State Watch
    Facebook Twitter Instagram
    সর্বশেষ প্রকাশিত
    • ঠাকুরগাঁওয়ে ১২টি মন্দিরে হামলা, ১৪টি প্রতিমা ভাঙচুর
    • তুরস্ক ও সিরিয়ায় শতাব্দীর ভয়াবহতম ভূমিকম্পে নিহত বেড়ে ৬৪১
    • কেন গবেষণা বলছে কাক মানুষের থেকে উত্তম প্রাণী?
    • দেবতাদের সন্তুষ্টিতে নীলনদে হস্তমৈথুন করত মিশরীয়রা, করত বীর্যদান
    • গাছেরাও ঘুমায়, ঘুম থেকে জেগেও ওঠে: বিজ্ঞানীদের চমকে দেওয়া গবেষণা
    • আবারো ঢাকায় আসছে উচ্চ পর্যায়ের মার্কিন প্রতিনিধিদল, কিন্তু কেন?
    • অতিমানবীয় ধনী: দেশে ২১ ব্যক্তির কাছে আছে ৫ হাজার কোটি টাকার বেশি সম্পদ
    • সড়ক দুর্ঘটনা: জানুয়ারিতে ঝরেছে নিরীহ ৬৪২ প্রাণ
    State Watch
    • প্রধান পাতা
    • আইনপ্রয়োগ
      1. গুম-অপহরণ
      2. গ্রেপ্তার-নিপীড়ন
      3. নিপীড়নমূলক আইন
      4. প্রাতিষ্ঠানিক দুর্নীতি
      5. বিচার বহির্ভূত হত্যা
      6. রাষ্ট্রীয় বাহিনী
      Featured
      জানুয়ারি ৩০, ২০২৩

      ১৩২ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ: ওয়াসার এমডিসহ নয় জন আসামী

      Recent
      জানুয়ারি ৩০, ২০২৩

      দুর্নীতি ও বাংলাদেশ: দুই দেহ এক প্রাণ

      জানুয়ারি ৩০, ২০২৩

      ১৩২ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ: ওয়াসার এমডিসহ নয় জন আসামী

      জানুয়ারি ২২, ২০২৩

      ছিনতাই করতে যেয়ে পুলিশের হাতে র‍্যাব সদস্য গ্রেপ্তার

    • আক্রান্ত জনগোষ্ঠী
      1. আদিবাসী
      2. গণমাধ্যম
      3. ধর্মীয় সংখ্যালঘু
      4. নারী ও শিশু
      5. প্রাণ-প্রকৃতি-কৃষি
      6. ভিন্ন মতাবলম্বী
      7. রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ
      8. শ্রমজীবী
      Featured
      ডিসেম্বর ৬, ২০২২

      রিজভীর নামে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা: পুলিশের অভিযানে ঘরছাড়া বিএনপি নেতাকর্মীরা

      Recent
      ফেব্রুয়ারি ৬, ২০২৩

      ঠাকুরগাঁওয়ে ১২টি মন্দিরে হামলা, ১৪টি প্রতিমা ভাঙচুর

      জানুয়ারি ৩১, ২০২৩

      সাজানো মামলা ও নির্যাতনে প্রকৃত সাংবাদিক-শূন্য বাংলাদেশ

      জানুয়ারি ২৩, ২০২৩

      বাংলাদেশের বিরোধী দল ভয়াবহ দমন-পীড়নের শিকার: দ্য গার্ডিয়ান

    • বিশেষায়িত
      1. করোনাভাইরাস
      2. ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট
      3. নির্বাচন
      4. বিশ্ব
      5. মানবাধিকার
      6. রোহিঙ্গা জাতি
      7. সীমান্ত ইস্যু
      Featured
      ফেব্রুয়ারি ৬, ২০২৩

      তুরস্ক ও সিরিয়ায় শতাব্দীর ভয়াবহতম ভূমিকম্পে নিহত বেড়ে ৬৪১

      Recent
      ফেব্রুয়ারি ৬, ২০২৩

      তুরস্ক ও সিরিয়ায় শতাব্দীর ভয়াবহতম ভূমিকম্পে নিহত বেড়ে ৬৪১

      ফেব্রুয়ারি ৫, ২০২৩

      ইরাকে জীবনযাপন পছন্দ না হওয়ায় মেয়েকে হত্যা করল বাবা

      ফেব্রুয়ারি ৪, ২০২৩

      আদানির পতনে বিশ্বের পঞ্চম অর্থনীতির শিরোপা হারালো ভারত

    • রাজনীতি-প্রশাসন
      1. অর্থনীতি ও বাণিজ্য
      2. আইন-আদালত
      3. ক্ষমতাসীন দল
      4. জাতীয় সংসদ
      5. রাজনীতি
      6. রাষ্ট্র-সরকার
      Featured
      ফেব্রুয়ারি ৫, ২০২৩

      অতিমানবীয় ধনী: দেশে ২১ ব্যক্তির কাছে আছে ৫ হাজার কোটি টাকার বেশি সম্পদ

      Recent
      ফেব্রুয়ারি ৫, ২০২৩

      অতিমানবীয় ধনী: দেশে ২১ ব্যক্তির কাছে আছে ৫ হাজার কোটি টাকার বেশি সম্পদ

      ফেব্রুয়ারি ৩, ২০২৩

      গ্যাসের দাম এক লাফে ২৬৬ টাকা বাড়াল সরকার

      ফেব্রুয়ারি ১, ২০২৩

      ১৯ দিনের ব্যবধানে বাড়ল বিদ্যুতের দাম, বাড়বে আবারও

    • মতামত
      • বিশ্লেষণ
      • সম্পাদকীয়
      • সাক্ষাৎকার
    • গবেষণা ও প্রতিবেদন
      1. বিভিন্ন সংস্থার প্রতিবেদন
      2. চলতি প্রবণতা
      3. নীতি নির্দেশনা
      Featured
      জানুয়ারি ৩১, ২০২৩

