প্রথমে আফ্রিকা, এরপর ইউরোপ, আমেরিকা হয়ে এবার বাংলাদেশের প্রতিবেশী ভারতেও শনাক্ত হয়েছে করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রন। গত ৮ নভেম্বর প্রথম দক্ষিণ আফ্রিকায় শনাক্ত হওয়া ভ্যারিয়েন্টটি এরই মধ্যে ৫৯টি দেশে ছড়িয়ে পড়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট ঠেকানো যায়নি, ওমিক্রনও ঠেকানো যাবে না। সচেতন না হলে বাংলাদেশেও ভয়াবহ রূপ ধারণ করতে পারে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ‘ভ্যারিয়েন্ট অব কনসার্ন’ বা উদ্বেগজনক হিসেবে শ্রেণিভুক্ত করোনাভাইরাসের এই ভ্যারিয়েন্টটি।
প্রাণঘাতী করোনা মহামারি নতুন করে ভয়াবহ রূপ নিচ্ছে। করোনাভাইরাসের ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্তের সংখ্যা প্রতিদিনই বাড়ছে ভারতে। এখন পর্যন্ত ৩৩ জনের বেশি এই ভ্যারিয়েন্ট শনাক্ত হয়েছেন। এমন পরিস্থিতিতে দেশটিতে করোনার তৃতীয় ঢেউ দেখা দিতে পারে কি না, এ নিয়ে শঙ্কা জেগেছে। যদিও দেশটির স্বাস্থ্যবিষয়ক কর্মকর্তারা বলছেন, ভারতে এখনো করোনার ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট আধিপত্য বিস্তার করে আছে। ডেল্টার সংক্রমণ রোধ করতে এখনো বেগ পেতে হচ্ছে স্বাস্থ্যকর্মীদের। এমন অবস্থায় ওমিক্রনের নতুন আধিপত্য দেশটির জনগণের কপালে নতুন ভাঁজের সৃষ্টি করেছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) এখন পর্যন্ত করোনার ওমিক্রন ধরনকে অতি সংক্রামক বলে ধারণা করছে। এ ভ্যারিয়েন্টটি যে দ্রুত ছড়াতে পারে অবশ্য তার প্রমাণও ইতিমধ্যে পাওয়া গেছে। এ পর্যন্ত ভারতসহ ৫৯টি দেশে ছড়িয়েছে ওমিক্রন। বিজ্ঞানীরা বলছেন, ওমিক্রন ডেল্টার চেয়ে চার গুণ বেশি সংক্রামক। তবে ওমিক্রন কতটা প্রাণঘাতী তা এখনো জানা যায়নি। কারণ এখন পর্যন্ত ওমিক্রনে কেউ মারা গেছে এমন কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। তবে সবকিছুর বাইরে ওমিক্রন ভারতের অর্থনীতিতে নতুন করে আঘাত হানতে যাচ্ছে বলে মনে করছেন পর্যবেক্ষকরা।
ডব্লিউএইচওর দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার পরিচালক ডা. পুনাম ক্ষেত্রপাল এনডিটিভিকে একান্ত সাক্ষাৎকারে বলেন, নতুন ভ্যারিয়েন্ট আসা মানে এই নয় যে করোনা পরিস্থিতি আরও খারাপ হবে। তবে ওমিক্রনের জন্য পরিস্থিতি অনিশ্চিত হয়ে পড়তে পারে। এখনো মহামারি শেষ হয়নি। বিশ্বে এই মুহূর্তে বাড়ছে করোনা সংক্রমণ। ওমিক্রনের বিস্তারে সংক্রমণ বৃদ্ধির আশঙ্কা থাকছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এই পরিচালক আরও বলেন, দক্ষিণ এশিয়ার বাসিন্দাদের আরও সতর্ক হতে হবে। করোনার ভয়াবহতা ঠেকাতে আমাদের অবশ্যই নজরদারি, জনস্বাস্থ্য ও সামাজিক ব্যবস্থা জোরদার করতে হবে এবং দ্রুত টিকা প্রদানে আরও কার্যক্রম বাড়াতে হবে। তার মতে, এখন থেকেই পরিস্থিতি সম্পর্কে সচেতন হওয়া প্রয়োজন। আগাম সতর্কতামূলক হিসেবে হাসপাতালগুলোয় বাড়াতে হবে বেডের সংখ্যা। সংক্রমণ বাড়তে থাকলে ভারতে করোনার তৃতীয় ঢেউয়ের আশঙ্কা রয়েছে বলেও ইঙ্গিত দেন তিনি।
