মাধবপুরে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের স্বাক্ষর জাল করে সাড়ে ১৬ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) মোহাম্মদ মাসুদুল ইসলামকে আটক করেছে পুলিশ।
এ ঘটনায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফাতেমা তুজ জোহরা থানায় একটি অভিযোগ দিয়েছেন।
পুলিশ জানায়, ওই উপজেলায় দুর্যোগ সহনীয় বাসগৃহ নির্মাণ প্রকল্পের ১৬ লাখ ৬৮ হাজার টাকা ইউএনও’র স্বাক্ষর জাল করে আত্মসাত করেন পিআইও মোহাম্মদ মাসুদুল ইসলাম। বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফাতেমা তুজ জোহরার নজরে এলে তিনি এ বিষয়ে থানায় অভিযোগ দেন।
অভিযোগের প্রেক্ষিতে শুক্রবার (৩০ এপ্রিল) রাত ৯টার দিকে মাধবপুর থানা পুলিশ সীমান্তবর্তী চুনারুঘাট উপজেলার বাল্লাচেক পোস্ট এলাকা থেকে তাকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।
উল্লেখ্য, মাধবপুর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোহাম্মদ মাসুদুল ইসলাম ২০১৮ সালের ৮ আগস্ট মাধবপুরে যোগদান করেন। এর আগে তিনি চুনারুঘাট উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
মাধবপুরের ইউএনও ফাতেমা তুজ জোহরা গণমাধ্যমকে বলেন, ‘সরকারি কার্যক্রম বাস্তবায়নের জন্যে ইউএনও ও পিআইওর কিছু যৌথ ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থাকে। ওই অ্যাকাউন্টের মাধ্যমেই প্রকল্পের অর্থ উত্তোলন করা হয়ে থাকে। সেই অ্যাকাউন্টের চেক পিআইওর কাছেই থাকে। আমার মনে হয়েছে, সেই অ্যাকাউন্টের মাধ্যমেই পিআইও টাকা উত্তোলন করেছেন। এর পরিপ্রেক্ষিতেই থানায় অভিযোগ দায়ের করেছি।’
সংশিষ্ট বিশেষজ্ঞদের বলেন, প্রকল্পে দুর্নীতি নতুন কোনো বিষয় নয়। তবে সেটা এখন লাগামহীন হয়ে পড়েছে। টাকা মারার জন্যই প্রকল্প, অবস্থাটা এমনই হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিশ্ব ব্যাংকসহ বিভিন্নদাতা সংস্থা তাদের অর্থায়নে গৃহীত প্রকল্পগুলোতে দুর্নীতির অভিযোগ করেছে বহুবার। প্রকল্প বাস্তবায়নে দুর্নীতি ও ধীরগতির কারণে তারা অর্থ ছাড়া যেমন বিলম্ব করেছে তেমনি অনেক প্রকল্প থেকে টাকা ফেরৎ নিয়ে গেছে।
প্রকল্প আর দুর্নীতি একাট্টা হয়ে গেছে। যেখানে প্রকল্প সেখানেই দুর্নীতি। এ অবস্থায় প্রত্যাশিত উন্নয়ন কীভাবে হবে? সরকার বেশুমার ছোটবড় উন্নয়ন প্রকল্প নিয়ে বগল বাজাচ্ছে। দেশ বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল, এমন দাবিও করছে। কিন্তু বাস্তবে উন্নয়ন দৃশমান হচ্ছে না। এর প্রধান কারণ যে দুর্নীতি, তা উল্লেখের অপেক্ষা রাখেনা। উন্নয়নের ফানুস উড়িয়ে তলে তলে দুর্নীতি ও লুটপাটের মহোৎসব চলছে। বলে রাখা ভালো, এই দুর্নীতি ও লুটপাটের বেশীর ভাগই করছে সরকারি দলের লোকজন এবং দলবাজ কর্মকর্তারা।
এসডব্লিউ/এমএন/ এফএ/১৫১৫
State watch সকল পাঠকদের জন্য উন্মুক্ত সংবাদ মাধ্যম, যেটি পাঠকদের অর্থায়নে পরিচালিত হয়। যে কোন পরিমাণের সহযোগিতা, সেটি ছোট বা বড় হোক, আপনাদের প্রতিটি সহযোগিতা আমাদের নিরপেক্ষ সাংবাদিকতার ক্ষেত্রে ভবিষ্যতে বড় অবদান রাখতে পারে। তাই State watch-কে সহযোগিতার অনুরোধ জানাচ্ছি। [wpedon id=”374″ align=”center”]
আপনার মতামত জানানঃ