দক্ষিণ আফ্রিকায় প্রথম শনাক্ত করোনাভাইরাসের নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রন বিশ্বজুড়ে অবিশ্বাস্য দ্রুতগতিতে ছড়িয়ে পড়ছে বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। এর আগে এতো দ্রুতগতিতে ভাইরাসের অন্য কোনো ভ্যারিয়েন্টকে ছড়িয়ে পড়তে দেখা যায়নি বলেও জানিয়েছে সংস্থাটি।
মঙ্গলবার (১৪ ডিসেম্বর) এক সংবাদ সম্মেলনে ডব্লিউএইচও’র মহাপরিচালক টেড্রোস আধানম গেব্রেয়াসুস এই তথ্য সামনে আনেন বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।
সংস্থাটি সতর্ক করে দিয়ে বলেছে, ইতোমধ্যে অত্যাধিক রূপবদল হওয়া এই ধরনটি ৭৭টি দেশে শনাক্ত হয়েছে।
মঙ্গলবার এক সংবাদ সম্মেলনে সংস্থাটির প্রধান টেড্রোস আধানম গেব্রেয়াসুস বলেন, এটি সম্ভবত অন্য আরও অনেক দেশেই ছিল কিন্তু এখনো শনাক্ত হয়নি।
তিনি বলেন, এই ধরনটি মোকাবিলা করার জন্য এখনো পর্যাপ্ত পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি বলে তিনি খুবই উদ্বিগ্ন।
টেড্রোস আধানম গেব্রেয়াসুস বলেন, এখন আমরা নিশ্চিতভাবে জেনেছি যে আমরা এই ধরনটির বিপদ সম্পর্কে অবমূল্যায়ন করেছি। এমনকি যদি ওমিক্রনে রোগী তেমন গুরুতর নাও হয় তবু অসংখ্য সংক্রমণ অপ্রস্তুত স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে আবারও বিপর্যস্ত করে ফেলতে পারে।
অবশ্য বিদ্যমান পরিস্থিতিতে করোনা বিধিনিষেধ কঠোরভাবে মেনে চলতে বরাবরই পরামর্শ দিয়ে আসছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। এমনকি টিকা নেওয়া হলেও এই ভ্যারিয়েন্টে ফের আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে বলে সতর্ক করা হয়েছে।
টেড্রোস আধানম গেব্রেয়াসুস বলছেন, ওমিক্রনকে মৃদু বলে গুরুত্ব দিচ্ছেন না অনেকে। কিন্তু ওমিক্রনে অসুস্থতা যতই কম হোক না কেন, এতো বেশি সংখ্যায় মানুষ আক্রান্ত হতে পারে যাতে স্বাস্থ্য ব্যবস্থা ধাক্কা খেতে পারে।
তিনি আরও বলেন, ‘ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে মানেই মাস্ক নয়, ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে মানেই সামাজিক দূরত্ব নয়, এমনটি ভাবলে চলবে না। করোনা সংক্রান্ত সকল বিধিনিষেধ সমান ভাবে মেনে চলতে হবে।’
টিকার বুস্টার ডোজ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, অনেক দেশ বুস্টার ডোজ দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করেছে, কিন্তু বুস্টার ডোজ দিলেই যে ওমিক্রন থেকে মুক্তি মিলবে এমন প্রমাণ এখনও নেই।
গত নভেম্বরে দক্ষিণ আফ্রিকায় প্রথমবার নতুন এই ধরনটি শনাক্ত হয় এবং এরপর থেকে দেশটিতে সংক্রমণ ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। বর্তমানে দেশটির প্রেসিডেন্ট সিরিল রামাফোসা করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃদু উপসর্গ নিয়ে আইসোলেশনে আছেন।
ওমিক্রন শনাক্তের পর বিশ্বের বেশকয়েকটি দেশ দক্ষিণ আফ্রিকা ও এর পার্শ্ববর্তী কয়েকটি দেশ থেকে ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা দেয়।কিন্তু ওই নিষেধাজ্ঞাও ওমিক্রনকে বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া রোধ করতে পারেনি।
