চট্টগ্রামের পতেঙ্গায় নির্মিত হচ্ছে দেশের প্রথম পাতাল পথ বঙ্গবন্ধু টানেল। টানেল থেকে আনোয়ারা চৌমুহনী হয়ে কালাবিবি দীঘি পর্যন্ত তৈরি হবে ছয় লেনের এবং আনোয়ারা চৌমুহনী থেকে শিকলবাহা ক্রসিং (ওয়াই জংশন) পর্যন্ত তৈরি হবে চার লেনের সড়ক। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে বঙ্গবন্ধু টানেলের শতভাগ সুফল পাওয়া যাবে। ফলে টানেল ঘিরে দেখা দিয়েছে নতুন স্বপ্ন।টানেল চালু হলে বাণিজ্যিক যোগাযোগ ব্যবস্থায় বৈপ্লবিক পরিবর্তন আসবে। টানেলকে ঘিরে দেশের নতুন অর্থনৈতিক সম্ভাবনার দুয়ার খুলবে। সেই সঙ্গে হাজারো সম্ভাবনার নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হবে বলে প্রত্যাশা করছে সরকার।
কর্ণফুলীর নীচে টানেল নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয় ২০১৪ সালে। তখন প্রকল্প বাস্তবায়নে বাংলাদেশ ও চীনের সরকারি পর্যায়ে সমঝোতা স্মারক সই হয়। চুক্তি সই হয় ২০১৫ সালের ২৪ নভেম্বর। টানেল নির্মাণের জন্য মনোনীত করে চীনা প্রতিষ্ঠান চায়না কমিউনিকেশন অ্যান্ড কনস্ট্রাকশন কোম্পানি (সিসিসিসি) লিমিটেডকে। নকশা ও অন্যান্য কাজ শেষে ২০১৯ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি টানেলের নির্মাণকাজ শুরু করে তারা। চট্টগ্রামে এসে এ প্রকল্পের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
চীনের সবচেয়ে বড় ও জনবহুল নগরী সাংহাই পরিচিত ওয়ান সিটি টু টাউন হিসেবে। দেশটির এই শিল্প ও বাণিজ্য কেন্দ্রকে দুই ভাগে ভাগ করেছে চ্যাং জিয়াং নদীর উপনদী হুয়াংপু, যে নদীতে নির্মিত টানেল যুক্ত করেছে দুই পাড়কে। সাংহাই সমুদ্রবন্দর বর্তমান বিশ্বের ব্যস্ততম সমুদ্রবন্দর, সবচেয়ে বড় সমুদ্রবন্দরগুলোর একটিও। আর সাংহাইয়ের মতো ভৌগোলিক অবস্থা বন্দরনগরী চট্টগ্রাম এবং কর্ণফুলী নদীর ওপারের আনোয়ারা উপজেলার।
চীনের সাংহাই শহরের আদলে বন্দরনগরী চট্টগ্রামকে ‘ওয়ান সিটি টু টাউন’ মডেলে গড়ে তুলতে কর্ণফুলী নদীর তলদেশে টানেল নির্মাণ করছে সরকার। দেশের প্রথম এই সুড়ঙ্গপথের নামকরণ করা হয়েছে ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল’। এই মেগা প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ১০ হাজার ৩৭৪ কোটি টাকা। আগস্ট মাস পর্যন্ত প্রকল্পের সার্বিক ভৌত অগ্রগতি ৭৩ শতাংশ। আশা করা হচ্ছে, ২০২২ সালের ডিসেম্বরের মধ্যেই এই টানেলের কাজ শেষ হবে। স্বপ্নের এই টানেল দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
