায় যে, ‘বেনিংটন ট্রায়াঙ্গল’-এ নয়, পলা তার প্রেমিককে নিয়ে লুকিয়ে কানাডায় চলে গেছে।

    অনেকে আবার মনে করেন পলা যেহেতু প্রকৃতিপ্রেমী ছিল, তাই প্রকৃতির সাথে একলা নিরিবিলি জীবন-যাপনের জন্য সে নিজেই বেছে নিয়েছিল নির্জন সেই জঙ্গলকে। কিন্তু এসব দাবির স্বপক্ষে মেলেনি কোনও সুনির্দিষ্ট বাস্তব প্রমাণ। অমিমাংসিত থেকে গেছে পলার অন্তর্ধান রহস্য।

    তৃতীয় ঘটনাটি আরও অদ্ভুত। পলার অন্তর্ধানের প্রায় আরো তিন বছর পরে এই ঘটনাটি ঘটে। তারিখটা ছিল ১৯৪৯ সালের ১ ডিসেম্বর। সেইন্টন এলবান থেকে জেমস ই টেটফোড নামের একজন প্রবীণ সামরিক ব্যক্তি তাঁর এক আত্মীয়ের সাথে দেখা করার জন্য বাসে করে বেনিংটনের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করেন। তিনি যে বাসে উঠেছিলেন সেই বাসে যাত্রী ছিল মাত্র ১৪ জন। কিন্তু বাস যখন গন্তব্যস্থলে পৌঁছল তখন দেখা গেল, জেমস বাসে নেই!

    কিন্তু বাসযাত্রীদের তথ্যমতে বাসটি মাঝপথে কোথাও থামেনি। কেউ ওঠেনি, কেউ নামেওনি। সেইন্ট এলবান থেকে বাস যখন যাত্রা শুরু করে, তখন বাস ড্রাইভার ও অন্যান্য যাত্রীরা জেমসকে তাঁর নির্ধারিত সিটেই বসে থাকতে দেখেছে। সারারাস্তা তিনি তাঁর সিট থেকে একবারও ওঠেননি।

    কয়েকজন যাত্রী জানান শেষ স্টপেজের আগের স্টেশন পর্যন্ত জেমসকে ঘুমিয়ে থাকতে দেখেছেন তাঁরা। তাহলে? এক বাস লোকের সামনে দিয়ে একটা লোক স্রেফ ভ্যানিশ হয়ে গেল? এও সম্ভব! আরও অদ্ভুত ব্যাপার, জেমস উধাও হলেও তাঁর যাবতীয় লাগেজ সহ টাকাভর্তি ওয়ালেটটি পড়ে ছিল বাসেই।

    এখানেই শেষ নয়, এর ঠিক পরের বছর, মানে ১৯৫০ সালের ১২ ই অক্টোবর ঘটে আরও একটি অন্তর্ধান। এবারের ভিকটিম জেপসন নামের ৮ বছর বয়সি একটা ছোট্ট ছেলে। জেপসন থাকত তার মায়ের সঙ্গে বেনিংটন ট্রায়াঙ্গলের কাছাকাছি এক গ্রামে। ঘটনার দিন জেপসনের মা গবাদিপশুদের খেতে দিচ্ছিলেন আর ছোট্ট জেপসন ছোটাছুটি করছিল বাড়ির আশেপাশে। ঘণ্টখানেক পর হাতের কাজ সেরে মা ঘরে এসে দেখেন, জেপসন কোত্থাও নেই। বাড়ির আশেপাশে খুঁজেও দেখা মেলে না তার।

    জেপসনের গায়ে ছিল একটা লাল রঙের জ্যাকেট, যা অনেক দূর থেকেও চট করে মানুষের চোখে পড়ার কথা। কিন্তু জেপসনের মা কোথাও সেদিন ছেলেকে খুঁজে পাননি। যথারীতি খবর যায় পুলিশে। কিন্তু খানাতল্লাশির সময় পুলিশের প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত কুকুর গন্ধ শুঁকে শুঁকে কিছুদূর যাওয়ার পর আর এগোতে চায়নি। তাঁদের ব্যবহার দেখে মনে হয়েছিল কিছুদূর গিয়ে যেন সত্যি সত্যিই বাতাসে মিলিয়ে গেছে জেপসন।

