কেন আজ এত বছর পর আওয়ামী লীগকে ভাবতে হচ্ছে জনগণের রায় নিয়ে? কারণগুলো সহজ, আর উত্তরও জানা। সেগুলো হচ্ছে— জবাবদিহিতার অভাব, একপেশে নীতি, জনমতকে তোয়াক্কা না করা, দুর্নীতি নিয়ন্ত্রণ না করার প্রবণতা, অপরাধীদের শাস্তির আওতায় না আনা, রাঘববোয়ালদের সহি সালামতে রাখার চেষ্টা, রাজনৈতিক কর্মীদের নিয়ন্ত্রণ করতে না পারা, আমলা নির্ভর রাষ্ট্রযন্ত্র, গুম ও বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ড এবং সর্বোপরি লাখো কোটি টাকা বিদেশে পাচার।
এখন দেশে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, জ্বালানির দাম অস্বাভাবিক, গ্যাস সংকট, মূল্যস্ফীতি, ডলারের ক্রমবর্ধমান দাম, রিজার্ভ কমে আসা, টাকার অবমূল্যায়ন, চাকরি হারানোর ভয়ে। সরকার কি পারছে মানুষকে নূন্যতম কোনো সান্ত্বনা বা আশ্বাস দিতে?
দেশের প্রায় ৩০ শতাংশ মানুষ খাদ্য সংকটের মুখোমুখি বলে বিশ্বব্যাংকের সমীক্ষায় দেখা গেছে। ক্ষুধার্ত অবস্থায় ঘুমাতে গেছেন, বাংলাদেশে এমন মানুষের সংখ্যা গত বছরের জুনে ৭ শতাংশ থাকলেও চলতি বছরের মে মাসে তা প্রায় দ্বিগুণ হয়ে ১৩ শতাংশ হয়েছে।
তারপরও সরকারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, আমাদের অর্থনীতি ভালো অবস্থায় আছে। দেশের মানুষ না খেয়ে নেই। এই সেদিনও কৃষিমন্ত্রী বলেছেন, ‘সারা বিশ্বে দুর্ভিক্ষ হলেও, বাংলাদেশে খাদ্যে দুর্ভিক্ষ হবে না। যথেষ্ট খাদ্য আমাদের মজুদে রয়েছে।’
উন্নয়ন বেচেই টিকে আছে আওয়ামী লীগ। অথচ দেশের অনেক অর্থনীতিবিদ মনে করছেন, বাংলাদেশের যে অর্থনৈতিক উন্নয়ন, সেটার সুফল সাধারণ মানুষ পাচ্ছে না। একটি নির্দিষ্ট গোষ্ঠী সেই সুফল ভোগ করছে। অর্থাৎ সমতাভিত্তিক অর্থনৈতিক উন্নয়ন বাংলাদেশে হয়নি। ভালো করার সুফল সামষ্টিকভাবে সাধারণ মানুষ পাচ্ছে না। রপ্তানি আয় বাড়ছে, রেমিট্যান্স বাড়ছে, সেবাখাতে আয় বাড়ছে, বড় বড় কল-কারখানায় আয় বাড়ছে, এতে কিছু মানুষের সুবিধা হচ্ছে। কিন্তু, সমতাভিত্তিক অর্থনৈতিক উন্নয়নটা আমাদের হয়নি। বিশেষ করে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, সামাজিক নিরাপত্তাখাত ও কর্মসংস্থানে উন্নতি হয়নি। অর্থাৎ এ খাতগুলো কোনো সুফল পায়নি।
আওয়ামী লীগের সামনে সবচেয়ে বড় সমস্যা দ্রব্যমূল্য পরিস্থিতির ভয়াবহ অবনতি। সাধারণ মানুষের প্রকৃত আয় অনেক কমে গেছে। প্রকৃত আয় কমে যাওয়া মানে কম খাওয়া, প্রায় না খাওয়া, পুষ্টি গ্রহণ করতে না পারা, ওষুধ খেতে না পারা এবং শিক্ষা খরচ কমিয়ে ফেলতে বাধ্য হওয়া।
অন্যদিকে এই মানুষগুলোই দেখছে, ধনীরা আরও ধনী হচ্ছে, বাড়ি উঠছে, গাড়ি বাড়ছে, বিদেশে সম্পত্তি বাড়ছে, শহরে জৌলুস বাড়ছে, অপচয় হচ্ছে। ঠিক এরকম একটা বিপর্যস্ত অবস্থায় সরকারের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী বলে বসলেন, দেশের বাজারে সরকার কোনো কিছুর দাম বাড়ায়নি, নিজে থেকে বেড়ে গেছে।
আর এসবের পাশাপাশি সম্প্রতি প্রথম আলো ও যুক্তরাষ্ট্রের সাথে ক্ষমতায় থাকা দলটির সম্পর্ক আরো বেশি ঝুঁকিতে ফেলছে নড়বড়ে এই দলটিকে। এটাই আজকে আমাদের আলোচনার বিষয়।
প্রথম আলো বনাম আওয়ামী লিগ