      আবারো অবনমন: সবচেয়ে দুর্নীতিগ্রস্ত দেশের তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান ১২

      Recent
      ফেব্রুয়ারি ৫, ২০২৩

      সড়ক দুর্ঘটনা: জানুয়ারিতে ঝরেছে নিরীহ ৬৪২ প্রাণ

      জানুয়ারি ৩১, ২০২৩

      দেশের ১৭ প্রজাতির মাছে মাইক্রোপ্লাস্টিক, বাড়ছে ক্যান্সার ঝুঁকি

      জানুয়ারি ৩১, ২০২৩

      আবারো অবনমন: সবচেয়ে দুর্নীতিগ্রস্ত দেশের তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান ১২

    • আর্কাইভ
    State Watch
    ইতিহাস

    ডাক ব্যবস্থার ইতিহাস

    ডেস্ক রিপোর্টBy ডেস্ক রিপোর্টজানুয়ারি ২, ২০২৩No Comments12 Mins Read

    দিল্লির প্রথম সুলতান কুতুবউদ্দিন আইবেক-এর শাসনামলে (১২০৬ থেকে ১২১০ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত) ডাক ব্যবস্থার ক্রমোন্নতির একটা ধারাবাহিক বিবরণ পাওয়া যায়। তিনি দিল্লি থেকে বাংলাদেশ পর্যন্ত আরবদের অনুকরণে এক ধরনের ডাক ব্যবস্থা (ঘোড়ার ডাক) চালু করেন। কতগুলো নতুন শব্দও তিনি চালু করেছিলেন, যেমন কাসিদ (দূত), ধাওয়া (রানার) এবং উলাগ (ঘোড়ার সাহায্যে বহনকারী)। এই ব্যবস্থার সংস্কার সাধন করেন সুলতান আলাউদ্দিন খলজী, যিনি জানামতে সর্বপ্রথম ডাকচৌকি স্থাপন করেন।

    বিজ্ঞাপন

    সুলতান কুতুবউদ্দিন আইবেক ১২৯৬ সালে ঘোড়ায় চড়া এবং পায়ে হাঁটা ডাকবাহকের সাহায্যে তথ্য পরিবহণের ব্যবস্থা চালু করেন। তার সময়ে ডাক বিভাগকে বলা হতো মাহকামা-ই-বারিদ। এই বিভাগকে দুই জন ডাক কর্মকর্তার তত্ত্বাবধানে ন্যস্ত করা হয়, এদের একজন মালিক বারিদ-ই-মামালিক এবং তার সহযোগী নায়েব বারিদ-ই-মামালিক। তিনি প্রতিটি শহরে সংবাদ লেখক (মুন্সি) নিয়োগ করতেন।

    ডাক বিভাগের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ অবদান সূচিত হয় মোহাম্মদ বিন তুগলকের শাসনামলে (১৩২৫-১৩৫১)। ইবনে বতুতার ভ্রমণ কাহিনীতে লিপিবদ্ধ আছে যে, তিনি সে সময় দুই ধরনের ডাক ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করেছেন, তার একটি হলো ঘোড়সওয়ার ডাকবাহক এবং অন্যটি পায়ে হাঁটা সাধারণ ডাকবাহক। ইবনে বতুতা লিখেছেন, সিন্ধু থেকে দিল্লী ডাক পরিবহণে অত্যন্ত কম সময় ব্যয় হত। তুগলকদের শাসনামলে ডাক বিভাগের কর্মকর্তারা আংশিকভাবে পুলিশের দায়িত্বও পালন করত।

    ডাক ব্যবস্থার সার্বিক সংস্কার সাধন করা হয় শেরশাহ-এর র শাসনামলে (১৫৩৮-১৫৪৫)। তিনি পূর্বের ডাক রানার ব্যবস্থার পরিবর্তে পুরোপুরি ঘোড়ার সাহায্যে ডাক পরিবহণ ব্যবস্থা চালু করেন এবং বাংলাদেশের সোনারগাঁও থেকে সিন্ধুনদের তীর পর্যন্ত গ্রান্ট ট্রাঙ্ক রোড নামে খ্যাত ৪,৮০০ কিলোমিটার দীর্ঘ এক রাস্তা তৈরি করেন। তিনি প্রতি দুই মাইল অন্তর একটি করে চৌকি তৈরি করেন যেগুলি সরাইখানা এবং ডাকচৌকি রূপে ব্যবহূত হতো।

    শেরশাহ ১ হাজার সাতশোটি ডাকঘর নির্মাণ করেন এবং ঘোড়াসহ প্রায় ৩হাজার চারশো জন বার্তাবাহক নিযুক্ত করেন। তিনি তাঁর গভর্নর ও মন্ত্রীদের নিকট এই কর্তৃত্ব হস্তান্তরে রাজি ছিলেন না। এই সময় মীর মুন্সি অর্থাৎ রাজকীয় ফরমান, যোগাযোগ ও ডাক বিভাগের সচিব দারোগা-ই-চৌকি পদধিকারী কর্মকর্তার তত্ত্বাবধানে কাজ করতেন। বিপুল সংখ্যক কর্মচারীর সমন্বয়ে সম্প্রসারিত ডাক ব্যবস্থাকে বলা হতো দিওয়ান-ই-ইনসা। তারিখ নবীস পদধিকারী দুজন করণিকের অধীনে নিম্নবর্ণের গোত্র থেকে নিয়োজিত মৈওয়ার নামক কমচারীরা শাহী তথ্য আদান-প্রদান করত।

