করোনা সনদ জালিয়াতের অভিযোগে অভিযুক্ত জেকেজি হেলথ কেয়ারের চেয়ারম্যান সাবরিনা আরিফ চৌধুরী একটি মামলায় জামিন পেয়েছেন। একাধিক জাতীয় পরিচয়পত্র থাকায় নির্বাচন কমিশনের করা মামলায় তাকে জামিন দিয়েছেন আদালত।
গত ২২ নভেম্বর নির্বাচন কমিশনের দায়ের করা ওই মামলায় রবিবার (১৩ ডিসেম্বর) ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কেএম ইমরুল কায়েশ এই আদেশ দেন। তবে জামিন পেলেও কারাগারেই থাকতে হবে তাকে। কারণ করোনা পরীক্ষায় জালিয়াতির অভিযোগে অন্য মামলায় তিনি জামিন পাননি।
ডা. সাবরিনার আইনজীবী প্রণব কান্তি ভৌমিক সংবাদমাধ্যমকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, গত ২২ নভেম্বর নির্বাচন কমিশনের দায়ের করা মামলায় বিচারক ২০ হাজার টাকা মুচলেকায় জামিনের আদেশ দেন। করোনা পরীক্ষা নিয়ে প্রতারণার অভিযোগের মামলাটিতে জামিন না পাওয়ায় আপাতত কারামুক্তি হচ্ছে না।
এর আগে গত ৩০ আগস্ট বাড্ডা থানায় ডা. সাবরিনার বিরুদ্ধে মামলাটি করেন গুলশান থানা নির্বাচন অফিসার মোহাম্মদ মমিন মিয়া।
প্রসঙ্গত, ডা. সাবরিনা চৌধুরী তথ্য জালিয়াতি করে দুই এলাকায় ভোটার এবং দুটি জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) নিয়ছিলেন। তার দুটি এনআইডি সচল এবং দুটিতে ভিন্ন তথ্য ব্যবহার করা হয়। একটিতে জন্ম তারিখ ২ ডিসেম্বর ১৯৭৮। অপরটিতে ২ ডিসেম্বর ১৯৮৩। এক্ষেত্রে বয়স পাঁচ বছর কমানো হয়েছে। দুটি এনআইডিতে স্বামীর নামও ভিন্ন। একাধিক স্থায়ী ও বর্তমান ঠিকানা ব্যবহার করে ভোটার হন ডা. সাবরিনা। তার দুটি পরিচয়পত্রই অকার্যকর করা হয়েছে।
অন্যদিকে গত ২৩ জুন জেকেজির সিইও আরিফসহ পাঁচ জনকে গ্রেফতার করে তেজগাঁও থানা পুলিশ। ওই ঘটনায় তেজগাঁও থানায় প্রতারণা ও জালিয়াতির অভিযোগে পুলিশ বাদী হয়ে মামলা করে। মামলার তদন্তে জেকেজির চেয়ারম্যান ডা. সাবরিনার নাম এলে গত ১২ জুলাই তাকেও গ্রেফতার করে পুলিশ। জালিয়াতির বিষয়টি সামনে আসার পর স্বাস্থ্য অধিদফতর জেকেজির সঙ্গে করা তাদের চুক্তি বাতিল করে। অপরদিকে ডা. সাবরিনাকে জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়।
এসডব্লিউ/নাসি/১৯৫০
আপনার মতামত জানানঃ