আফগানিস্তান দখলের পর সম্প্রতি তালিবানরা সরকার গঠন করেছে। এতে ‘পুণ্যের প্রচার ও অপকর্ম প্রতিরোধ’ মন্ত্রণালয় তালিবান শাসনের সঙ্গে আবার ফিরে এসেছে। তালিবানের কট্টর শরিয়াহ আইন বাস্তবায়নের দায়িত্ব এ মন্ত্রণালয়ের হাতেই ছিল। মন্ত্রণালয়টি পুরুষ সঙ্গী ছাড়া নারীদের বাইরে বের হওয়া এবং গানবাজনাসহ যেকোনও ধরনের বিনোদনমূলক কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধ করেছিল।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম নিউ ইয়র্ক পোস্টকে এক তালিবান কর্মকর্তা জানান, তাদের প্রধান লক্ষ্য হলো ‘ইসলামের সেবা’। তাই পুণ্য ও অপকর্ম প্রতিরোধ মন্ত্রণালয় প্রয়োজন।
আফগানিস্তানের সেন্ট্রাল জোনের দায়িত্বপ্রাপ্ত হিসেবে নিজেকে পরিচয় দেওয়া মোহাম্মদ ইউসুফ জানিয়েছেন, ইসলামি আইন অনুসারে অপকর্মকারীদের শাস্তি দেওয়া হবে।
ইউসুফ ব্যাখ্যা করে বলেন, যদি কোনও খুনি ইচ্ছাকৃত খুন করে তাহলে তাকে হত্যা করা হবে। যদি ইচ্ছাকৃত না হয় তাহলে নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ পরিশোধসহ অন্যান্য শাস্তি দেওয়া হতে পারে।
১৯৯৬-২০০১ শাসনামলে এ মন্ত্রণালয় ধর্মীয় পুলিশ গঠন করেছিল। যাদের দায়িত্ব ছিল আফগানিস্তানের রাস্তায় টহল দেওয়া এবং আইন লঙ্ঘনকারীদের চিহ্নিত, পাথর নিক্ষেপ, অঙ্গ কেটে ফেলা এবং এমনকি অপরাধের ভিত্তিতে প্রকাশ্যে হত্যা করা।
তালিবান কর্মকর্তা জানান, চোরের হাত কেটে ফেলা হবে এবং যারা অবৈধ যৌন সম্পর্কে জড়িত থাকবে তাদের পাথর নিক্ষেপ করা হবে। যদিও পাথর নিক্ষেপ মূলত নারীদের করা হয়ে থাকে।
ইউসুফ দাবি করেন, অবৈধ যৌন সম্পর্কে জড়িত নারী ও পুরুষদের একই আইনে সাজা দেওয়া হবে। এমন সাজা ঘোষণার জন্য চার সাক্ষীর বয়ান একই হতে হবে। তিনি বলেন, যদি সাক্ষীদের বয়ানে সামান্য পার্থক্য থাকে তাহলে কোনও শাস্তি হবে না। কিন্তু যদি সবাই একই কথা বলে তাহলে শাস্তি হবে। সুপ্রিম কোর্ট এমন বিষয়ের দেখাশোনা করবে। তারা যদি দোষী হয়, তাহলে শাস্তি পাবে।
তিনি আরও বলেন, আমরা চাই ইসলামি আইন ও বিধিতে একটি শান্তিপূর্ণ দেশ। শান্তি ও ইসলামি শাসন আমাদের একমাত্র চাওয়া।
এর আগে আফগানিস্তানের কট্টর ইসলামি গোষ্ঠী তালিবানরা দেশটির সরকারি সামরিক বাহিনীর এক সদস্যের শিরচ্ছেদের পর নেচে গেয়ে উল্লাস করে। এর একটি ভিডিও অনলাইনে ছড়ায় সম্প্রতি।
অনলাইনের চ্যাটরুমে শেয়ার করা ৩০ সেকেন্ডের ওই ভিডিওতে দেখা যায়, তালিবানরা ‘মুজাহিদিন’ বলে চিৎকার করছে এবং মাটিতে পড়ে থাকা মাথাবিহীন দেহের চারপাশে উল্লাস করছে। ছয়জন তালিবান জঙ্গি লাশটি ঘিরে রেখেছেন। তাদের হাতে রয়েছে রাইফেল ও রক্তমাখা ছুরি।
