স্টেটওয়াচ রিসার্চ নেটওয়ার্ক কাজ করছে বাংলাদেশে আইনপ্রয়োগের সার্বিক চিত্র তুলে ধরার পাশাপাশি মতপ্রকাশের স্বাধীনতা সংক্রান্ত বাস্তবতা নিয়ে। এর অংশ হিসেবে স্টেটওয়াচ নিউজে আমরা প্রতিদিনকার আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতা ও গণমাধ্যম সংক্রান্ত খবরাখবরগুলো সংক্ষেপে তুলে ধরার উদ্যোগ নিয়েছি। প্রতিদিন নিম্নোক্ত মাধ্যমসমূহ থেকে সংবাদগুলো সংগ্রহ ও তা নথিবদ্ধ করছে আমাদের কর্মীরা: প্রথম আলো, কালের কণ্ঠ, যুগান্তর, সমকাল, নয়া দিগন্ত, ইত্তেফাক, দেশ রূপান্তর, ডেইলি স্টার, নিউ এজ, দ্য ফিনান্সিয়াল এক্সপ্রেস, বাংলা ট্রিবিউন, বিডিনিউজ২৪ ডটকম, আমাদের সময়, মানবজমিন। আমরা আশা করি, এই প্রতিবেদন নিয়মিত প্রকাশের মাধ্যমে জনগণের তথ্যপ্রাপ্তির অধিকার আরো শক্তিশালী হবে।
২৪ জানুয়ারি ২০২১, রবিবার, ১০ মাঘ ১৪২৭, পত্র-পত্রিকায় প্রকাশিত
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও গণমাধ্যম সংক্রান্ত নির্বাচিত খবরের সার-সংক্ষেপ
কাশিমপুর কারাগার-১
ঘুষ দিয়ে নারীর সঙ্গে সময় কাটান হল–মার্কের তুষার
প্রথম আলো
বিভাগ: রাষ্ট্রীয় বাহিনী
এক নারীর সঙ্গে সময় কাটানোর সুযোগ পেতে হল-মার্কের মহাব্যবস্থাপক (জিএম) তুষার আহমদ কাশিমপুর কারাগার-১-এর দুজন কর্মকর্তা ও কয়েকজন কর্মচারীকে ঘুষ দিয়েছিলেন। তুষার কারাগারের জেলারকে ১ লাখ, ডেপুটি জেলারকে ২৫ হাজার এবং সার্জেন্ট ইনস্ট্রাক্টর, গেট সহকারী প্রধান কারারক্ষীকে ৫ হাজার টাকা করে ঘুষ দিয়েছিলেন।
১৪ জানুয়ারি কারা মহাপরিদর্শকের কাছে দেওয়া জ্যেষ্ঠ জেল সুপার রত্না রায়ের প্রতিবেদনে এ কথা উল্লেখ করা হয়েছে। তবে ঘটনার দিনের ভিডিও ফুটেজে রত্না রায়ের সম্পৃক্ততা দেখা গেলেও প্রতিবেদনে এই কর্মকর্তা নিজের কোনো দায় বা অবহেলার কথা উল্লেখ করেননি।
প্রতিবেদনে রত্না রায় ওই দিনের ঘটনার জন্য জেলার নূর মোহাম্মদ মৃধাকে প্রধানত দায়ী করেছেন। তিনি বলেছেন, জেলার নূর মোহাম্মদ মৃধার অনুমতি নিয়ে পুরো ঘটনার সঙ্গে কাশিমপুর কারাগারের ডেপুটি জেলার মো. সাকলায়েন ছিলেন। তিনি বলেন, ওই দিন দায়িত্ব পালনরত ডেপুটি জেলার ও কারারক্ষীদের জবানবন্দি নিয়ে প্রতিবেদনটি তৈরি করেছেন। তবে জেলারের জবানবন্দি নেননি। এর পেছনে যুক্তি হিসেবে রত্না রায় বলেন, যেহেতু পুরো ঘটনা জেলারের তত্ত্বাবধানে সংঘটিত হয়েছে, তাই জেলারকে না জানিয়ে ওই দিন যাঁরা দায়িত্ব পালন করেছেন, তাঁদের জবানবন্দি নেওয়া হয়েছে।
টাকায় সব মেলে কারাগারে
কালের কন্ঠ
বিভাগ: রাষ্ট্রীয় বাহিনী
মাত্র ছয় মাস আগে গাজীপুরের কাশিমপুর-২ কারাগার থেকে দিনদুপুরে মই নিয়ে সীমানাপ্রাচীর পেরিয়ে বেরিয়ে যান আবু বকর ছিদ্দিক নামের এক কয়েদি। ওই সময় ১২ জনের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয় কারা কর্তৃপক্ষ। ছয় মাস না যেতেই পাশের কাশিমপুর-১ কারাগারে মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে বাইরের এক নারীর সঙ্গে এক বন্দির অন্তরঙ্গ সময় কাটানোর সুযোগ হয়। এ নিয়ে আলোচনার ঘূর্ণি উঠেছে দেশে। পুরো কারাগারব্যবস্থাই দুর্নীতির কারণে অরক্ষিত হয়ে আছে।
জানা গেছে, কারাগারের অনেক কর্মকর্তা ও রক্ষী মাদক কারবারেও জড়িত। তাঁদের বিরুদ্ধে ক্যান্টিনের খাবার ও দর্শনার্থী নিয়ে বাণিজ্য, বন্দিদের নির্যাতন করে অর্থ আদায়, বন্দিদের মোবাইল ও ল্যাপটপ ব্যবহার করতে দেওয়াসহ নানা অনিয়ম-দুর্নীতিতে জড়িত থাকার অভিযোগ দীর্ঘদিনের। কারাগারগুলোকে অনিয়মের আখড়া বানিয়ে কারা কর্মকর্তারা গড়ছেন অবৈধ সম্পদের পাহাড়। বস্তাভরা টাকা নিয়ে ধরাও পড়েছেন ঊর্ধ্বতন কয়েকজন কারা কর্মকর্তা। তাঁদের বিচার চলছে। কিন্তু থেমে নেই টাকার বিনিময়ে অপরাধ করার সুযোগ দেওয়া। সর্বশেষ ‘হলমার্ক’ কেলেঙ্কারির কারাবন্দি তুষার আহমেদের কাশিমপুর-১ কারাগারে এক নারীর সঙ্গে একান্তে সময় কাটানোর বিষয়টি কারাগারে ভয়াবহ অনিয়মকে সামনে এনেছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেছেন, ‘কাশিমপুরের ঘটনার সঙ্গে যারাই জড়িত, তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
