যারা ইসলামের শত্রু, রাসূল (সা.) এর দুশমন তাদের কবর রচনার জন্য, নাস্তিক-মুর্তাদদের কবর রচনার জন্য হেফাজতে ইসলামের জন্ম হয়েছে। সকল স্কুল-কলেজের ধর্মপ্রাণ মানুষ হেফাজতের সদস্য, সকল মসজিদের ইমাম, মাদরাসার ছাত্র-শিক্ষকগণ হেফাজতের সদস্য, সমস্ত মসজিদের মুসল্লিরা হেফাজতের সদস্য। শনিবার বিকেলে সিলেট নগরের রেজিস্ট্রারি মাঠে প্রধান অতিথির বক্তব্যে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের নবনির্বাচিত আমির, শায়খুল হাদীস আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী এসব কথা বলেন।
বাবুনগরী বলেন, নামাজ, রোজা, হজ-যাকাত হলো হেফাজতের কর্মসূচি। হেফাজত সরকারবিরোধী সংগঠন নয়, আবার সরকার দলীয় সংগঠনও নয়। । হেফাজত বাংলাদেশে নামাজ কায়েম করতে চায়। হেফাজত ইসলামের দুষমন নাস্তিক-মুরতাদদের বাংলার মাটি থেকে উচ্ছেদ করে মুসলমানদের হক কায়েম করতে চায়।
তিনি বলেন, বিশ্বের দু’শত কোটি মুসলমানের ভালোবাসার প্রতীক রাসূল (সা.) এর বিরুদ্ধে ফ্রান্স সরকার ব্যঙ্গ করে, কটাক্ষ করে মুসলমানদের কলিজায় আগুন লাগিয়েছে। রাসূলের অপমানের মোকাবেলায় রক্ত সাগর ভাসিয়ে দেবে। যেসব নাস্তিক-মুরতাদ মুসলমানদের দেশ বাংলাদেশে বসে ইসলামের বিরুদ্ধে কথা বলবে, মুসলমানদের নয়নের মনি রাসুল (সঃ) বিরুদ্ধে কুৎসা রটাবে তাদের কবর রচনা করাই হেফাজতের মূল কাজ।
তিনি আরো বলেন, ‘সর্বপ্রথম সরকারিভাবে রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় আমাদের পেয়ারা হাবীব সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে কটুক্তি করেছে ফ্রান্সের ম্যাক্রোঁ। আমি স্পষ্টভাবে বলতে চাই, হে নাস্তিক-মুরতাদরা, ইসলামের শত্রুরা তোমরা শুনে রাখো, বিশ্বের যেখানেই আমাদের রাসুলের কটাক্ষ করা হবে, সেখানেই কোটিকোটি আশেকে রাসুলের রক্তের বন্যা বয়ে যাবে।’
হেফাজত আমির বলেন, ‘৯০ ভাগ মুসলমানের দেশে কাদিয়ানীদেরকে কাফের ঘোষনায় কোন সমস্যা থাকার কথা নয়। কাদিয়ানিদের সাংবিধানিক ভাবে কাফের ঘোষণা না করার কারণে তারা মক্কা-মদিনা যেতে পারে। এতে মক্কা -মদিনার পবিত্রতা নষ্ট হয়। তাই আমি ২০১০ সালে প্রধানমন্ত্রীর সাথে সাক্ষাৎ করে বলেছি কাদিয়ানিদের সাংবিধানিকভাবে কাফের ঘোষণা করতে হবে।’
তিনি সরকারকে পরামর্শ দিয়ে বলেন, আপনারা আমাদের পরামর্শ মোতাবেক চলুন। জনগণের ও তৌহিদি জনতার মনের ভাষা বোঝার চেষ্টা করুন। আমরা আপনাদের শত্রু নই।
হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় উপদেষ্টা শায়খুল হাদীস আল্লামা জিয়া উদ্দীন সভাপতিত্বে সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন- হেফাজতের মহাসচিব মাওলানা নূর হোসাইন কাসেমী, নায়েবে আমীর প্রফেসর ড. আহমদ আবদুল কাদের, উপদেষ্টা শায়খুল হাদীস মাওলানা মুফতী রশিদুর রহমান ফারুক বর্ণভী, উবায়দুল্লাহ ফারুক, মাওলানা নূরুল ইসলাম খান সুনামগঞ্জী, সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা আজিজুল হক ইসলামাবাদী, কেন্দ্রীয় নেতা অ্যাডভোকেট মাওলানা আবদুর রকীব প্রমুখ।
আপনার মতামত জানানঃ