আশা করা হচ্ছে, স্বপ্নের এই ট্যানেল চালু হলে কর্ণফুলী নদীকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠবে সাংহাইয়ের মতো ওয়ান সিটি টু টাউন। রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আসা কক্সবাজার ও দক্ষিণ চট্টগ্রামগামী গাড়িগুলোকে আর বন্দরনগরীতে ঢুকতে হবে না। চট্টগ্রাম সিটি আউটার রিং রোড হয়ে টানেলের মাধ্যমে দ্রুত সময়ের মধ্যে গন্তব্যে পৌঁছাতে পারবে। ফলে চট্টগ্রাম নগরে যানবাহনের চাপ কমে যাবে। টানেলকে ঘিরে চট্টগ্রাম-কক্সবাজারের পর্যটনশিল্পের আরও বিকাশ ঘটবে।
যেমন হবে ‘বঙ্গবন্ধু টানেল’
চার লেন বিশিষ্ট দুটি টিউব সম্বলিত ৩ দশমিক ৪ কিলোমিটার কর্ণফুলী নদীর তলদেশ দিয়ে টানেল নির্মিত হচ্ছে। নদীর তলদেশে প্রতিটি টিউব চওড়া ১০ দশমিক ৮ মিটার বা ৩৫ ফুট এবং উচ্চতা ৪ দশমিক ৮ মিটার বা অন্তত ১৬ ফুট। একটি টিউব থেকে অপর টিউবের পাশাপাশি দূরত্ব অন্তত ১২ মিটার। টানেলের প্রস্থ ৭০০ মিটার এবং দৈর্ঘ্য তিন হাজার ৪০০ মিটার। এছাড়া টানেলের পশ্চিম ও পূর্ব প্রান্তে ৫ দশমিক ৩৫ কিলোমিটার এপ্রোচ রোড এবং ৭২৭ মিটার ওভার ব্রিজ সম্পন্ন টানেলটি চট্টগ্রাম শহরের সঙ্গে আনোয়ারা উপজেলাকে সংযুক্ত করবে।
চট্টগ্রাম বিমানবন্দর এলাকা থেকে কর্ণফুলী নদীর দুই কিলোমিটার ভাটির দিকে নেভি কলেজের কাছ দিয়ে প্রবেশ করতে হবে এই টানেলে, বের হওয়া যাবে আনোয়ারা উপজেলার বৈরাগী ইউনিয়নের সার কারখানার কাছ দিয়ে।
কর্ণফুলী নদীতে যখন পিলার সেতু নির্মাণের সিদ্ধান্ত হয়, তখন সে সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেন তৎকালীন মেয়র আওয়ামী লীগ নেতা মহিউদ্দিন চৌধুরী। তিনি দাবি করেছিলেন কর্ণফুলীর তলদেশ দিয়ে টানেল নির্মাণের। তখন তার সেই দাবি বাস্তবসম্মত মনে হয়নি অনেকের কাছে।
প্রকল্পের ফিজিবিলিটি স্টাডি প্রতিবেদন অনুযায়ী, কর্ণফুলী টানেল চালুর প্রথম বছর ৬৩ লাখ গাড়ি টানেলের নিচ দিয়ে চলাচল করবে। যেটি ক্রমান্বয়ে বাড়তে বাড়তে দেড় কোটিতে গিয়ে দাঁড়াবে। চালুর প্রথম বছরে চলাচলকারী গাড়ির প্রায় ৫১ শতাংশ হবে কনটেইনার পরিবহনকারী ট্রেইলর ও বিভিন্ন ধরনের ট্রাক ও ভ্যান। বাকি ৪৯ শতাংশের মধ্যে ১৩ লাখ বাস ও মিনিবাস। আর ১২ লাখ কার, জিপ ও বিভিন্ন ছোট গাড়ি চলাচল করবে।
অর্থনৈতিক সম্ভাবনা