এই বিশেষজ্ঞ আরও বলেন, দক্ষিণ আফ্রিকায় ওমিক্রন সংক্রমণ বাড়ছে। কিন্তু, আমাদের আরও তথ্যের প্রয়োজন। ডেল্টার থেকে ওমিক্রন কম শক্তিশালী কি না এই প্রসঙ্গে এখনও পর্যাপ্ত তথ্য হাতে এসে পৌঁছায়নি। পরিস্থিতি সম্পর্কে আমাদের সচেতন হওয়া উচিত। হাসপাতালগুলোতে বাড়াতে হবে বেডের সংখ্যা। এছাড়াও সব মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে হবে করোনা টিকা।
এদিকে বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার মহাপরিচালক ড. টেড্রোস আধানম গেব্রেইয়েসুস সম্প্রতি বলেছেন, দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে পাওয়া পরিসংখ্যান বলছে ওমিক্রন সংক্রমণের ভয় থেকে যাচ্ছে যেকোনো মানুষের। তিনি কোভিডজয়ী হোন বা টিকাপ্রাপ্ত। কিন্তু, সেই পরিসংখ্যান থেকেই এমন প্রমাণও পাওয়া যাচ্ছে, যাতে মনে করা যেতে পারে ওমিক্রন সংক্রমিতদের উপসর্গ খানিকটা কম হবে। কিন্তু এখনই কোনো সিদ্ধান্তে পৌঁছনো ঠিক হবে না। এ জন্য আরও তথ্য পরিসংখ্যান যাচাই করা প্রয়োজন।’
অবশ্য ওমিক্রন নিয়ে এখনই আতঙ্কিত হওয়ার প্রয়োজন নেই বলেও জানিয়ে দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। সংস্থাটি বলছে, ওমিক্রনকে ঠেকানো সম্ভব।
নতুন ভ্যারিয়েন্ট আসা মানে এই নয় যে করোনা পরিস্থিতি আরও খারাপ হবে। তবে ওমিক্রনের জন্য পরিস্থিতি অনিশ্চিত হয়ে পড়তে পারে। এখনো মহামারি শেষ হয়নি। বিশ্বে এই মুহূর্তে বাড়ছে করোনা সংক্রমণ। ওমিক্রনের বিস্তারে সংক্রমণ বৃদ্ধির আশঙ্কা থাকছে।
অন্যদিকে, ওমিক্রনকে ঠেকাতে এখনই লকডাউনের প্রয়োজন নেই বলে জানিয়েছেন ভারত সরকারের পরিকল্পনা সংস্থা নীতি আয়োগের সদস্য ভি কে পাল। তিনি বলেছেন, ওমিক্রন নিয়ে পরীক্ষা করা হচ্ছে। এই পরীক্ষার ওপর ভিত্তি করে নিশ্চয়ই একটি সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। এই নিয়ে আমাদের গবেষকদের সঙ্গে কথা হচ্ছে। কোন কারণে বুস্টার ডোজ দেওয়া হবে, কতদিনের মধ্যে তা দেওয়া উচিত, এ বিষয়গুলো নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হচ্ছে। এই মুহূর্তে আমাদের লক্ষ্য সব প্রাপ্ত বয়স্কদের সম্পূর্ণ টিকাকরণ।
চলতি বছরের শুরুতে করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে বিপর্যয় নেমে আসে ভারতজুড়ে। এতে কয়েক লাখ মানুষের প্রাণহানি ঘটে। যদিও প্রকৃত মৃত্যুর সংখ্যা নিয়ে সরকার তথ্য লুকিয়েছে বলে অভিযোগ বিশেষজ্ঞদের। একাধিক বেসরকারি সংস্থা ভারতে করোনায় কত মানুষের মৃত্যু হয়েছে, এর সঠিক পরিসংখ্যান বের করতে কাজ করছে।
করোনার দ্রুত সংক্রমণশীল ধরন ওমিক্রন বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ছড়িয়েছে। প্রতিবেশী দেশ ভারতের মহারাষ্ট্র, রাজস্থান, কর্ণাটকসহ বিভিন্ন রাজ্যে এ ধরন শনাক্ত হয়েছে।
