মিয়ানমারে সামরিক অভ্যুত্থানের পর দেশটিতে ইয়াবা-মাদকের উৎপাদন বেড়েছে। সেই সঙ্গে এই মাদক ছড়িয়ে পড়ছে পুরো দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায়। ইকোনমিস্টের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
মিয়ানমারে মাদক উৎপাদন বেড়েছে
দশকের পর দশক ধরে মাদক ও মিয়ানমার পরস্পরের সমর্থক। ইউএস নিউজ অ্যান্ড ওয়ার্ল্ড রিপোর্ট এক প্রতিবেদনে এমনটাই বলেছে।
২০১৫ সালে জাতিসংঘের মাদক ও অপরাধবিষয়ক দপ্তরের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, মেকং উপ-অঞ্চল এবং পূর্ব ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বিভিন্ন অংশে জব্দ মেথঅ্যাম্ফিটামিন-জাতীয় মাদকের মূল উৎস দেশ হিসেবে মিয়ানমারকেই ধরা হয়।
জাতিসংঘের মাদক ও অপরাধবিষয়ক দপ্তরের দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া ও প্যাসিফিক অঞ্চলের প্রতিনিধি জেরেমি ডগলাসের ভাষ্যমতে, তারা যা দেখছেন, তার ওপর ভিত্তি করে বলা যায়, মিয়ানমার সম্ভবত বিশ্বের সবচেয়ে বড় মেথ উৎপাদক। এক দশক ধরে মিয়ানমারে মেথের উৎপাদন বেড়ে চলছিল। কিন্তু কয়েক বছর ধরে উৎপাদনের হার ব্যাপকভাবে বেড়ে গেছে।
ভারতের সংবাদমাধ্যম দ্য ওয়্যারে প্রকাশিত এক বিশ্লেষণে নয়াদিল্লিভিত্তিক চিন্তন প্রতিষ্ঠান পলিসি পার্সপেকটিভস ফাউন্ডেশনের পরামর্শক বৈশালী বসু শর্মা উল্লেখ করেন, ইয়াবা উৎপাদনের সর্বাধিকসংখ্যক গোপন ল্যাবরেটরি রয়েছে মিয়ানমারে।
মার্কিন গণমাধ্যম সিএনএনের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলে যে বিপুল পরিমাণ মেথ-জাতীয় মাদক জব্দ হচ্ছে, তার একটা বড় অংশের উৎস মিয়ানমারের শান রাজ্য।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স ও ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইসিস গ্রুপের প্রতিবেদন অনুযায়ী, এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়া অধিকাংশ ইয়াবা উৎপাদিত হয় শান রাজ্যে।
শান রাজ্যসহ গোল্ডেন ট্রায়াঙ্গল এলাকায় যে পরিমাণে মেথঅ্যাম্ফিটামিন-জাতীয় মাদক উৎপাদিত হচ্ছে, তার ব্যাপকতা বোঝাতে তাকে ‘ঝড়ের’ সঙ্গে তুলনা করছেন অস্ট্রেলিয়ান ফেডারেল পুলিশের স্ট্র্যাটেজিক ইন্টেলিজেন্সের সাবেক প্রধান জন কোয়েন। তিনি বর্তমানে অস্ট্রেলিয়া স্ট্র্যাটেজিক পলিসি ইনস্টিটিউট নামের চিন্তন প্রতিষ্ঠানে সীমান্ত নিরাপত্তা নিয়ে কাজ করছেন। তার মতে, এ-জাতীয় মাদক দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়াকে একটা মহামারির দিকে নিয়ে যাচ্ছে।
ছড়িয়ে পড়ছে দক্ষিণ-এশিয়াজুড়ে
বছরের পর বছর ধরে গোল্ডেন ট্রায়াঙ্গল বিশ্বের অন্যতম দুর্গম ও অনুন্নত এলাকা ছিল। কিন্তু এখন সেই অবস্থার পরিবর্তন ঘটছে। এই পরিবর্তনের মূলে রয়েছে যোগাযোগ অবকাঠামোর উন্নয়ন। এখানে চীনেরও ‘কৃতিত্ব’ আছে। দেশটির বহুল আলোচিত ‘ওয়ান বেল্ট ওয়ান রোড’ উদ্যোগ এই অঞ্চলের মাদককারবারিদের জন্য ‘সুফল’ নিয়ে এসেছে। অস্ট্রেলিয়ান ফেডারেল পুলিশের স্ট্র্যাটেজিক ইন্টেলিজেন্সের সাবেক প্রধান জন কোয়েনের মতে, যোগাযোগ অবকাঠামোর উন্নয়ন মাদক পাচারের পথ সহজ করে দিচ্ছে। এ কারণে মিয়ানমারের শান রাজ্যের দুর্গম এলাকা থেকে সহজেই দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বিভিন্ন অংশে মাদক পরিবহন করা যাচ্ছে। চীন, জাপান, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড, থাইল্যান্ড, কম্বোডিয়া, লাওস, মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, ভারত ও বাংলাদেশ পর্যন্ত ইয়াবা ছড়িয়ে পড়েছে। এসব দেশে অহরহ ইয়াবার চালান ধরা পড়ছে।
ইকোনোমিস্টের প্রতিবেদন মতে, চলতি বছরের অক্টোবর ছিল লাওস পুলিশের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ মাস। এ সময় পুলিশের এক কর্মকর্তা লাও ব্রিউয়ারি বিয়ার ক্রেট (এক ধরনের মাদক) ভর্তি একটি ট্রাক আটক করে। ওই ট্রাকের মধ্যে পাঁচ কোটি ৫০ লাখ মেথামফেটামিন বড়ি ও ১.৫ টন ক্রিস্টাল পাওয়া যায়। এগুলো মাদকের নতুন সংস্করণ। এ ঘটনার ঠিক এক সপ্তাহ আগে দেশটির পুলিশ একই এলাকা থেকে দুটি অভিযান চালিয়ে এক কোটি ৬০ লাখ এম্ফিটামিন ট্যাবলেট জব্দ করে।
জাতিসংঘের অপরাধ ও মাদক সংস্থার কর্মকর্তা জেরেমি ডগলাস বলেন, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলো এরই মধ্যে মাদক জব্দে রেকর্ড ভাঙতে অভ্যস্ত হয়ে উঠেছে। অতীতের যেকোনো সময়ের তুলনায় ২০১১ থেকে ২০২০ সালের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে মেথ নামক মাদক জব্দ হয়েছে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায়।
এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলে যে বিপুল পরিমাণ মেথ-জাতীয় মাদক জব্দ হচ্ছে, তার একটা বড় অংশের উৎস মিয়ানমারের শান রাজ্য।
বিশ্বের অন্যান্য অঞ্চলের তুলনায় এ অঞ্চলে মাদক বিস্তারের অন্যতম কারণ হলো কর্তৃপক্ষের দুর্নীতি পরায়ণতা। তাছাড়া মাদককারবারিদের নির্মূলে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার নিরাপত্তা বাহিনীগুলোর কাছে যথেষ্ট সরঞ্জামও নেই। এসব অঞ্চলে বিশাল মাদকের সামান্য অংশই ধরা পড়ে বলেও জানান তিনি।
অধিকাংশ মাদক জব্দের ঘটনা ঘটে ইন্দোচীনে। দক্ষিণ ও দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার মাত্র ১০ শতাংশ মানুষ এই এলাকায় বাস করেন। মেথের তিন-চতুর্থাংশের সন্ধান পাওয়া যায় এখানে। মেথ ল্যাবগুলো পূর্ব মিয়ানমারের শান রাজ্যে পাওয়া যায়। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে মিয়ানমারের সামরিক অভ্যুত্থানের আগেও এখানে মেথ উৎপাদনের বড় কেন্দ্র ছিল। বর্তমানে যথাযথ নজরদারির অভাবে মাদককারবারিদের কাছে ওই এলাকা লোভনীয় হয়ে উঠেছে। ২০২০ সালের তুলনায় লাওসে এ বছর ছয়গুণ বেশি মেথ জব্দ হয়েছে। যা অতীতের যেকোনো সময়ের তুলনায় রেকর্ড।
ডগলাস বলেন, চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি থেকে বিশেষ করে গত কয়েক মাস ধরে পরিস্থিতি খারাপের দিকে যাচ্ছে। মিয়ানমারে অভ্যুত্থানের ফলে মাদক উৎপাদনের এলাকাগুলোতে নজরদারি নেই।
২০১৯ সালে আনডক নাম্বারসের তথ্যানুযায়ী, পূর্ব ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার ১৫ থেকে ৬৪ বছর বয়সীদের শূন্য দশমিক ৬১ শতাংশ মেথসহ অ্যামম্ফিটামিন জাতীয় পদার্থ ব্যবহার করে। বিশ্বব্যাপী গড়ে এর সংখ্যা শূন্য দশমিক ৫৪ শতাংশ। এর মানে হলো এক কোটি লোক মেথ ব্যবহার করে।