    বাংলা শাসনকালে মুগলরা দারোগা-ই-ডাকচৌকি ব্যবস্থা বহাল রাখেন। ডাক চৌকিগুলো মূলত প্রাদেশিক সরকার নিয়ন্ত্রণ করত। সম্রাট জাহাঙ্গীরের শাসন আমলে ১৬১০ সাল থেকে বাংলার রাজধানী ঢাকার সঙ্গে দিল্লির ডাক যোগাযোগ প্রতিষ্ঠিত হয় এবং ডাক গ্রহণ ও প্রেরণের জন্য ডাকচৌকির দারোগা বা সুপারিনন্টেন্ডেন্ট নিয়োগ করা হয়।

    প্রাথমিক পর্যায়ে ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি (১৬৩০-৮৮) মুগলদের তুলনায় অনেক সংক্ষিপ্ত এলাকায় ডাক পরিবহণ ব্যবস্থা চালু রাখে। কলকাতার সঙ্গে ঢাকা, চট্টগ্রাম, দিনাজপুর, রাজশাহী, রংপুর, রাজমহল এবং মুর্শিদাবাদের বাণিজ্যিক দফতরগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষার জন্য এ ব্যবস্থার প্রয়োজন ছিল।

    ১৭৬৬ সালে রবার্ট ক্লাইভ প্রথমবারের মতো ডাক ব্যবস্থার সংস্কার করেন। কলকাতায় একজন পোস্টমাস্টার নিয়োগ দেয়া হয়, কলকাতার সঙ্গে ৬টি ডাক যোগাযোগ কেন্দ্রের সংযোগ স্থাপন করা হয়, তবে প্রধান সংযোগ ছিল ঢাকা ও পাটনার সঙ্গে। এই ব্যবস্থাকে বলা হতো ক্লাইভের ডাক।

    ওয়ারেন হেস্টিংস্-এর সময় ১৭৭৪ সালের ১৭ মার্চ তারিখে কলকাতায় জিপিও বা জেনারেল পোস্ট অফিস স্থাপন করা হয়। এ সময়ে নিয়মিত ডাক ব্যবস্থার আওতায় মাত্র দুই আনার বিনিময়ে বাংলাদেশের মধ্যে ১৬০ কিলোমিটার সীমানায় ডাক প্রেরণের ব্যবস্থা করা হয়। এ কাজের জন্য ১৩৯টি অঞ্চলে ৪১৭ জন হরকরা, ১৩৯ জন মশালচি (আলোকবর্তিকা বহনকারী) এবং ১৩৯ জন ঢুলি নিয়োগ করা হয়।

    ১৭৮১ সালে কলকাতা থেকে চট্টগ্রাম ৪০ টাকা, সময় লাগতো ৬০ দিন আর ঢাকা পর্যন্ত মাশুল ছিল ২৯ টাকা, সময় লাগতো সাড়ে ৩৭ দিন। ১৭৮৪ সালে পালকি ডাক চালু করা হয়। পালকি ডাক চিঠিপত্রে বান্ডিলের পাশাপাশি মানুষও বহন করত অথবা মানুষবাহী পাল্কিতে ডাকের পুটুলি বহন করা হতো। এ ব্যবস্থা বর্ষা মৌসুমে অর্থাৎ জুন থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চারমাস সময় ছাড়া সারাবছর চালু থাকত। ১৭৮৫ সালে পূর্ববঙ্গের বিভিন্ন অঞ্চলের ডাক চৌকিগুলোর মাধ্যমে পার্সেল প্রেরণ ব্যবস্থা চালু করা হয়। এখান থেকেই বর্তমান পোস্টাল পার্সেল সার্ভিসের যাত্রা শুরু।

    ১৭৯১ সালে ডাক বহনের মাশুল পুনর্বিন্যাস করা হয় এবং কলকাতা থেকে ঢাকা তিন আনা, চট্টগ্রাম পর্যন্ত ছয় আনা মাশুল ধার্য করা হয়। ১৭৯৩ সালে এক বিধি জারির মাধ্যমে ডাক ব্যবস্থা আরও সংগঠিত ও নিয়মতান্ত্রিক রূপ লাভ করে। এ ব্যবস্থায় স্থানীয় ডাক যোগাযোগ রক্ষার দায়িত্ব বর্তায় জমিদারদের ওপর। এ সময়ে ব্যবসায়ীরা তাদের নিজস্ব ডাক ব্যবস্থাও চালুর করে। এ ডাকব্যবস্থাকে বলা হতো মহাজনি ডাক। সুপ্রতিষ্ঠিত ব্যক্তিবর্গ, ব্যবসায়ী এবং জমিদাররা এর সুযোগ ভোগ করতেন।

    ১৭৯৮ সালে একটি আইন পাস করার মাধ্যমে লর্ড ওয়েলেসলি ডাক ব্যবস্থার আরও সংস্কার সাধন করেন। পূর্ববঙ্গের ডাকঘরগুলি কলকাতার জেনারেল পোস্ট অফিসের তত্ত্বাবধানে ছিল। ১৭৯৮-৯৯ সালে কলকাতা জিপিও-র ৯টি শাখা অফিস ছিল যথাক্রমে ঢাকা, চট্টগ্রাম, দিনাজপুর, রংপুর, নাটোর, কুমারখালী, রঘুনাথপুর, সিলেট এবং রামুতে।

    ১৮৫৪ সালে সমন্বিত আধুনিক ডাকব্যবস্থার অধীনে দূরত্বভিত্তিক চিঠি পাঠানোর মাশুলের পরিবর্তে ওজনভিত্তিক মাশুল আদায়ের ব্যবস্থা চালু করা হয়। এ সময়ে প্রথম সর্বভারতীয় ডাকটিকিট প্রবর্তন করা হয়। দ্রুত ডাক পরিবহণের মাধ্যম হিসাবে রেল পরিবহণ ব্যবস্থার সহায়তা গ্রহণ করা হয় এবং রেলওয়ে মেইল সার্ভিস (আরএমএস) চালু হয়। এ সময় প্রথম আধা আনা মূল্যের লালচে কমলা এবং এক আনা মূল্যের উজ্জ্বল নীল রঙের ডাকটিকিট চালু হয়।