এখন আমরা নিশ্চিতভাবে জেনেছি যে আমরা এই ধরনটির বিপদ সম্পর্কে অবমূল্যায়ন করেছি। এমনকি যদি ওমিক্রনে রোগী তেমন গুরুতর নাও হয় তবু অসংখ্য সংক্রমণ অপ্রস্তুত স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে আবারও বিপর্যস্ত করে ফেলতে পারে।
সামনের মাসেই ভারতে হতে যাচ্ছে ওমিক্রন ঢেউ
করোনাভাইরাসের নতুন ধরন ওমিক্রনের আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে সারা বিশ্বে। দক্ষিণ আফ্রিকায় শনাক্ত এই ভ্যারিয়েন্টের থাবা থেকে বাদ যায়নি ভারতও। দেশটিতে ক্রমশ ওমিক্রনে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়েই চলেছে।
এখনো করোনায় ভাইরাসে প্রতিদিন ভারতে মারা যাচ্ছে অনেক মানুষ। এবার ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের চেয়ে দ্রুতগতিতে ছড়িয়ে পড়তে পারে ওমিক্রন। এর ফলে জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারিতে সেখানে বড় এক ওমিক্রন ঢেউ সৃষ্টি হতে পারে বলে সতর্ক করেছেন সিনিয়র একজন কর্মকর্তা।
তিনি অনলাইন টাইমস অব ইন্ডিয়াকে বলেছেন, তবে সংক্রমণ হতে পারে হালকা মাত্রার। এই ভাইরাসের মডেলিং পর্যালোচনার পর পূর্বাভাসে তিনি বলেছেন, তাই বলে প্যানিকড বা আতঙ্কিত হওয়া উচিত হবে না। এই ভাইরাস ‘এন্ডেমিসিটি’ পর্যায়ে পৌঁছাবে বলে মনে হচ্ছে। তবে সংক্রমণ হবে অতি উচ্চ পর্যায়ের। কোনো ভয়াবহ রোগ সৃষ্টি করবে না। পক্ষান্তরে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, এই ভ্যারিয়েন্ট অপ্রত্যাশিত হারে ছড়িয়ে পড়ছে।
ভারতীয় ওই কর্মকর্তা বলেছেন, এই বিস্তার নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কোনো কারণ নেই। আমাদেরকে ওমিক্রন সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য কাজ করতে হবে। ওমিক্রন নিয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা সর্বশেষ ব্রিফে বলেছে, ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের চেয়ে দ্রুত গতিতে এই ভ্যারিয়েন্ট ছড়িয়ে পড়তে পারে। এ বছরের প্রথম দিকে বিশ্বজুড়ে করোনার দ্বিতীয় ও ভয়াবহ ঢেউ তোলে ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট। এখনও বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে এই ভ্যারিয়েন্টই বেশি।
ভারতীয় স্বাস্থ্য বিষয়ক কর্মকর্তারা বলছেন, দু’এক মাসের মধ্যে ব্যাপক আকারে ছড়িয়ে পড়তে পারে ওমিক্রন। আস্তে আস্তে তা ডেল্টাকে অতিক্রম করবে। সংক্রমণ স্বাস্থ্য ব্যবস্থার ওপর চাপ ফেলতে পারে। একজন কর্মকর্তা বলেছেন, এ অবস্থায় আমাদের লক্ষ্য হলো দ্বিতীয় ডোজ টিকা দেয়া, যাতে ভয়াবহ সংক্রমণ এবং মৃত্যু থেকে জনগণকে রক্ষা করা যায়। এখন পর্যন্ত বিভিন্ন দেশ থেকে যেসব ডাটা পাওয়া যাচ্ছে তাতে দেখা যাচ্ছে ওমিক্রন হালকা সংক্রমণ ও রোগ সৃষ্টি করছে। এমন অবস্থায় আমাদের জনগণের মধ্যে যারা খুব বেশি ঝুঁকিতে আছে তাদেরকে টিকা দিয়ে আমরা সুরক্ষিত রাখতে সক্ষম হবো। এ জন্যই উদ্বেগের কোনো কারণ নেই।
এদিকে দেশটির পশ্চিমাঞ্চলীয় রাজ্য মহারাষ্ট্রে মঙ্গলবার (১৪ ডিসেম্বর) আরও আট জনের শরীরে এই ভ্যারিয়েন্ট শনাক্ত হয়েছে।