সম্প্রতি এক জরিপে দেখা গেছে, ইন্দোনেশিয়া, ফিলিপাইন ও থাইল্যান্ডের প্রতিটিতে অন্তত ১০ লাখ মানুষ মেথ ব্যবহারের চেষ্টা করেছে। ধারাবাহিকভাবে দেশগুলোতে ক্রমেই এই মাদক গ্রহণের প্রবণতা বাড়ছে। ২০১৯ সালে মেথের আঞ্চলিক বাজার মূল্য দাঁড়িয়েছে ছয় হাজার কোটি ডলারে।
ইন্টারন্যাশনাল ড্রাগ পলিসি কনসোর্টিয়ামের অ্যান ফোর্ডহ্যাম জানায়, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বিভিন্ন দেশের সরকার এ ক্ষেত্রে যথাযথ পদক্ষেপ নিচ্ছে না। মাদক ব্যবহারকারিদের বিরুদ্ধে সরকার সাধারণত শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিয়ে থাকে অথবা জোরপূর্বক মাদক নিরাময় কেন্দ্রে পাঠানোর ব্যবস্থা করে। যা মোটেই কার্যকর ব্যবস্থা নয়।
জাতিসংঘ জানিয়েছে, মাদকাসক্তদের রোগী হিসেবে বিবেচনা করতে হবে। তাদের অপরাধী হিসেবে গণ্য করা যাবে না। যদিও অনেক দেশের সরকারই এখন মাদকাসক্তদের রোগী হিসেবে বিবেচনা করতে শুরু করেছে। কিন্তু যতক্ষণ না তারা মাদকের চিকিৎসার তহবিল আইন প্রয়োগকারী সংস্থার কাছ থেকে সরিয়ে স্বাস্থ্য সংস্থার কাছে না দিচ্ছে ততক্ষণ পর্যন্ত মাদকাসক্তের সংখ্যা বাড়তে থাকবে।
বাংলাদেশে ছড়িয়ে পড়ছে মিয়ানমারের মাদক
মিয়ানমার থেকে কক্সবাজার সীমান্ত রুটে ইয়াবা ঢোকার পাশাপাশি ভারতের সীমান্ত দিয়েও ঢুকছে—এমন তথ্য মিলছিল সাম্প্রতিক সময়ে। প্রশাসনের নজর এড়াতে কারবারিরা মিয়ানমার থেকে ভারত হয়ে চোরাচালান করছে বলেও দাবি আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর। এবার ভারত সীমান্ত ব্যবহার করে বাংলাদেশে ইয়াবা পাচার করার প্রধান তিনটি রুট শনাক্ত করেছে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর (ডিএনসি)। এগুলো হলো, ভারতের ত্রিপুরা সীমান্তের কিছু এলাকা, আসামের কিছু অংশ এবং পশ্চিম বাংলার কিছু এলাকা।
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, গত এক দশকে দেশে প্রায় ২৩ কোটি ইয়াবা জব্দ হয়। এর মধ্যে বেশির ভাগ ইয়াবাই জব্দ হয়েছে গত পাঁচ বছরে। ২০১৫ সালে জব্দ করা হয় ২ কোটি ১ লাখ ইয়াবা। ২০১৬ সালে ২ কোটি ৯৪ লাখ। ২০১৭ সালে ৪ কোটি। ২০১৮ সালে ৫ কোটি ৩০ লাখ। ২০১৯ সালে ৩ কোটি ৪ লাখ। ২০২০ সালে ৩ কোটি ৬৩ লাখ।
ইয়াবা পাচারের যে নেটওয়ার্ক, তাতে বাংলাদেশ একই সঙ্গে ট্রানজিট ও গন্তব্য। ইয়াবা পাচার নিয়ে চিন্তন প্রতিষ্ঠান পলিসি পার্সপেকটিভস ফাউন্ডেশনের পরামর্শক বৈশালী বসু শর্মার এক বিশ্লেষণে এমনটাই বলা হয়। বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের সাম্প্রতিক বক্তব্যেও একই তথ্য উঠে এসেছে।
বৈশালী বসু শর্মার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, একসময় মিয়ানমার থেকে টেকনাফ হয়ে বাংলাদেশে ইয়াবা ঢুকত। কিন্তু আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নজরদারি বৃদ্ধির ফলে এখন বিকল্প বা নতুন রুট দিয়ে বাংলাদেশে ইয়াবা ঢুকছে। বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা দিয়ে বাংলাদেশে ইয়াবা ঢুকছে। এ ছাড়া ভারত থেকেও বড়সংখ্যক ইয়াবা বাংলাদেশে আসছে।
