জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা বলছেন, চাকরির ক্ষেত্রে তাঁরা বৈষম্যের শিকার হচ্ছেন। বৈষম্যের মাধ্যমে তাঁদের মানবাধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছে। এ নিয়ে তাঁরা হতাশ। অন্যদিকে কমিশনের ২০২৩ সালের বার্ষিক প্রতিবেদনেও প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বৈষম্য-বঞ্চনার শিকার হওয়ার বিভিন্ন তথ্য উঠে এসেছে।
বার্ষিক প্রতিবেদনটি গত ৩১ মার্চ রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের কাছে জমা দেয় কমিশন। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বঞ্চনার অনুভূতি নিয়ে কাজ করা কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কাছ থেকে মানবাধিকারের উত্তম সেবা আশা করা যায় না। সবার আগে কমিশনের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মানবাধিকার রক্ষায় পদক্ষেপ নিতে হবে। একটি প্রতিষ্ঠানকে দুর্বল রেখে তার কাছ থেকে উত্তম সেবা আশা করা যায় না।
কমিশনের পরিচালক (অভিযোগ ও তদন্ত) জেলা ও দায়রা জজ মো. আশরাফুল আলম প্রতিবেদনে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সমস্যাসহ এই বৈষম্যের কথা তুলে ধরেছেন। তিনি ২০২১ সালের জুন থেকে তিন বছরের জন্য কমিশনে প্রেষণে দায়িত্ব পালন করছেন।
কমিশনে কর্মরত একাধিক কর্মকর্তা বৈষম্য-বঞ্চনার বিষয়টি প্রথম আলোর কাছে তুলে ধরেন। কমিশনের একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে প্রথম আলোকে বলেন, ‘বৈষম্য হচ্ছে মানবাধিকার লঙ্ঘনের একটি মৌলিক দিক। তাই কমিশনের কর্মীরা যে মানবাধিকার লঙ্ঘনের শিকার হচ্ছেন, তা স্পষ্ট করেই বলা যায়।’
একই কর্মকর্তা আরও বলেন, ‘সরকারি অন্য কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য সরকারি বাড়ি-গাড়ি-অবসরকালীন সুবিধা আছে। দুর্নীতি দমন কমিশন আমাদের মতোই একটি প্রতিষ্ঠান। সেখানে কর্মরত ব্যক্তিরাও এসব সুবিধা পাচ্ছেন। কিন্তু আমরা পাচ্ছি না।’
প্রতিবেদনে উঠে আসা ‘বৈষম্য-বঞ্চনা’
প্রতিবেদনে কমিশনের পরিচালক আশরাফুল আলম উল্লেখ করেছেন, কমিশন আইনের ২৪ নম্বর ধারা এবং প্যারিস নীতিমালা অনুযায়ী, স্বাধীন প্রতিষ্ঠান পরিচালনায় মানবাধিকার কমিশন তহবিল গঠনের বিধান রাখা হয়েছে।
সরকারের অর্থ বিভাগের দাবি অনুযায়ী, আইনের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত এই ধরনের প্রতিষ্ঠানগুলো ‘এক্সট্রা বাজেটরি’ প্রতিষ্ঠান হিসেবে গণ্য হবে। এর অধীনে নিযুক্ত ব্যক্তিরা সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মতো জিপিএফ বা ভবিষ্য তহবিল ও গ্র্যাচুইটি সুবিধা পাবেন না—এই যুক্তি দেখিয়ে ২০১৬ সাল থেকে কমিশনে কর্মরতদের সরকারি কেন্দ্রীয় বাজেট থেকে বাদ দেওয়া হয়। এমনকি কমিশনের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সরকারি বাসা, সরকারি পাসপোর্ট দিতেও আপত্তি জানানো হয়।