    ১৮৮০ সালের ১ ফেব্রুয়ারি থেকে নিয়মিত রেল মেইল সার্ভিস চালু হয়। এর মাধ্যমে স্থানীয় ডাক বাছাই কাজ শুরু হয়। ১৮৬৪-৬৫ সালে ডাক বিভাগের আয় বেড়ে হয় দ্বিগুণ। ১৮৬৬ সালে পাস করা পোস্ট অফিস আইন ১৮৬৭ থেকে কার্যকর হয়। ১৮৭৮ সালের সেপ্টেম্বর মাসে ঢাকায় সদর দপ্তর স্থাপন করে পোস্ট অফিসের পূর্বাঞ্চলীয় শাখা চালু করা হয় এবং চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহ, কুমিল্লা ও নোয়াখালীতে বিলি বা ডেলিভারি অফিস স্থাপন করা হয়। ১৮৭৯ সালে সর্বপ্রথম এক পয়সা মূল্যের পোস্টকার্ড চালু করা হয় এবং তৎকালীন বিশ্বে এটাই ছিল ডাক বহনের ন্যূনতম হার।

    ১৮৭৩ সালের ১ জুলাই থেকে এক আনা মূল্যের এমবস্ড খাম চালু করা হয়। ১৮৭৭ সালের ১ আগস্ট থেকে রেজিস্টার ডাক এবং একই সালের ১ ডিসেম্বর থেকে ভ্যাল্যু পেয়েবল ডাক ও ১৮৭৮ সালের ১ জানুয়ারি থেকে বীমাকৃত ডাক চালু করা হয়। ১৮৫৬-৫৭ সালে প্রথম চিঠি ফেলার বাক্স বা লেটার বক্স চালু হয় এবং এই বক্সের সংখ্যা ক্রমাগত বৃদ্ধি পেতে থাকে।

    ১৮৮০ সালের পহেলা জানুয়ারি থেকে ভারতের সকল ডাকঘরে মানিঅর্ডার ব্যবস্থা চালু হয়। একজন প্রধান পরিদর্শকের অধীনে ১৮৭৩ সালের ১ এপ্রিল থেকে আসাম পোস্টাল সার্কেল স্থাপিত হয় এবং কুঁচবিহার, সিলেট ও কাছাড় জেলাকে এই সার্কেলের আওতাভুক্ত করা হয়। ইতোমধ্যে টেলিগ্রাফ ব্যবস্থাও সকল প্রধান ডাকঘরগুলিতে চালু করা হয় এবং ধীরে ধীরে তা’ বিস্তার লাভ করতে থাকে।

    পরে রেলওয়ে মেইল সার্ভিসকে জাহাজ যোগাযোগের সঙ্গে সংযুক্ত করা হয়। ১৮৮৪ সালে আসাম স্টিমার সার্ভিসের মাধ্যমে এই ব্যবস্থা চালু করা হয়, অবশ্য পরে ১৯০৪ সালে আবার তা বন্ধ করে দেওয়া হয়। ঢাকা এবং নারায়ণগঞ্জ আরএমএস ব্যবস্থা চালু করা হয়েছিল কেবল নারায়ণগঞ্জ ও ফেঞ্চুগঞ্জের মধ্যে ডাক যোগাযোগ স্থাপনের জন্য। খুলনা ও বরিশালের মধ্যেও আরএমএস সার্ভিস চালু করা হয় ১৮৯৯ সালে, কিন্তু তা আবার ১৯০২ সালে বন্ধ করে দেওয়া হয়।

    টেলিগ্রাফ সার্ভিস চালু করা হয় পোস্ট অফিসের সঙ্গেই সংযুক্ত অফিসের মাধ্যমে ১৮৮৩ সালের ১ ডিসেম্বর থেকে এবং এক্সপ্রেস টেলিগ্রাম সার্ভিস চালু হয় ১৯০৯ সালে। ১৯০৫ সালে বাংলাকে বিভক্ত করে পূর্ববঙ্গ ও আসামের সমন্বয়ে ঢাকাকে রাজধানী করে একটি নতুন প্রদেশ গঠন করা হয়। ১৯০৭ সালে পূর্ববঙ্গ ও আসাম ডাক সার্কেল গঠিত হয় এবং তৎকালীন সার্কেলের যেসব অঞ্চল এই নতুন সার্কেলের এলাকাভুক্ত ছিল ঐসব অঞ্চলই নতুন সার্কেলের অর্ন্তভুক্ত হয়।

    ১৯১১ সালে বঙ্গভঙ্গ রদ করা হলে এই নতুন সার্কেল আবার আগের পূর্ববঙ্গ ও আসাম সার্কেলের সঙ্গে একীভৃত করা হয়। ১৯১৪ সালে প্রথম বিশ্বযুদ্ধ শুরু হলে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক ফিল্ড পোস্ট অফিস স্থাপন করা হয় সেনাবাহিনীর কার্যক্রমে সহায়তা প্রদানের লক্ষ্যে। ১৯২০ সাল নাগাদ পূর্ববঙ্গ ও আসামে ডাকঘরের সংখ্যা ও সেবা উভয়দিক থেকে তাৎপর্য অগ্রগতি সাধিত হয়। ১৯২০ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি চিঠিপত্রে মাশুল দেয়ার কাজে দ্রুততা আনার লক্ষ্যে মিটার ফ্র্যাঙ্কিং-এর মাধ্যমে ডাকমাশুল প্রদানের ব্যবস্থা চালু হয়।

    ১৯৩০-এর দশক ছিল বিমানে ডাক পরিবহণের যুগ। ১৯৩৩ সালের ১ ডিসেম্বর থেকে ঢাকা-কলকাতার মধ্যে বিমানে ডাক পরিবহণ শুরু হয়। একই দিনে চট্টগ্রাম হয়ে কলকাতা-রেঙ্গুন রুট চালু করা হয়।