বাংলাদেশে সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতার প্রশ্নে গত কয়েক বছর ধরেই বেশ সমালোচনা চলছে। এই সমালোচনা দেশের গন্ডি পেরিয়ে আন্তর্জাতিক মহলেও এখন আলোচনার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। এর বড় কারণ হচ্ছে, বাংলাদেশে গত কয়েক বছরে অনেক সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে এবং বেশ কয়েকজন গ্রেফতারও হয়েছেন। বাংলাদেশের একটি সুপরিচিত মানবাধিকার সংস্থা তাদের এক প্রতিবেদনে বলেছে গত তিন মাসে ৫৬জন সাংবাদিক নির্যাতন ও হয়রানির শিকার হয়েছেন। সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা নিয়ে আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংস্থাও নানা প্রশ্ন এবং উদ্বেগ প্রকাশ করছে। জাতিসংঘের পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্রসহ বিভিন্ন দেশ ছাড়া বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা প্রতিনিয়তই সরকারের বিরুদ্ধে বিভিন্ন কালাকানুন ব্যবহার করে সংবাদপত্র ও সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে ‘দমন পীড়নের’ সমালোচনা করেছে। যদিও সরকার বরাবরই এসব অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে আসছে। [বিবিসি, ১ এপ্রিল ২০২৩]
এরই ধারাবাহিকতায় সম্প্রতি বাংলাদেশের একটি অন্যতম প্রধান দৈনিক সংবাদপত্র প্রথম আলোর বিরুদ্ধে সরকারের বিরাগের বিষয়টি প্রকাশ্য হয়ে উঠেছে। বাংলাদেশের জাতীয় সংসদে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘প্রথম আলো আওয়ামী লীগের শত্রু, প্রথম আলো গণতন্ত্রের শত্রু, প্রথম আলো দেশের মানুষের শত্রু। আমি এটা অত্যন্ত দুঃখের সাথে বলি যে, এরা এই দেশে কখনোই স্থিতিশীলতা থাকতে দিতে চায় না।’ [বিবিসি, ১১ এপ্রিল ২০২৩]
২৬ মার্চ, দেশের স্বাধীনতা দিবসে, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি সম্পর্কে এক দিনমজুরের কষ্ট সংক্রান্ত মন্তব্যসহ একটি সংবাদ প্রকাশ করার পর থেকে দৈনিকটি ব্যাপক নেতিবাচক পরিস্থিতির সম্মুখীন হচ্ছে। সরকার সমর্থকরা ওই মন্তব্যকে দেশের স্বাধীনতার জন্য অবমাননাকর বলে চিহ্নিত করেছে।
এই ঘটনার পর প্রথম আলোর সাভার প্রতিনিধি শামসুজ্জামান ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে দায়ের হওয়া একটি মামলায় গ্রেপ্তার হন এবং পাঁচদিন কারাভোগ করে মুক্তি পান। জামিন পান দৈনিকটির সম্পাদক ও প্রকাশক মতিউর রহমানও।
স্বাধীনতা দিবসের দিন দৈনিক প্রথম আলোতে প্রকাশিত খবরটির প্রতি ইঙ্গিত করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, একটা ছোট্ট শিশুর হাতে ১০ টাকা দিয়ে তাকে দিয়ে একটা মিথ্যা বলানো। তিনি বলেন,“শিশুর মুখ থেকে কিছু কথা বলানো। কী কথা! ভাত-মাছ-মাংসের স্বাধীনতা চাই। একটা সাত বছরের শিশু। তার হাতে ১০টা টাকা তুলে দেয়া এবং তার কথা রেকর্ড করে সেটা প্রচার করা- স্বনামধন্য এক পত্রিকা। খুবই পপুলার। নাম তার প্রথম আলো। কিন্তু বাস করে অন্ধকারে।”
শেখ হাসিনা বলেন, “প্রথম আলো আওয়ামী লীগের শত্রু, প্রথম আলো গণতন্ত্রের শত্রু, প্রথম আলো দেশের মানুষের শত্রু।” এ সময়ে ক্ষমতাসীন দলের সদস্যরা সংসদে সেইম, সেইম বলে চিৎকার করেন।
