স্টেটওয়াচ রিসার্চ নেটওয়ার্ক কাজ করছে বাংলাদেশে আইনপ্রয়োগের সার্বিক চিত্র তুলে ধরার পাশাপাশি মতপ্রকাশের স্বাধীনতা সংক্রান্ত বাস্তবতা নিয়ে। এর অংশ হিসেবে স্টেটওয়াচ নিউজে আমরা প্রতিদিনকার আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতা ও গণমাধ্যম সংক্রান্ত খবরাখবরগুলো সংক্ষেপে তুলে ধরার উদ্যোগ নিয়েছি। প্রতিদিন নিম্নোক্ত মাধ্যমসমূহ থেকে সংবাদগুলো সংগ্রহ ও তা নথিবদ্ধ করছে আমাদের কর্মীরা: প্রথম আলো, কালের কণ্ঠ, যুগান্তর, সমকাল, নয়া দিগন্ত, ইত্তেফাক, দেশ রূপান্তর, ডেইলি স্টার, নিউ এজ, দ্য ফিনান্সিয়াল এক্সপ্রেস, বাংলা ট্রিবিউন, বিডিনিউজ২৪ ডটকম, আমাদের সময়, মানবজমিন। আমরা আশা করি, এই প্রতিবেদন নিয়মিত প্রকাশের মাধ্যমে জনগণের তথ্যপ্রাপ্তির অধিকার আরো শক্তিশালী হবে।
২১ জানুয়ারি ২০২১, বৃহস্পতিবার, ৭ মাঘ ১৪২৭, পত্র-পত্রিকায় প্রকাশিত
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও গণমাধ্যম সংক্রান্ত নির্বাচিত খবরের সার-সংক্ষেপ
বিচারককে ঘুষ দিতে গিয়ে পুলিশ কর্মকর্তা আটক, শর্তে মুক্তি!
কালের কন্ঠ
বিভাগ: রাষ্ট্রীয় বাহিনী
সিলেটের জকিগঞ্জ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারককে ঘুষ প্রদানের চেষ্টার কারণে জকিগঞ্জ থানার এসআই রাজা মিয়াকে আটক করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছিলেন আদালত। পরে পুলিশ কর্মকর্তারা আদালতে গিয়ে বিভাগীয় ব্যবস্থাপনার শর্তে তাকে ছাড়িয়ে আনেন। এ ঘটনায় বুধবার রাজাকে জকিগঞ্জ থানা থেকে ক্লোজড করা হয়।
আদালত ও আইনজীবী সূত্রে জানা যায়, একটি সিআর মামলা তদন্ত করে একজন আসামিকে বাদ দিয়ে তিন আসামির বিরুদ্ধে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করেন এসআই রাজা মিয়া। বিজ্ঞ আদালত কেন একজনকে বাদ দেওয়া হয়েছে জানতে চেয়ে মামলার বাদী ও তদন্ত কর্মকর্তার উপস্থিতিতে শুনানীর দিন ধার্য করেন। মঙ্গলবার ধার্য তারিখে অনুমতি ছাড়া এসআই রাজা মিয়া বিচারক আনোয়ার হোসেন সাগরের খাস কামরায় ঢুকে ঘুষ প্রদানের চেষ্টা করেন। বিচারক এসআইকে কৌশলে এজলাসে নিয়ে যান। সেখানে আইনজীবী ও উপস্থিত লোকজনদের সামনে এসআই রাজা মিয়াকে গ্রেপ্তারপূর্বক কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। আদালতে রাত ৮টা পর্যন্ত তাকে আটক রাখা হয়। পরে জকিগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর মো. আব্দুন নাসের ও জকিগঞ্জ সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুদীপ্ত রায় বিচারকের খাস কামরায় অবস্থান করে বিভাগীয় দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার শর্তে তাকে মুক্ত করেন।
মিরপুরে উচ্ছেদ অভিযানে বাধা, পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ
প্রথম আলো
বিভাগ: রাষ্ট্রীয় বাহিনী
মিরপুরে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) উচ্ছেদ অভিযানে স্থানীয়দের সঙ্গে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া চলছে। অভিযানে স্থানীয় ব্যক্তিরা বাধা দিলে এ পরিস্থিতি তৈরি হয়। এখন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে কাঁদানে গ্যাসের শেল ছুড়েছে পুলিশ। আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর মিরপুরের ১১ নম্বরের ৩ নম্বর অ্যাভিনিউয়ের ৪ নম্বর সড়কে অবৈধ স্থাপনার বিরুদ্ধে ডিএনসিসির নেতৃত্বে উচ্ছেদ অভিযান চলছে। এলাকাটি আটকে পড়া পাকিস্তানি–অধ্যুষিত।
উচ্ছেদ অভিযানে বাধা দিয়ে জল্লা ক্যাম্প অংশ থেকে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করা হচ্ছে
সকাল সাড়ে ১০টার দিকে সড়কের একটি স্থাপনা ভাঙতে গেলে স্থানীয় ব্যক্তিরা ডিএনসিসির কর্মকর্তা ও পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছুড়তে শুরু করেন। এরপর ডিএনসিসির কর্মকর্তারা পিছু হটেন। কিছুক্ষণ পর কয়েক শ পুলিশ ও স্থানীয় রাজনৈতিক নেতা–কর্মীসহ ডিএনসিসি ফের উচ্ছেদের প্রস্তুতি নেয়। তবে স্থানীয় বিহারিদের সঙ্গে নেতা–কার্মীদের পাল্টাপাল্টি ধাওয়া চলছে। সর্বশেষ বেলা সোয়া ১১টার দিকে ডিএনসিসির মেয়র আতিকুল ইসলাম ঘটনাস্থলে এসেছেন। অভিযান চালাতে গিয়ে বারবার পিছু হঠছেন সিটি করপোরেশনের লোকজন। রাস্তার দুই পাশের বাসাবাড়ি থেকেও ইটপাটকেল নিক্ষেপ করা হচ্ছে।
বিচারককে ঘুষ দেওয়ার চেষ্টা, আটকের পর মুক্ত পুলিশ কর্মকর্তা
আমাদের সময়
বিভাগ: রাষ্ট্রীয় বাহিনী
