নওগাঁ জেলায় অভিযান চালিয়ে নিষিদ্ধঘোষিত জঙ্গি সংগঠন আনসার আল ইসলামের অনলাইন সেলের এক সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে বাংলাদেশ পুলিশের এন্টি টেররিজম ইউনিট (এটিইউ)। তার নাম মো. সারোয়ার হোসেন ওরফে আলিফ ওরফে মুসলিম ফৌজ। বুধবার দিবাগত মধ্যরাতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এন্টি টেররিজম ইউনিট সূত্রে জানা যায়, গ্রেপ্তারকৃত মো. সারোয়ার হোসেন ‘গাজওয়াতুল হিন্দ’ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে অনলাইনে উগ্রবাদ প্রচারণাসহ রাষ্ট্রবিরোধী ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে বাংলাদেশে খিলাফত প্রতিষ্ঠা করার উদ্দেশ্যে দীর্ঘ দিন ধরে বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছিলে।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে রাষ্ট্র ও সরকার বিরোধী এবং ধর্মীয় উসকানিমূলক ও উগ্রবাদী বিভিন্ন পোস্ট করে আসছিলেন। নিজেদের মতবাদ প্রচারের মাধ্যমে অনলাইনে আনসার আল ইসলামের পক্ষে সদস্য সংগ্রহের কাজ করেন তিনি। উগ্রবাদী বিভিন্ন বই ও বক্তৃতা অনলাইনে পোস্ট করে আগ্রহীদের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ রক্ষাসহ তাদের উগ্রবাদের দিকে আহ্বানও জানিয়েছিলেন তিনি।
এদিকে নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন আনসার আল ইসলামের সদস্য সন্দেহে চট্টগ্রামে হেফাজতে ইসলামের সাবেক নেতা ও কওমী মাদ্রাসার এক শিক্ষককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট।
মঙ্গলবার (১৫জুন) বিকালে নগরীর ফিরোজ শাহ এলাকা থেকে শামীমুর রহমান (৪০) নামের এই শিক্ষককে গ্রেপ্তারের কথা জানান কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের উপ-কমিশনার হাসান মো. শওকত আলী।
শামীম ফিরোজ শাহ এলাকার একটি কওমী মাদ্রাসার হাদিস শিক্ষক এবং ওই এলাকার জামে মসজিদের খতিব এই শিক্ষক কওমী মাদ্রাসাভিত্তিক সংগঠন হেফাজতে ইসলামের চট্টগ্রাম মহানগর কমিটিরও সাবেক নেতা।
পুলিশ কর্মকর্তা শওকত গণমাধ্যমকে জানিয়েছিলেন, শুক্রবার গ্রেপ্তার সিরিয়া ফেরত আনসার আল ইসলামের সদস্য সাখাওয়াত হোসেন লালুর তথ্যের ভিত্তিতে শামীমকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
সাখাওয়াত রিমান্ডে শামীম সম্পর্কে তথ্য দিয়েছেন। সেগুলো যাচাই বাছাই করা হচ্ছে,“ যোগ করেন তিনি। পুলিশের বিশেষ এই ইউনিটের কর্মকর্তারা জানান, শামীমের বাসায় আনসার আল ইসলামের সদস্যরা বিভিন্ন সময়ে বৈঠক করেছেন।
শুক্রবার নগরীর দক্ষিণ খুলশী আবাসিক এলাকার আহলে হাদিস জামে মসজিদ এলাকা থেকে নগরীর দামপাড়া এম এম আলী রোড এলাকার বাসিন্দা সাখাওয়াতকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
পরদিন আদালতে তুলে তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পাঁচদিনের রিমান্ড আবেদন করেছিল কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট। আদালত তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছিলেন। মঙ্গলবার তাকে আদালতে তুলে দ্বিতীয় দফায় তিন দিনের রিমান্ডে আনে পুলিশ।
নগর পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের কর্মকর্তারা জানান, ২০১৭ সালে বাংলাদেশ থেকে তুরস্ক হয়ে সিরিয়া যান সাখাওয়াত । সেখানে প্রশিক্ষণ ও যুদ্ধ শেষে ইন্দোনেশিয়া গিয়ে ‘জিহাদী’ কার্যক্রম পরিচালনা করেছিলেন। ২২ মার্চ ইন্দোনেশিয়া থেকে দেশে ফিরে আসেন।
এসডব্লিউ/এমএন/এফএ/১৮২৯
State watch সকল পাঠকদের জন্য উন্মুক্ত সংবাদ মাধ্যম, যেটি পাঠকদের অর্থায়নে পরিচালিত হয়। যে কোন পরিমাণের সহযোগিতা, সেটি ছোট বা বড় হোক, আপনাদের প্রতিটি সহযোগিতা আমাদের নিরপেক্ষ সাংবাদিকতার ক্ষেত্রে ভবিষ্যতে বড় অবদান রাখতে পারে। তাই State watch-কে সহযোগিতার অনুরোধ জানাচ্ছি। [wpedon id=”374″ align=”center”]
আপনার মতামত জানানঃ