এ নৃসংস ভিডিওটি এমন সময় প্রকাশ পেলো যখন তালিবানের মুখপাত্র সুহাইল শাহিন দাবি করেছেন যে, তারা সহিংস নন, নারীরা ‘মৌলিক অধিকার’ পাবেন এবং নতুন সরকার একটি কল্যাণমূলক রাষ্ট্র গড়ে তুলছে।
ব্রিটিশ দৈনিক ডেইলি মেইল বলেছে, গাঢ়-সবুজ রঙের ইউনিফর্ম পরিহিত মাটিতে যে ব্যক্তির মরদেহ পড়ে ছিল, তিনি আফগান সৈন্য বলে ধারণা করা হচ্ছে। কারণ আফগান সামরিক বাহিনীকে গাঢ় সবুজ রঙের ইউনিফর্ম দিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র।
রক্তমাখা ছুরি হাতে দুই ব্যক্তি মুজাহিদীনদের নামে স্লোগান দেন এবং ছুরি আকাশে ছুড়ে মারেন। এর এক পর্যায়ে তারা চিৎকার করে তালিবানের সর্বোচ্চ নেতা হাইবাতুল্লাহ আখুন্দজাদার প্রশংসা করতে শুরু করেন।
আফগানিস্তানের কট্টর ইসলামি গোষ্ঠী তালিবানরা দেশটির সরকারি সামরিক বাহিনীর এক সদস্যের শিরচ্ছেদের পর নেচে গেয়ে উল্লাস করে। এর একটি ভিডিও অনলাইনে ছড়িয়েছে সম্প্রতি।
অনলাইনের চ্যাটরুমে শেয়ার করা ৩০ সেকেন্ডের ওই ভিডিওতে দেখা যায়, তালিবানরা ‘মুজাহিদিন’ বলে চিৎকার করছে এবং মাটিতে পড়ে থাকা মাথাবিহীন দেহের চারপাশে উল্লাস করছে। ছয়জন তালিবান জঙ্গি লাশটি ঘিরে রেখেছেন। তাদের হাতে রয়েছে রাইফেল ও রক্তমাখা ছুরি।
এ নৃসংস ভিডিওটি এমন সময় প্রকাশ পেলো যখন তালিবানের মুখপাত্র সুহাইল শাহিন দাবি করেছেন যে, তারা সহিংস নন, নারীরা ‘মৌলিক অধিকার’ পাবেন এবং নতুন সরকার একটি কল্যাণমূলক রাষ্ট্র গড়ে তুলছে।
ব্রিটিশ দৈনিক ডেইলি মেইল বলেছে, গাঢ়-সবুজ রঙের ইউনিফর্ম পরিহিত মাটিতে যে ব্যক্তির মরদেহ পড়ে ছিল, তিনি আফগান সৈন্য বলে ধারণা করা হচ্ছে। কারণ আফগান সামরিক বাহিনীকে গাঢ় সবুজ রঙের ইউনিফর্ম দিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র।
রক্তমাখা ছুরি হাতে দুই ব্যক্তি মুজাহিদীনদের নামে স্লোগান দেন এবং ছুরি আকাশে ছুড়ে মারেন। এর এক পর্যায়ে তারা চিৎকার করে তালিবানের সর্বোচ্চ নেতা হাইবাতুল্লাহ আখুন্দজাদার প্রশংসা করতে শুরু করেন।
বিশেষজ্ঞদের মতে, তালিবানের এমন সহিংস চেহারা পুনরায় ফিরে আসবে এমন আশঙ্কা বরাবরই ছিলো। যতই তালিবানরা ক্ষমা প্রার্থনা করুক কিংবা নিজেদের পরিবর্তন নিয়ে আস্থা দিক, তাতে করে তাদের উপর বিশ্বাস স্থাপন করা সম্ভব ছিলো না। এখন একে একে তালিবানের বর্তমান রূপ বের হয়ে আসতে শুরু করেছে। এতে তাদের পশুর মত অমানবিক ও কট্টরপন্থী আচরণ করতে দেখা যাচ্ছে। এমন চলতে থাকলে আফগানিস্তানের পরিস্থিতি পুনরায় ২০ বছর আগের মত অবস্থানে ফিরে যাবে। এ পরিস্থিতি রুখতে বিশ্বের সংশ্লিষ্টদের দ্রুত তালিবানদের দিকে নজর দেয়া জরুরি হয়ে পড়েছে।
এসডব্লিউ/এমএন/ডব্লিউজেএ/২৩৩৬
আপনার মতামত জানানঃ