জাতিসংঘ জানিয়েছে কোভিড-১৯ মহামারীর কারণে বিশ্বজুড়ে হতদরিদ্র মানুষের সংখ্যা ৪০ শতাংশ বেড়েছে। সংস্থাটি অনুভব করছে এসব মানুষের মানবিক সাহায্য প্রয়োজন। কিন্তু নিজস্ব যে আর্থিক ব্যবস্থাপনা, তা থেকে এত বড় সঙ্কটের সমাধান সম্ভব নয় বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ। আগামী বছর থেকেই এ সাহায্যের প্রয়োজন পড়বে এবং এজন্য জাতিসংঘের ৩ হাজার ৫শ’ কোটি মার্কিন ডলার চাই।
মঙ্গলবার জাতিসংঘের ত্রাণ বিষয়ক প্রধান কর্মকর্তা মার্ক লোকক বলেন, ‘‘আগামী বছর যাদের মানবিক সাহায্যের প্রয়োজন পড়বে তারা সবাই যদি একটি দেশে বাস করতেন তাহলে সেটি বিশ্বের পঞ্চম বৃহত্তম জনগোষ্ঠীর দেশ হতো। এই মহামারী বিশ্বের সবচেয়ে ভঙ্গুর ও সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ অর্থনীতির দেশগুলোকে ধ্বংস করে দিয়ে গেছে।”
জাতিসংঘ ২০২১ সালে ৫৬টি দেশে মানবিক ত্রাণ পৌঁছে দিতে ৩৪টি পরিকল্পনা করেছে। সংস্থাটি এর মাধ্যমে ১৬ কোটি মানুষের কাছে মানবিক সহায়তা পৌঁছে দিতে চায়। তার বাইরেও আরও অনেক মানুষের সহায়তা প্রয়োজন। জাতিসংঘের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, বিশ্বে প্রায় সাড়ে ২৩ কোটি মানুষকে ক্ষুধা, যুদ্ধ, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব এবং করোনাভাইরাস মহামারীর প্রভাব মোকাবেলা করতে হচ্ছে।
লোকক বলেন, ‘‘আমরা সবসময়ই হতদরিদ্র ওইসব মানুষদের দুই-তৃতীয়াংশের কাছে পৌঁছাতে চাই। বাকি যারা থেকে যাচ্ছে তাদের রেড ক্রসের মত অন্যান্য দাতব্য সংস্থা সহায়তার চেষ্টা করবে, যাতে সেই শূন্যতা পূরণ করা যায়।” তিনি জানান, এ বছর দাতা দেশগুলো রেকর্ড ১ হাজার ৭শ’ কোটি মার্কিন ডলার দান করেছে। যা দিয়ে নির্ধারিত লক্ষ্যের প্রায় ৭০ শতাংশ মানুষের কাছে ত্রাণ সহায়তা পৌঁছানো সম্ভব হয়েছে।
তবে লোকক বলেন, “২০২১ সালের জন্য আমাদের ৩ হাজার ৫শ’ কোটি (৩৫ বিলিয়ন) ডলার প্রায়োজন; এটি বিশাল অংকের অর্থ। কিন্তু ধনী দেশগুলো তাদের জনগণকে মহামারী থেকে সুরক্ষা দিতে যে পরিমাণ ব্যয় করছে তার তুলনায় এই অর্থ খুবই সামান্য।”
এসডাব্লিউ/এমএম/১২১০
আপনার মতামত জানানঃ