সবচেয়ে উদ্বেগের বিষয় হচ্ছে ভাইরাসের নতুন ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত হলেও তাদের কেউই বিদেশে ভ্রমণ করেননি। সর্বশেষ এই সংখ্যাসহ মহারাষ্ট্রে ওমিক্রনে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৮ জনে। আর গোটা ভারতে এই সংখ্যাটা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫৭ জনে। মঙ্গলবার (১৪ ডিসেম্বর) রাতে এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানায় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়া।
সংবাদমাধ্যমগুলো বলছে, মঙ্গলবার শনাক্ত ৮ জনসহ মহারাষ্ট্রে ওমিক্রনে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৮ জনে। উদ্বেগের বিষয় হচ্ছে, যে আট জনের শরীরে ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট শনাক্ত হয়েছে তাদের মধ্যে কারও সাম্প্রতিক সময়ে বিদেশ ভ্রমণের কোনো রেকর্ড নেই। আক্রান্তদের মধ্যে কেবল একজন বেঙ্গালুরু ও অন্য একজন সম্প্রতি দিল্লিতে গিয়েছিলেন। এমনকি আক্রান্তদের একজন ছাড়া বাকি সবাই করোনা টিকার ডোজ সম্পন্ন করেছেন।
এদিকে নতুন শনাক্ত ওমিক্রন রোগীদের মধ্যে তিন জনের শরীরে করোনার কোনো উপসর্গ নেই। আর বাকি পাঁচ জনের শরীরে করোনার মৃদু উপসর্গ ছিল। তাদের মধ্যে দু’জন বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। আর বাকিদের বাড়িতেই আইসোলেশনে থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
এছাড়া মহারাষ্ট্রের ২৮ জন আক্রান্তের মধ্যে ১২ জন মুম্বাইয়ের বাসিন্দা, ১০ জন পিমরি চিনচাওয়াদ, দুইজন পুনে শহরের এবং কল্যাণ ডোম্বিবালি, নাগপুর, লাতুর এবং ভাসাই বিরারের একজন করে বাসিন্দা আক্রান্ত হয়েছেন।
অবশ্য ধীরে ধীরে ভারতের সব জায়গাতেই থাবা বসাচ্ছে ওমিক্রন। ক্রমশ দীর্ঘ হচ্ছে সেই তালিকা। এই মুহূর্তে ভারতে ওমিক্রনে আক্রান্তের সংখ্যা ৫৭ জন। দেশটির কর্নাটকে প্রথম ওমিক্রনে আক্রান্ত রোগীর খোঁজ পাওয়া গিয়েছিল। এরপর ধীরে ধীরে মহারাষ্ট্র, দিল্লি, গুজরাট, অন্ধ্রপ্রদেশ, কেরালা ও হরিয়ানাতেও ওমিক্রনে আক্রান্তের খোঁজ পাওয়া যায়।
হুঁশিয়ারিতে বাংলাদেশ
এদিকে বাংলাদেশে ওমিক্রন সতর্কতায় নানা পদক্ষেপ নিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। কোভিড-১৯ বিষয়ক জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটির ওমিক্রন নিয়ে বৈঠকের পর এ বিষয়ে ১৫ নির্দেশনা দেয় স্বাস্থ্য অধিদফতর। এরপর অধিদফতর দক্ষিণ আফ্রিকা এবং ওমিক্রন শনাক্ত দেশ থেকে প্রবাসীদের এই মুহূর্তে দেশে না ফেরার আহ্বান জানিয়েছে। সেই সঙ্গে দক্ষিণ আফ্রিকার সঙ্গে ফ্লাইট বন্ধ করার ঘোষণা দিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
কিন্তু এতসব পদক্ষেপ ক্ষেত্রেও দেশের সবচেয়ে কাছের দেশে যখন অতিসংক্রমণশীল ওমিক্রন শনাক্ত হয়, তখন সেটা রীতিমতো শঙ্কার বিষয়। কেননা, এর আগে ভারত থেকে আসা ডেল্টার কারণেই গত মধ্য জুন থেকে আগস্ট মাসের শেষ পর্যন্ত এর ভয়ংকর বিধ্বংসী রূপ দেখতে হয়েছে দেশকে। এই সময়ের মধ্যেই করোনা মহামারিকালে একদিনে সর্বোচ্চ ২৬৪ জনের মৃত্যু হয়েছে, একদিনে সর্বোচ্চ ১৬ হাজার ২৩০ জন রোগী শনাক্ত হয়, শনাক্তের হার ওঠে ৩২ শতাংশে।