    জেপসনের ঘটনার মাত্র ১৬ দিন পর অর্থাৎ অক্টোবর ২৮ তারিখ ঘটে যায় ৫ নম্বর ঘটনাটি। ক্যাম্পিং-এর উদ্দেশ্যে ৫৩ বছরের ফ্রিডা ল্যাঙ্গার আর তাঁর খুড়তুতো ভাই হারবার্ট অস্থায়ী আস্তানা গড়েছিল এলসনার সমারসেট রিজার্ভেরের কাছে। হঠাৎই একটি ছোট্ট স্রোতের নদী পার হতে গিয়ে জলের মধ্যে পড়ে যান ফ্রিডা। কাপড়-চোপড় ভিজে একশা।

    ভাই হারবার্টকে একটু অপেক্ষা করতে বলে ভেজা কাপড়জামা বদলাতে ক্যাম্পে ফিরে যান ফ্রিডা। সময় গড়িয়ে যাচ্ছে, এদিকে ফ্রিডার দেখা নেই। কিছুটা চিন্তিত হয়েই এবার ক্যাম্পে ফিরে আসেন হারবার্ট। কিন্তু কোথায় ফ্রিডা? তন্নতন্ন খুঁজেও তাঁর দেখা মেলে না।

    ফ্রিডার কাছে এলাকাটি মোটেও অপরিচিত নয়। তার উপর দিনের বেলা। এই দুপুর রোদে একটা মানুষ হঠাৎ হারিয়ে যেতে পারে না কি! ঘটনার অস্বাভাবিকতায় প্রথমটা হতভম্ব হয়ে যায় ভাই হারবার্ট। এবারও পুলিশ আসে। শুরু হয় ব্যাপক তল্লাশি। দুই সপ্তাহ ধরে ৩০০ জন অনুসন্ধানকারীকে নিয়ে গড়া পাঁচটি অনুসন্ধান টিম, এয়ারক্রাফট হেলিকপ্টার থেকে শুরু করে নানাভাবে তন্নতন্ন করে অনুসন্ধান চালিয়েও হার মানে। খোঁজ মেলে না ফ্রিডার।

    তবে অদ্ভুত ব্যাপার হল, এই ঘটনার এক বছর পর, ১৯৫১ সালের ১২ মে সমারসেট রিজার্ভের কাছাকাছি এক জায়গায় ফ্রিডার দেহ পড়ে থাকতে দেখা যায়। সে দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্ত হলেও মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যায়নি। তবে ফ্রিডাই একমাত্র মহিলা, এক বছর পর হলেও যার মৃতদেহটি শেষমেশ খুঁজে পাওয়া গিয়েছিল।

    বেনিংটনের ভারমন্টের গ্রিন মাউন্টেনে টানা ৬ বছর (১৯৪৫-১৯৫১) ধরে কমপক্ষে এরকম ১০ জন ব্যক্তি রহস্যময়ভাবে উধাও হয়ে গিয়েছেন। তাদের কোনো চিহ্নই আর পাওয়া যায়নি। যেন বাতাসে মিলিয়ে গেছেন তাঁরা। রহস্যের কিনারা হয়নি বলেই হয়তো মুখে মুখে কাহিনির ডালপালা ছড়িয়েছে বহু দূর।

    কখনও ভিনগ্রহের প্রাণী, রহস্যময় আলোর ঝলকানি, আবার কখনও ভূতুড়ে কাণ্ডকারখানাকে এতগুলো মানুষের গায়েব হওয়ার কারণ হিসাবে দায়ি করা হয়েছে। প্যারানরমাল গল্পলেখক জো সিত্রো প্রথম বই লেখেন এই ঘটনাগুলো নিয়ে। জনপ্রিয় সেই বইয়ের নাম Green Mountain Ghosts, Ghouls, and Unsolved Mysteries। তিনিই পরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এই জায়গার নাম দেন ‘বেনিংটন ট্রায়াঙ্গল’।

