পৃথিবীতে সময়টা খুব যে ভালো যাচ্ছে এটা বলা খুবই শক্ত এ মুহূর্তে। কারণ, নানান ধরনের উগ্রতা যেন গোটা পৃথিবীকে পেয়ে বসেছে। সম্প্রতি পৃথিবীর নানান প্রান্তে এই উগ্রতার আঘাত নানান ভাবে প্রকাশ পেয়েছে, যা এ মুহূর্তের মানুষ সমাজ ও সভ্যতাকে প্রশ্নের মুখোমুখি করে দিয়েছে।
রমজান মাসে রোজা না রেখে রেস্টুরেন্টে পানাহার করা অবস্থায় ২ ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে মালয়েশিয়ার পুলিশ। এসময় পুলিশ ও কেলান্তান ইসলামিক রিলিজিয়াস অ্যাফেয়ার্স ডিপার্টমেন্ট যৌথ ভাবে এই অভিযান পরিচালনা করেন।
উল্লেখ্য, রমজানে মুসলমানদের দিনে প্রকাশ্যে খাওয়া মালয়েশিয়ার আইনে দণ্ডনীয় অপরাধ। প্রতিবছর এ অপরাধে আটক হন অনেকে।
গত বুধবার (১৩ এপ্রিল) বিকেলে দেশটির সংবাদমাধ্যম হারিয়ান মেট্রো এ সংবাদ প্রকাশ করেছে। তবে এসময় আসামিদের নাম ঠিকানা প্রকাশ করা হয়নি।
প্রসঙ্গত, মালয়েশিয়া অপরাধীদের প্রাথমিক ভাবে চুড়ান্ত রায়ের আগে পরিচয় প্রকাশ করা হয় না।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দেশটির কেলান্তন রাজ্যের কোতা বারু এলাকার জালান পেনডেকে ৬০ বছর বয়সী এক পুরুষ ব্যক্তি দিনের বেলায় রেস্তোরাঁয় বসে খাবার খাওয়ার সময় যৌথ বাহিনী হাতেনাতে গ্রেপ্তার করে।
রোজা না রাখার কারণ জিজ্ঞাসা করলে ঐ ব্যক্তি দাবি করেন তার পেটের গ্যাস্টিক সমস্যা রয়েছে এবং সেহরির সময় ঘুম থেকে উঠতে পারেননি।
এসময় আরেক অভিযানে, কুবাং কেরিয়ানের কাম্পুং পুলাউ হিলিরের একটি দোকানে খাবার কেনার সময় ৫০ বছর বয়সী আরেক ব্যক্তিকেও রোজা না রাখার অপরাধে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
সূত্র মতে জানা যায়, রোজা না রাখার পক্ষে কোন তথ্য প্রমাণ না দিতে পারায় তাদের কে গ্রেপ্তার করে চার্জ গঠন করা হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, মুসলমান হয়ে পবিত্র রমজান মাস কে সম্মান না জানিয়ে দিনের বেলা পানাহার করা দণ্ডনীয় অপরাধ হিসেবে গন্য করা হয়। ক্রিমিনাল কোড (১), সংশোধিত আইন ২০১৮ এর ১০ ধারায় তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
এটা প্রমানিত হলে দেশটির শরিয়াহ আদালত ২ হাজার রিংগিত অর্থদণ্ড এবং ২ বছরের কারাদণ্ড হতে পারে।
মালয়েশিয়া বিশ্বের অন্যতম একটি মুসলিম দেশ। যেখানে ২ কোটি ৭৭ লাখ ৩০ হাজার জনগণ বাস করেন। তাদের মধ্যে ৬০.৪% সুন্নি মুসলমান রয়েছেন। মালয়েশিয়ার মোট আয়তন তিন লাখ ২৯ হাজার ৮৪৫ বর্গকিলোমিটার। কুয়ালালামপুর দেশটির রাজধানী।
বাকি ৩৯ ভাগই রয়েছে বিভিন্ন ধর্মাবলম্বী। দিনের বেলায় রেস্টুরেন্ট খোলা রাখা হয়। মুসলিমদের দিনের বেলায় পানাহার নিষিদ্ধ।
কেউ রোজা না রেখে পানাহার করলে শাস্তিতে পড়তে হয়। সকল প্রাপ্ত বয়স্ক মুসলমানদের রোজা রাখা নিশ্চিত করতে য়ৌথ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী অভিযান পরিচালনা করে থাকে।
এসডব্লিউ/এসএস/১৯৩০
আপনার মতামত জানানঃ