স্টেটওয়াচ রিসার্চ নেটওয়ার্ক কাজ করছে বাংলাদেশে আইনপ্রয়োগের সার্বিক চিত্র তুলে ধরার পাশাপাশি মতপ্রকাশের স্বাধীনতা সংক্রান্ত বাস্তবতা নিয়ে। এর অংশ হিসেবে স্টেটওয়াচ নিউজে আমরা প্রতিদিনকার আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতা ও গণমাধ্যম সংক্রান্ত খবরাখবরগুলো সংক্ষেপে তুলে ধরার উদ্যোগ নিয়েছি। প্রতিদিন নিম্নোক্ত মাধ্যমসমূহ থেকে সংবাদগুলো সংগ্রহ ও তা নথিবদ্ধ করছে আমাদের কর্মীরা: প্রথম আলো, কালের কণ্ঠ, যুগান্তর, সমকাল, নয়া দিগন্ত, ইত্তেফাক, দেশ রূপান্তর, ডেইলি স্টার, নিউ এজ, দ্য ফিনান্সিয়াল এক্সপ্রেস, বাংলা ট্রিবিউন, বিডিনিউজ২৪ ডটকম, আমাদের সময়, মানবজমিন। আমরা আশা করি, এই প্রতিবেদন নিয়মিত প্রকাশের মাধ্যমে জনগণের তথ্যপ্রাপ্তির অধিকার আরো শক্তিশালী হবে।
১৬ জানুয়ারি ২০২১, শনিবার, ২ মাঘ ১৪২৭, পত্র-পত্রিকায় প্রকাশিত
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও গণমাধ্যম সংক্রান্ত নির্বাচিত খবরের সার-সংক্ষেপ।
যশোরে বাদীর ভুলে চাকরি হারালেন পুলিশ কনস্টেবল
যুগান্তর
বিভাগ: রাষ্ট্রীয় বাহিনী
মারামারির একটি মামলায় বাদীর ভুলের কারণে চাকরি হারিয়েছেন জেলার চৌগাছা থানার পুলিশ কনস্টেবল সোয়েব আক্তার। চাকরি ফিরে পেতে এক বছর ধরে দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন তিনি। আদালতে মামলাটি নিষ্পত্তির পর মানবাধিকার কমিশন ভুক্তভোগীকে চাকরিতে পুনর্বহালের সুপারিশ করেছে। কিন্তু চাকরি ফিরে পাননি সোয়েব। অবশেষে বৃহস্পতিবার যশোর প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলন করেন তিনি। চাকরি ফিরে পেতে প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেন ভুক্তভোগী এ যুবক।
সোয়েব আক্তার উপজেলার জামিরা গ্রামের মোশারেফ হোসেনের ছেলে। তিনি জানান, মারামারির ঘটনায় ২০১৭ সালের ৬ মার্চ চৌগাছা থানায় ১১ জনের নামে মামলা করেন বারুইহাটি গ্রামের শাহজাহান আলী, যার নম্বর ০৪। ওই মামলার ১০ নম্বর আসামি জামিরা গ্রামের মোশারেফ হোসেন ওরফে ফাজুর ছেলে সাইফ। একই বছরের ২৭ মার্চ আদালতে চার্জশিট দেন তদন্ত কর্মকর্তা। ২০১৯ সালের ২০ আগস্ট শিক্ষানবিশ কনস্টেবল হিসাবে প্রশিক্ষণে যোগ দেন।
‘একপর্যায়ে ২০২০ সালের ২৯ জানুয়ারি আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন খুলনার সহঅধিনায়ক সাজ্জাদুর রহমান রাসেল স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে সোয়েব আক্তারের নামে যশোর জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা বিচারাধীন আছে উল্লেখ করে চাকরি থেকে অব্যাহতির ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়।’