    ১৯৩৯ সালে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ আরম্ভ হলে ডাক বিভাগ ব্যাপক নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করে। চট্টগ্রামে অভ্যন্তরীণ ডাক সেন্সর (নিরীক্ষণ) স্টেশন স্থাপন এবং পরে ১৯৪৩ সালের মার্চ মাসে ময়মনসিংহ, ঢাকা ও চাঁদপুরে সেন্সর সাবস্টেশন স্থাপন করা হয়। ১৯৪২ সালের মে মাসে পূর্ববাংলার প্রথম ফিল্ড পোস্ট অফিস স্থাপিত হয় যশোর জেলার ঝিকরগাছায় সেনাবাহিনীর সহায়তার জন্যে। পরে আসাম, আরাকান ও বার্মায় যুদ্ধরত সেনা সদস্যদের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষার লক্ষ্যে আরও অনেক ফিল্ড পোস্ট অফিস স্থাপন করা হয়।

    এই সময় নিয়মিত ডাকসেবা বিঘ্নিত হলে বিভিন্ন অঞ্চলের ডাক কর্মীরা ফিল্ড পোস্ট অফিসের মাধ্যমে ডাক সেবায় সহযোগিতা প্রদান করে। ১৯৪৫ সালে যুদ্ধ শেষে ফিল্ড পোস্ট অফিসগুলি গুটিয়ে ফেলে আরও উন্নত স্থানে অবস্থিত ডাকঘরের সঙ্গে একীভৃত করা হয়।

    ১৯৪৭ সালের ১৪ আগস্ট ব্রিটিশ শাসিত ভারতবর্ষ পাকিস্তান ও ভারত নামে দুটি পৃথক স্বাধীন রাষ্ট্রে বিভক্ত করা হয়। এতে বাংলাও বিভক্ত হয়ে যায় এবং অবিভক্ত বাংলার পূর্বাঞ্চলের বেশির ভাগ এলাকা নিয়ে পূর্ববাংলা প্রদেশ গঠিত হয়। ১৯৪৮ সালে সাবেক বাংলা ও আসাম সার্কেলের একটি এলাকা (সিলেট) নিয়ে নতুন পূর্ববাংলা সার্কেল গঠন করা হয়। ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে ব্যাপক অভিবাসনের কারণে নবগঠিত এই সার্কেলে জনশক্তি, সহায়ক যন্ত্রপাতি এবং ডাকটিকিট ও ডাক সামগ্রীর চরম অভাব দেখা দেয়। কোন কোন ক্ষেত্রে চিঠিপত্র বিলি না হয়ে কয়েক মাস পড়ে থাকে।

    ব্রিটিশ ভারতে মুদ্রিত ডাকটিকিট এবং অফিসে ব্যবহূত অন্যান্য কাগজপত্র ভারতের নাসিক, ঢাকা, চট্টগ্রাম, খুলনায় পাকিস্তান শব্দটি মুদ্রণ করা হয়, যাতে এগুলি পূর্ববাংলায় ব্যবহার করা যায়। ১৯৪৮ সালের ৯ জুলাই তারিখে পাকিস্তানের নিজস্ব ডাকটিকিট এবং একই সালের ১৪ আগস্ট নিয়মিত ডাকটিকিট সিরিজ চালু করা হয়। ১৯৫০ সালে পূর্ব পাকিস্তানে ডাক ব্যবস্থার উন্নয়ন ও আধুনিকীকরণের জন্য প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়।

    জেলা শহরগুলিতে অবস্থিত গুরুত্বপূর্ণ সাব ডাকঘরগুলির উন্নয়ন করে প্রধান ডাকঘরে রূপান্তর করা হয়। ১৯৫৬ সালে বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার পর ডাকটিকিট ও অন্যান্য কাগজপত্র বাংলা হরফে মুদ্রিত হয়। সকল গুরুত্বপূর্ণ ডাকঘর বিশেষ করে প্রধান ডাকঘরগুলিতে ইংল্যান্ড থেকে আমদানিকৃত নতুন ফ্র্যাঙ্কিং মেশিন সরবরাহ করা হয়। বিমান ডাক পরিবহণের জন্য চালু করা হয় নতুন রুট।

    পূর্ব ও পশ্চিম পাকিস্তানের মধ্যে ডাক পরিবহণের জন্য পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইনস দৈনিক ঢাকা-করাচি-ঢাকা পথে জেট বিমানযোগে ফ্লাইট চালু করে। আন্তর্জাতিক ডাক রুটগুলি পুনর্বিন্যাস করা হয়। ১৯৫৯ সালে ঢাকা খুলনা এবং চট্টগ্রামে নতুন জেনারেল ডাকঘর স্থাপন করা হয়। ১৯৬১ সালে মেট্রিক পদ্ধতি চালুর মাধ্যমে টাকা-আনা-পাইয়ের পরিবর্তে মুদ্রার নতুন একক নির্ধারণ করা হয়। ১৯৬৩ সালে ঢাকা জেনারেল পোস্ট অফিসের জন্য নতুন কমপ্লেক্স স্থাপন করা হয়। ১৯৬৯ সালে কমলাপুর রেলস্টেশন স্থাপিত হলে রেলওয়ে মেইল সার্ভিস সেখানে স্থানান্তর করা হয়। বিমান ডাকের জন্য একটি পৃথক বাছাই শাখাও খোলা হয়।

    যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি এবং বেশ কয়টি নূতন অভ্যন্তরীণ বিমান রুট চালু হওয়ার ফলে ঢাকা চট্টগ্রাম, কুমিল্লা, সৈয়দপুর এবং বরিশালের সঙ্গে অভ্যন্তরীণ বিমান ডাক ব্যবস্থা চালু করা হয়। নতুন ধরনের ফ্র্যাঙ্কিং মেশিন, ডাকটিকিট ও স্টেশনারি মুদ্রণের স্বয়ংক্রিয় মেশিন চালু হওয়ার ফলে ১৯৭০ সাল থেকে ডাক ব্যবস্থার আধুনিকীকরণের ক্ষেত্রে তাৎপর্যপূর্ণ পরিবর্তন সাধিত হয়।