যশোরে সাংবাদিকের বিরুদ্ধে পুলিশের জিডিতে নিন্দার ঝড়
বাংলা ট্রিবিউন
বিভাগ: গণমাধ্যম
যশোরে কর্মরত তিন সাংবাদিকের নামে পুলিশ সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছে বলে দাবি করেছে যশোর সাংবাদিক ইউনিয়ন (জেইউজে)।শনিবার রাতে তাদের পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, তাদের তিন সদস্যের বিরুদ্ধে যশোরের ৮টি থানায় একযোগে পুলিশ এ জিডি করেছে।
এ ঘটনায় জেইউজে নেতৃবৃন্দ নিন্দা প্রকাশের পাশাপাশি পুলিশ কর্তৃক সাংবাদিকদের হয়রানি করা হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন।
বিবৃতিতে জেইউজের সভাপতি ফারাজী আহমেদ সাঈদ বুলবুল, সহসভাপতি প্রদীপ ঘোষ, সাধারণ সম্পাদক এইচ আর তুহিন, যুগ্মসম্পাদক তবিবর রহমান, কোষাধ্যক্ষ স্বপ্না দেবনাথ এবং নির্বাহী সদস্য ডিএইচ ডিলশান ও রিপন হোসেন নিন্দা প্রকাশ ও আশঙ্কা করেছেন।
নেতৃবৃন্দ বলেন, যশোর সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সাকিরুল কবীর রিটন, মিলন রহমান ও বর্তমান নির্বাহী সদস্য রিপন হোসেনের নামে জিডি করা হয়েছে। এ ব্যাপারে যশোরের পুলিশ সুপার আশরাফ হোসেনের সাথে নেতৃবৃন্দের কথা হয়েছে। তিনি ৮টি থানায় জিডি করার কথা স্বীকার করেছেন। নেতৃবৃন্দ সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে বাড়াবাড়ি না করার জন্য পুলিশের প্রতি আহ্বান জানান। একই সঙ্গে সাংবাদিকদের হয়রানি করা হলে কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে বলে জানান।
এদিকে, এ বিষয়ে জানতে চাইলে কোতোয়ালি থানার ওসি মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান সাংবাদিকদের উল্টো প্রশ্ন করেন, কোথায় জিডি হয়েছে। যাদের নাম বলছেন তাদের কাছে পুলিশ কি কিছু জিজ্ঞেস করেছে? হাওয়ার খবর নিয়ে কথা বললে তো আমরা কিছু বলতে পারবো না।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম বলেন, আমি ছুটিতে, কিছু জানি না।
বকেয়া বেতনের দাবিতে মানবকণ্ঠের চাকরিচ্যুত সাংবাদিকদের মানববন্ধন
জাগো নিউজ
বিভাগ: গণমাধ্যম
বকেয়া বেতন পরিশোধের দাবিতে দৈনিক মানবকণ্ঠের সাংবাদিকরা মানববন্ধন করেছেন। এ সময় সাংবাদিকরা বেতন পরিশোধের কথা দিয়ে সীমাহীন উদাসীনতা প্রকাশ ও টালবাহানা করছে বলেও অভিযোগ করেন। শনিবার (২৩ জানুয়ারি) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে মানবকণ্ঠের সংগ্রাম পরিষদের ব্যানারে এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়।
মানববন্ধনে ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (ডিইউজে) সভাপতি কুদ্দুস আফ্রাদ বলেন, আসলে ধৈর্যের একটা সীমা থাকে, সেই সীমা ছাড়িয়ে গেছে। আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে চাকরিচ্যুত সাংবাদিকদের বকেয়া বেতন বা পাওনা আদায় করা। সাত মাস পার হয়ে গেছে, আপনারা তাদের বেতন দেবেন বলে আমাদের সঙ্গে কথা হয়েছিল। বলেছিলেন, জানুয়ারি মাসের প্রথম সপ্তাহে বেতন দেবেন। আপনারা সেই জায়গায়ও আজকে নেই। আমরা টেলিফোন করলে ধরেন না, যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেও সাড়া দেননি। আমরা উপায় না দেখে আজকে মানববন্ধনে দাঁড়িয়েছি।
আপনার মতামত জানানঃ