এর আগে বাংলাদেশের অন্যতম এই শীর্ষস্থানীয় দৈনিক পত্রিকার তীব্র সমালোচনা করে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের আওয়ামী লীগের এক সভায় তার বক্তব্যে বলেন, প্রথম আলো সরকার এবং আওয়ামী লীগকে শত্রু ভাবে। [বিবিসি, ১ এপ্রিল ২০২৩]
প্রথম আলোর বিরুদ্ধে বর্তমান ক্ষমতাসীনদের বিরাগ বা বিরোধিতার বিষয়টি অবশ্য এই প্রথম নয়। এর আগেও দলটির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা এই মনোভাব প্রকাশ করেছেন।
যুক্তরাষ্ট্র বনাম আওয়ামী লিগ
এখানেই থেমে থাকেননি আমাদের প্রধানমন্ত্রী। সংসদের একটি বিশেষ অধিবেশনের সমাপনী ভাষণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১০ এপ্রিল ২০২৩ যুক্তরাষ্ট্রের কড়া সমালোচনা করেছেন। আমেরিকা চাইলে যেকোনো দেশের ক্ষমতা উল্টাতে পাল্টাতে পারে মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “তারা (আমেরিকা) দুর্নীতির বিরুদ্ধে কথা বলে আবার দুর্নীতিতে সাজাপ্রাপ্তদের পক্ষ হয়েই ওকালতি করে যাচ্ছে।”
শেখ হাসিনা বলেন, (যুক্তরাষ্ট্র) গণতন্ত্রকে বাদ দিয়ে এখানে এমন একটা সরকার আনতে চাচ্ছে- তার গণতান্ত্রিক কোনো অস্তিত্ব থাকবে না। অগণতান্ত্রিক ধারা। আর সেই ক্ষেত্রে আমাদের কিছু বুদ্ধিজীবী, সামান্য কিছু পয়সার লোভে এদের তাঁবেদারি করে। পদলেহন করে।”
প্রধানমন্ত্রী বলেন, যুক্তরাষ্ট্র দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াইয়ের কথা বলে, কিন্তু তারা দুর্নীতির অভিযোগে দণ্ডিত ব্যক্তিদের পক্ষে কথা বলে আসছে। তিনি অবশ্য তাঁর বক্তব্যে এই দণ্ডিত ব্যক্তির নাম উল্লেখ করেননি।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি ইঙ্গিত করে শেখ হাসিনা বলেন, তারা আমাদের এখন গণতন্ত্রের জ্ঞান দিচ্ছে। কথায় কথায় ডেমোক্রেসি আর হিউম্যান রাইটসের (মানবাধিকার) কথা বলছে। তাদের দেশের অবস্থাটা কী? কয়েকদিন আগের কথা, আমেরিকার টেনেসিস রাজ্যে তিনজন কংগ্রেসম্যান, এই তিনজনের অপরাধ হচ্ছে তারা অস্ত্র নিয়ন্ত্রণের জন্য আবেদন করেছিল। তারা ডেমোনেস্ট্রেশন দিয়েছিল যে, এভাবে যারতার হাতে অস্ত্র থাকা, আর এভাবে গুলি করে শিশুহত্যা বন্ধ করতে হবে। এটাই ছিল তাদের অপরাধ। আর এই অপরাধে দুজনকে কংগ্রেস থেকে এক্সপেলড করা হয়। তারা হলেন-জাস্টিস জন ও জাস্টিস পিয়ারসন। একজন সাদা চামড়া ছিল বলে বেঁচে যান। তাদের অপরাধ হলো-তারা কালো চামড়া। সেই কারণে তাদের সিট আনসিট হয়ে যায়। তো এখানে মানবাধিকার কোথায়? এখানে গণতন্ত্র কোথায়? এটা আমার প্রশ্ন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, তারা (মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র) দুর্নীতির বিরুদ্ধে কথা বলে, আবার দুর্নীতিতে সাজাপ্রাপ্তদের পক্ষ হয়েই তারা ওকালতি করে যাচ্ছে। একই সঙ্গে ‘গণতন্ত্র ও উন্নয়ন’ প্রসঙ্গ নিয়ে কারও কারও সমালোচনার জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের অভিজ্ঞতা খুবই বিচিত্র। আমরা আইয়ুব আমল দেখেছি। ইয়াহিয়া আমল দেখেছি। জিয়ার আমল দেখেছি। জেনারেল এরশাদের আমল দেখেছি। খালেদা জিয়ার আমলও দেখেছি।