টানেল প্রকল্পকে ঘিরে দক্ষিণ চট্টগ্রামে ইকোনমিক জোনসহ বিশাল অর্থনৈতিক কর্মযজ্ঞ চলছে। চট্টগ্রামের আনোয়ারায় অবস্থিত কোরিয়ান রপ্তানি প্রক্রিয়াজাতকরণ অঞ্চল (কেইপিজেড),বেসরকারি খাতে সবচেয়ে বড় সার কারখানা (কাফকো), চট্টগ্রাম ইউরিয়া সার কারখানা লিমিটেডে (সিইউএফএল) এবং চট্টগ্রাম বন্দর কার্যক্রম সম্প্রসারণ করা হচ্ছে।
এছাড়া কক্সবাজারের মহেশখালী উপজেলার মাতারবাড়ীতে দেশি-বিদেশি বিনিয়োগে কয়লা ভিত্তিক তাপবিদ্যুৎকেন্দ্র, এলএনজি স্টেশনসহ বহুবিধ শিল্পকারখানা গড়ে উঠছে।
মিয়ানমার হয়ে প্রস্তাবিত এশিয়ান হাইওয়ের সঙ্গে সংযুক্তিসহ ৭টি গুরুত্বপূর্ণ লক্ষ্যে এগিয়ে যাচ্ছে টানেল নির্মাণের কাজ। টানেল নির্মাণে চট্টগ্রাম শহরসহ সারাদেশের সঙ্গে দক্ষিণ চট্টগ্রামের তথা কক্সবাজার-টেকনাফ পর্যন্ত যোগাযোগ ব্যবস্থার সহজতর করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
মূলত কর্ণফুলী টানেলকে ঘিরে চীনের সাংহাই সিটির মতো চট্টগ্রামে গড়ে তোলা হচ্ছে ‘ওয়ান সিটি টু টাউন’। এতে উন্মোচিত হতে যাচ্ছে নতুন অর্থনৈতিক সম্ভাবনার দ্বার। যার ফলে এ অঞ্চলের মানুষের জীবনযাত্রা বদলে যাবে।
মূলত কর্ণফুলী টানেলকে ঘিরে চীনের সাংহাই সিটির মতো চট্টগ্রামে গড়ে তোলা হচ্ছে ‘ওয়ান সিটি টু টাউন’। এতে উন্মোচিত হতে যাচ্ছে নতুন অর্থনৈতিক সম্ভাবনার দ্বার। যার ফলে এ অঞ্চলের মানুষের জীবনযাত্রা বদলে যাবে।
বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ বলছে, চট্টগ্রাম শহরে নিরবচ্ছিন্ন ও যুগোপযোগী সড়ক যোগাযোগব্যবস্থা গড়ে তুলতে ও বিদ্যমান সড়ক যোগাযোগব্যবস্থা আধুনিকায়ন করতে করা হচ্ছে এই টানেল। এই টানেল এশিয়ান হাইওয়ের সঙ্গে সংযোগ স্থাপন করবে। কর্ণফুলী নদীর পূর্ব তীর ঘেঁষে গড়ে ওঠা শহরের সঙ্গে ডাউন টাউনকে যুক্ত করে উন্নয়নকাজ ত্বরান্বিত করবে। চট্টগ্রাম বন্দরের বিদ্যমান সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি ও গভীর সমুদ্রবন্দরের কাজ ত্বরান্বিত করবে। সর্বোপরি ঢাকা-চট্রগ্রাম-কক্সবাজারের মধ্যে নতুন সড়ক যোগাযোগব্যবস্থা গড়ে তোলার জন্য কর্ণফুলী টানেল নির্মিত হচ্ছে।
প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, এই টানেল হয়ে গেলে এই অঞ্চলের যোগাযোগব্যবস্থার ব্যাপক উন্নয়ন হবে। কর্ণফুলী নদীর পূর্ব প্রান্ত আনোয়ারার দিকে প্রস্তাবিত শিল্প এলাকার উন্নয়ন ত্বারান্বিত হবে। পশ্চিম প্রান্তে অবস্থিত চট্টগ্রাম শহর, চট্টগ্রাম বন্দর ও বিমানবন্দরের সঙ্গে উন্নত ও সহজ যোগাযোগব্যবস্থা স্থাপিত হবে। ফলে ভ্রমণ সময় ও খরচ কমবে এবং পূর্ব প্রান্তের শিল্পকারখানার কাঁচামাল ও প্রস্তুতকৃত মালামাল চট্টগ্রাম বন্দর, বিমানবন্দর ও দেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে পরিবহন প্রক্রিয়া সহজ হবে।