২০১৯ সালে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন (কর্মকর্তা ও কর্মচারী) চাকরি বিধিমালা প্রণয়ন করা হয়। বিধিমালায় বেতন কাঠামো সরকারের অনুরূপ রাখা হলেও শুধু ‘এক্সট্রা বাজেটরি’ প্রতিষ্ঠানের দোহাই দিয়ে জিপিএফ বা ভবিষ্য তহবিলের পরিবর্তে কমিশনের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা সিপিএফ (কনট্রিবিউটরি প্রভিডেন্ট ফান্ড) পাবেন বলে জানানো হয়। ফলে ভবিষ্যৎ নিরাপত্তা নিয়ে দুশ্চিন্তা ও হতাশায় আছেন কমিশনে কর্মরত ব্যক্তিরা।
প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, কমিশনের অন্যতম প্রধান চ্যালেঞ্জ হলো এখানকার চাকরিকে এখনো আকর্ষণীয় করা সম্ভব হয়নি। কমিশনের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে চাকরি ছেড়ে দেওয়ার প্রবণতা আছে। এই প্রবণতা কমিশনের কার্যক্রমকে ব্যাহত করে। সরকার রাষ্ট্রের অন্যান্য অংশের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের যে সুযোগ-সুবিধা দেয় (চাকরিকালীন ও অবসরোত্তর), তার চেয়ে বেশি না হলেও একই রকমের সুযোগ-সুবিধা কমিশনে কর্মরতদের জন্য নিশ্চিত করতে হবে।
কমিশন সূত্রে জানা গেছে, গত বছর জাতীয় মানবাধিকার কমিশনে ১৭ জন নিয়োগ পেয়েছিলেন। তাঁদের মধ্যে একজন অন্য সরকারি প্রতিষ্ঠানে চলে গেছেন। আরও ছয়জন চলে যাওয়ার প্রক্রিয়ায় আছেন।
মানবাধিকার কমিশনের পরিচালক (অভিযোগ ও তদন্ত) আশরাফুল আলম গত শনিবার মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, কমিশনে কর্মরতদের মধ্যে বঞ্চনার অনুভূতি রয়েছে। কমিশনকে সর্বোচ্চ কার্যকর করতে হলে অবসরকালীন সুবিধাসহ যেসব ক্ষেত্রে কর্মকর্তা-কর্মচারীরা বৈষম্যের শিকার হচ্ছেন, তা দূর করতে হবে।
জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান কামাল উদ্দিন আহমেদ বলেন, অবসরকালীন সুবিধা নিয়ে কর্মীদের মধ্যে ক্ষোভ-হতাশা আছে। তাই অন্য কোনো প্রতিষ্ঠানে ভালো চাকরি পেলে কেউ কেউ কমিশনের চাকরি ছেড়ে দিচ্ছেন। কমিশন শক্তিশালী হলে সরকারের জন্যও তা সম্মানের। এতে আন্তর্জাতিকভাবেও দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হবে।
মানবাধিকার কমিশন আইনে উপজেলা পর্যায় পর্যন্ত আঞ্চলিক কার্যালয় চালু করার কথা বলা আছে। কিন্তু বিভাগীয় পর্যায়েই সবখানে কার্যালয় চালু করা সম্ভব হয়নি।
ঢাকায় ভাড়া করা ভবনে কমিশনের প্রধান কার্যালয় আছে। পাশাপাশি কক্সবাজার, রাঙামাটি, খুলনা ও গোপালগঞ্জে চারটি আঞ্চলিক শাখার কার্যক্রম চালু রয়েছে।
কমিশনে কর্মরত ব্যক্তিরা বলছেন, নিজস্ব একটি ভবনে প্রধান কার্যালয় স্থাপনের জন্য কমিশনকে সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়-দপ্তরে ঘুরতে হচ্ছে। তদন্তের জন্য বিভিন্ন জায়গায় যেতে কমিশনে কর্মরত ব্যক্তিদের ভাড়া করা গাড়ির ওপর ভরসা করতে হচ্ছে।
গত বছরের ১৪ সেপ্টেম্বর ময়মনসিংহের মুক্তাগাছায় যাওয়ার পথে ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের সামনে কমিশনের পরিচালক আশরাফুল আলমসহ অন্যদের বহনকারী মাইক্রোবাস দুর্ঘটনার শিকার হয়। এতে গাড়িটিতে থাকা সবাই আহত হন। পরে কমিশনের সভায় ‘মানবিক’ কারণে আহত ব্যক্তিদের চিকিৎসা সহায়তার সিদ্ধান্ত হয়। এ ছাড়া চিকিৎসা সহায়তা কীভাবে দেওয়া যায়, তা নিয়ে একটি নীতিমালা তৈরির সিদ্ধান্ত হয়।
