শুভ্র সরকার : প্রধান বিচারপতি জন রবার্টসের কাছে শপথ নেয়ার পর প্রেসিডেন্ট বাইডেন বলেছিলেন, ‘গণতন্ত্রের জয় হয়েছে।’ ট্রাম্প শাসনের অস্থির সময় পেরিয়ে বাইডেনের কাঁধে যুক্তরাষ্ট্র ও গণতন্ত্র বিশ্বের জন্য কতটা স্বস্তির হবে, তার বেশ কিছুটাই আন্দাজ করা সম্ভব এখন। গদিতে বেশ জাঁকিয়ে বসেছেন জো বাইডেন। নির্বাচনের পূর্বে ট্রাম্পের উল্টোস্রোতে নিজের অবস্থান বেশ জোরেশোরেই প্রচার করেছিলেন বাইডেন। যদিও সেই পুরনো বোতলে নতুন মদের মতো, ট্রাম্পের পেছনে এসেই দাঁড়িয়েছেন তিনি। জেনে নেয়া যাক, বাইডেনের সম্প্রতি কিছু সিদ্ধান্ত এবং তার তাৎপর্য।
সিরিয়ায় বাইডেনের অনুমতিতে বিমান হামলা
বৃহস্পতিবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের অনুমতি সাপেক্ষে সিরিয়ায় বেশ কিছু সামরিক স্থাপনায় বিমান হামলা চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। যুক্তরাষ্ট্রের দাবি করেছে মার্কিন বাহিনী হামলা চালিয়ে কাতায়্যিব হিজবুল্লাহ (কেএইচ) ও কাতায়্যিব সাইয়্যিদ আল-শুহাদার (কেএসএস) মতো ইরান-সমর্থিত সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর ব্যবহৃত বেশ কয়েকটি স্থাপনা ধ্বংস করে দিয়েছে।
যুক্তরাজ্যভিত্তিক মানবাধিকার সংস্থা সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস জানিয়েছে, এ হামলায় অন্তত ১৭ জন ইরানপন্থী যোদ্ধা নিহত হয়েছেন। সংস্থাটির পরিচালক রামি আব্দুল রহমান বার্তা সংস্থা এএফপি’কে জানিয়েছেন, মার্কিন হামলায় গোলাবারুদভর্তি তিনটি লরি ধ্বংস হয়ে গেছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, এ ঘটনায় অন্তত ১৭ যোদ্ধা নিহত হয়েছেন।
শুক্রবার সিরিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে দেশটির দেইর আজ-জাওর প্রদেশের একটি সীমান্ত চেক পোস্টের কাছে ইরাকের জনপ্রিয় হাশদ আশ-শাবি বাহিনীর অবস্থানে আমেরিকা শুক্রবার ভোররাতে যে হামলা চালিয়েছে তার ‘তীব্র নিন্দা’ জানিয়ে ওই হামলাকে ‘আগ্রাসন’ বলে উল্লেখ করেছে।
এ প্রসঙ্গে মার্কিন মুখপাত্র জন কিরবি এক বিবৃতিতে বলেছেন, প্রেসিডেন্ট বাইডেনের নির্দেশে রাতে পূর্ব সিরিয়ায় ইরান-সমর্থিত সশস্ত্র গোষ্ঠীর স্থাপনায় বিমান হামলা চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনী। ইরাকে মার্কিন ও জোট কর্মকর্তাদের ওপর সাম্প্রতিক হামলা এবং ওই কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ক্রমাগত হুমকির জবাবে এই হামলার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
এদিকে, রাশিয়া এই হামলার নিন্দা জানিয়ে একে অবৈধ ও বিপজ্জনক বলে মন্তব্য করেছে। পাশাপাশি এর ফলে উত্তেজনা বৃদ্ধি ছাড়াও এ অঞ্চলে বড় ধরনের সংঘাত সৃষ্টি হতে পারে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে দেশটি।
সিরিয়ায় মার্কিন বিমান হামলার তাৎপর্য
বিশেষজ্ঞদের ধারণা, নবনির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ইরাক ও সিরিয়ায় আবারও সন্ত্রাস ও অশান্তি বিস্তারের নীতি গ্রহণ করেছেন। বাইডেন সরকার ট্রাম্পের নীতির বিরোধী বলে দাবি করলেও প্রকৃতপক্ষে ট্রাম্পের যুদ্ধকামী ও অশান্তি বিস্তার নীতিই অনুসরণ করছে।
এছাড়া, যেহেতু ইসরাইলও দীর্ঘ সময় যাবৎ সিরিয়ার নানা অঞ্চলে ক্ষেপণাস্ত্র ও বিমান হামলা চালিয়ে আসছে, সিরিয়ার ইরাক-সীমান্তবর্তী অঞ্চলে হামলা চালিয়ে জো বাইডেন মূলত ইহুদিবাদী ইসরাইলকেই সাহায্য করছে।
উল্লেখ্য, গত বছরের জানুয়ারি মাসে ইরাকে মার্কিন হামলায় ইরানের কুদ্স্ ব্রিগেডের তৎকালীন প্রধান জেনারেল কাসেম সুলায়মানি ও ইরাকি হাশদ্ আশ শাবির উপপ্রধান আবু মাহদি আল মুহানদিস শহীদ হন। এরপর ইরাকি সংসদ সেদেশ থেকে সব মার্কিন সেনা বের করার আইন পাস করলেও মার্কিন সরকার এই আইন উপেক্ষা করেই ইরাকে এখনও আড়াই হাজার সেনা মোতায়েন রেখেছে।
২০১৪ সাল থেকে সিরিয়ার সার্বভৌমত্বের লঙ্ঘনের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করে সিরিয়ায় সেনা মোতায়েন রেখেছে মার্কিন সরকার। এছাড়াও সিরিয়ার বিশেষ অঞ্চল থেকে জ্বালানী তেল লুট ও পাচার করার কাজেও জড়িত রয়েছে মার্কিন বাহিনী।
ইরানকে জো বাইডেনের হুঁশিয়ার
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন যুক্তরাষ্ট্র সিরিয়ায় যে বিমান হামলা চালিয়েছে তা ইরানের জন্য সতর্কতা হিসেবে দেখতে বলেছেন।
শুক্রবার আন্তর্জাতিক বার্তা সংস্থা এএফপির এক প্রশ্নের জবাবে জো বাইডেন দৃশ্যত ইরানকে উদ্দেশ করে বলেন, ‘দায়মুক্ত হয়ে আপনি কাজ করতে পারেন না।’ এ সময় তিনি আরও বলেন, ‘সতর্ক হয়ে যান।’
এ প্রসঙ্গে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন বলেছেন, ‘বাইডেন প্রশাসন বিশেষত ইরানকে এটি খুবই, খুবই পরিষ্কার করে দেখিয়ে দিতে চায় যে আমাদের জনগণ, আমাদের অংশীদার ও আমাদের স্বার্থের বিরুদ্ধে তাকে দায়মুক্তির ভিত্তিতে কোনো কাজ করতে দেওয়া হবে না।’
ইরাকে মার্কিন বাহিনীর উপর হামলা
সম্প্রতি ইরাকে মার্কিনিদের লক্ষ্য করে রকেট হামলার জবাবে এই বিমান হামলা চালানো হয়েছে বলে দাবি করেছে পেন্টাগন।
উল্লেখ্য, প্রায় দু’সপ্তাহ আগে ইরাকের এরবিল বিমানবন্দরের ভেতরে মার্কিন সামরিক জোটের প্রধান ঘাঁটিতে রকেট হামলা হয়েছিল। এতে এক বিদেশি বেসামরিক ঠিকাদার নিহত এবং এক মার্কিন সেনাসহ অন্তত নয়জন আহত হন।
গত ১৫ ফেব্রুয়ারির আওলিয়া আল-দাম নামে একটি গোপন সংগঠন ওই হামলার দায় স্বীকার করে এবং ইরাকে মার্কিন বাহিনীর ওপর হামলা অব্যাহত রাখার হুমকি দেয়।
এ হামলায় কয়েক দিন পর বাগদাদের উত্তরাঞ্চলে মার্কিন বাহিনীর আরেকটি ঘাঁটিতে আবারও হামলা চালানো হয়। এতে অন্তত একজন ঠিকাদার আহত হয়েছিলেন।
এছাড়া গত সোমবার বাগদাদের গ্রিন জোনে রকেট হামলা চালানো হয়। ওই এলাকায় যুক্তরাষ্ট্রসহ বেশ কয়েকটি দেশের দূতাবাস রয়েছে।
পরমাণু সমঝোতা নিয়ে আলোচনায় আগ্রহী বাইডেন
পূর্বসুরি ডোনাল্ড ট্রাম্প ২০১৫ সালে ইরানের সঙ্গে সাক্ষরিত পরমাণু সমঝোতা থেকে একতরফাভাবে বেরিয়ে গেলেও প্রায় তিন বছর পর মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন স্বাক্ষরকারী দেশগুলোর সঙ্গে আবার আলোচনায় বসতে প্রস্তুত বলে জানিয়েছেন।
শুক্রবার বার্ষিক মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলনে ওয়াশিংটন থেকে ভিডিও লিঙ্কের মাধ্যমে যুক্ত হয়ে দেয়া এক বক্তৃতায় বাইডেন তার প্রশাসনের এ প্রস্তুতির কথা জানান।
উল্লেখ্য, জার্মানি এবং জাতিসংঘের পাঁচ স্থায়ী সদস্য দেশ আমেরিকা, ব্রিটেন, ফ্রান্স, চীন ও রাশিয়া ইরানের সঙ্গে পরমাণু সমঝোতা সাক্ষর করেছিল।
