উপহার হিসেবে বাংলাদেশকে দেওয়া চীনের ৫ লাখ সিনোফার্ম টিকা ঢাকায় এসে পৌঁছেছে। ঢাকার চীনা দূতাবাস সূত্র এ তথ্য জানিয়েছে। বুধবার ভোর ৫টা ৩১ মিনিটে টিকা নিয়ে বিমান বাহিনীর (এস-৩এজিএফ) ফ্লাইটটি হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। এদিকে দেশে এ পর্যন্ত প্রায় ৩৬ লাখ মানুষ করোনা টিকার দ্বিতীয় ডোজ গ্রহণ করেছেন।
চীনা ভ্যাকসিন
চীনা দূতাবাসের উপরাষ্ট্রদূত হুয়ালং ইয়ান গণমাধ্যমকে চীনের টিকা এসে পৌঁছানোর বিষয়টি জানিয়েছেন। উপরাষ্ট্রদূত হুয়ালং ইয়ান আরও বলেন, বেলা সাড়ে ১১টার দিকে উপহারের টিকা বাংলাদেশ নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত লি জিমিং আনুষ্ঠানিকভাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন ও স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেকের কাছে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় হস্তান্তর করবেন। এর আগে বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত লি জিমিং আজ টিকা আসার কথা জানিয়েছিলেন।
ঢাকায় নিযুক্ত চীনা রাষ্ট্রদূত লি জিমিং গত সোমবার জানিয়েছিলেন, করোনা মহামারি মোকাবিলায় বাংলাদেশকে সহায়তা দেবে চীন। এ লক্ষ্যে পাঁচ লাখ সিনোফার্ম টিকা দেবে দেশটি। কয়েকদিন আগে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এ টিকা ব্যবহারের জরুরি অনুমোদন দিয়েছে।
বাংলাদেশ প্রথমে অ্যাস্ট্রাজেনেকার করোনার টিকা অনুমোদন দিয়েছিল। ভারতের মাধ্যমে এই টিকার ৩ কোটি ফাইল আনতে আগাম টাকা দিয়েছিল। ভারতে করোনার প্রকোপ বাড়ায় চুক্তির ৭০ লাখ টিকা দেওয়ার পর সেটি বন্ধ করে দিয়েছে। এমতাবস্থায় বাংলাদেশ প্রথম ডোজের টিকা দেওয়ার পর দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া নিয়ে বিপাকে পড়ে। পরে রাশিয়ার টিকা অনুমোদন দেওয়া হয়। সেগুলো আসার প্রক্রিয়ায় আছে।
পরে চীনা কম্পানি সিনোফার্মের তৈরি করোনাভাইরাসের টিকা জরুরি ব্যবহারের অনুমোদন দেওয়া হয়।
দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন প্রায় ৩৬ লাখ
দেশে এ পর্যন্ত ৩৫ লাখ ৯৩ হাজার ৫২৩ জন মানুষ করোনার টিকার দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন। আর টিকার প্রথম ডোজ নিয়েছেন ৫৮ লাখ ১৯ হাজার ৯১০ জন। এ ছাড়া এ পর্যন্ত ৭২ লাখ ৪৮ হাজার ৮২৯ জন মানুষ টিকার জন্য নিবন্ধন করেছেন। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক মিজানুর রহমান স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, মঙ্গলবার থেকে গত ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে ৯৭ হাজার ৩৩৭ জন টিকার দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন। এদের মধ্যে পুরুষ ৬০ হাজার ৩৭০ ও নারী ৩৬ হাজার ৯৬৭ জন। আর প্রথম ডোজ নিয়েছেন ১০ জন। এদের মধ্যে পুরুষ ৭ জন ও নারী ৩ জন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত ২৭ জানুয়ারি করোনার টিকা প্রদান কর্মসূচির উদ্বোধন করেন। ওই দিন ২১ জনকে টিকা দেয়া হয়। পরদিন রাজধানীর ৫টি হাসপাতালে ৫৪৬ জনকে পর্যবেক্ষণমূলক টিকা দেয়া হয়েছিল। এরপর গত ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে দেশব্যাপী গণটিকাদান কর্মসূচি শুরু হয়। প্রথম টিকা নেয়ার ৬০দিন পর ৮ এপ্রিল থেকে দ্বিতীয় ডোজ দেয়া শুরু হয়েছে।
দেশে টিকা গ্রহণকারী ব্যক্তিদের মধ্যে এখনো তেমন কোন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার খবর পাওয়া যায়নি।
এসডব্লিউ/এমএন/ এফএ/১২৩৩
State watch সকল পাঠকদের জন্য উন্মুক্ত সংবাদ মাধ্যম, যেটি পাঠকদের অর্থায়নে পরিচালিত হয়। যে কোন পরিমাণের সহযোগিতা, সেটি ছোট বা বড় হোক, আপনাদের প্রতিটি সহযোগিতা আমাদের নিরপেক্ষ সাংবাদিকতার ক্ষেত্রে ভবিষ্যতে বড় অবদান রাখতে পারে। তাই State watch-কে সহযোগিতার অনুরোধ জানাচ্ছি। [wpedon id=”374″ align=”center”]
আপনার মতামত জানানঃ