এর আগেই ২০১৯ সালের ৩ ডিসেম্বর যশোরের জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মো. সাইফুদ্দীন হোসাইন এক রায়ে ওই মামলার সব আসামিকে খালাস দেন। সোয়েব বলেন, মারামারির ওই মামলায় আমি আসামি নই। ১০ নম্বর আসামির বাবার নাম ও গ্রামের নামের সঙ্গে মিল থাকায় আমাকে চাকরি থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। এটি আমার সঙ্গে অন্যায় হয়েছে। আমি নিরপরাধ হয়েও চাকরি হারিয়েছি। দরিদ্র পরিবারের সন্তান হিসাবে চাকরিটা পেয়েছিলাম সোনার হরিণের মতো। সেই চাকরি হারিয়ে অসহায় দিনযাপন করছি। চাকরি ফিরে পেতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও পুলিশ সদর দফতরে আবেদন করেছেন বলেও জানান এ ভুক্তভোগী। এ ছাড়া তাকে চাকরিতে পুনর্বহালের জন্য মানবাধিকার কমিশন পুলিশ মহাপরিদর্শককে যে সুপারিশ করেছে তার একটি কপিসহ এ সংক্রান্ত যাবতীয় কাগজপত্র যুগান্তরের কাছে রয়েছে।
করোনায় মৃত পুলিশ সদস্যের পরিবারকে ডিএমপির আর্থিক অনুদান
জাগো নিউজ
বিভাগ: রাষ্ট্রীয় বাহিনী
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়া পুলিশ পরিদর্শক (সশস্ত্র) মো. ছিদ্দিকুর রহমানের পরিবারকে দুই লাখ টাকা আর্থিক অনুদান দিয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)। বৃহস্পতিবার (১৪ জানুয়ারি) ডিএমপি কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলামের পক্ষে পরিবারটির হাতে এই আর্থিক অনুদান তুলে দেন উপ-পুলিশ কমিশনার (ওয়েলফেয়ার অ্যান্ড ফোর্স) মোহাম্মদ মোয়াজ্জেম হোসেন ভূঞাঁ। এ সময় অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (ওয়েলফেয়ার এন্ড স্পোর্টস) উপস্থিত ছিলেন।
এর আগেও করোনাভাইরাসে মারা যাওয়া ডিএমপির অন্যান্য সদস্যদের পরিবারকেও কমিশনারের পক্ষ থেকে আর্থিক অনুদান দেয়া হয়েছে।
সাভারে মেয়রপুত্রের হাতে সাংবাদিক লাঞ্ছিত
বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
বিভাগ: গণ্যমাধ্যম
সাভার (ঢাকা): সাভার পৌরসভা নির্বাচনে একটি ভোটকেন্দ্রে বাংলানিউজের সাভার করেসপন্ডেন্ট সাগর ফরাজীর ফোন কেড়ে নেওয়াসহ অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেছে মেয়রপুত্র কামরুল হাসান শাহিন।
শনিবার (১৬ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে ৮টার দিকে টাঙ্গাইল ক্যাডেট একাডেমির মহিলা কেন্দ্র এ ঘটনা ঘটে। সকালে সাভারের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের ভোটকেন্দ্রে গিয়ে প্রথম নারী ভোটারের অভিজ্ঞতা সম্পর্কে জানতে চেয়ে ভিডিও ধারণ করার একপর্যায়ে মেয়র প্রার্থী আব্দুল গণির ছেলে শাহিন এসে ফোন কেড়ে নেন। এছাড়া তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে অকথ্য ভাষায় গালাগালিজ করেন। পরে ধামরাই থানার পরিদর্শক (ওসি) দীপক চন্দ্র শাহা ফোন ফিরিয়ে নেওয়ার ব্যবস্থা করে দেন। এসময় ক্ষিপ্ত হয়ে বাংলানিউজের প্রতিবেদককে কামরুল হাসান শাহিন বলেন, ‘তরা আইছোস কেন এখানে। ভিডিও চু…। মা… ২০ কোটি টাকা খরচ করছি নির্বাচনে। এখান থেকে চলে যা। মাইরা ফাটায়া দিমু। ’
বাংলানিউজের প্রতিবেদকের পাশে থাকা এক গণমাধ্যমকর্মী বলেন, মেয়রপুত্র হুট করে এসে সাগরের ফোন কেড়ে নিয়ে শুরু করেন গালিগালাজ। এসময় একজন পুলিশ কর্মকর্তা এসে শাহিনকে নিয়ে যায় ও সাগরের ফোন ফেরত দিয়ে দেন।
টাঙ্গাইল ক্যাডেট একাডেমির মহিলা কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসার আবুল কালাম আজাদ বাংলানিউজকে বলেন, আসলে তেমন কিছু হয়নি। একটু কথা কাটাকাটি হয়েছে আর কি।
আপনার মতামত জানানঃ