    রেডিও এবং ড্রাইভিং লাইসেন্স নবায়ন, প্রাইজবন্ড বিক্রয়, সামরিক পেনশন প্রদান ইত্যাদি গুরুত্বপূর্ণ কাজ ডাকঘর করে থাকে। ঢাকা জিপিও-তে ফিলাটেলিক ব্যুরো এবং ২৯টি হেড পোস্ট অফিসে ফিলাটেলিক কাউন্টার খোলা হয়।

    ১৯৭১ সালের ১৭ এপ্রিল কুষ্টিয়া জেলার মুজিবনগরে বাংলাদেশের প্রবাসী সরকার গঠনের সঙ্গে সঙ্গেই বিভিন্ন সীমান্ত এলাকায় ৫০টি ফিল্ড পোস্ট অফিস চালুর মাধ্যমে এবং মুক্তিবাহিনীর সার্বিক বা আংশিক পরিচালনায় ডাক ব্যবস্থা চালু করা হয়। ফিল্ড পোস্ট অফিস স্থাপন এবং সেগুলি পরিচালনার জন্যে স্কাউট নিয়োগ করা হয়। মুজিবনগর সরকার ১৯৭১ সালের ২৯ জুলাই তারিখে একইসঙ্গে মুজিবনগর সচিবালয়, বাংলাদেশের বিভিন্ন কূটনৈতিক মিশন এবং লন্ডনস্থ হাউজ অব কমন্স-এ আটটি স্মারক প্রচারণামূলক ডাকটিকিট চালু করে।

    ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর ঢাকায় আনুষ্ঠানিকভাবে পাকবাহিনীর আত্মসমর্পণের পর মুজিবনগর সরকারের ফিল্ড পোস্ট অফিসগুলি বন্ধ করে দেশের স্থায়ী ডাকব্যবস্থার সঙ্গে একীভূত করা হয়। ১৯৭১ সালের ২০ ডিসেম্বর পাকিস্তান ডাকবিভাগের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (স্টাফ ও সংস্থাপন) আবু মোহাম্মদ আহসানউল্লাহকে ডাক বিভাগের মহাপরিচালক নিয়োগ করা হয়।

    বাংলাদেশ উত্তরাধিকারসূত্রে স্বাধীনতা যুদ্ধ-বিদ্ধস্ত একটি ডাক ব্যবস্থা লাভ করে। কেবল যন্ত্রপাতি বিনষ্ট, ধ্বংস বা ক্ষয়-ক্ষতিই নয়, স্বাধীনতার অব্যবহিত পরের বছরগুলিতে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত জনবলেরও অভাব দেখা দেয়। ডাকঘর লুণ্ঠন বা পুড়িয়ে দেওয়ার ফলে ক্ষতির পরিমাণ দাঁড়ায় প্রায় দেড় কোটি টাকা। ১২০টি ডাকঘর জ্বালিয়ে দেওয়া হয় এবং ডাক বিভাগের ২০০ জন কর্মচারী-কর্মকর্তাকে হত্যা করা হয়। যুদ্ধের পর সম্পূর্ণ ডাকব্যবস্থাকে পুনর্বিন্যাস করতে হয়।

    ১৯৭১-৭২ সালে সমগ্র বাংলাদেশে মোট ডাকঘরের সংখ্যা ছিল ৬,৬৬৭টি এবং লোকবল ছিল ২৪,৯৮৩ জন। প্রাথমিক পর্যায়ে ডাকবিভাগকে পূর্ব ও পশ্চিম এই দুইটি প্রশাসনিক সার্কেলে বিভক্ত করা হয়। ১৯৭৯ সাল থেকে সার্কেলগুলি পুনর্বিন্যাস করে কেন্দ্রীয় (ঢাকা), দক্ষিণাঞ্চলীয় (খুলনা), উত্তরাঞ্চলীয় (রাজশাহী) এবং পূর্বাঞ্চলীয় (চট্টগ্রাম)- এই চারটি সার্কেলে বিভক্ত করা হয়। প্রথম দশকে ডাক বিভাগকে আধুনিক ও যান্ত্রিকীকরণের প্রকল্প হাতে নেওয়া হয় এবং ১৯৮০ সাল নাগাদ ডাক বিভাগ একটি চিঠি বাছাই করার স্বয়ংক্রিয় যন্ত্র, ১৬৩টি স্ট্যাম্প ক্যান্সেলিং যন্ত্র এবং ৮৮টি নতুন ফ্র্যাঙ্কিং যন্ত্র সংগ্রহ করে। ১৯৭৩ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ ইউনিভার্সাল পোস্টাল ইউনিয়নের (ইউপিইউ) সদস্যপদ লাভ করে।

    ১৯৮০-এর দশকে ডাক বিভাগের উন্নয়নে ক্রমাগত নতুন ডাকঘর স্থাপন ও নতুন সেবা চালুর মাধ্যমে নতুন মাত্রা যুক্ত হয়। ১৯৮৮-৮৯ সালে ডাক বিভাগের চলাচলপথ বা রুটের পরিমাণ দাঁড়ায় ৩৯,৮৮৩ কিলোমিটার। ১৯৮৪ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি থেকে গ্যারান্টেড এক্সপ্রেস পোস্ট চালু করে জরুরি ডাক বিলির ব্যবস্থা করা হয়। ১৯৮৪ সালের জুলাই মাসে যুক্তরাজ্যের সঙ্গে জরুরি ডাক বিলির ব্যবস্থা চালুর মাধ্যমে ডাক বিভাগ এক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে পদার্পণ করে। ১৯৮৮ সালের ৬ ডিসেম্বর ইনটেল পোস্ট-এর মাধ্যমে ইলেকট্রনিক মেইল প্রেরণের ব্যবস্থা করা হয়। ১৯৮৬ সালের ২২ ডিসেম্বর থেকে ডাক কোড ব্যবস্থা চালু হয়। ডাক বিভাগের পুরানো ঐতিহ্য এবং নিদর্শনসমূহ সংরক্ষণের লক্ষ্যে ১৯৮০ সালের ৩০ জানুয়ারি ঢাকায় একটি পূর্ণাঙ্গ ডাক জাদুঘর স্থাপন করা হয়েছে।