২০১৮ সালের মে মাসে ট্রাম্প এই সমঝোতা থেকে আমেরিকাকে বের করে নেয়ার পর থেকে এই আন্তর্জাতিক চুক্তির ভবিষ্যত নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দেয়। এরপর ইরানও এক বছর পর ২০১৯ সাল থেকে পরমাণু সমঝোতায় দেয়া নিজের প্রতিশ্রুতি থেকে আস্তে আস্তে সরে আসতে শুরু করে।
সম্প্রতি বাইডেন তার নির্বাচনি প্রতিশ্রুতি থেকে সরে গিয়ে ইরানকে আগে পরমাণু সমঝোতায় পুরোপুরি ফিরে আসার আহ্বান জানান। যদিও তেহরান স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছে, তেহরানের ওপর থেকে কার্যকরভাবে নিষেধাজ্ঞা পুরোপুরি তুলে না নেয়া পর্যন্ত এই সমঝোতা চুক্তি বাস্তবায়নের কাজে পুরোপুরি ফিরে আসা সম্ভব নয়।
ইরানবিরোধী ট্রাম্পের দুটি সিদ্ধান্ত বাতিল
বাইডেনের পক্ষ থেকে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদকে দেয়া এক চিঠিতে মার্কিন ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূত রিচার্ড মিলস বলেছেন, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের আমলে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদকে দেয়া তিনটি চিঠি প্রত্যাহার করছে ওয়াশিংটন।
তিনটি চিঠির মাধ্যমে ট্রাম্প প্রশাসন জাতিসংঘকে জানিয়েছিল যে, ইরানের বিরুদ্ধে জাতিসংঘের আগের নিষেধাজ্ঞা পুনর্বহাল করল আমেরিকা। ট্রাম্পের সিদ্ধান্ত বাতিল সংক্রান্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূতের চিঠির একটি কপি বার্তা সংস্থা এপি-র হাতে পৌঁছেছে।
নিরাপত্তা পরিষদকে লেখা ওই চিঠিতে মিলস বলেন, ২০১৫ সালে স্বাক্ষরিত পরমাণু সমঝোতার সিদ্ধান্ত বাদ দিয়ে ইরানের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা পুনর্বহাল করেছিল ওয়াশিংটন। কিন্তু তা আর পুনরুজ্জীবিত হচ্ছে না।
ইরানের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হবে না
ইরানের পরমাণু সমঝোতার ব্যাপারে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন মার্কিন কর্মকর্তাদের তেহরানবিরোধী বক্তব্যের পুনরাবৃত্তি করে সিবিএস নিউজ নেটওয়ার্ককে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, আমেরিকা ইরানের বিরুদ্ধে আরোপিত কোনো নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করবে না।
এ সময় বাইডেন দাবি করেন, পরমাণু সমঝোতা সম্পর্কে আমেরিকার কোনো পদক্ষেপ নেয়ার আগে ইরানকে ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ বন্ধ করতে হবে।
এদিকে, ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহিল উজমা খামেনেয়ী রোববার তেহরানে এক ভাষণে বলেছেন, আমেরিকাকে আগে ইরানের বিরুদ্ধে আরোপিত নিষেধাজ্ঞা কার্যকরভাবে প্রত্যাহার করতে হবে। তা না করা পর্যন্ত ইরান ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ করার কাজ চালিয়ে যাবে।
ইয়েমেন যুদ্ধে সহায়তা বন্ধের দাবি
২০১৫ সালের মার্চ মাসে যখন সৌদি জোট ইয়েমেনে হামলা চালায় তখন থেকেই তথ্য দিয়ে, অস্ত্রশস্ত্র দিয়ে, লজিস্টিক সহায়তা দিয়ে সৌদি জোটকে সহযোগিতা করে এসেছে যুক্তরাষ্ট্র।
তবে সম্প্রতি হোয়াইট হাউসের জাতীয় প্রতিরক্ষা উপদেষ্টা জ্যাক সুলিভান বলেছেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ইয়েমেনে সৌদি আগ্রাসনে সমর্থন দেয়া বন্ধ করবেন। এই অবস্থানের কথা জো বাইডেন নিজেও জানিয়েছেন।