কমিশনের সীমাবদ্ধতা
২০০৮ সালের ১ সেপ্টেম্বর জাতীয় মানবাধিকার কমিশন অধ্যাদেশ, ২০০৭ জারির মাধ্যমে কমিশন যাত্রা শুরু করে। ২০০৯ সালে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন আইন প্রণয়ন হয়। ২০১০ সালের জুনে কমিশন পুরোপুরি কার্যক্রম শুরু করে।
বর্তমানে ষষ্ঠ কমিশন দায়িত্ব পালন করছে, যা শুরু হয় ২০২২ সালের ১০ ডিসেম্বর থেকে। প্রায় ৮০ জন জনবলের এই কমিশনের চাহিদামতো সরকার তিন মাস পরপর বরাদ্দ ছাড় করে।
২০১১ সাল থেকে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন জাতিসংঘের আওতাধীন সংশ্লিষ্ট সংস্থার বি শ্রেণিভুক্ত। আগে এই শ্রেণিভুক্তির কাজটি করত ইন্টারন্যাশনাল কো-অর্ডিনেটিং কমিটি ফর ন্যাশনাল হিউম্যান রাইটস ইনস্টিটিউশনস (আইসিসি)। পরে এর দায়িত্ব পায় গ্লোবাল অ্যালায়েন্স অব ন্যাশনাল হিউম্যান রাইটস ইনস্টিটিউশনস (গ্যানরি)।
বি শ্রেণিভুক্ত করার কারণ হিসেবে কমিশনের কিছু সীমাবদ্ধতার কথা উল্লেখ করে তৎকালীন আইসিসি।
এগুলো হলো কমিশনের সচিবসহ উচ্চপর্যায়ের কর্মকর্তাদের সরকার থেকে নিযুক্ত করা। কমিশনের আর্থিক স্বাধীনতা ও নিজস্ব সচিবালয় না থাকা। আইন মন্ত্রণালয়ের অধীনে কাজ করা। কমিশনারদের নিয়োগ নিরঙ্কুশভাবে সরকারের হাতে থাকা।
গত বছরের নভেম্বরে দ্য এশিয়ান এনজিওস নেটওয়ার্ক অন ন্যাশনাল হিউম্যান রাইটস ইনস্টিটিউশনসের (এএনএনআই) প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, মানবাধিকার রক্ষা ও উন্নয়নে ভূমিকা রাখার ক্ষেত্রে ১১টি দেশের মধ্যে দ্বিতীয় সর্বনিম্ন স্কোর করে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন। মোট ৪৪ স্কোরের মধ্যে কমিশন পায় ১৭ দশমিক ২৫।
এএনএনআইয়ের প্রতিবেদনে বলা হয়, ভিন্নমত দমন ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতা খর্ব করার জন্য সরকারকে জবাবদিহি করার ক্ষেত্রে মানবাধিকার কমিশনের সাহসের অভাব রয়েছে। র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনাতেও খুব কমই ভূমিকা রেখেছে কমিশন। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিরুদ্ধে অভিযোগ তদন্তে কমিশনের ক্ষমতা সীমিত।
দায় এড়ায় কমিশন
গৃহকর্মী খাদিজাকে নিষ্ঠুরভাবে নির্যাতনের ঘটনায় জাতীয় মানবাধিকার কমিশন দায়সারা তদন্ত করেছিল। খাদিজাকে নির্যাতনের ঘটনায় ২০১৩ সালে উচ্চ আদালতে একটি রিট হয়। ২০১৯ সালের নভেম্বরে দেওয়া রায়ে হাইকোর্ট বলেছিলেন, এই ঘটনা এটা প্রমাণের জন্য যথেষ্ট যে কমিশন কী করে দায় এড়িয়ে চলে। এ ঘটনায় কমিশনের গাফিলতি, নিষ্ক্রিয়তা ও দায়িত্বহীনতার প্রমাণ পান আদালত।
অভিযোগের তেমন নজির নেই
কমিশন আইনে বলা আছে, যদি কোনো কর্তৃপক্ষ কমিশনের কথায় গা না করে, তবে এ অভিযোগ কমিশন প্রতিবেদনের মাধ্যমে রাষ্ট্রপতিকে জানাতে পারবে। আর রাষ্ট্রপতি সেই প্রতিবেদনের কপি জাতীয় সংসদে উত্থাপনের ব্যবস্থা করবেন। তবে এ ব্যাপারে কমিশন এখন পর্যন্ত তেমন কোনো নজির সৃষ্টি করতে পারেনি।
