শহিদুল ইসলাম রাজী : ধর্ম অবমাননার গুজব রটিয়ে আবু ইউনুস মোহাম্মদ শহীদুন নবী জুয়েল নামে এক ব্যক্তিকে পিটিয়ে হত্যা এবং পরে তার লাশ পুড়িয়ে ফেলা হয়েছে। হাজার হাজার মানুষের এ নৃশংসতাকে আদিম বর্বরতার সাথে তুলনা করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে হতাশা প্রকাশ করেছেন অনেকেই। বীভৎস এ ঘটনাটি হতবাক করেছে দেশের সাধারণ মানুষকে। গত বৃহস্পতিবার রাতে লালমনিরহাট জেলার পাটগ্রাম উপজেলার বুড়িমারী ইউনিয়ন পরিষদের সামনে এ ঘটনা ঘটে। শুধু জুয়েল নয়, ছেলে ধরা গুজব এবং তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রায় প্রতিদিনই পিটিয়ে হত্যা করা হচ্ছে মানুষকে। চোর, ডাকাত, পকেটমার কিংবা ছিনতাইকারী সন্দেহে ধরা পড়লে গণপিটুনি দেয়াটা বিধানে পরিণত হয়েছে। ধীরে ধীরে মানুষ পাশবিক হয়ে উঠছে। আইন নিজের হাতে তুলে নেয়ার প্রবণতা বাড়ছে মানুষের।
পুলিশ ও মানবাধিকার সংগঠনের তথ্যমতে, গত সাড়ে ছয় বছরে গণপিটুনিতে ৪৮৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। চলতি বছরের গত ৯ মাসে নিহত হয়েছে ৩০ জন। পূর্বশত্রুতার জেরে চোর কিংবা ছিনতাইকারী অপবাদ দিয়ে সাধারণ মানুষকে গণপিটুনি দিয়ে হত্যা করার ঘটনাও ঘটছে। অপরাধ বিশেষজ্ঞ ও মানবাধিকার কর্মীরা বলছেন, রাষ্ট্রের কার্যকলাপের প্রতি আস্থাহীনতা বৃদ্ধি, আইনের শাসনের অভাব এবং বিচারহীনতার সংস্কৃতি এসব ঘটনার অন্যতম কারণ।
এ ছাড়া মূল্যবোধের অবক্ষয়ও এর জন্য অনেকখানি দায়ী। মানুষের সম্পর্কগুলো ঠুনকো হয়ে যাচ্ছে। স্বার্থের দ্বন্দ্বে প্রতিবেশী বা স্বজনের হাতে নির্মমভাবে খুন হচ্ছে মানুষ। অপরাধ করেও ঘুষ আর রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে অপরাধীরা পার পেয়ে যাওয়ায় গণপিটুনির মতো বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের ঘটনা বাড়ছে। বাংলাদেশ দণ্ডবিধির ৩০৪ ধারায় বলা হয়েছে, কাউকে গণপিটুনি দিয়ে মেরে ফেলা হলে তা খুন হিসেবে গণ্য হবে; যার শাস্তি হবে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড। তবে গণপিটুনি দিয়ে হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই কোনো বিচার হয়নি। গণপিটুনির ঘটনায় অজ্ঞাত আসামি করে পুলিশের বাণিজ্যের অভিযোগ রয়েছে। আইনের শাসনের কঠোর প্রয়োগ এবং সর্বস্তরে জবাবদিহিতা চালু ছাড়া গণপিটুনি বন্ধ হবে না। আর রাজনৈতিক সহিংসতা দূর না হলেও গণপিটুনি বন্ধ হবে না বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাবাহিনী কিংবা মানবাধিকার সংস্থার কাছে গণপিটুনিতে নিহতের সঠিক পরিসংখ্যান নেই। তবে মানবাধিকার সংস্থা আইন ও সালিশ কেন্দ্রের (আসক) এক পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, গত সাড়ে ছয় বছরে গণপিটুনিতে নিহত হয়েছেন ৪৮৬ জন। চলতি বছরের গত জানুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত গণপিটুনিতে নিহত হয়েছেন ৩০ জন। এর মধ্যে ঢাকা বিভাগে ৯ জন, খুলনায় ১০, রাজশাহীতে তিন, রংপুরে এক, চট্টগ্রামে পাঁচ এবং ময়মনসিংহ বিভাগে দুইজন নিহত হয়েছেন গণপিটুনিতে। ২০১৯ সালে গণপিটুনিতে নিহত হয়েছেন ৬৫ জন। এর মধ্যে ঢাকা বিভাগে ২২ জন, খুলনায় সাত, রাজশাহীতে তিন, সিলেটে তিন, চট্টগ্রামে ২৫, বরিশালে চার ও ময়মনসিংহে একজন। ২০১৮ সালে গণপিটুনিতে নিহত হয়েছেন ৩৯ জন। ২০১৭ সালে ৫০ জন। ২০১৬ সালে গণপিটুনিতে নিহত হয়েছেন ৫১ জন। ২০১৫ সালে ১৩৫ জন ও ২০১৪ সালে ১১৬ জন গণপিটুনিতে নিহত হন।
পুলিশ বলছে, গণপিটুনির এসব ঘটনার তদন্ত হলেও বেশির ভাগ মামলায় সাক্ষী পাওয়া যায় না। এ কারণে অপরাধীদেরও কাঠগড়ায় দাঁড় করানো যায় না। গণপিটুনির ঘটনায় সাধারণত দণ্ডবিধির ৩০৪ ধারায় মামলা নেয়া হচ্ছে। তবে পূর্বশত্রুতার জের ধরে পিটিয়ে হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় মামলা হয় ৩০২/৩৪ ধারায়।
সংবিধান বিশেষজ্ঞ ও বিশিষ্ট আইনজীবী ড. শাহদীন মালিক নয়া দিগন্তকে এ প্রসঙ্গে বলেন, প্রথমত, রাষ্ট্রের কার্যকলাপের প্রতি আস্থাহীনতা বৃদ্ধির বহিঃপ্রকাশ হিসেবে জনগণের মধ্যে আইন হাতে তুলে নেয়ার প্রবণতা বাড়ছে। দ্বিতীয়ত, আমার কাছে যেটা বেশি গুরুত্বপূর্ণ মনে হয় তা হলো- আমাদের রাজনীতিতে বিরাজমান চরম অসহিষ্ণুতা। সব রাজনৈতিক দলই একে অপরকে খুনি হিংস্র বলে আখ্যায়িত করছে। রাজনৈতিক দলগুলোর একে অপরের প্রতি শ্রদ্ধার যে বিরাট অভাব এটা ক্রমেই প্রতিফলন ঘটছে জনগণের আচরণে। জনগণও আস্তে আস্তে অসহিষ্ণু হচ্ছে। সহিংস হচ্ছে। তিন বছর আগে অপরাধ হলে লোকজন বলত, বিচার চাই। এখন সোজাসুজি বলে ফাঁসি চাই। যে সমাজ যত বেশি অসভ্য ও বর্বর সেই সমাজ তত বেশি ফাঁসি চায়। মৃত্যুদণ্ডের মাধ্যমে তারা সব সমাধান করতে চায়। আমাদের সহিংসতা সবক্ষেত্রে ফুটে উঠছে তার মূল কারণ হলো রাজনৈতিক দলগুলোর অসহিষ্ণুতা, ঘৃণা এবং সহিংস ভাষায় একে অপরের বিরুদ্ধে কথা বলছে। রাজনীতিতে চরম হিংসা-বিদ্বেষ জনগণের মধ্যে সংক্রমিত হচ্ছে ফলে জনগণও আস্তে আস্তে অসহিষ্ণু এবং সহিংস হয়ে উঠছে। এর ফলে গণপিটুনিসহ বিভিন্ন ধরনের অপরাধ বাড়ছে।
রাষ্ট্রের কার্যকলাপের প্রতি আস্থাহীনতা বৃদ্ধির বহিঃপ্রকাশ হিসেবে জনগণের মধ্যে আইন হাতে তুলে নেয়ার প্রবণতা বাড়ছে। দ্বিতীয়ত, আমার কাছে যেটা বেশি গুরুত্বপূর্ণ মনে হয় তা হলো- আমাদের রাজনীতিতে বিরাজমান চরম অসহিষ্ণুতা।
ড. শাহদীন মালিক
আসক নির্বাহী কমিটির মহাসচিব মো: নূর খান বলেন, এ ধরনের ঘটনার বিস্তৃতিতে বিচারহীনতার সংস্কৃতি অন্যতম কারণ। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ওপর আস্থা হারানোর কারণে গণপিটুনির মতো ঘটনা ঘটছে। তবে অন্যান্য গণপিটুনির সাথে লালমনিরহাটের গণপিটুনির সাদৃশ্য নেই বলে মন্তব্য করেছেন নূর খান। তিনি বলেন, মসজিদের ভেতরে একেবারে সাদামাটা একটা ছোট ঘটনাকে কেন্দ্র করে মানুষকে উসকে দিয়ে একজন মুসল্লিকে পিটিয়ে এবং পুড়িয়ে হত্যা করে যারা ধর্মান্ধতার পরিচয় দিয়েছেন, তাদেরকে আর যাই হোক সভ্য সমাজের সদস্য বিবেচনা করার সুযোগ নেই।