ইয়েমেন যুদ্ধকে ‘কৌশলগত বিপর্যয়’ হিসেবে অভিহিত করে বাইডেন এ প্রসঙ্গে বলেছেন, এই যুদ্ধের অবসান ঘটাতে হবে। ইয়েমেনে আগ্রাসনে অস্ত্র বিক্রিসহ সকল সহযোগিতার অবসান ঘটাতে হবে।
তবে তিনি এটাও বলেছেন, সৌদি আরব ইরান-সমর্থিত বাহিনীর হামলার হুমকির মুখে রয়েছে। সৌদি আরবকে তার আঞ্চলিক অখণ্ডতা রক্ষায় সহায়তা করবে আমেরিকা।
উল্লেখ্য, ইতোমধ্যেই বাইডেন প্রশাসন এক মাসের জন্য আনসারুল্লাহ’র ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়েছে। পাশাপাশি সৌদি আরব এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের কাছে অস্ত্র বিক্রয়ও স্থগিত করেছে।
এ প্রসঙ্গে ইয়েমেনের সর্বোচ্চ বিপ্লবী কমিটির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলী আল-হুথি বলেছেন, আমরা বর্তমানে বাইডেনের অবস্থানকে একটি মৌখিক বিষয় হিসেবে নিয়েছি। আমরা যুদ্ধের অবসান এবং অবরোধ তুলে নেয়ার অপেক্ষায় রয়েছি। ওয়াশিংটনের মদদপ্রাপ্ত সৌদি ও আরব-আমিরাত আগ্রাসন বন্ধ করবে বলে আশা করছি।
নেতানিয়াহুকে জো বাইডেনর ফোনকল
গত ১৭ তারিখ ইহুদিবাদী ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে ফোন করেছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। নেতানিয়াহুর কার্যালয় থেকে এ সম্পর্কে বলা হয়েছে, জো বাইডেনের সঙ্গে নেতানিয়াহুর ফোন আলাপ ছিল উষ্ণ এবং বন্ধুত্বপূর্ণ। প্রায় এক ঘন্টা সংলাপে ডিল অফ দ্যা সেঞ্চুরি এবং ইরান ও করোনাভাইরাস বিরোধী লড়াই নিয়ে কথা বলেন তারা।
এই ফোন আলাপে দু’পক্ষ সামনের দিনগুলোতে একসঙ্গে কাজ করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন এবং ইসরাইল ও আমেরিকার মধ্যকার সম্পর্ক আরো জোরদার করা বিষয়ে আলোচনা করেছেন। এ বিষয়ে জো বাইডেন বলেছেন, নেতানিয়াহুর সঙ্গে তার ভালো আলোচনা হয়েছে। তবে তিনি বিস্তারিত কিছু বলেন নি।
এসময় ইসরাইলের নিরাপত্তার ব্যাপারে বরাবরের মতো আমেরিকার অব্যাহত সমর্থন থাকবে বলে জানিয়েছেন জো বাইডেন।
রাশিয়ার প্রতি বাইডেনের আক্রমণাত্মক বক্তব্য
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন প্রশাসনের পররাষ্ট্রনীতি ব্যাখ্যা করতে গিয়ে দাবি করেন, রাশিয়ার আগ্রাসী নীতি বিশেষ করে আমেরিকার নির্বাচনে হস্তক্ষেপ, সাইবার হামলা ও নিজ দেশের জনগণকে বিষপ্রয়োগের ব্যাপারে ওয়াশিংটনের নীরবতার দিন শেষ হয়ে গেছে।
তিনি আরো বলেন, আমেরিকা নিজের জাতীয় স্বার্থ রক্ষা ও রাশিয়ার বিরুদ্ধে কাজ করার জন্য প্রয়োজনীয় বাজেট বাড়াতে কুণ্ঠাবোধ করবে না।
এমনকি রাশিয়ার অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করে অবিলম্বে অ্যালেক্সি নাভালনির নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করেন। উল্লেখ্য, রাশিয়ার একটি আদালত দেশটির সরকার বিরোধী নেতাকে জামিনে মুক্তির শর্ত লঙ্ঘন করার দায়ে সাড়ে তিন বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে।
সম্প্রতি চীনের এক বিশেষজ্ঞ বলেছেন, জো বাইডেন খুবই দুর্বল প্রেসিডেন্ট হবেন। তিনি যুদ্ধও বাধিয়ে দিতে পারেন। বিশ্বের চোখ তাই এখন বাইডেনের দিকে। তার যেকোন সিদ্ধান্তই বদলে দিতে পারে বিশ্ব রাজনীতির হালচাল।
এসডব্লিউ/এসআর/০৪১০
আপনার মতামত জানানঃ