জাকির হোসেন
নারী সে নারীকেও জন্ম দেয়, আবার পুরুষকেও জন্ম দেয়। নারী স্বয়ংপ্রভা। নক্ষত্রও নারী, একইভাবে সে নীহারিকাও। সে নক্ষত্র- সে গ্রহ, উপগ্রহের কিংবা নীহারিকার জন্মদাত্রী। সে নক্ষত্রনারী- সে সবার মা। সৃষ্টির কারণ নারী, সৃষ্টির ধারা নারী। নারী কখনো মরে না। নারী অমর।
নারীর সাথে সবচেয়ে বেশি সাদৃশ্য বৃক্ষের! বৃক্ষও স্বয়ংপ্রভ। প্রতিটা বৃক্ষ যেমন প্রতিটা বৃক্ষকে জন্ম দেয়, তেমনি খাদ্য দিয়ে, অক্সিজেন দিয়ে তার জীবকূলদের রক্ষা করে। তেমনি নারীও তার দেহ ও দেহরস দিয়ে তার সন্তানকূলকে রক্ষা করে।
নদী ভাববাদী কবির কল্পনায় নারী হতে পারে, কিন্তু সে স্বয়ংপ্রভ নয়, – উৎসে ভাটা পড়লে সেও মরে যায়। কিন্তু নারী মরেনা, নারী তার প্রজাপতি রঙ্গে সে চিরকাল এই মহাবিশ্বকে সৃষ্টি করে চলে। নারী চিরকালের আধার মুক্তি, অন্ধকারের আলোক জ্যোতি।
প্রাচীন দর্শন ও প্রত্ন টেরাকোটায় নারী উর্বরতার, উদ্ভিদ প্রসবের- বৃক্ষের মা। বৃক্ষরূপই নারী!
পৃথিবীর এমন অনেক নদী ছিলো তার অস্তিত্ব হারিয়ে মানব, প্রাণী, জীবকূলকে করেছে নির্বংশ, সভ্যতাকে করেছে নিশ্চিহ্ন, জাতিকে করেছে কূল হারা! কিন্তু নারী শুকিয়ে যায়না, মরে যায় না- সে প্রতিনিয়ত নতুন প্রাণসঞ্চার করে, নতুন জীবন দান করে।
নদী যেমন নরীর মতো নয়, তেমনি বৃক্ষের মতোও নয়। নদী হলো সমুদ্রের ঠিকানায় প্রবাহিত জীবন রসের অনন্ত চক্রের ধারক মাত্র।
তাই, নারী বৃক্ষের মতো হতে পারে, নদীর মতো নয়।-বৃক্ষরূপই নারী!
আপনার মতামত জানানঃ