এ সময় যুক্তরাষ্ট্র সফরে একটি বৈঠকের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, আমেরিকায় যখন প্রথমবার যাই, সেখানকার আন্ডার সেক্রেটারির সঙ্গে আমার মিটিং হয়েছিল। বলেছিলাম আমি একটি মনুমেন্ট দেখে এসেছি। সেখানে লেখা আছে গভর্নমেন্ট অব দ্য পিপল, ফর দ্য পিপল, বাই দ্য পিপল। আমি এমন একটি দেশ থেকে এসেছি, সেদেশটি হচ্ছে গভর্নমেন্ট অব দ্য আর্মি, বাই দ্য আর্মি, ফর দ্য জেনারেল। বলেছিলাম, আমেরিকা গণতন্ত্র চর্চা করে তাদের আটলান্টিকের পাড় পর্যন্ত। এটা যখন পার হয়ে যায়, তখন কি আপনাদের গণতন্ত্রের সংজ্ঞাটা বদলে যায়? কেন আপনারা একটা মিলিটারি ডিক্টেটরকে সমর্থন দিচ্ছেন? আমি এই প্রশ্নটি করেছিলাম।
নির্বাচনের আর মাত্র ৮ মাস বাকী। এটা স্বাভাবিক যে প্রধানমন্ত্রী প্রথম আলোর মতো লিডিং একটি দৈনিক পত্রিকাকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে চাইবে। তবে যে পথ তিনি বেছে নিয়েছেন, সেটা যেন তার বিপথের কারণ না হয়ে দাঁড়ায়।
আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিবেদন
প্রসঙ্গত যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ডিপার্টমেন্ট কর্তৃক প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে একাদশ সংসদ নির্বাচন নিয়ে বলা হয়, ২০১৮ সালের নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হয়নি বলে মত দিয়েছেন পর্যবেক্ষকরা। কারণ সেই নির্বাচনে ভোট গ্রহণের আগেই ব্যালট বাক্স ভরে যাওয়া, বিরোধী দলীয় এজেন্ট ও ভোটারদের ভয়-ভীতি প্রদর্শনসহ নানা অনিয়মের ঘটনা ঘটেছে।
ফলে পর্যবেক্ষকদের কাছে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন বলে বিবেচিত হয়নি। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ২০২২ সালে বাংলাদেশে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড, গুমের ঘটনাও ঘটেছে। স্বাধীন মতপ্রকাশে বাধা, সভা-সমাবেশে বলপ্রয়োগ, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক মানবাধিকার প্রতিষ্ঠানকে বাধা প্রভৃতি অন্যান্য সময়ের মতো অব্যাহত ছিল বলে উল্লেখ করা হয় যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিবেদনে।
সেখানে আরও বলা হয়, নিরাপত্তা বাহিনীর নির্যাতন ও দুর্নীতির বিষয়ে ব্যাপক দায়মুক্তির অভিযোগের খবর এই সময়ে ছিল। যে সমস্ত নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য মানবাধিকার লঙ্ঘন ও দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত ছিল, তাদের চিহ্নিত করে, তদন্ত, বিচার ও শাস্তি দেওয়ার ব্যাপারে সরকার খুব কমই পদক্ষেপ নিয়েছে।
প্রতিবেদনে ইন্টারনেটে ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতায় বাধার বেশ কিছু তথ্য তুলে ধরেছে যুক্তরাষ্ট্র। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সরকার ও আওয়ামী লীগের সমালোচক হিসেবে পরিচিত সংবাদমাধ্যমগুলো হয়রানির শিকার হয়েছে। ওই সংবাদমাধ্যমগুলোতে বিজ্ঞাপন কাটছাঁট করা হয়েছে। এ কারণে অনেক মাধ্যম স্বেচ্ছায় সরকারের সমালোচনা এড়িয়ে গেছে।
এসডব্লিউ/এসএস/১৪১০
আপনার মতামত জানানঃ