ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম বলেছেন, পুলিশের জবাবদিহি যেন নিশ্চিত হয় সেজন্য যেখানে যতটুকু ভূমিকা রাখা প্রয়োজন, ততটুকু চেষ্টা করছি। পুলিশের যারা দুস্কর্ম করছে তাদের আইনের আওতায় আনা হচ্ছে। এই দেশটা এমনি এমনি স্বাধীন হয়নি। অনেক রক্ত ও আত্মত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত দেশটি কতিপয় দুর্বৃত্তের কাছে ছেড়ে দেব- এমন প্রত্যাশা করা ঠিক নয়।
গতকাল শনিবার রাজধানীর রাজারবাগ পুলিশ লাইন্স অডিটোরিয়ামে ‘কমিউনিটি পুলিশিং ডে ২০২০’ উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। সেবাপ্রত্যাশীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, এলাকার ওসি-ডিসিরা অভিযোগ শুনতে না চাইলে আপনারা আমার কাছে আসুন। আমি আপনাদের কথা শুনব। আমার দুয়ার সব সময় খোলা। প্রয়োজনে আমি নিজেই আপনাদের সঙ্গে নিয়ে এলাকায় যাব।
পুলিশ বাহিনীতে একের পর এক অপরাধের ঘটনা প্রকাশিত হওয়ার মাঝেই এমন বক্তব্য খোদ মহানগর পুলিশ কমিশনারের।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, কমিউনিটি পুলিশিং যেন সর্বত্র ছড়িয়ে পড়ে সেই উদ্দেশ্য নিয়ে এবারের প্রতিপাদ্য- ‘মুজিববর্ষের মূলমন্ত্র কমিউনিটি পুলিশিং সর্বত্র’। অপরাধ প্রতিরোধ বা তথ্য উদ্ঘাটনে পুলিশের ক্ষমতা মুখ্য বিষয় নয়, মুখ্য বিষয় হলো যে সমাজের জন্য, মানুষের জন্য আমি কাজ করছি, তারা যদি আমার সঙ্গে না থাকে, তাহলে এই পুলিশিং কখনোই মানুষের সন্তুষ্টি অর্জন করতে পারবে না। পুলিশের সঙ্গে সম্পর্ক তৈরির জায়গা হচ্ছে কমিউনিটি পুলিশিং।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান বলেন, পুলিশের উপস্থিতি নেই জীবন ও সমাজের এমন কোনো ক্ষেত্র নেই। পুলিশের প্রয়োজন আছে সর্বত্র। বর্তমানে ইউনিভার্সিটির গ্র্যাজুয়েটরা পুলিশে আসতে আগ্রহী হচ্ছে। তাদের মধ্যে দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন এসেছে। মানুষের আস্থা বেড়েছে। ব্যক্তিপর্যায়ে কখনও কখনও অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার ফলে দেশ, সমাজ ও পুলিশ কমিউনিটির ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হয়। পুলিশে হাজার হাজার ভালো কাজেরও উদাহরণ আছে।
অনুষ্ঠানে কমিউনিটি পুলিশিংয়ে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখায় রমনা বিভাগ থেকে কমিউনিটি পুলিশিং সদস্য অ্যাডভোকেট নাজমুল হাসান ও মতিঝিল বিভাগ থেকে মারুফ আহমেদ মোনছের এবং কমিউনিটি পুলিশিংয়ে শ্রেষ্ঠ পুলিশ কর্মকর্তা হিসেবে রামপুরা থানার পরিদর্শক (অপারেশন্স) ইউসুফ হাসান ও নিউমার্কেট থানার এসআই শাহেব আলীকে পুরস্কৃত করা হয়।
আপনার মতামত জানানঃ