স্টেটওয়াচ রিসার্চ নেটওয়ার্ক কাজ করছে বাংলাদেশে আইনপ্রয়োগের সার্বিক চিত্র তুলে ধরার পাশাপাশি মতপ্রকাশের স্বাধীনতা সংক্রান্ত বাস্তবতা নিয়ে। এর অংশ হিসেবে স্টেটওয়াচ নিউজে আমরা প্রতিদিনকার আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতা ও গণমাধ্যম সংক্রান্ত খবরাখবরগুলো সংক্ষেপে তুলে ধরার উদ্যোগ নিয়েছি। প্রতিদিন নিম্নোক্ত মাধ্যমসমূহ থেকে সংবাদগুলো সংগ্রহ ও তা নথিবদ্ধ করছে আমাদের কর্মীরা: প্রথম আলো, কালের কণ্ঠ, যুগান্তর, সমকাল, নয়া দিগন্ত, ইত্তেফাক, দেশ রূপান্তর, ডেইলি স্টার, নিউ এজ, দ্য ফিনান্সিয়াল এক্সপ্রেস, বাংলা ট্রিবিউন, বিডিনিউজ২৪ ডটকম, আমাদের সময়, মানবজমিন। আমরা আশা করি, এই প্রতিবেদন নিয়মিত প্রকাশের মাধ্যমে জনগণের তথ্যপ্রাপ্তির অধিকার আরো শক্তিশালী হবে।
১৫ জানুয়ারি ২০২১, শুক্রবার, ১ মাঘ ১৪২৭, পত্র-পত্রিকায় প্রকাশিত
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও গণমাধ্যম সংক্রান্ত নির্বাচিত খবরের সার-সংক্ষেপ।
পুলিশের ব্যাগে আনা হতো মাদকের চালান
তিন কনস্টেবলের সিন্ডিকেট
যুগান্তর
বিভাগ: রাষ্ট্রীয় বাহিনী
পুলিশ সদস্যের ব্যাগ কেউ তল্লাশি করে না। তাই সীমান্ত এলাকার বাড়ি থেকে ফেরার পথে ফেনসিডিলের চালান নিয়ে ঢাকায় আসত পুলিশের কয়েকজন সদস্য।
এভাবে তারা মাদকের সিন্ডিকেট গড়ে তোলে। এ মাদক সিন্ডিকেটের পেছনে তিন কনস্টেবল ও এক কনস্টেবলের স্ত্রী রয়েছে। যুগান্তরকে পুলিশসংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্র এসব তথ্য জানিয়েছে। সূত্র জানায়, পুলিশের পাবলিক অর্ডার ম্যানেজমেন্ট শাখায় কর্মরত কনস্টেবল সুয়েজ খান ও আসাদুজ্জামান, সাময়িক বরখাস্ত কনস্টেবল জুয়েল খান এবং জুয়েল খানের স্ত্রী লিজা বেগম মাদক সিন্ডিকেটটি গড়ে তোলেন। এছাড়া এ সিন্ডিকেটে ডেমরার চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী ও অবৈধ অস্ত্রধারী শিবলী আহাম্মদ খানসহ ১০-১২ জন সদস্য রয়েছে। এরইমধ্যে কনস্টেবল সুয়েজ ও আসাদুজ্জামান, মাদক ব্যবসায়ী শিবলী এবং লিজাকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে।
তাদের বিরুদ্ধে ডেমরা থানায় দুটি এবং মতিঝিল ও খিলগাঁও থানায় একটি করে মামলা হয়েছে। চারটি মামলার মধ্যে তিনটিই মাদক মামলা। অপরটি অস্ত্র মামলা।
এর আগে মাদকসহ গ্রেফতার হওয়ায় জুয়েল সাময়িক বরখাস্ত হন। এরপর তার স্ত্রী লিজা মাদক ব্যবসায় জড়িয়ে পড়েন। জুয়েল এখন পলাতক। তাকেসহ সিন্ডিকেটের অন্য সদস্যদের গ্রেফতারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত আছে। সূত্র জানায়- জুয়েল, আসাদুজ্জামান, লিজা ও শিবলীকে গ্রেফতারের পর বৃহস্পতিবার আদালতে হাজির করে সাত দিনের রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন জানান মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মতিঝিল থানার এসআই কাউছার আহাম্মদ খান।
শুনানি শেষে আদালত তিনজনের প্রত্যেককে চারদিনের এবং লিজাকে একদিনের রিমান্ডে নেওয়ার অনুমতি দেন। রিমান্ডের শুরুতে শুক্রবার রাতে জিজ্ঞাসাবাদে তারা মাদক সিন্ডিকেটের বিষয়ে চাঞ্চল্যকর তথ্য দিয়েছেন।
তারা জানান, দুই পুলিশ কনস্টেবলের বাড়ি দিনাজপুরে। ভারতীয় সীমান্ত এলাকায় বাড়ি হওয়ায় তারা ফেনসিডিল ঢাকায় এনে পাইকারি বিক্রি করত। পাশাপাশি খুচরাও বিক্রি করেন। ভারত থেকে প্রতি বোতল ফেনসিডিল ঢাকায় আনতে তাদের ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা খরচ হতো। পাইকারি ১০০০ হাজার ও খুচরা এক হাজার ২০০ থেকে এক হাজার ৫০০ টাকায় ফেনসিডিল বিক্রি করা হতো।
করোনায় মৃত পুলিশ সদস্যের পরিবার পেল ডিএমপির অনুদান
কালের কন্ঠ
বিভাগ: রাষ্ট্রীয় বাহিনী
করোনাভাইরাসে মারা যাওয়া ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশে কর্মরত পুলিশ পরিদর্শক (সশস্ত্র) মো. ছিদ্দিকুর রহমানের পরিবারকে দুই লাখ টাকা আর্থিক অনুদান দিয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)।
বৃহস্পতিবার (১৪ জানুয়ারি) ডিএমপি কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলামের পক্ষে পরিবারটির হাতে এই আর্থিক অনুদান তুলে দেন উপ-পুলিশ কমিশনার (ওয়েলফেয়ার অ্যান্ড ফোর্স) মোহাম্মদ মোয়াজ্জেম হোসেন ভূঞাঁ। এ সময় অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (ওয়েলফেয়ার এন্ড স্পোর্টস) উপস্থিত ছিলেন। এর আগেও করোনাভাইরাসে মারা যাওয়া ডিএমপির অন্যান্য সদস্যদের পরিবারকেও ডিএমপি কমিশনারের পক্ষ থেকে আর্থিক অনুদান দেয়া হয়েছে।
আপনার মতামত জানানঃ