    সিত্রোর লেখা অনুযায়ী ১৮৯৫ সাল থেকেই একের পর এক রহস্যজনক ঘটনা ঘটে এলাকায়। এই সময়েই জিম ক্রাউলি নামের এক কারখানার শ্রমিককে নৃশংসভাবে হত্যা করে হেনরি ম্যাকডওয়েল নামের এক স্থানীয় মাতাল। বিচারে ম্যাকডওয়েলকে উন্মাদ ঘোষণা করা হয় এবং ওয়াটারবেরি অ্যাসাইলামে পাঠানো হয়। কিন্তু তার আগেই সে জেলখানা থেকে পালিয়ে যায়। এরপর হেনরিকে আর খুঁজে পাওয়া যায়নি।

    এর প্রায় ৩০ বছর পর একের পর এক রহস্যময় ঘটনা ঘটতে শুরু করে। উধাও হয়ে যায় একের পর এক মানুষ। না মেলে কোনও ট্রেস, না কোনও ক্লু। এতগুলো অন্তর্ধান, অথচ আজ পর্যন্ত কোন রহস্যের জটই খোলেনি।

    পরবর্তীকালে প্যারানরমাল বিশেষজ্ঞরা এই নিয়ে কিছু মতবাদ প্রকাশ করেছিলেন। তাঁদের মতে নেটিভ আমেরিকানরা গ্লসটেনবাড়ি মাউন্টেনের আশেপাশের এলাকাটি অভিশপ্ত বলে মনে করেন। সে এলাকাটিতে বসবাস স্থাপনকারী ইউরোপীয় অধিবাসীদের একাংশের অভিমত, পাহাড়ের পেছনে না কি মাঝেমাঝেই দেখা যেত এক অদ্ভুত আলোর ঝলকানি।

    হাওয়ায় পাওয়া যেত এক ঝিমঝিমে নেশার গন্ধ, আর মাঝে মাঝে শোনা যেত অদ্ভুত সব আওয়াজ। স্থানীয়দের মতে এ জঙ্গলের ভেতরে বাস করে এক অজানা বিশাল দৈত্যাকার প্রাণী, যার শিকার হয়েছিল ওই তরতাজা দশটা প্রাণ।

    অনেক প্যারানরমাল বিশেষজ্ঞদের মতে, জঙ্গলটির অবস্থানগত গোলমাল আছে, এখানে ত্রিমাত্রিক জগতের প্রতিনিয়ত পরিবর্তন ঘটে, যার ফলে কেউ এ জগতে প্রবেশ করলে সে দিকভ্রান্ত হয়ে হারিয়ে যায়। আবার অনেকের মতে, এই বেনিংটন ট্রায়াঙ্গল জঙ্গলের কুয়াশার ভিতরে লুকিয়ে আছে ভিন গ্রহের কিছু প্রাণী। একের পর এক অস্বাভাবিক সব ঘটনার মূলে তারাই।

    তবে সবচেয়ে জনপ্রিয় হয় গা-ঢাকা দেওয়া কোনও গোপন খুনির অস্তিত্বের ধারণাটি। ওই জঙ্গলের ভিতরে দীর্ঘদিন ধরে গা ঢাকা দিয়ে আছে এক বিকৃতমস্তিষ্ক সিরিয়াল কিলার। একের পর এক নারী পুরুষ শিশুদের হারিয়ে যাওয়ার পেছনে সেই অজানা খুনিই দায়ি। যদি এ বিষয়টি সত্যি হয় তাহলেও কিন্তু একটি প্রশ্ন সামনে এসে দাঁড়ায়, এতগুলো হত্যাকাণ্ডের পরেও মৃতদেহগুলোর কোনও হদিস কেন পাওয়া গেল না। একটি ছাড়া কেন আর পাওয়া গেল না।