    ডাক বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের প্রশিক্ষণ প্রদানের লক্ষ্যে ১৯৮৬ সালে রাজশাহীতে একটি পোস্টাল একাডেমি স্থাপন করা হয়েছে। স্বাধীনতার পর থেকে বাংলাদেশ ডাক বিভাগ দেশের বিভিন্ন বৈশিষ্ট্যমন্ডিত বিষয় ও স্মরণীয় ব্যক্তিত্বের স্মরণে ডাকটিকিট এবং জাতীয় ও আর্ন্তজাতিক ঘটনাবলী স্মরণে স্মারক ডাকটিকিট প্রকাশ করে আসছে।

    ১৯৮৯ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশের ডাকটিকিট ভারতের নাসিক, ইংল্যন্ডের ব্র্যাডবেরি উইলকিনসন, হ্যারিসন অ্যান্ড সন্স, অস্ট্রেলিয়ার অ্যাশার এন্ড কোংসহ স্পেন, অস্ট্রিয়া ও সোভিয়েত ইউনিয়নের বিভিন্ন সিকিউরিটি প্রেস থেকে ছাপিয়ে আনা হতো। ১৯৮৯ সালের ৭ ডিসেম্বর বাংলাদেশের নিজস্ব নিরাপত্তা ছাপাখানা স্থাপনের পর থেকে দেশের সকল ডাকটিকিট ও স্টেশনারি অর্থাৎ খাম, পোস্টকার্ড প্রভৃতি দ্রব্য এখান থেকেই ছাপানো হয়। দেশে ডাকটিকিট সংগ্রাহকদের উৎসাহিত করার জন্য ১৯৭২ সালেই ডাকবিভাগের আনুকূল্যে ডাকটিকিট সংগ্রাহকদের একত্রিত করে একটি ডাকটিকিট সংগ্রহক সমিতি গঠন করা হয়। পরবর্তীকালে আরও দুইটি সংগ্রাহক সমিতি দেশে ফিলাটেলিক কার্যক্রম বেগবান করেছে।

    ১৯৮৪ এবং ১৯৯২ সালে ডাকবিভাগ জাতীয় ডাকটিকিট প্রদর্শনীর আয়োজন করে। ১৯৮৪ সালে খুলনায় এবং ১৯৯৫ সালে রাজশাহীতে আঞ্চলিক প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়। ডাকবিভাগের নিজস্ব নিয়মিত ডাকটিকিট ও স্মারক ডাকটিকিট ছাড়াও সরকারের বিভিন্ন আর্থিক ও বিচারিক কর্মকান্ড পরিচালনার জন্য জন্য রাজস্ব টিকিট এবং অন্যান্য নন-জুডিশিয়াল স্ট্যাম্প ও কোর্ট ফি ইত্যাদি মুদ্রণের দায়িত্বও ডাক বিভাগের। ডাক-সেবার ক্ষেত্র ক্রমাগত বিস্তার লাভ করছে এবং এর ফলে বর্তমানে দেশে ডাকঘরের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৯৮৮৬টিতে যার গমনপথ হচ্ছে প্রায় ৫০,০০০ কিলোমিটার। বর্তমানে প্রতি ১৩,০০০ জন নাগরিকের জন্য একটি ডাকঘর রয়েছে।

    ২০০০ সালের ১৬ আগস্ট ডাক বিভাগ ইলেকট্রিনিক মেইল সার্ভিস চালু করে। ই-পোস্ট সার্ভিস নামে এই সেবা বর্তমানে বাংলাদেশের ১৬টি প্রধান পোস্ট অফিসে দেয়া হয়। এর মাধ্যমে নিজস্ব কোন ই-মেইল ঠিকানা বাদেও পোস্ট অফিসের ই-মেইল ব্যবহার করে যে কোন মানুষ অতি দ্রুত ছবি কিংবা ডকুমেন্টস এবং খবরাদি পাঠাতে পারে। ২০১০ সালের ২৬ মার্চ থেকে ডাকবিভাগ ইলেকট্রনিক মানি ট্রান্সফার সার্ভিস চালু করেছে, যার মাধ্যমে মোবাইল ফোন ব্যবহার করে স্বল্প খরচে অতিদ্রুত দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে টাকা পাঠানো সম্ভব হচ্ছে। এখন পর্যন্ত দেশের ১১৫০টি পোস্ট অফিসে এই সেবা চালু আছে।

    ডাকবিভাগের এক্সপ্রেস মেইল সার্ভিসের (ইএমএস) মাধ্যমে ২০ গ্রাম থেকে ২০ কেজি ওজনের চিঠিপত্র, ডকুমেন্টস এবং জিনিসপত্র ৭২ ঘণ্টার মধ্যে বিশ্বের প্রায় ৪৩টি দেশের পাঠানো সম্ভব হচ্ছে। শুধু তাই নয়, ট্রেকিং পদ্ধতির মাধ্যমে পাঠানো জিনিসের গতিপথ জানাও সম্ভব হচ্ছে। এর বাইরে ডাকঘর পোস্টাল লাইফ ইন্সুরেন্স, ইনডাউমেন্ট ইন্সুরেন্স এবং ব্যাংকিং সুবিধার ব্যবস্থা করেছে। দৃষ্টিপ্রতিবন্ধীদের শিক্ষা উপকরণ সহজলভ্য করতে ডাকবিভাগ ব্রেইল উপকরণের ক্ষেত্রে ৮০০ গ্রাম পর্যন্ত সার্ভিস চার্জ মওকুফ করেছে।