জনস্বাস্থ্যবিদরা বলছেন, ডেল্টা ঠেকানো যায়নি, এবার ওমিক্রনও ঠেকানো যাবে না। সেটা আজ কিংবা কাল অবশ্যই বাংলাদেশে আসবে। আর এজন্য সীমান্ত ব্যবস্থাপনা জোরদার করতে হবে। এবারে যেন ডেল্টার মতো পদক্ষেপে গাফিলতি যেন না হয় এবং দেশের ভেতরে যেন স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত হয় সেই বিষয়ে নজরদারি জোরদার করতে হবে।
বিশ্লেষকরা বলেন, ডেল্টাকে ঠেকানো যায়নি, ওমিক্রনও ঠেকানো যাবে না। ভারতে শনাক্ত হওয়া মানে আমরা ওমিক্রনের খুব কাছাকাছি।
করোনার নতুন ধরন ওমিক্রন গত ২৪ নভেম্বর শনাক্ত হয় সাউথ আফ্রিকায়। দ্রুত এটি ছড়িয়ে পড়ে যুক্তরাজ্য, বেলজিয়াম, বতসোয়ানা, হংকং ও ইসরায়েলসহ বিশ্বের অনেক দেশে। যেসব দেশে এই ধরন পাওয়া গেছে সেসব দেশের সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়া হতে পারে জানিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এরই মধ্যে সাউথ আফ্রিকার সঙ্গে স্থগিত করা হয়েছে যোগাযোগ।
এমন প্রেক্ষাপটে আফ্রিকা অঞ্চল থেকে গত এক মাসে দেশে ফেরেন ২৪০ বাংলাদেশি। দেশের তিনটি বিমানবন্দর দিয়ে দেশে আসা এই বাংলাদেশিরা এসেছেন সাউথ আফ্রিকা, নামিবিয়া ও জিম্বাবুয়ে থেকে। কিন্তু তারা এখনও বাড়ি ফেরেননি। আর এতেই শঙ্কিত করোনা কমিটি।
সম্প্রতি দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে বাংলাদেশে আসা ২৪০ জনকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
মন্ত্রী বলেন, ডেল্টার চেয়েও বেশি ঝুঁকিপূর্ণ করোনার নতুন ধরন ওমিক্রন। ওমিক্রনের সংক্রমণ রোধে সরকার সতর্ক অবস্থানে আছে। তবে দুঃখের বিষয় গত এক মাসে ২৪০ জন আফ্রিকা থেকে এসেছেন। এখন তাদের খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। তাদের ফোনও বন্ধ।
এদিকে বাংলাদেশে ভাইরাসের ধরন শনাক্তের কথা জানিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। তিনি বলেন, জিম্বাবুয়ে থেকে ফিরে আসা জাতীয় নারী ক্রিকেট দলের দুই ক্রিকেটারের দেহে ওমিক্রনের অস্তিত্ব পাওয়া গেছে। তাদের তৃতীয় দফা পরীক্ষায়ও ওমিক্রন শনাক্ত হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘ওমিক্রন নিয়ে আমরা সতর্ক আছি। যারা বিদেশ থেকে আসবে, তাদের কোয়ারেন্টিনে রাখা হবে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) আমাদের বলেছে, যে টিকা আমরা দিচ্ছি, ওমিক্রন প্রতিরোধে তা অনেকটা সক্ষম। তাই সবার টিকা নেয়া উচিত।’
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এখন যেসব দেশে দক্ষিণ আফ্রিকা এবং এর প্রতিবেশী দেশে ওমিক্রন শনাক্ত হয়েছে ব্যাপকভাবে সেসব দেশ, যাদের সঙ্গে আমাদের সরাসরি বর্ডার নেই, সেসব দেশ থেকে কেউ এলে তাদের বাধ্যতামূলক প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে নিতে হবে। কিন্তু যেসব দেশে একজন দুই জন করে শনাক্ত হয়েছে সেসব দেশ থেকে এলে হয় হোম কোয়ারেন্টিন অথবা তিন থেকে সাত দিনের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে নিতে হবে। এরপর তাদের করোনা টেস্ট করে নেগেটিভ হলে ছেড়ে দিতে হবে।
তারা বলেন, করোনা প্রতিরোধে টিকার বিকল্প নেই। যত বেশি মানুষকে টিকার আওতায় আনা যাবে, তত বেশি জীবন রক্ষা করা যাবে। নিজেকে ও নিজের পরিবারকে সুরক্ষিত করতে টিকার বিকল্প নেই।
এসডব্লিউ/এমএন/কেএইচ/১৪১৫
আপনার মতামত জানানঃ