কর্ণফুলী নদীর পূর্ব প্রান্তের সঙ্গে সহজ যোগাযোগব্যবস্থা স্থাপনের ফলে পূর্ব প্রান্তে পর্যটনশিল্প বিকশিত হবে। এসব কারণে ব্যাপক কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে, রপ্তানি বাড়বে। ফলে দারিদ্র্য দূরীকরণসহ দেশের ব্যাপক আর্থসামাজিক উন্নয়ন হবে।
ডিপিপি অনুযায়ী, প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে ফিনান্সিয়াল ও ইকোনোমিক আইআরআর এর পরিমাণ দাঁড়াবে যথাক্রমে ৬ দশমিক ১৯ শতাংশ এবং ১২ দশমিক ৪৯ শতাংশ। এছাড়া ফিনান্সিয়াল ও ইকোনোমিক ‘বেনিফিট কস্ট রেশিও (বিসিআর)’ এর পরিমাণ দাঁড়াবে যথাক্রমে ১ দশমিক শূন্য ৫ এবং ১ দশমিক ৫। ফলে কর্ণফুলী টানেল নির্মিত হলে জিডিপিতে ব্যাপক ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে।
প্রকল্পের উদ্দেশ্য
কর্ণফুলী নদী দেশের বাণিজ্যিক নগরী চট্টগ্রামকে দুইভাগে বিভক্ত করেছে। এই নদীর উপর ইতোমধ্যে তিনটি সেতু নির্মিত হলেও গুরুত্বপূর্ণ এ অঞ্চলের জন্য তা যথেষ্ট নয়। এছাড়া কর্ণফুলী নদীর উপর সেতু নির্মাণে তলদেশে পলি জমে সমস্যা তৈরি করে যা চট্টগ্রাম বন্দরের জন্য বড় হুমকি। এই সমস্যার মোকাবিলায় কর্ণফুলীতে নতুন কোনো সেতু নির্মাণ না করে তলদেশে টানেল নির্মাণের উদ্যোগ নেয়া হয়।
২০১৪ সালের জুন মাসে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চীন সফরকালে দুই দেশের মধ্যে জিটুজি ভিত্তিতে (সরকারের সঙ্গে সরকারের) সমঝোতা স্মারক সই হয়। চীন সরকারই সিসিসিসিএলকে এই টানেল নির্মাণের জন্য মনোনীত করে। এ বিষয়ে ওই বছরের ৩০ জুন সেতু কর্তৃপক্ষ ও সিসিসিসিএলের মধ্যে বাণিজ্যিক চুক্তি হয়।
২০১৫ সালের নভেম্বরে একনেক সভায় ‘কনস্ট্রাকশন অব মাল্টি লেন রোড টানেল আন্ডার দ্য রিভার কর্ণফুলী’ শীর্ষক টানেল প্রকল্পের অনুমোদন দেয়া হয়। প্রকল্পের মেয়াদ ধরা হয় ২০২০ সালের জুন এবং ব্যয় ধরা হয় ৮ হাজার ৪৪৬ কোটি ৬৩ লাখ টাকা। পরে প্রকল্পের মেয়াদ আড়াই বছর বাড়িয়ে ২০২২ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত করা হয়। আর ১ হাজার ৯২৭ কোটি টাকা ব্যয় বাড়িয়ে করা হয় ১০ হাজার ৩৭৪ কোটি টাকা।