    সূত্র: বাংলাপিডিয়া

    এসডব্লিউএসএস/১৬৩০

    ছড়িয়ে দিনঃ

    আপনার মতামত জানানঃ

    State watch সকল পাঠকদের জন্য উন্মুক্ত সংবাদ মাধ্যম, যেটি পাঠকদের অর্থায়নে পরিচালিত হয়। যে কোন পরিমাণের সহযোগিতা, সেটি ছোট বা বড় হোক, আপনাদের প্রতিটি সহযোগিতা আমাদের নিরপেক্ষ সাংবাদিকতার ক্ষেত্রে ভবিষ্যতে বড় অবদান রাখতে পারে। তাই State watch-কে সহযোগিতার অনুরোধ জানাচ্ছি।
    Donate
    ইতিহাস

    Related Posts

    দেবতাদের সন্তুষ্টিতে নীলনদে হস্তমৈথুন করত মিশরীয়রা, করত বীর্যদান

    প্রাচীন পৃথিবী থেকে মুসলিম বিশ্বে পবিত্র পতিতার ইতিহাস

    সুন্দরবনে ৪০০ বছর পুরানো শেখের টেক কালি মন্দিরের ইতিহাস

    বিজ্ঞাপন

    সর্বশেষ প্রকাশিত
    ফেব্রুয়ারি ৬, ২০২৩

    ঠাকুরগাঁওয়ে ১২টি মন্দিরে হামলা, ১৪টি প্রতিমা ভাঙচুর

    ফেব্রুয়ারি ৬, ২০২৩

    তুরস্ক ও সিরিয়ায় শতাব্দীর ভয়াবহতম ভূমিকম্পে নিহত বেড়ে ৬৪১

    ফেব্রুয়ারি ৬, ২০২৩

    কেন গবেষণা বলছে কাক মানুষের থেকে উত্তম প্রাণী?

    ফেব্রুয়ারি ৬, ২০২৩

    দেবতাদের সন্তুষ্টিতে নীলনদে হস্তমৈথুন করত মিশরীয়রা, করত বীর্যদান

    ফেব্রুয়ারি ৫, ২০২৩

    গাছেরাও ঘুমায়, ঘুম থেকে জেগেও ওঠে: বিজ্ঞানীদের চমকে দেওয়া গবেষণা

    বিজ্ঞাপন

    সর্বাধিক পঠিত
    • একবার যৌন সঙ্গম করলেই মৃত্যু হয় যে প্রাণীর
      ফেব্রুয়ারি ১, ২০২৩
      By ডেস্ক রিপোর্ট
      যৌনতাই কিছু প্রানীর জন্য মৃত্যুর কারণ। অবাক হলেও এটাই সত্য। আর এমন প্রাণীটি হল অস্ট্রেলিয়ার উত্তরাঞ্চলভিত্তিক ছোট্ট থলিযুক্ত স্তন্যপায়ী প্রাণী...
    • কেন কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার আঁকা প্রাচীন ভারতের শাসকদের ছবি নিয়ে তুমুল বিতর্ক?
      ফেব্রুয়ারি ১, ২০২৩
      By ডেস্ক রিপোর্ট
      ভারতীয় উপমহাদেশের প্রাচীন শাসকদের রাজ্য শাসনের গল্প আমরা সবাই কমবেশি জানি। বর্তমানে প্রাচীন শাসকদের প্রতিকৃতি হয়তো বইয়ের পাতায় পেইন্টিং আকারে...
    • মানুষ ছাড়াও যেসব প্রাণী পতিতাবৃত্তির সঙ্গে জড়িত
      ফেব্রুয়ারি ১, ২০২৩
      By ডেস্ক রিপোর্ট
      যৌনবৃত্তি বা দেহব্যবসা মানুষের আদিম পেশার মধ্যে একটা। শুধু মানুষ কেন প্রাণীজগতের অনেকের মধ্যেই দেহব্যবসা করতে দেখা যায়। অবাক হচ্ছেন?...
    • বৃহস্পতির কক্ষপথে ঘূর্ণায়মান আরো ১২টি গ্রহ আবিষ্কার
      ফেব্রুয়ারি ৪, ২০২৩
      By ডেস্ক রিপোর্ট
      সৌরজগতের বৃহত্তম গ্রহ বৃহস্পতি। এই গ্রহের কক্ষপথে ঘুরছে আরো ১২টি গ্রহ। সম্প্রতি সেগুলোর সন্ধান পেয়েছেন আমেরিকার জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা। প্রসঙ্গত, বৃহস্পতি গ্রহ...
    • যেভাবে ভুল করে আবিষ্কৃত হয়েছিল আজকের প্লাস্টিক
      জানুয়ারি ৩১, ২০২৩
      By ডেস্ক রিপোর্ট
      প্লাস্টিক কবে আবিষ্কার করা হয়েছিল? সূত্র মতে, খ্রিস্টের প্রায় দেড় শতক আগে মেক্সিকোতে ব্যবহার করা হয় পলিমারের বল। এরপর আরও...
    আজকের ভিডিও
    https://youtu.be/FQxdEl-lIsk
    আমাদের সম্পর্কে
    আমাদের সম্পর্কে

    স্টেট ওয়াচ, বাংলাদেশের সার্বিক আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি এবং মানবাধিকার পর্যবেক্ষণ এবং গবেষণামূলক একটি প্রয়াস।
    বিস্তারিত...

    ফেসবুকে যুক্ত থাকুন

    Donate Us!
    statewatch.net (Karigor Media Network), Hamburg, Germany. Email: statewatch.sa@gmail.com © ২০২৩ State Watch. Designed by @.

    Type above and press Enter to search. Press Esc to cancel.