তিনি বলেন, এই ধরনের ধর্মান্ধ ব্যক্তি বা ব্যক্তিবর্গ এই পৃথিবীটাকে অস্থির অবস্থায় নিয়েছে। এদের বিরুদ্ধে নিরপেক্ষ তদন্তের মধ্য দিয়ে এদের চিহ্নিত করা এবং বিচারের আওতায় আনা জরুরি। কারণ ধর্মের নামে যে ধর্মান্ধতার পরিচয় দেয়া হয়েছে তা ক্ষমার অযোগ্য। ধর্মকে তারা উসকানিতে ব্যবহার করছে। ধর্মকে উসকানির হাতিয়ার হিসেবে যারা ব্যবহার করছে তাদের এ অপরাধ ক্ষমার অযোগ্য।
লালমনিরহাটের ঘটনার বিষয়ে বলতে গিয়ে তিনি বলেন, আমি যতটুকু খবর পেয়েছি তারা দু’জন ওই মসজিদে আছরের নামাজ পড়েছেন। তাদের মোটরসাইকেল বাহিরে ছিল। মসজিদের ভেতরে সম্ভবত কুরআন-হাদিসের বই দেখে সে নাড়াচাড়া করছিল এবং মুয়াজ্জিনের সাথে কিছু কথাবার্তাও হচ্ছিল। এই কথাবার্তা হওয়ার সময় তাকটা ভেঙে পড়ে যায়। আমি যতটুকু জেনেছি, অসতর্কতার কারণে কুরআন শরিফ পড়ে যায়। সেটিকে কেন্দ্র করে পরবর্তীতে যে অবস্থা তৈরি হয়েছে তা কোনোমতেই কাম্য নয়।
তিনি আরো বলেন, অনেক সময় গণপিটুনির শিকার হয়ে নির্দোষ মানুষও নিহত হচ্ছে। পূর্বশত্রুতার জেরে উদ্দেশ্যমূলকভাবে অপরাধী সাজিয়ে পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটছে। গণপিটুনিতে থানায় মামলা হলেও বেশির ভাগ ক্ষেত্রে বিচার হয় না। এসব ঘটনায় অপরাধীদের গ্রেফতার না করে মামলায় অজ্ঞাত অসংখ্য আসামি করে বাণিজ্য করা হয়।
গত বৃহস্পতিবার লালমনিরহাটের বুড়িমারী কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে আসরের জামাত শেষে মুসল্লিরা মসজিদ থেকে বের হয়ে যান। পেছনে পড়া অল্প কিছু লোকজনের চিৎকারে মুসল্লিরা ফিরে আসেন মসজিদে। পরে বাজারের ব্যবসায়ী ও বাজারে আসা লোকজন জড়ো হয়। উপস্থিত জনতার মধ্যে শোরগোল ওঠে। গুজব ছড়িয়ে পড়ে, গোয়েন্দা সংস্থার লোক পরিচয়ে দুই ব্যক্তি মসজিদে বোমা ও জঙ্গি আছে বলে তল্লাশি করার সময় কুরআন শরিফ অবমাননা করেছে। জড়ো হওয়া লোকজনের মধ্য থেকে কয়েকজন এ সময় দুইজনকে মারধর শুরু করে। খবর পেয়ে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য হাফিজুল ইসলাম মসজিদে গিয়ে নানাভাবে মুসল্লিদের অনুরোধ করেন ওই দু’জনকে পাশের ইউপি কার্যালয়ে এনে একটি কক্ষে রাখেন। এ দিকে আরো শত শত মানুষ জড়ো হতে থাকে।
