সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে স্ট্যাটাস দিয়ে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে গ্রেপ্তার হয়েছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী।
ফয়সাল বশেমুরবিপ্রবির রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের প্রথম বর্ষের ছাত্র। তিনি গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার নিজড়া জাঙ্গাল বাজারের আলমগীর মিনার ছেলে। আলমগীরের দাবি, তার ছেলে মানসিকভাবে সুস্থ না।
গোপালগঞ্জ সদর উপজেলা যুবলীগের সহসভাপতি মো. মাসুদ রানা বুধবার গোপালগঞ্জ থানায় ফয়সালেরর বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করেন।
গোপালগঞ্জ সদর থানার ওসি মো. মনিরুল ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেন, ‘মামলার পর ওই শিক্ষার্থীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সমস্ত আলামত জব্দ করা হয়েছে। বুধবার দুপুরে তাকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।’
এ ব্যাপারে উপজেলা যুবলীগের সহসভাপতি মো. মাসুদ রানা বলেন, ‘ওই ছাত্র ফেসবুকে আমার এক পোস্টে আওয়ামী লীগ সম্পর্কে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করে। তার ফেসবুক অ্যাকাউন্ট ঘাটাঘাটি করতে গিয়ে দেখি গত ১৬ জুন একটি স্ট্যাটাসে তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে গুলি করে হত্যার ইচ্ছার কথা লিখেছেন। আমি তার ফেসবুকের পোস্টের স্ক্রিনশট প্রিন্ট করে গোপালগঞ্জ থানায় মামলা করি।’
তবে তার বাবা পল্লী চিকিৎসক আলমগীর মীনা বলেন, ‘আমার ছেলে ২০১৪ সাল থেকে মানসিক রোগে ভুগছে। ওষুধ খেলে সে ভালো থাকে। ওষুধ খাওয়া বন্ধ করে দিলেই উল্টো-পাল্টা করে।’
তিনি আরও বলেন, ‘গত ১ মাস ধরে সে ওষুধ খাচ্ছে না। তাই ফেসবুকে এ ধরনের স্ট্যাটাস দিয়ে আমাদের বিপদে ফেলেছে। ছেলেকে নিয়ে মহা দুশ্চিন্তায় পড়েছি।’
এদিকে ফেসবুকে প্রধানমন্ত্রীকে গুলি করে হত্যার স্ট্যাটাস দিয়ে গ্রেপ্তার হওয়া বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরবিপ্রবি) শিক্ষার্থী ফয়সাল আহমেদ মিনাকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাময়িক বহিষ্কার করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। আজ বৃহস্পতিবার (২৪ জুন) বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মো. আব্দুর রউফ স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে এ কথা জানানো হয়েছে।
অফিস আদেশে বলা হয়, অত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র ফয়সাল আহমেদ ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষে এ বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়। কিন্তু সে ১ম বর্ষ ১ম সেমিস্টার ও ১ম বর্ষ ২য় সেমিস্টার পরীক্ষায় অকৃতকার্য হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ম অনুযায়ী ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষে তার পুনঃভর্তি হওয়ার কথা থাকলেও সে ভর্তি হয়নি।
অফিস আদেশে আরো বলা হয়, গত ২৩ জুন তারিখে তার ফেসবুক আইডি থেকে সে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী প্রসঙ্গে অনভিপ্রেত ও অনাকাঙ্ক্ষিত সট্যাটাস দেয়, যা এ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তিকে ক্ষুণ্ণ করেছে। তার এহেন রাষ্ট্রবিরোধী ও বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন-শৃঙ্খলাপরিপন্থী কার্যকলাপের পরিপ্রেক্ষিতে তাকে অত্র বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হলো।
এসডব্লিউ/এমএন/এফএ/১৮২০
State watch সকল পাঠকদের জন্য উন্মুক্ত সংবাদ মাধ্যম, যেটি পাঠকদের অর্থায়নে পরিচালিত হয়। যে কোন পরিমাণের সহযোগিতা, সেটি ছোট বা বড় হোক, আপনাদের প্রতিটি সহযোগিতা আমাদের নিরপেক্ষ সাংবাদিকতার ক্ষেত্রে ভবিষ্যতে বড় অবদান রাখতে পারে। তাই State watch-কে সহযোগিতার অনুরোধ জানাচ্ছি। [wpedon id=”374″ align=”center”]
আপনার মতামত জানানঃ