এদিকে বাংলাদেশে ওমিক্রন সতর্কতায় নানা পদক্ষেপ নিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। কোভিড-১৯ বিষয়ক জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটির ওমিক্রন নিয়ে বৈঠকের পর এ বিষয়ে ১৫ নির্দেশনা দেয় স্বাস্থ্য অধিদফতর। এরপর অধিদফতর দক্ষিণ আফ্রিকা এবং ওমিক্রন শনাক্ত দেশ থেকে প্রবাসীদের এই মুহূর্তে দেশে না ফেরার আহ্বান জানিয়েছে। সেই সঙ্গে দক্ষিণ আফ্রিকার সঙ্গে ফ্লাইট বন্ধ করার ঘোষণা দিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
কিন্তু এতসব পদক্ষেপ ক্ষেত্রেও দেশের সবচেয়ে কাছের দেশে যখন অতিসংক্রমণশীল ওমিক্রন শনাক্ত হয়, তখন সেটা রীতিমতো শঙ্কার বিষয়। কেননা, এর আগে ভারত থেকে আসা ডেল্টার কারণেই গত মধ্য জুন থেকে আগস্ট মাসের শেষ পর্যন্ত এর ভয়ংকর বিধ্বংসী রূপ দেখতে হয়েছে দেশকে। এই সময়ের মধ্যেই করোনা মহামারিকালে একদিনে সর্বোচ্চ ২৬৪ জনের মৃত্যু হয়েছে, একদিনে সর্বোচ্চ ১৬ হাজার ২৩০ জন রোগী শনাক্ত হয়, শনাক্তের হার ওঠে ৩২ শতাংশে।
দেশে গত ২৪ মে থেকে জানা যায়, সীমান্তবর্তী সাত এলাকায় বেড়েছে করোনার সংক্রমণ। তার আগেই বেপরোয়া ঈদযাত্রায় করোনার সংক্রমণ বাড়বে বলে সতর্ক করেছিলেন জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। তাদের অনুমান সঠিক প্রমাণ করেছে ঈদের পরপরই সংক্রমণের নতুন মাত্রা। দেশের সঙ্গে ভারতের সীমান্তবর্তী জেলা আছে ৩০টি। এরমধ্যে গত মে মাসে সংক্রমণ বাড়ার প্রবণতা দেখা গেছে সাত জেলায়। এই জেলাগুলোর মধ্যে অন্যতম ছিল চাঁপাইনবাবগঞ্জ। এরপর সেখান থেকে পুরো দেশেই ছড়িয়ে পরে ডেল্টা।
জনস্বাস্থ্যবিদরা বলছেন, ডেল্টা ঠেকানো যায়নি, এবার ওমিক্রনও ঠেকানো যাবে না। সেটা আজ কিংবা কাল অবশ্যই বাংলাদেশে আসবে। আর এজন্য সীমান্ত ব্যবস্থাপনা জোরদার করতে হবে। এবারে যেন ডেল্টার মতো পদক্ষেপে গাফিলতি যেন না হয় এবং দেশের ভেতরে যেন স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত হয় সেই বিষয়ে নজরদারি জোরদার করতে হবে।
ডেল্টার মতো ওমিক্রন বাংলাদেশের কতটা কাছে জানতে চাইলে রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) উপদেষ্টা ডা. মুশতাক হোসেন বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, আমাদের এখন ‘রিস্ক বেসইড অ্যাপ্রোচ’ অর্থাৎ ঝুঁকি বিবেচনা করে ব্যবস্থা নিতে হবে।
বিশ্লেষকরা বলেন, ডেল্টাকে ঠেকানো যায়নি, ওমিক্রনও ঠেকানো যাবে না। ভারতে শনাক্ত হওয়া মানে আমরা ওমিক্রনের খুব কাছাকাছি।
করোনার নতুন ধরন ওমিক্রন গত ২৪ নভেম্বর শনাক্ত হয় সাউথ আফ্রিকায়। দ্রুত এটি ছড়িয়ে পড়ে যুক্তরাজ্য, বেলজিয়াম, বতসোয়ানা, হংকং ও ইসরায়েলসহ বিশ্বের অনেক দেশে। যেসব দেশে এই ধরন পাওয়া গেছে সেসব দেশের সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়া হতে পারে জানিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এরই মধ্যে সাউথ আফ্রিকার সঙ্গে স্থগিত করা হয়েছে যোগাযোগ।
এমন প্রেক্ষাপটে আফ্রিকা অঞ্চল থেকে গত এক মাসে দেশে ফেরেন ২৪০ বাংলাদেশি। দেশের তিনটি বিমানবন্দর দিয়ে দেশে আসা এই বাংলাদেশিরা এসেছেন সাউথ আফ্রিকা, নামিবিয়া ও জিম্বাবুয়ে থেকে। কিন্তু তারা এখনও বাড়ি ফেরেননি। আর এতেই শঙ্কিত করোনা কমিটি।