খবর পেয়ে ইউপি চেয়ারম্যান আবু সাইদ নেওয়াজ নিশাদ পুলিশে খবর দেন। পুলিশ যেতে যেতে লোকারণ্য হয়ে পড়ে আশপাশের এলাকা। থানার ওসি, ইউএনও, উপজেলা চেয়ারম্যান কোনোরকমে ইউপি কার্যালয়ের ভেতর ঢুকতে পারলেও অভিযুক্ত দুই ব্যক্তিকে নিয়ে বের হতে পারেনি। বাইরে লোকজন কুরআন অবমাননাকারী আখ্যা দিয়ে প্রকাশ্যে হত্যার জন্য ওই দুইজনকে তাদের হাতে ছেড়ে দেয়ার দাবি জানায়। একপর্যায়ে কলাপসিবল গেট ভেঙে ভেতরে ঢোকার চেষ্টা করে তারা। পুরো দেড় ঘণ্টা ভাঙচুর ও তাণ্ডব চালায়। সংখ্যায় কম হওয়ায় পুলিশসহ ভেতরে থাকা লোকজন কুলিয়ে উঠতে পারেননি। সন্ধ্যার আগে আগে হাজার হাজার লোক আসে ইউপি কার্যালয়ে। একপর্যায়ে বারান্দার একপাশের গ্রিল ভেঙে ভেতরে ঢুকে দু’জনের একজনকে ছিনিয়ে মাঠের মধ্যে নিয়ে গলায় দড়ি বেঁধে রাস্তা দিয়ে টানতে টানতে ২০০ মিটার দূরে নিয়ে যায়। রাস্তার ওপর ফেলে পিটিয়ে আগুন ধরিয়ে দেয়া হয়।
পুলিশ অপরজনকে নিয়ে কৌশলে ইউপি কার্যালয়ের দোতলা থেকে লাফিয়ে পড়ে পালিয়ে একটি ব্যাংকে আশ্রয় নেয়। কিন্তু সেখানেও ব্যাপক হামলা ও ভাঙচুর চালানো হয়। জানা গেছে, নিহত জুয়েলের বাড়ি রংপুরের শালবনে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে লাইব্রেরি সায়েন্সে পড়ালেখা করেছেন। সুলতান জোবায়ের আব্বাস নামে একজন দলিল লেখককে নিয়ে একটি মোটরসাইকেলে করে বৃহস্পতিবার জুয়েল পাটগ্রামে এক আত্মীয়ের বাড়িতে গিয়েছিলেন। সেখান থেকে ১০ কিলোমিটার দূরে ভারতীয় সীমান্ত এলাকার বুড়িমারী স্থলবন্দর লাগোয়া বাজারে ওই মসজিদটির অবস্থান। নিহত ব্যক্তির ভাই তৌহিদুন্নবী জানান, ঘটনার দিন অর্থাৎ বৃহস্পতিবার সকালে তার ভাই মোটরসাইকেলে এক স্কুলের বন্ধুর বাড়িতে যান। সেখান থেকে তারা বেরিয়ে গেলেও কখন কী উদ্দেশ্যে পাটগ্রামে গিয়েছিলেন, সেটা কেউ জানাতে পারেননি। পরে সন্ধ্যার দিকেও তিনি বাড়িতে না ফেরায় এবং মোবাইলে কোনো সাড়া না দেয়ায় খোঁজ-খবর শুরু করা হয়। এ সময় ওই বন্ধুর কাছে খবর নেয়া হলে তিনি পাটগ্রামের সেই সহিংস পরিস্থিতির কথা জানান। এরই মধ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হওয়া গণপিটুনির ভিডিওটি দেখে তৌহিদুন্নবী নিশ্চিত হন হামলার শিকার ওই ব্যক্তি আর কেউ নন, তারই আপন ভাই জুয়েল।
পাঁচ ভাইবোনের মধ্যে তিনি ছিলেন চতুর্থ এবং তার বয়স পঞ্চাশের কিছু বেশি বলে জানা গেছে। এ দিকে স্বামীর এমন আকস্মিক মৃত্যুতে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছেন নিহতের স্ত্রী এবং তার দুই সন্তান।
গণপিটুনির বেশ কয়েকটি ঘটনা : চলতি বছরের ১১ সেপ্টেম্বর বগুড়ার নন্দীগ্রাম উপজেলায় গরুচোর সন্দেহে এলাকাবাসীর গণপিটুনিতে কাজী উজ্জ্বল হোসেন (৩৫) নামে এক ব্যক্তি নিহত হন। তিনি নন্দীগ্রাম উপজেলার ভরতেঁতুলিয়া রায়পাড়া গ্রামের বাসিন্দা। গত ২৩ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে গণপিটুনিতে জুয়েল মিয়া (৩৮) নামে এক ব্যক্তি নিহত হন। রাত দেড়টার দিকে উপজেলার ব্রাহ্মহ্মন্দী ইউনিয়নের লস্করদী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
সোর্স : নয়াদিগন্ত,পৃষ্ঠা ১ / ০১ নভেম্বর ২০২০
আপনার মতামত জানানঃ