নোয়াখালীতে সাড়ে ১৬ বছর পর গৃহবধূ ধর্ষণ মামলার রায় হয়েছে। মামলার রায়ে আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে আসামিকে ২৫ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও দুই বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেন।
বুধবার দুপুরে নোয়াখালী নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২-এর বিচারক মোহাম্মদ সামস্উদ্দিন খালেদ এ আদেশ দেন। দণ্ডপ্রাপ্ত মো. ইব্রাহীম দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ার শূন্যের চর গ্রামের বেড়িবাঁধ এলাকার আবদুল হাইয়ের ছেলে।
মামলার বিবরণ ও আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০০৪ সালের ১১ এপ্রিল গভীর রাতে ইব্রাহীম ও তার বন্ধু আবদুল হাসিম শূন্যের চর বেড়িবাঁধের এক গৃহবধূর ঘরে ঢোকে। স্বামী কর্মসূত্রে চট্টগ্রামে থাকায় ছোট মেয়েকে নিয়ে ওই গৃহবধূ ঘরে ছিলেন। আবদুল হাসিমের সহযোগিতায় ইব্রাহীম ওই নারীকে ধর্ষণ করে। আবদুল হাসিমও ধর্ষণ করার চেষ্টা করলে ওই গৃহবধূ চিৎকার দেন। এ সময় আশপাশের লোকজন এগিয়ে এলে ইব্রাহীম ও হাসিম পালিয়ে যায়।
ধর্ষণ প্রতিরোধে মামলার রায় দ্রুত নিষ্পত্তি জরুরী।
পরদিন ওই গৃহবধূ হাতিয়া থানায় মামলা করেন। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও হাতিয়া থানার এসআই ফণীভূষণ মামলাটি তদন্ত শেষে ২৮ এপ্রিল আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। ১১ সাক্ষীর জবানবন্দি ও দীর্ঘ শুনানি শেষে বুধবার সকালে আসামির উপস্থিতিতে মামলার রায় দেন আদালত।
এতে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ছিলেন মোর্তুজা আলী পাটোয়ারী এবং আসামিপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন আবদুর রহমান, মো. নোমান, মোছলে উদ্দিন ও আবু সাঈদ। দণ্ডপ্রাপ্ত ইব্রাহীমকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
সোর্স :সমকাল, পৃষ্ঠা ১ / ২৯ অক্টোবর ২০২০
আপনার মতামত জানানঃ