বগুড়ায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে গুজব ছড়ানোর অভিযোগে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে সরকারি আজিজুল হক কলেজের এক শিক্ষার্থীসহ দুই জনকে গ্রেপ্তার করেছে সাইবার পুলিশের একটি দল।
গ্রেপ্তার যুবকরা হলেন— বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলা সেকেন্দারাবাদ গ্রামের মো. হাফিজার রহমানের ছেলে মো. মাহবুর রহমান (২৩) ও একই উপজেলার পদ্মপুকুর গ্রামের আব্দুল সামাদের ছেলে মো. শরিফুল ইসলাম (২৪)। শরিফুল সরকারি আজিজুল হক কলেজের ইংরেজি বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী।
পুলিশের বগুড়া গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) পরিদর্শক মো. এমরান মাহমুদ তুহিন গণমাধ্যমকে বলেন, আজ ভোররাতে বগুড়া সদরের নিশিন্দারা এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়েছে। একটি পুরাতন ভিডিও বর্তমান সময়ের বলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগে তাদের বিরুদ্ধে বগুড়া সদর থানায় মামলা হয়েছে।
পুলিশের দাবি, ফেসবুকে পোস্ট করা ভিডিও ফুটেজটি ২০১৭ সালের। বগুড়া জেলা আইন-শৃখলা রক্ষাকারী বাহিনীর একটি দল ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা ও অবৈধ ভ্যান হাতুড়ি দিয়ে ভেঙে ফেলে এবং পরে বুলডোজার দিয়ে গুড়িয়ে দেয়। আসামিরা সেই ভিডিও বর্তমান সময়ের বলে প্রচার করেছে।
সংবাদ বিজ্ঞপিতে পুলিশ আরও জানিয়েছে, আসামিরা সুকৌশলে ‘শিবগঞ্জ উপজেলা(৩৭) বগুড়া’ নামে ফেসবুক গ্রুপ থেকে ভিডিও ফুটেজটি বর্তমান সময়ের লোকডাউনে চালানো অভিযানের চিত্র বলে প্রচার করেছে। শরিফুল এই গ্রুপের অ্যাডমিন এবং নামে-বেনামে তার আরও পাঁচটি ফেসবুক আইডি পাওয়া গেছে।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামিরা স্বীকার করেছেন, তারা আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ভাবমূর্তি নষ্ট করার জন্য এই কাজ করেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
বগুড়া পুলিশ সুপার আলী আশরাফ ভূঁইয়া বলেন, ‘আসামিরা পুরাতন একটি ভিডিও বর্তমান সময়ের বলে প্রচার করে জনমনে অসন্তোষ সৃষ্টি করেছে এবং সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষেপিয়ে তুলছে। তা ছাড়া, আইন-শৃখলা রক্ষাকারী বাহিনীর ভাবমূর্তিও ক্ষুণ্ন করেছে।
এদিকে দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটে প্রধানমন্ত্রীর ছবি বিকৃত করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট দেওয়ায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মিরাজ মণ্ডল নামে শারীরিক প্রতিবন্ধী এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রেফতার মিরাজ উপজেলার লালমাটি গ্রামের দেলোয়ার হোসেনের ছেলে।
পুলিশ জানায়, মিরাজ ‘ঘোড়াঘাট পৌর ছাত্রদল’ নামক একটি ফেসবুক আইডি থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি বিকৃত করে একটি পোস্ট দেন। সেখানে প্রধানমন্ত্রী সম্পর্কে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্যও করা হয়।
মুহূর্তের মধ্যে সেটি ভাইরাল হয়ে যায় এবং প্রতিবাদের ঝড় নামে ঘোড়াঘাট উপজেলায়। ঘটনাটি ভাইরাল হওয়ার পর রোববার রাতে ঘোড়াঘাট পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ইউনুছ আলী মণ্ডল বাদী হয়ে থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে একটি মামলা করেন। এ ঘটনার পর রোববার রাতেই মিরাজকে গ্রেফতার করা হয়।
এসডব্লিউ/এমএন/ এফএ/১৮১০
আপনার মতামত জানানঃ