সম্প্রতি দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে বাংলাদেশে আসা ২৪০ জনকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
মন্ত্রী বলেন, ডেল্টার চেয়েও বেশি ঝুঁকিপূর্ণ করোনার নতুন ধরন ওমিক্রন। ওমিক্রনের সংক্রমণ রোধে সরকার সতর্ক অবস্থানে আছে। তবে দুঃখের বিষয় গত এক মাসে ২৪০ জন আফ্রিকা থেকে এসেছেন। এখন তাদের খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। তাদের ফোনও বন্ধ।
এদিকে বাংলাদেশে ভাইরাসের ধরন শনাক্তের কথা জানিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। তিনি বলেন, জিম্বাবুয়ে থেকে ফিরে আসা জাতীয় নারী ক্রিকেট দলের দুই ক্রিকেটারের দেহে ওমিক্রনের অস্তিত্ব পাওয়া গেছে। তাদের তৃতীয় দফা পরীক্ষায়ও ওমিক্রন শনাক্ত হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘ওমিক্রন নিয়ে আমরা সতর্ক আছি। যারা বিদেশ থেকে আসবে, তাদের কোয়ারেন্টিনে রাখা হবে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) আমাদের বলেছে, যে টিকা আমরা দিচ্ছি, ওমিক্রন প্রতিরোধে তা অনেকটা সক্ষম। তাই সবার টিকা নেয়া উচিত।’
কদিন আগে ভারতীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের হালনাগাদ করা ঝুঁকিপূর্ণ দেশের তালিকায় বাংলাদেশের নাম ছিল। তালিকায় বাংলাদেশে ছাড়াও ছিল ইউরোপের সব দেশ, ব্রিটেন, দক্ষিণ আফ্রিকা, বতসোয়ানা, চীন, মরিশাস, নিউজিল্যান্ড, জিম্বাবুয়ে, সিঙ্গাপুর, হংকং ও ইসরায়েল।
এর ফলে পূর্ণডোজ টিকা নেওয়া ভ্রমণকারীদের জন্য ভারত সরকার যে ছাড় দিয়েছিল, তা প্রত্যাহার করা হয়েছে। এছাড়া তালিকাভুক্ত দেশগুলোর যাত্রীদের ভারতে প্রবেশের ক্ষেত্রে নিজ খরচে আরটি-পিসিআর পরীক্ষাসহ অতিরিক্ত ব্যবস্থা অনুসরণ করতে হবে বলেও জানিয়েছিল। তবে পরে বাংলাদেশের অনুরোধে তালিকা থেকে ভারত বাংলাদেশের নাম সরিয়ে নেয়।
এরইমধ্যে এশিয়া, আমেরিকা, মধ্যপ্রাচ্য, ইউরোপের অনেক দেশ ও দক্ষিণ আফ্রিকার নয়টি প্রদেশের সাতটিতেই ওমিক্রন শনাক্ত হয়েছে। এ পরিস্থিতিতে বিশ্বের অনেক দেশের সরকারই ভ্রমণে কড়াকড়ি আরোপ করেছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এখন যেসব দেশে দক্ষিণ আফ্রিকা এবং এর প্রতিবেশী দেশে ওমিক্রন শনাক্ত হয়েছে ব্যাপকভাবে সেসব দেশ, যাদের সঙ্গে আমাদের সরাসরি বর্ডার নেই, সেসব দেশ থেকে কেউ এলে তাদের বাধ্যতামূলক প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে নিতে হবে। কিন্তু যেসব দেশে একজন দুই জন করে শনাক্ত হয়েছে সেসব দেশ থেকে এলে হয় হোম কোয়ারেন্টিন অথবা তিন থেকে সাত দিনের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে নিতে হবে। এরপর তাদের করোনা টেস্ট করে নেগেটিভ হলে ছেড়ে দিতে হবে।
তারা বলেন, করোনা প্রতিরোধে টিকার বিকল্প নেই। যত বেশি মানুষকে টিকার আওতায় আনা যাবে, তত বেশি জীবন রক্ষা করা যাবে। নিজেকে ও নিজের পরিবারকে সুরক্ষিত করতে টিকার বিকল্প নেই।
এসডব্লিউ/এমএন/কেএইচ/১৩৩১
আপনার মতামত জানানঃ