কমিশনের মানবাধিকার বিষয়ে গবেষণা করার কথা। কিন্তু কমিশনের ওয়েবসাইটের গবেষণা অংশে ‘নারী ও শিশুর প্রতি সহিংসতা এবং ধর্ষণ প্রতিরোধে করণীয় নির্ধারণে ন্যাশনাল ইনকোয়ারি’ শীর্ষক একটি প্রতিবেদন রাখা আছে।
কমিশনের আইনি দুর্বলতার প্রসঙ্গ প্রতিষ্ঠানটির বার্ষিক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে। এতে বলা হয়, সরকারি অন্য যেকোনো সংস্থার বিরুদ্ধে কমিশন তদন্ত করতে পারলেও আইনি দুর্বলতার কারণে তারা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘনের মতো ঘটনা ঘটলে শুধু প্রতিবেদন চাইতে পারে। এ ছাড়া কমিশন আইনের বিভিন্ন উপধারা অনুযায়ী, এই প্রতিবেদন দেওয়ার ক্ষেত্রে তারা সরকারকে সময় বেঁধে দিতে পারে। পাশাপাশি ভুক্তভোগীকে সাময়িক সাহায্যের সুপারিশ করতে পারে।
কমিশন নিয়ে ‘ভুল ধারণা’
কমিশনের পরিচয় বা কার্যক্রম নিয়ে মানুষের মধ্যে ভুল ধারণা আছে বলে বার্ষিক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। এতে বলা হয়, মানুষ ভাবে, কমিশন নির্বাহী ক্ষমতাপ্রাপ্ত, অথচ তা প্রয়োগ করে না। কমিশনের কাছ থেকে তাৎক্ষণিক প্রতিকার পাওয়া যায় না। কমিশন সরকারি নাকি রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান, তা নিয়ে অনেকের মধ্যে বিরূপ প্রতিক্রিয়া ও মিশ্র ধারণা রয়েছে।
এই প্রেক্ষাপটে বার্ষিক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, কমিশন রাষ্ট্রের একটি প্রতিষ্ঠান। কমিশন পরিচালিত হয় রাষ্ট্রপতির দিকনির্দেশনায়। নিরপেক্ষভাবে সরকারের যেকোনো কার্যক্রমের ব্যত্যয় সুস্পষ্টভাবে তুলে ধরাই কমিশনের কাজ। পৃথিবীর প্রায় সব দেশেই মানবাধিকার কমিশন একটি সুপারিশমূলক প্রতিষ্ঠান। বাংলাদেশেও তাই।
প্রত্যাশা ও কাজে বিস্তর ফারাক
জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের কাজ ও ভূমিকা নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা আছে। এ প্রসঙ্গে কমিশনের চেয়ারম্যান কামাল উদ্দিন আহমেদ প্রথম আলোকে বলেন, ধর্ষণ, শিশু নির্যাতন, দলিতদের নির্যাতনসহ মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনার বিস্তৃতি অনেক। কমিশনের পক্ষ থেকে এসব বিষয় নিয়ে কাজ করা হচ্ছে। কমিশন গত বছর ১২২টি সুয়োমোটো গ্রহণ করেছে।
কামাল উদ্দিন আহমেদ আরও বলেন, ‘যখন যেখানে মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটছে, হন্যে হয়ে সেখানেই ছুটে যাচ্ছি। ক্ষমতা অনুযায়ী বেশি ছাড়া কম কাজ করছি না। জেলা কমিটিগুলোকে চাঙা করার চেষ্টা করছি। তবে দেশের প্রথম সারির বিভিন্ন গণমাধ্যম কমিশনের ইতিবাচক কাজগুলো প্রচার করে না।’
তবে কমিশনে কর্মরত ব্যক্তিদের অনেকেই মনে করছেন, মানুষের প্রত্যাশা ও কমিশনের কাজের মধ্যে বিস্তর ফারাক আছে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে কমিশনের একজন কর্মকর্তা প্রথম আলোকে বলেন, ‘মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনায় কমিশন নড়েচড়ে না। সাহস করে কথা বলে না।’
আপনার মতামত জানানঃ