    খেয়াল করলে দেখা যাবে, হত্যাকাণ্ডগুলো সবকটাই ঘটেছে শীতের সময়। ওই বিশেষ সময় ছাড়া বছরের অন্য সময়ে কেন এমন ঘটনা ঘটে না? আরও মজার কথা, ১৯৪৫ থেকে ১৯৫১- এই ৬ বছরের মধ্যেই এই সবকটা রহস্যজনক ঘটনা ঘটে। তারপর আর এমন ঘটনার কথা জানা যায় না। অবশ্য তারপর ওই এলাকায় লোকের যাতায়াতও উল্লেখযোগ্য রকম কমে গেছিল। তবে ১৯৩৭ সালের আগে এলাকাটি বেশ জনবহুল ছিল। কিন্তু ১৯৩৭ সালের দিকে গ্লসটেনবারি শহরে দেখা দেয় প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও মহামারী, যার ফলে অনেক লোকের প্রাণহানি ঘটে। এবং সে সময় থেকেই পরিত্যক্ত হয়ে যায় এই এলাকা।

    ফ্রিডা হারিয়ে যাওয়ার পর অনুসন্ধানকারী দল সারা জঙ্গল তন্নতন্ন করে খুঁজেও হদিশ পাননি তাঁর দেহ, অথচ তার একবছর পরে কী করে একই জায়গায় আবিষ্কার হয় তার কংকালসার মৃতদেহ? তাহলে কি ফ্রিডার মৃত্যু হয়েছে অনেক পরে? তিনি যদি বেঁচেই ছিলেন তাহলে ওই জঙ্গল থেকে বেরিয়ে এলেন না কেন?

    ফ্রিডা এবং রিজার্ভ দুজনে ছিলেন বয়স্ক ব্যক্তি এবং এলাকাটি ছিল তাঁদের নখদর্পণে। যার কারণে পথ হারিয়ে ফেলা তাদের পক্ষে একেবারেই অসম্ভব। ফ্রিডা তো আবার দিনের আলোতেই হারিয়ে যান। কী করে সম্ভব সেটা? আধুনিক যুক্তিবিজ্ঞানের ফর্মুলা আউড়েও উত্তর মেলেনি। ২০১০ সালের একটি আদমশুমারি তথ্য অনুযায়ী, এই এলাকাটিতে বর্তমানে সবমিলিয়ে মাত্র ৮ জন বাসিন্দা বাস করে। সব মিলিয়ে ‘বেনিংটন ট্রায়াঙ্গল’ (Bennington Triangle) এমন এক ভূতুড়ে শহর, যেখানে পা রাখলে আর ফিরে আসে না কেউ। দ্য ওয়াল।

    এসডব্লিউএসএস১০৪০

    ছড়িয়ে দিনঃ

    আপনার মতামত জানানঃ

    State watch সকল পাঠকদের জন্য উন্মুক্ত সংবাদ মাধ্যম, যেটি পাঠকদের অর্থায়নে পরিচালিত হয়। যে কোন পরিমাণের সহযোগিতা, সেটি ছোট বা বড় হোক, আপনাদের প্রতিটি সহযোগিতা আমাদের নিরপেক্ষ সাংবাদিকতার ক্ষেত্রে ভবিষ্যতে বড় অবদান রাখতে পারে। তাই State watch-কে সহযোগিতার অনুরোধ জানাচ্ছি।
    Donate
    ইতিহাস

    Related Posts

    ডিভোর্স ডুয়েল: মধ্যযুগে বিচ্ছেদের জন্য পরস্পরকে হত্যার চেষ্টা করতেন স্বামী-স্ত্রী

    ৯ হাজার বছর আগেও চাবানো হতো চুয়িং গাম

    ওয়ার অব দ্য বাকেট: বালতির জন্য নিহত কয়েক হাজার মানুষ

    বিজ্ঞাপন

    সর্বশেষ প্রকাশিত
    জুন ৬, ২০২৩

    বিদ্যুৎ নিয়ে সরকারের পরিকল্পনা: ৫ বিলিয়ন ডলারই কষ্টসাধ্য ২০ বিলিয়নের সংস্থান হবে কি?