বিচারককে ঘুষ প্রদানের চেষ্টা করায় সিলেটের জকিগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) রাজা মিয়াকে আটক করা হয়। পরে পুলিশের পক্ষ থেকে তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হলে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। গত মঙ্গলবার জকিগঞ্জ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এ ঘটনা ঘটে।
আদালত সূত্রে জানা যায়, ৫৮/২০২০ নম্বর সিআর মামলা তদন্ত করে একজন আসামিকে বাদ দিয়ে ৩ আসামির বিরুদ্ধে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করেন এসআই রাজা মিয়া। কেন একজনকে বাদ দেওয়া হয়েছে জানতে চেয়ে মামলার বাদী ও তদন্ত কর্মকর্তার উপস্থিতিতে শুনানির দিন ধার্য করেন আদালত। গতকাল মঙ্গলবার ধার্য তারিখে অনুমতি ছাড়াই এসআই রাজা মিয়া বিচারক আনোয়ার হোসেন সাগরের খাস কামরায় ঢুকে ঘুষ প্রদানের চেষ্টা করেন।
বিচারক এসআইকে রাজা মিয়াকে কৌশলে এজলাসে নিয়ে যান। সেখানে আইনজীবী ও উপস্থিত লোকজনদের সামনে এসআই রাজা মিয়াকে গ্রেপ্তার করে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিলে রাজা মিয়া ক্ষমা চাইলেও আদালতে রাত ৮টা পর্যন্ত তাকে আটক রাখা হয়। পরে জকিগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর মো. আব্দুন নাসের ও জকিগঞ্জ সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুদীপ্ত রায় বিচারকের খাস কামরায় অবস্থান করে বিভাগীয় দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিলে আদালত রাজা মিয়াকে মুক্তির আদেশ দেন।
কুষ্টিয়ার এসপি কাণ্ডে প্রিজাইডিং অফিসারকে নিরাপত্তা দেওয়ার নির্দেশ
বাংলা ট্রিবিউন
বিভাগ: রাষ্ট্রীয় বাহিনী
কুষ্টিয়া ভেড়ামারা পৌরসভা নির্বাচনে চলাকালে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. মহসিন হাসানের সঙ্গে স্থানীয় এসপির দুর্ব্যবহারের সাক্ষী প্রিজাইডিং অফিসার মো. শাহজাহান আলী ও তার পরিবারকে নিরাপত্তা দিতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। আগামী ২৫ জানুয়ারি পর্যন্ত তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পুলিশ মহাপরিদর্শককে এ নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২১ জানুয়ারি) বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ স্বপ্রণোদিত হয়ে এই আদেশ দেন। আদালতে ভার্চুয়ালি হাজির হয়ে মো. শাহজাহান আলী জীবনের নিরাপত্তা চান। তার পক্ষে আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট ইশরাত হাসান।
আইনজীবী ইশরাত হাসান আদালতকে বলেন, কুষ্টিয়ার এসপি এস এম তানভীর আরাফাতকে আদালতে তলবের পর সেই ভোটকেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসার ও উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা শাহজাহান আলীকে পুলিশ থানায় নিয়ে ভয়ভীতি দেখিয়েছে। বিভিন্ন ধরনের কাগজে স্বাক্ষর নিয়েছে এবং তার বাড়িতে দুই জন গোয়েন্দা পুলিশ সব সময় অবস্থান করছে। এই অবস্থায় শাহজাহান আলী ও তার পরিবারের সদস্যরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন।
প্রিজাইডিং অফিসার শাহজাহান আলী ও আইনজীবী ইশরাত হাসানের বক্তব্য শুনে হাইকোর্ট তাকে হয়রানি না করার জন্য পুলিশকে নির্দেশ প্রদান করেন এবং নিরাপত্তা দিতে নির্দেশ দেন। আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সরোয়ার হোসেন বাপ্পী।
Misbehaviour with Magistrate: Kushtia SP tarnished image of judiciary
The Daily Star
Category: State force
The High Court yesterday observed that the superintendent of police in Kushita committed serious contempt of court and made a severe attack on the administration of justice.
SM Tanvir Arafath’s behaviour with Judicial Magistrate Mohsin Hasan has also tarnished the image of the judiciary as a whole, the court said.
The observations came amid allegations that the SP misbehaved with the judicial magistrate in Bheramara, Kushita, during the municipality election on January 16.
“The action of the superintendent of police, Kushtia, namely, SM Tanvir Arafath cannot be taken lightly as he has not only committed serious contempt of court, but has also tarnished the image of the judiciary as a whole with his contemptuous remarks, behaviour and attitude,” the HC said.
আপনার মতামত জানানঃ