বঙ্গবন্ধু টানেল প্রকল্পটি বাংলাদেশ ও চীন সরকারের (জি টু জি) যৌথ অর্থায়নে সেতু কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে বাস্তবায়ন হচ্ছে। প্রকল্পটির মোট ব্যয় ১০ হাজার ৩৭৪ কোটি ৪২ লাখ টাকা। এর মধ্যে বাংলাদেশ সরকার দিচ্ছে ৪ হাজার ৪৬১ কোটি ২৩ লাখ আর চীন সরকারের ঋণ ৫ হাজার ৯১৩ কোটি ১৯ লাখ টাকা। চীনের কমিউনিকেশন ও কনস্ট্রাকশন কোম্পানি লিমিটেড (সিসিসিসি) টানেল নির্মাণের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কাজটি বাস্তবায়ন করছে।
সর্বশেষ অগ্রগতি
কর্ণফুলী নদীর তলদেশে নির্মাণাধীন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেলের দ্বিতীয় সুড়ঙ্গ বা টিউবের খননকাজ শেষ হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে এ কাজ শেষ হয়। চট্টগ্রামের আনোয়ারা প্রান্ত থেকে শুরু হওয়া এই সুড়ঙ্গ এসে মিশেছে নগরের পতেঙ্গা প্রান্তে। এটি খনন করতে সময় লেগেছে ১০ মাস। এর মধ্যে দিয়ে টানেলের দুটি সুড়ঙ্গ তৈরির কাজ শেষ করেছে প্রকল্প কর্তৃপক্ষ।
এ প্রসঙ্গে প্রকল্প পরিচালক হারুনুর রশিদ চৌধুরী বলেন, ‘সর্বশেষ অগ্রগতি প্রতিবেদন অনুযায়ী টানেল প্রকল্পের কাজ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সম্পন্ন হয়েছে ৭৩ শতাংশ। পতেঙ্গা থেকে আনোয়ারা পয়েন্টে প্রথম সুড়ঙ্গ খননের কাজ সম্পন্ন করেছি ২০২০ সালের ২ আগস্ট। আনোয়ারা থেকে পতেঙ্গা পয়েন্টে দ্বিতীয় সুড়ঙ্গটির খননকাজ শুরু করি ১২ ডিসেম্বর। এটি শেষ হয়েছে আজ (বৃহস্পতিবার)। এ দুটি সুড়ঙ্গ খননই ছিল টানেলের মূল চ্যালেঞ্জ। আনুসাঙ্গিক অন্যান্য কাজে চ্যালেঞ্জ অনেক কম।’
তিনি জানান, বাজেটসহ টানেলের বিভিন্ন প্রয়োজন সরকার মিটিয়েছে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে। এ জন্য নির্ধারিত সময়ের আগেই টানেলের কাজ সম্পন্ন হবে বলে আশাবাদী তারা। ২০২২ সালের ডিসেম্বরে টানেলের কাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল।
বিশেষজ্ঞদের মতামত
বিশেষজ্ঞরা বলেন, ‘এই বঙ্গবন্ধু টানেল উদ্বোধনের পর চট্টগ্রামের অঞ্চলে ব্যাপক প্রভাব পড়বে। নদীর ওই পাড়ে অর্থাৎ দক্ষিণাঞ্চলে ব্যাপক শিল্পায়ন হবে। ইতোমধ্যে আনোয়ারায় কোরিয়ান ইপিজেড আছে, চীনা অর্থনৈতিক জোনও শুরু হওয়ার পথে।
‘টানেল হয়ে গেলে আরও আনেক শিল্পকারখানা গড়ে উঠবে। সেখানে ব্যাপক কর্মসংস্থান হবে। আবাসনসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠবে। মোট কথা সেখানে উপশহর গড়ে উঠবে। এতে চট্টগ্রাম শহরের ওপর কিছুটা হলেও চাপ কমবে। সব কিছু মিলিয়ে আমাদের অর্থনীতির আকার বড় হবে। জিডিপি বাড়বে।’
এসডব্লিউ/এমএন/কেএইচ/১৩৫৮
আপনার মতামত জানানঃ