    জুন ৬, ২০২৩

    সৌদি থেকে ফিরল ১২ নির্যাতিতা নারী কর্মী: আইন কোথায়?

    জুন ৬, ২০২৩

    কেমন হতে পারে বাংলাদেশের সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ নির্বাচনকালীন সরকার?

    জুন ৬, ২০২৩

    লোডশেডিংয়ের প্রভাবে কমছে শিল্পে উৎপাদন, বাড়ছে ব্যয়

    জুন ৫, ২০২৩

    আফগানিস্তানে মেয়েদের স্কুলে বিষ প্রয়োগ, হাসপাতালে ৮০ ছাত্রী

    বিজ্ঞাপন

    সর্বাধিক পঠিত
    • যেভাবে পৃথিবী থেকে উধাও হয়েছিল রহস্যময় জনপদ আনজিকুনি
      জুন ৩, ২০২৩
      By ডেস্ক রিপোর্ট
      ১৯৩০ সালের আগের কথা, কানাডার কিভালিক অঞ্চলে ছিল এক তুষার-স্নিগ্ধ হ্রদ। নাম তার আনজিকুনি। একদিন এক অনুসন্ধিৎসু বৃদ্ধ জেলের আগমন...
    • হাত পাখায় দিলে ভোট, ভোট পাবে আল্লাহ পাক: চরমোনাই পীর
      জুন ১, ২০২৩
      By স্টেটওয়াচ ডেস্ক
      মোহাম্মদ রুবেল বাংলাদেশের গদিনশীল পীরদের মধ্যে চরমোনাই শায়েখ অন্যতম। বিশাল আশেকান গোষ্ঠীর প্রশ্নবিহীন আনুগত্য ও হাদিয়ায় টুইটুম্বুর চরমোনাইয়ের অর্থভান্ডার। এবার...
    • ডিভোর্স ডুয়েল: মধ্যযুগে বিচ্ছেদের জন্য পরস্পরকে হত্যার চেষ্টা করতেন স্বামী-স্ত্রী
      জুন ৫, ২০২৩
      By ডেস্ক রিপোর্ট
      আজ থেকে পাঁচশো বছর আগে, বিবাহবিচ্ছেদের পদ্ধতি ছিল নির্মম। বিবাহের বন্ধন থেকে মুক্ত হতে গেলে হয় প্রাণ দিতে হত নিজেকে,...
    • নির্দেশদাতাকেও হত্যা করতে পিছপা হয় না এআই রোবট!
      জুন ৩, ২০২৩
      By ডেস্ক রিপোর্ট
      স্টিফেন হকিং থেকে শুরু করে ইলন মাস্ক- বিশ্বের শীর্ষ কয়েকজন বিজ্ঞানী কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন যে, এটি একসময়...
    • বিদ্যুৎ নিয়ে আ’লীগের অহংকার যেভাবে পতনের কারণ
      জুন ১, ২০২৩
      By ডেস্ক রিপোর্ট
      তাপপ্রবাহের কারণে দেশে গরম বেড়েছে। বেড়েছে বিদ্যুতের চাহিদাও। কিন্তু পর্যাপ্ত উৎপাদনের জন্য প্রয়োজনীয় জ্বালানি নেই। এতে বিদ্যুৎকেন্দ্রের একাংশ অলস বসে...
    আজকের ভিডিও
    https://youtu.be/1ht6kl7Mly4
    আমাদের সম্পর্কে
    আমাদের সম্পর্কে

    স্টেট ওয়াচ, বাংলাদেশের সার্বিক আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি এবং মানবাধিকার পর্যবেক্ষণ এবং গবেষণামূলক একটি প্রয়াস।
    বিস্তারিত...

    ফেসবুকে যুক্ত থাকুন

    Donate Us!
    statewatch.net (Karigor Media Network), Hamburg, Germany. Email: statewatch.sa@gmail.com © ২০২৩ State Watch. Designed by @.

    Type above and press Enter to search. Press Esc to cancel.