সূত্র জানায়, ভারতের ত্রিপুরা সীমান্তের কিছু অংশ, আসামের কিছু অংশ এবং পশ্চিম বাংলার সীমান্ত দিয়ে ইয়াবা পাচার হয়ে বাংলাদেশে আসছে। মিয়ানমারের কারবারিরা প্রথমে ভারতে ইয়াবা পাচার করছে। পরবর্তী সময়ে এসব পথে বাংলাদেশে পাঠাচ্ছে। এমন তথ্য দিয়ে সহযোগিতা চায় বাংলাদেশ। বেশ কিছু ফেনসিডিল কারখানা বন্ধ করা হলেও বাংলাদেশের পূর্ব-পশ্চিম ও উত্তর দিকের সীমান্ত দিয়ে এখনো ফেনসিডিল পাচার হচ্ছে। এ ছাড়া কোরেক্স, এস্কাফ, এমকে ডিল (কোডিন ফসফেট) এবং কোডোকফ নামের ফেনসিডিলের মতোই কোডিন মিশ্রিত মাদক পাচার হয়ে আসছে। প্লাস্টিক ও কাচের বোতলের পাশাপাশি পলিথিন ও ড্রামে করে আনা হয় এগুলো।
খবরে প্রকাশ, ভারতীয় সীমান্তের জিরো লাইন থেকে মাত্র ৫০ মিটারের মধ্যে পাওয়া গেছে ইয়াবার কারখানা। এমন তিনটি ইয়াবা ও ২০টি ফেনসিডিল কারখানা সীমান্তের কাছে থেকে মাদক সরবরাহ করছে বাংলাদেশে। গত ২৮ অক্টোবর ভারতীয় মাদক নিয়ন্ত্রণ সংস্থা নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরোর (এনসিবি) সাথে বাংলাদেশের মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের (ডিএনসি) ভার্চুয়াল সম্মেলন হয়। এতে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে ভারতকে এসব কারখানার ঠিকানা, জিরো লাইন থেকে দূরত্ব, মালিকের নাম ও উৎপাদিত মাদকের বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য দেয়া হয়। বাকি দু’টি ইয়াবা কারখানা সীমান্তের ৪০০ মিটার ও পাঁচ কিলোমিটারের মধ্যে।
বিশেষজ্ঞদের মন্তব্য
সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞরা বলেন, সরকার ধারাবাহিকভাবে কঠোর অভিযান চালালেও মাদক থেকে বাঁচানো যাচ্ছে না দেশের যুবসমাজকে। জিরো টলারেন্স নীতি নেয়ার কারণে ওই সব অভিযানে মাদক কারবারিদের অনেকে প্রাণ হারিয়েছে। তার পরও এর বিস্তার রোধ করা যায়নি। বরং দেশে নতুন নতুন মাদকের দেখা মিলছে। এসব মাদক আগেরগুলোর চেয়ে আরো ভয়াবহ।
লক্ষণীয়, দেশে যতই কড়াকড়ি আরোপ করা হোক না কেন, এ ক্ষেত্রে প্রতিবেশী দেশগুলোর ভূমিকাও কম গুরুত্বপূর্ণ নয়। সীমান্তের হাজার হাজার কিলোমিটার পথ যদি মাদক পাচারে ব্যবহৃত হয়, আর সেখানেই যদি গড়ে ওঠে মাদকের কারখানা; তাহলে আমাদের দেশের তরুণ-যুবকদের মাদকের হাত থেকে রক্ষার কোনো উপায় থাকে না।
তারা বলেন, সুনির্দিষ্ট তথ্য দেয়ার পরও ইয়াবা ও ফেনসিডিল কারখানাগুলো চলতে পারে না। বরং এ ধরনের অপকর্মে যারা জড়িত; তাদের বিরুদ্ধে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেয়াই যুক্তিযুক্ত। শাস্তি পেলে নিশ্চয় ফের মাদক উৎপাদনে সাহস পাবে না দুষ্কৃতকারীরা। বাংলাদেশ সরকারের উচিত হবে সীমান্তে মাদক উৎপাদনকারী আরো কারখানা থাকলে দ্রুত শনাক্ত করে অচিরেই যাতে সেগুলো বন্ধ করা হয়; সে জন্য ভারতের সাথে আলোচনায় বসা। দু’টি দেশ যদি একে অপরের বন্ধু হয়ে থাকে; তাহলে কেউ কারো ক্ষতি করতে পারে না। আর একসাথে কাজ করলে মাদক নির্মূল করাও অসম্ভব কিছু নয়।
এসডব্লিউ/এমএন/কেএইচ/১৬৫৫
আপনার মতামত জানানঃ