গুলশানের একটি ফ্ল্যাট থেকে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় মোসারাত জাহান মুনিয়া নামের এক তরুণীর মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় আত্নহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
সোমবার রাতে রাজধানীর গুলশান থানায় নিহত মোসারাত জাহানের বড় বোন নুসরাত জাহান বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। মামলায় বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সায়েম সোবহান আনভীরকে আসামী করা হয়েছে। ৩০৬ পেনাল কোর্টের ১৮৬০ ধারায় মামলাটি রুজু করা হয়েছে।
এর আগে গুলশান ১ এর ১২০ রোড়ের ১৯ নং বাসার বি-৩ ফ্ল্যাট থেকে এ তরুণীর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। পুলিশের ধারনা সকাল এগারোটা থেকে বিকাল চারটার মধ্যে কোন এক সময়ে আত্নহত্যা করেছে মুনিয়া।
নিহত তরুনীর বাড়ি কুমিল্লা শহরে।সোমবার (২৬ এপ্রিল) দিবাগত রাত দেড়টার দিকে গুলশান জোনের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (এডিসি) নাজমুল হাসান তরুণীর মরদেহ উদ্ধার ও মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
[zoomsounds_player artistname=”বসুন্ধরা গ্রুপের এমডি’র” songname=”টেলিফোনে হুমকি” type=”detect” dzsap_meta_source_attachment_id=”10689″ source=”https://statewatch.net/wp-content/uploads/2021/04/বসুন্ধরা-এমডির-ফোনে-হুমকি.mp3″ thumb=”https://statewatch.net/wp-content/uploads/2021/04/statewatch-logo.jpg” config=”default” autoplay=”off” loop=”off” open_in_ultibox=”off” enable_likes=”off” enable_views=”off” enable_rates=”off” play_in_footer_player=”default” enable_download_button=”off” download_custom_link_enable=”off”]
মামলার বরাত দিয়ে গুলশান জোনের উপকমিশনার সুদীপ কুমার চক্রবর্তী বলেন, ‘মেয়েটির সঙ্গে বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সায়েম সোবহান আনভীরের সম্পর্ক দুই বছরের। আনভীর এক বছর মেয়েটিকে বনানীর ফ্লাটে রাখেন। পরে আনভীরের সঙ্গে মনোমালিন্য হলে তিনি কুমিল্লায় চলে যান। তবে মার্চ মাসে ঢাকায় এসে গুলশানের ওই ফ্লাটে থাকা শুরু করেন।’
মোসারাত জাহানের বাড়ি কুমিল্লা শহরের মোনোহরপুরে। রাজধানীর একটি কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী ছিলেন তিনি। মেয়েটির পরিবার কুমিল্লায় থাকে। ঢাকার ওই ফ্ল্যাটে তিনি একাই থাকতেন।
নিহতের বড় বোন নুসরাত জাহানের বরাত দিয়ে এডিসি নাজমুল বলেন, সোমবার সন্ধ্যায় গুলশান ২ নম্বরের একটি ভবনের ফ্ল্যাটে গিয়ে নিহত তরুণীর বড় বোন দরজা বন্ধ পান। ধাক্কাধাক্কি করলেও দরজা খুলছিলেন না ওই তরুণী। এর কিছুক্ষণ আগে থেকে তার ফোনও বন্ধ ছিল। এরপর মালিকের উপস্থিতিতে মিস্ত্রি দিয়ে পুলিশ দরজা ভেঙে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় তরুণীর মরদেহ উদ্ধার করে।
পুলিশের একটি সুত্র বলছে মেয়েটির সাথে নিয়মিত যোগাযোগ ছিল দেশের একটি শীর্ষ শিল্প প্রতিষ্ঠান বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সায়েম সোবহান আনভীরের সাথে । তিনি এই ফ্ল্যাটে নিয়মিত যাতায়াত করতেন এমন তথ্য প্রমাণ মিলেছে।
মোশারাত জাহানের আত্নহত্যার ঘটনায় দেশের অন্যতম শীর্ষ ব্যবসায়ী গ্রুপ বসুন্ধরার ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সায়েম সোবহান আনভীরের বিরুদ্ধে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেয়ার অভিযোগে মামলা হলো।
এসডব্লিউ/নসদ/১৪৩৭
State watch সকল পাঠকদের জন্য উন্মুক্ত সংবাদ মাধ্যম, যেটি পাঠকদের অর্থায়নে পরিচালিত হয়। যে কোন পরিমাণের সহযোগীতা, সেটি ছোট বা বড় হোক, আপনাদের প্রতিটি সহযোগিতা আমাদের নিরপেক্ষ সাংবাদিকতার ক্ষেত্রে ভবিষ্যতে বড় অবদান রাখতে পারে। তাই State watch-কে সহযোগিতার অনুরোধ জানাচ্ছি। [wpedon id=”374″ align=”center”]
আপনার মতামত জানানঃ